এই ধূলি ধরা তে
আগমণ আজ তার
ধূলি যত সরাতে।
কেউ কাটে মন্দকে
শব্দের করাতে
তবে তাঁর ভালো লাগে
করতে তা' ছড়াতে।
পটিয়সী তিনি অতি
মনে ঝিম ধরাতে
ছন্দতে যেন প্রাণ
ফিরে আসে মরা তে।
শতজীবী হোন প্রিয়,
মন প্রাণ ভরাতে
বলি হ্যাপী বার্থ ডে
সচলের বরাতে।
জিন্নাহ টুপির তলায় যখন মিচকা হাসি পষ্ট হয়
কই ঈমানে, দেইখ্যা সেটা আমার অযু নষ্ট হয়।
যায় যত দিন বাংলা ভুলে উর্দু তাদের চোস্ত হয়
মানচিত্রের মাংস খায়া তাদের বুকে গোস্ত হয়।
হায়রে আশা! যেই না বিচার আমার হাতে ন্যাস্ত হয়
ফেব্রুয়ারীর পঁচিশ তারিখ "বিশেষ মহল" ব্যস্ত হয়।
কি আসে যায় দূর্নীতিতে প্রথম নাকি ষষ্ঠ হয়
ভাইয়ের খুনের বদলা ভুলে, দেশই যখন ভ্রষ্ট হয়।
নিজের প্রতি লজ্জা, ঘৃণায় মুখ হত...
মানিই বা না মানি
আমরা হলাম প্রাণী!
ভীষণ রকম আল্লাদী আর
ভীষণ অভিমানী!
আমরা নাকি আবার
সব প্রানীদের সেরা!
কেউ যদি এর দ্বিমত করে
চলবে কঠিন জেরা!
কার বা এমন সাহস
কিংবা গলায় জোর
সামনে এসে বলবে হেসে
তুই তো ব্যাটা চোর!
তাই দেখো সবখানে
আমরা কাজের কাজী
আমরা চালাই, ওরা চলে
লাগবা নাকি বাজি?!
তারপরও তো ভীষণ
চিন্তা আসে মাথায়
ক্যান যে এমন হয় যে ভাবি
মুখ জড়িয়ে কাঁথায়!
আমার পাশের বাসায়
লোকটা...
সাউথ হলের পাঁচতলার আমাদের ব্লকের সীমানায় একেবারে পূর্ব দিক ঘেঁষে করিডোরের শেষ মাথায় যে জায়গাটুকু সেটা আমাদের সবারই খুব প্রিয় জায়গা। সেখানে হাত দিয়ে হেলান দেয়ার জায়গাটুকুতে পা ছড়িয়ে বসে আয়েশ করে অনেক কিছুই দেখা যায়। ইট কাঠের জঞ্জালের ধোঁয়া ওঠা শহরে এখনো যে কিছু গাছ আছে সেটা বোঝা যায় সবচে ভালোভাবে। ক্যাম্পাসের পূর্বদিকের সীমানা ঘেঁষেই ঢাকা গাজীপুর হাইওয়ে। সে রাস্তায় জীবন থে...
মাথার ওপর একটা নীলাকাশ ছিল
পায়ের নিচে শিশির মাখা ঘাস ছিল
যেই ছেলেটা কান্না চেপে হাসছিল
তার মনেতে মন খারাপের বাস ছিল।
হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ এলো গান মনে
সেই ছেলেটা গাইছিল তা আনমনে
চোখের কোণায় একটু শিশির প্রাণপণে
স্মৃতির সুঁইয়ে ক্লান্ত অভিমান বোনে।
সেই ছেলেটার একটা নিজের ঘর ছিল
সেই মেয়েটা অনেকটা দিন পর ছিল
সেদিন হঠাৎ... দু মনেতেই ঝড় ছিল
(তারপর..) দু দুটো মন এক ঘরে বাস করছিলো।
সেই ছেল...
প্রতি বছর ইজতেমা এলেই আমার মাঝে কোত্থেকে জানি ব্যাপক পরিমাণে জিহাদী জোশ এসে ভর করে। ইজতেমা ময়দানের আশেপাশেই থাকি বলে কীনা কে জানে। তখন বিপুল উদ্যমে বিছানা গোছাতে লেগে যাই। সকল রকম আলসেমী ঝেড়ে বছরে হাতে গোণা যে কয়েকবার বিছানাটা গোছগাছ করি ইজতেমার সময়টা সেরকম একটা সময়। দেখতে দেখতে এই বছরের ইজতেমাও চলে আসলো। এবং আমি আগের তিনবছরের পুনরাবৃত্তি করে বিছানা গোছগাছে মন দিলাম আজকে। ...
কদিন ধরেই স্বপ্নাহত'র
দিনগুলো যায় মুশকিলে
তাও যদি প্রাণ
পায় পরিত্রাণ
একশো টাকা ঘুষ দিলে।
কিন্তু তাতেও লাভ হবেনা
এই জেনে নেই হুশ দিলে
না পেয়ে থৈ, স্বপ্নাহতই
খাচ্ছে লেবেনচুষ গিলে।
উপায় খোঁজার স্বত্ত্বাধিকার
মার্কিনীদের রুশ দিলে
পারবে কি আনতে সল্যুশান
ওবামা আর বুশ মিলে?
স্বপ্নাহত সত্যিই এবার
ভীষণ রকম মুশকিলে।
সমস্যাটা খুব ক্রিটিক্যাল
উপায় চোখে ভাসছে না
এটুক পড়েই ঠিক ...
কথা নয় আজিকার
দেশে যত রাজাকার
ভোটে, জোটে আছে দল পাঁকিয়ে
আমি, তুমি, তাহারা
ভাই,বোন, মা হারা
দেখবো তা' শুধু শুধু তাকিয়ে?
আর কত অনাচার
দেশ নয় প্রাণ আচার
শুয়োরেরা চেটেপুটে যে খাবে
এক দুই করে তিন
এদেশেতে দিনদিন
ক্ষমতার নামতা সে শেখাবে।
তাই বলি এসময়
এখনি যে সে সময়
হও যদি দেশপ্রেমী সাচ্চা
ভোটে বলো-" সর তুই,
দূরে গিয়া মর তুই;
তুই হলি শুয়োরের বাচ্চা।"
একাত্তরে একটু না হয়
জান বাঁচাতে বেশ ধরেছি
মানুষ হয়েও পাক কুকুরের
নাপাক সরু লেজ ধরেছি
ভাইকে মেরে শেষ করেছি
মুক্তি নিরুদ্দেশ করেছি
আপনি মহান, তারপরও তাই
পাপ পুড়িয়ে less করেছি
ফ্ল্যাগ লাগিয়ে গাড়ির ডগায়
উন্নতিও বেশ করেছি
দেশের মাথা, কেশ ধরেছি
শুরুর ভুলেও শেষ ধরেছি
দূর অতীতেও পাশেই ছিলেন
আর্জি এ তাই পেশ করেছি
ভোটটা দিয়েন এইবারও ভাই
আমরাও তো দেশ গড়েছি!
আমি ভয়ে জুবুথুবু হয়ে বসে আছি। কালকে একটা ভয়াবহ পরীক্ষা। অথচ আমি কিছুই পারিনা। সামনে বইটা হাট করে খোলা। এমন একটা চ্যাপ্টার সামনে ধরে বসে আছি যেটা কোনদিন ধরেও দেখিনি। কিছুক্ষণ সন্দেহে ভুগলাম। উল্টে পাল্টে দেখলাম আরেকবার ভালোমত। না, ঠিকই আছে তো। বইটা আমার সিলেবাসেরই। বুঝলাম পড়াশুনা হবেনা। বসলাম ক্যালকুলেটর নিয়ে। পাশ করতে কত লাগে। কিছুক্ষণ পরে এই লাইনেও হতাশ। ক্যালকুলেটরের বদ...