খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ব্লগ

পোলাটার সখ বড় পিরীতে

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১১/০৪/২০১১ - ১০:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পোলাটার সখ বড় পিরীতে,
তাই থাকে করিডোরে সিঁড়িতে,
মেয়েদের পিছু পিছু ফিরিতে,
কোনভাবে কারো কাছে ভিড়িতে।

একদিন ধ্যান ছিল চলাতে,
কাব্যিক কিছু কথা বলাতে,
পার্শ্বের মেয়েটারে গলাতে।

ডান পা’টা হড়কালো কলাতে,
পড়ে গেলো নীচকার জলাতে,
এই বুঝি যায় ডুবে তলাতে।

মাইয়াটা কেঁদে ওঠে ডুকরে.
যেনো তার কলিজের টুকরে,
তার প্রতি ছিলো উৎসুক রে,
সেই ঘোরে পেলো ব্যথাটুক রে,
-অপরাধবোধ খায় ঠুকরে।


দুর্গেশ্বরীকে

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৬/০৪/২০১১ - ৮:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুর্গেশ্বরী জেনে গেছি
তোমার সেই সুরক্ষিত দুর্গ কপাট,
কোথায় আক্রান্ত হলে
বিনা যুদ্ধে হয়ে যায় হাট।

জেনে গেছি সব-ই গেছি জেনে,
কেনো যে বিব্রত দ্বার-রক্ষী
পথ ছাড়ে পরাভব মেনে।


জিয়ারতের রকমফের

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৩/০২/২০১১ - ১১:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঢাকায় বসে একজন যদি বলে, সে জিয়ারত করতে যাচ্ছে, সবাই ভাববে, সে আজিমপুরে যাবে, কিংবা বনানীতে অথবা বুদ্ধিজীবী গোরস্তানে। আমাদের যুবক তেমনটাই ভাবল, যখন জেদ্দায় তার মিসরীয় সহকর্মী জানাল যে সে স্ত্রী জিয়ারতে যাচ্ছে কাল। আর চোখে মুখে একটা সহানুভূতির ভাব ফুটিয়ে প্রায় বলেই ফেলতে যাচ্ছিল, আই অ্যাম ভেরী সরি টু নো দ্যাট……। কিন্তু একটু থতমত খেয়ে গেল সহকর্মীর আকর্ণবিস্তৃত একখান হাসি আর সর্বোপরি আনন্দোচ্ছ্বল মু


বুকের মাঝে লাগলো এমন ঘাই লো

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২০/০২/২০১১ - ৫:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটা মেয়ে যেই জীবনে আইলো,
সেই তরুণের প্রেমের রোগে পাইলো,
প্রেম ছাড়া তার অন্য কিছু নাই লো।
প্রেম বরষায় নাইলো,
প্রেমের স্তুতি গাইলো,
প্রেম আঁকড়ে জীবন-তরী বাইয়া যেতে চাইলো।

কিন্তু মেয়ের ইচ্ছা ছিল ‘হাই’ লো,
প্রতিষ্ঠিত কারো গলায় ঝুইলা যেতে চাইলো।
দুবাইবাসী আইলো,
মাইয়া ভালা পাইলো,
আর ছুড়িও বইসা বিয়া বিদেশ পানে ধাইলো।

প্রেমিক-তরুণ ধাক্কাটা খুব খাইলো,
বুকের মাঝে লাগলো এমন ঘাই লো,


গোঁফ দেখে যায় চেনা

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৩/০২/২০১১ - ৯:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শেষ পর্যন্ত আরব মুল্লুকের ‘বানাত’ অর্থাত কন্যাদের বোরখাবিহীন চেহারা দেখার সুযোগ হয়ে যায় যুবকের। কিন্তু রূপচ্ছটায় ভস্ম হওয়া থেকে রক্ষা মিলে। হয়ত মায়ের দোয়ায়। হয়ত পাহারারত সেই মহিলার ঈগল দৃষ্টি তাকে রক্ষা করে।


পড়ল পিঠে কোন ললনার ছোঁয়া রে

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৮/০১/২০১১ - ৯:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পিরিত করার সাধ হল তার আহারে,
পরল জামা হরেক রকম বাহারে,
ঘুরতে গেল অনেক মেয়ে যাহা রে।


যুবকের ‘মাগনা’ আবিষ্কার

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৪/০১/২০১১ - ৭:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোন একদিন ২৪ বছরের যুবক স্বপন ভাগ্যাণ্বেষণে উড়াল দিল সৌদি আরব। তখনও ঢাকা জেদ্দা সরাসরি ফ্লাইট শুরু হয়নি। যেতে হ’ত করাচী হয়ে। জীবনের প্রথম বিমান যাত্রা ভয় মিশ্রিত এক ধরণের শিহরণে উপভোগ করতে করতে আর বারংবার বিমানের উঠতে নামতে ক্রুদের ঘোষণার প্রথম অংশটুকু (যা বলা বাহুল্য ছিল আরবী ভাষায়) ‘না বুইঝ্যা’ শুনতে শুনতে যুবক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় নিজের কাছে, এ ভাষাটা শেখা চাই তার।


বার্থডে পার্টি থেকে মিলাদ মহফিল

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৬/১২/২০১০ - ৫:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যতদিন মা’র ছেলে ছিলাম, সন্তানদের জন্মদিন পালন করতেন তিনি অতি নিয়মিত কিন্তু ঘরোয়া ভাবে। স্কুল থেকে ফিরেই বড় বড় শ্বাস নিতে থাকতাম ভ্যানিলা কেকের গন্ধে মৌ মৌ ঘরে। কেকের ভেতরটা কাঁচা রয়ে গেল কিনা কাঠি ঢুকিয়ে পরখ করতে করতে আদরভেজা কণ্ঠে আম্মা বলতেন, গোছল করে নতুন শার্টটা গায়ে দিয়ে আস শীগগির, কেক কাটবে যে! সেদিন
বকাবকি একদম বন্ধ। দুষ্টামির একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে বলতেন, আজ জন্মদিন, মা’ ...


আইলো পাড়ায় সুন্দরী এক মাইয়া

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি
লিখেছেন খন্দকার আলমগীর হোসেন [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/১২/২০১০ - ৭:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আইলো পাড়ায় সুন্দরী এক মাইয়া,
মন শুধু চায় দেখতে তারে চাইয়া,
সুযোগ পেলে পিরিত করি যাইয়া।

সকাল বেলা বারান্দাতে বইয়া,
ব্যস্ত থাকে নিজের পড়া লইয়া,
আমার কাটে চাতক পাখী হইয়া।

ইচ্ছা করে হাওয়ারে দেই কইয়া,
যারে বাতাস আমার মেসেজ লইয়া,
একটা প্রেমিক অপেক্ষাতে রইয়া।

এমনি করে বছর গেল বইয়া,
মনের কথা মনেই রাখি সইয়া,
হৃদয় নায়ে উঠল না আর ছইয়া।

প্রবাস থেকে একটা পোলা আইয়া,
লইয়া গেলো আমার প্রিয় মা ...