আইপিএল স্ট্রাটেজী ব্রেকে আশরাফুল ও মাশরাফি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি
লিখেছেন অছ্যুৎ বলাই (তারিখ: রবি, ১৭/০৫/২০০৯ - ২:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(চরিত্রগুলা বাস্তব, কাহিনী বানানো। খারাপ শব্দ আছে। মডুরাম ও অতি-সুশীলরা নিজদায়িত্বে)

স্ট্রাটেজি ব্রেক ১:

"কী রে বেটা, খুব মৌজে আছোস দেখতাছি?"

"আর কইস না দোস্ত, চাইরদিকে খালি ঈদ আর ঈদ।" কোলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের খেলার প্রথম স্ট্রাটেজি ব্রেকের সময় বাংলাদেশ ভাইস ক্যাপ্টেন মাশরাফি মুর্তাজার প্রশ্নের জবাবে উচ্ছ্বসিত ক্যাপ্টেন আশরাফুল, "আজকের মিস বলিউড আইপিএল সাউথ আফ্রিকারে দেখছোস? পুরা মাল!"

"মাল না বাল!", মাশরাফি তার বিরক্তি চেপে রাখতে পারে না, "গ্যালারিতে এত সব সুন্দর সুন্দর মাইয়া কালা চশমা লাগাইয়া চুলে শেড কইরা বইসা আছে, আর মিস বলিউড আইপিএলের জন্য চুজ করতেছে এক একটা কেবি ক্যাটেগরীর জিনিস, মেকআপ ছাড়াই হরর ফিলমে অভিনয় করতে পারবো।"

'তুই সুন্দরের কি বুঝোস' টাইপ দুএকটা কড়া কথা শুনিয়ে দিতে ইচ্ছে করে আশরাফুলের, তবে সে মাশরাফিকে অল্প অল্প ডরায়। তাছাড়া মোনালিসার সাথে তার সম্পর্কটা এখন টানাটানির মধ্যে আছে। ওইটা নিয়ে আল্লাহ না করুক, দুঃখজনক পরিণতি হলে তখন খেপাইয়া তারে আর আস্ত রাখবে না। আশরাফুল কথা ঘুরায়, "দোস্ত, স্ট্রাটেজিক ব্রেক নিয়া তোর বক্তব্য কি?"

"এইটা একটা মহা ফালতু জিনিস। দশ ওভার ব্যাট করার পর যখন ব্যাটসম্যান একটু সেটেলড হয়, তখন তারে কানে ধরে প্যাভিলিয়নে পাঠাও। ললিত হালায় যদি একদিন ব্যাটিং করতে মাঠে নামতো ..."

আশরাফুল বুঝে মাশরাফির রাগ এখনো কমে নাই। সে মিনমিন করে বলে, "কিন্তু এতে যে সমাজ সেবা হয়। গরীব মেধাবী ছাত্রদেরকে ১৫ হাজার Rand করে স্কলারশীপ দেয় ..."

মাশরাফি একটু কৌতুক অনুভব করে, "আমগো দ্যাশে কালা টাকা সাদা করনের খবর জানোস? এইটাও ছেম। স্পন্সর, এয়ারটাইম বিক্রিতো সাদা রাস্তা, এর বাইরে খেলা নিয়া বাজি ধইরা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কালা ইনকাম। তার থিকা দুই-দশ-পাঁচ হাজার দাতব্য দেখাইয়া ভালো মানুষ সাজার স্ট্যান্টবাজি এইগুলান।"

আশরাফুল এর বিপক্ষেও তেমন যুক্তি খুঁজে পায় না, সে নিজেও রিউমার শুনেছে মাশরাফির টীমের কোচ আর মালিকপক্ষই নাকি মাশরাফি খেলবে কি খেলবে না, এ নিয়ে বাজিকরদের সাথে কিসব ম্যাচফিক্সিংয়ে জড়িত। তবে সাথে সাথে আরেকটা কথা চিন্তা করে তার মনে খারাপ হয়, 'আমগো যুবরাজ যদি এই দাতব্য লাইনে যেত!' ইনফ্যাক্ট তার 'যা খাবো, ছিঁবড়ে করে খাবো' নীতিতে আশরাফুল কট্টোর জাতীয়তাবাদি সাপোর্টার হয়েও একটু বিরক্ত।

অন্যমনস্ক আশরাফুলের প্রতি মাশরাফি একটু নরম হয়। "তখন পোলককে কি জিগাইতেছিলি?" স্ট্রাটেজি ব্রেকের আগেই শন পোলকের পাশে বসে হাতপা নাড়িয়ে অঙ্গভঙ্গি করে পোলকের সাথে আশরাফুলকে বাতচিত করতে শুনেছে পাশের দলের বেঞ্চি গরম করা মাশরাফি।

"লেগ স্পিনাররা স্লো বাউন্সার দিতে হইলে বল কেমনে গ্রিপ করতে হইবো, তারে জিগাইতেছিলাম। হালার ইংরেজি উইক, কি কইছে পুরা বুঝতে পারি নাই। তয় 'পেস', 'স্লোয়ার', 'স্পিন', 'বাউন্সার' কীওয়ার্ডগুলো ক্যাচ করতে পারছি। মনে হয়, কইছে স্পিনাররা পেস কমাইয়া স্লোয়ার বল কইরা একটু স্পিন করাইলে সেইডা মারাত্মক স্লো বাউন্সার হইবো।"

মাশরাফি হো হো করে হেসে ওঠে, মিটার চারেক দূরে বসলেও পোলকের কথাগুলো সে শুনতে পেয়েছিলো বিশেষ মনোযোগের কারণেই; সে কইছে, স্লোয়ার বাউন্সার স্পিনারদের জন্য না, আর এই আবালে বুঝছে কি! সে মুখে শুধু বলে, "বেশ, বেশ।"

মাশরাফি এবার একটু মন খারাপ করা সুরে আশরাফুলরে জিগায়, "আচ্ছা, তোরে যে এই প্রতিদিন সাইড বেঞ্চে বসায় রাখে, তোর খারাপ লাগে না? সবসময় দেখি ফুরফুরা মেজাজ, রহস্য কি?"

"এইটাইতো মজা রে বলদ। যতক্ষণ মাঠে না নামতেছি, ততক্ষণ পাবলিক ভাববো, আমি নামলেই ম্যাচ জিতা যাইতাম। সাউথ আফ্রিকান পিচ বড়ো কঠিন জিনিস, এইখানে পাবলিক সিমপ্যাথির জন্য ম্যাচ খেলার চাইতে না খেলায়ই রিস্ক কম।"

"কিন্তু আমরাতো ক্রিকেট খেলতেই আইপিএলে আসছি, নাকি?"

"ভুল বুঝছোস, আমরা এইখানে আসছি টাকা কামাইতে। শপিং টপিং করবো, সাউথ আফ্রিকা ঘুরবো, দেশেও ক্রিকেট খেলতে হইবো না, পুরা পেইড হলি ডে।" আশরাফুলের বিষয়বুদ্ধি টনটনা।

মনে মনে তারে নোয়াখাইল্যা গালি দিলেও শেষ চেষ্টা করে, "কিন্তু তোর দল যেভাবে হারতেছে, সেমিতে তো যাইতে পারবো না, এতে মন খারাপ লাগে না? আমার কোলকাতা সেমি থিকা আউট, আমার এখন রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না, যদি সামনের বছর আর না খেলায়?"

"বলদ কোথাকার", আশরাফুল সস্নেহে পাগলা মাশরাফিকে বুঝায়, "আমাদের কন্ট্রাক্ট কি খেলানোর জন্য? তুই আগে পরে হিসাব করে দ্যাখ। আমাদের মধ্যে বেস্ট প্লেয়ার সাকিব। তুই বোলার, আমি ব্যাটসম্যান, আর সাকিব হলো ইনফর্ম অলরাউন্ডার, ওয়ার্লড ranking এ এক নম্বর। তারে কেউ না নিয়া আমাগোরে নিলো ক্যান? তোরে যে ৬ লাখ ডলার দিয়া কিনলো, তোর ধারণা সেইটা খেলানোর জন্য?"

"তাইলে?"

"আমরা হইলাম গিয়া ক্যাপ্টেন ভাইস ক্যাপ্টেন। আমরা হাতে থাকা মানে বিসিবি হাতে থাকা, আর বিসিবি হাতে থাকা মানে বিসিসিআইয়ের আকাম কুকামের সাফাই গাওয়ার পক্ষে আইসিসিতে ১ ভোট। আমাগোর কন্ট্রাক্টের জন্য আইপিএল কেমন খেললাম, সেইডা কোনো ম্যাটার না, বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন্সি ধইরা রাখলেই টাকা কনফার্ম।"

"আরে ধুর, এত পলিটিক্যাল প্যাঁচ হইবো না", মাশরাফি কিছুটা কনফিউজড, আশরাফুলের ব্যাখ্যাকে উড়িয়ে দিতে পারছে না, তবু দ্বিধান্বিত কণ্ঠে বলে ওঠে।

"আচ্ছা যা, তোর নড়াইলের মাথায় পলিটিক্স ঢুকবো না। অন্য হিসাব দেই। আমাদের কন্ট্রাক্টে ম্যাচ না খেললে পাবো ৮০% টাকা। আমরা যেহেতু কোনো ম্যাচেই খেলতেছিনা, সেহেতু সেমি ফাইনালে গিয়া বেশি ম্যাচ খেললেও যা পাবো, ফার্স্ট রাউন্ডে আউট হইয়া গেলেও তাই। এখন ধর, দল সেমি ফাইনালে গেলো আর তুই বাইচান্স প্রাকটিসে গিয়া পা মচকাইলি। তখন তোরে আনফিট ঘোষণা দিয়া সেই ম্যাচের পুরা টাকাই কাইটা রাখবো। এই হালারা খাইস্টার খাইস্টা। আমগো দ্যাশে যেমন কাজের লোকেরা কাপপ্রিচ ভাঙ্গলে বেতন থিকা টাকা কাটে, ব্যাপারটা সেরকমই। তাই যত তাড়াতাড়ি কম্পিটিশন থিকা আউট, ততো টাকা কাটা যাওয়ার রিস্ক কম।"

মাশরাফি অঙ্কে একদম খারাপ না, ক্লাস এইটে একবার লেটার পাইছিলো, সে হিসাবটা বুঝতে শুরু করে, কিছুটা টেনশনও ভর করে। কারণ, সে এখনও ওই ২০% নিয়া ক্যাচালে কন্ট্রাক্ট সাইন করে নাই, পরে আম আর ছালা দুইটাই যাওনের চান্স একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। সে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেয়, আজই সাইন করবে। ৬ লাখের যায়গায় ৫ লাখ পাইলেও চলে। আশরাফুল হালায় ৬০ হাজারেই এমন ফুরফুরা থাকতে পারলে, সে ৫ লাখে খুশি না হওয়ার কারণ নাই।

প্রথম স্ট্রাটেজি ব্রেক শেষ। এখন আবার বাধ্যতামূলকভাবে বেঞ্চি গরম করতে বইসা থাকতে হইবো, এলোপাথাড়ি হাঁটন যাইবো না, বিপক্ষ দলের দোস্তের লগে কথা কওন যাইবো না, পুরা মেডিটেশন সিস্টেমে দল জিততে থাকলে হাসি হাসি মুখ আর দল হারতে থাকলে বিষণ্ণ মুখ কইরা বইসা থাকবো। আশরাফুল ও মাশরাফি যার যার বেঞ্চিতে ফিরে যায়।

স্ট্রাটেজি ব্রেক ২:

ইনিংস ব্রেকের সময় দম ফেলার ফুরসত নাই। যারা খেলতেছে তাগোরে পানিপুনি খাওয়াও, প্যাড চেঞ্জ করে দাও, ব্যাট আগাইয়া দাও, জুতার ফিতা বাঁধো - কত্তো ঝামেলা। তখন আমগো ক্যাপ্টেন আর ভাইস ক্যাপ্টেন চাইলেও নিজেদের অসমাপ্ত আলাপ কনটিনিউ করার সুযোগ পায় না।

তবে স্ট্রাটেজি ব্রেকটা অনেক কামের। ব্যাটসম্যানরা বিরক্ত মুখে এসে বসে বড়জোর হেলমেট একটু উঁচা করে পানিপুনি খায়, এর বেশি কিছু করে না। আশরাফুল দেখেছে, টেন্ডুলকার আবার তা ও করে না। এমনকি হেলমেটও না খুলে চোখে মুখে রাজ্যের অসন্তুষ্টি নিয়ে মিনিট চারেক চুপচাপ বসে থেকে আবার রওয়ানা হয় ব্যাট করতে।

টেন্ডুলকারকে নিয়েই মাশরাফি আশরাফুলকে জিগায়, "টেন্ডুলের সাথে তোর সম্পর্ক কেমন? ব্যাটিংয়ের কিছু টিপসটুপস নিতে পারছোস?"

আশরাফুলের চোখ একটু চকচক করে, যদিও বাংলা বুঝার লোক আশেপাশে কম, তবুও সে একবার চারিদিকে চোখ বুলিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেয়, "দোস্ত, তোরে একটা কথা কই, কাউরে বলিস না। ব্যাটসম্যান হিসেবে টেন্ডুর চেয়ে আমি কোনো দিক দিয়াই খারাপ না। আমার হাতে যে পরিমাণ শট আছে, তা টেন্ডুর বাপেও কোনোদিন খেলতে পারবো না। তয় দোস্ত, আমার লাক খারাপ, বোলাররা আমার এগেইন্সটে ভালো বল করে, তাই আউট হইয়া যাই।"

"তা বটে, তা বটে!"

"আরে পুরাটা আগে শোন। আসার পরে আমি টেন্ডুরে যথাসম্ভব এড়ায়া গেছি। ব্যাটিং নিয়া আগ বাড়াইয়া কোনো উপদেশ দিতে আইলে গা জ্বলবো, তার ওপরে ব্যাটিং গ্রামার কিছু জিজ্ঞেস করলে আরো বিরক্ত লাগবে। আমি হইলাম গিয়া গ্রামারের আবিষ্কারক, আমি নতুন শট খেলবো, পাবলিক ওইটারে গ্রামারে ঢুকাইবো।"

মাশরাফি জানে কথা একদম মিছা না। গত ওয়ার্লড কাপে আশরাফুলের প্যাডল সুইপ এখন অন্যরা নকল করে। সে যেখানে ডিউ, সেখানে প্রোপার রেসপেক্ট ফিল করতে কার্পণ্য করে না।

আশরাফুল বলে চলে, "তবে আইপিএল শুরুর দুই সপ্তাহ পরে প্রথম টেন্ডুর সাথে কথা হয়। আমারে দেইখা একটু বিরক্তির সাথে জিগায়, "তোমারে কয়েকবার দেখছি আমাগো টীমের আশেপাশে ঘুরঘুর করো, ব্যাপার কি?আমাগো সাপোর্ট স্টাফ, নাকি বিপক্ষ দলের টিকটিকি?" হে হে!" আশরাফুল দাঁত বের করে হাসে।

"বলিস কি? তোর দলের ক্যাপ্টেন আর তোরে আইপিএল শুরুর দুই সপ্তাহ পরেও চিনে না!!!" মাশরাফির প্রশ্নে বিস্ময়।

"আরে, সেইটাই তো মজা। আমারে চিনে না মানে আমারে খেলার দলেও নিবো না। পুরা রিস্ক ফ্রি ভ্যাকেশন। টাকা পাইলেই হইলো।"

"তারপরেও, ক্যাপ্টেন দলের সব প্লেয়াররে চিনবো না, এইটা কেমনে হয়?"

"আর ক্যাপ্টেন! বাশার ভাইরে আমরা হুদাই গাইলাইছি। অস্ট্রেলিয়ার সাথে যে ম্যাচ জিতলাম, ঈমানে কই দোস্ত, বাশার ভাই লগে না থাকলে আমি অনেক আগেই আউট হইয়া যাইতাম। ম্যাচ জিতে নাম হলো আমার আর বাশার ভাইরে সবাই ডাকে হাবা। এই হালায় টেন্ডু ক্যাপ্টেন্সির ক ও বুঝে না। চেন্নাইয়ের এগেইন্সটে মাস্ট উইন ম্যাচ সে একাই হারাইলো। ব্রাভোর ওভার বাকি, হরভজনের ওভার বাকি, ডুমিনি ২ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়াও আর বল হাতে পাইলো না, মাঝখান দিয়া সে বল করায় এক নন্দদুলাল আর ধাওয়াল চুলকানিরে দিয়া। ধাওয়াল ৪ ওভারে ৪৫ রান দিছে, ব্যাপক মজা পাইছি।"

৪ ওভারে কত রান এই হিসাব শুইনা মাশরাফির আবারো মন খারাপ হয়। যে একখান মাত্র ম্যাচে সে চান্স পাইছিলো, তাতেই মাশাল্লাহ রেকর্ড কইরা ফেলছে। ৪ ওভারে সে নিজে দিয়েছে ৫৮ রান, শেষ ওভারে ২১ রানকে ডিফেন্ড করতে পারে নাই।

মাশরাফির মুখ দেখে আশরাফুল ঘটনা বুঝে নেয়, "কী রে, তোর নিজের বোলিংয়ের কথা মনে পড়ছে? শোন, মন খারাপ করিস না। কবি বলেছেন, "ধরায় যখন এসেছিস, তখন একটা দাগ রেখে যা।" তুই এক ম্যাচ খেলেছিস, আর চান্স পাবি না, ওই এক ম্যাচেই দাগ যা রাখার রেখে গেছিস।"

মাশরাফির মন তাতে খুব একটা প্রফুল্ল হয় না। বলে, "তুই যা বুঝছোস, ঘটনা তা না। আমি ঠিকই ২১ রান ডিফেন্ড করতে পারতাম। তবে চাচ্ছিলাম ডেকান জিতে যাক। আমি গিলক্রিস্টের ভক্ত। তাছাড়া আমরা তো সেমির হিসাবের বাইরে। আমাদের মত পঁচা শামুকে পা কেটে কেউ সেমি থেকে আউট হয়ে যাক, এটা চাই নাই। দেখিস নাই, প্রথম বলে ফিলডার সার্কেলের বাইরে দেখেও কিছু বলি নাই, নো বল করে গেছি?"

আশরাফুল বুঝে, এই নড়াইল্যারে রিয়েল লাইফের লেসন দিয়া লাভ নাই। তার বরং হাবিবুল বাশারের কথা মনে পড়তাছে। লোকটারে ক্যাপ্টেন্সি থিকা ভাগানো গেলেও তার ওপর অ্যাশের একটা সফটকর্নার কাজ করে, তাকে কখনো কখনো টীমেও মিস করে। সে একটু উদাস হয়ে জিগায়, "আচ্ছা, বাশার ভাইয়ের সাথে তোর কোনো যোগাযোগ আছে?"

মাশরাফি সোজাসাপটা 'না' বলে। আইসিএল খেলা বাশারদেরকে দেশদ্রোহী হিসেবে ব্রিফ করা হয়েছে বিসিবিতে। মাশরাফি ভালো ছেলে, সে দেশদ্রোহীদের সাথে সম্পর্ক রেখে নিজেকে পঁচাতে চায় না।

আশরাফুল বলে, "শুনলাম বাশার ভাইরা আমেরিকা যাচ্ছে ক্রিকেট খেলতে। আচ্ছা, তুই কি ভবিষ্যত নিয়া কিছু ভাবছিস? মনে কর, আমরা যখন দলে নিয়মিত থাকতে পারবো না, তখন কি করা যায়? আইসিএলের কথাটা একটু চিন্তা করিস। তোর ছোট ভাই শুনলাম এক ম্যাচে ৮ উইকেট পাইছে। তোরা দুই ভাই পেসার, মিঠুন উইকেট কীপার, ছামসু আর কয়েকজন নিবো ব্যাটসম্যান, আমি ক্যাপ্টেন্সি করবো। চাইলে আমরাও একটা টীম বানায় ফেলতে পারি, নাম দিবো 'ঢাকা ডিফল্টার্স'।"

মাশরাফি এবার মনে মনে সতর্ক হয়ে যায়। তার বাড়ি নড়াইল হলেও সে এত বোকা না। অলোক ভারতের এগেইন্সটে সেই সেঞ্চুরি করার পর থিকাই আশরাফুল মিডল অর্ডারে নিজের পজিশন নিয়া টেনশনে ছিলো, তারপর ক্যাপ্টেন হিসেবে নাফিসের সাথে তার কম্পিটিশন হতো। নাফিস এ-দলের ক্যাপ্টেন ছিলো, আবার ফারুক ভাইয়ের কাজিন, জ্যাকজোকও মন্দ না। আশরাফুল তাদেরকে কানাঘুষা দিয়া আইসিএলে পাঠানোর ষড়যন্ত্রের কথা তার অল্পবিস্তর জানা। কিছুদিনের মধ্যেই মাশরাফি ক্যাপ্টেন হবে। সুতরাং এই হালায় যে তারে ভাগানির পলিটিক্স করছে, তা বুঝতে মাশরাফির কষ্ট হয় না। সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যায়।

"আইসিএল বাদ দে। আইপিএল নিয়ে কথা বলি।"

"আইপিএল নিয়ে আর কি বলবি। খা-দা-ফুর্তি কর। চীয়ার্স লিডার মাইয়াগুলারে দেখছোস? এক একটা যা ফিগার! কয়টারে বাগাইলি?" আশরাফুল চোখ টিপি দেয়।

মাশরাফি একটু তরল হলেও মুখে বলে, "ছিঃ ছিঃ, আমি ম্যারিড না? বউ এখন ম্যাচের সময়ও এসএমএস দেয় কোন দিকে তাকাই তা নাকি টিভিতে দেখা যায়। উলটা সিধা করলে ঝাড়ু দিয়া পিটাবে!"

"শোন, পেটে খিদা নিয়া ভদ্রলোক সাজার কোনো মানে নাই," আশরাফুল বিজ্ঞের মত বলে, "আমি সাইজে মার খাইয়া গেছি, নাইলে ...." কি যেন ভাবে সে, হয়তো মোনালিসার সাথে তার নড়বড়ে সম্পর্কের কথা মনে পড়ে।

মাশরাফি আরেকটু তরল হয়, "তোরেও একটা গোপন কথা কই। আমি প্রথমে কোলকাতার দলে ঢুইকা খুব খুশি হইছিলাম জুহি চাওলার জন্য। তার বয়স একটু বেশি হলেও আমি তার ব্যাপক ফ্যান। আর একটু ন্যাকা ন্যাকা লাগলেও তার ইষৎ হাস্কি ভয়েস আমার খুব ভালো লাগে," মাশরাফির চোখ একটু জ্বলজ্বল করে, "কিন্তু মাগী আইপিএল বাদ দিয়া ইন্ডিয়ায় বইসা 'ঝালাক দিখ লা যা' করতাছে। সেইখানে শুনলাম সে বাইচুং ভুটিয়া বলতে পাগোল।"

আশরাফুল হো হো করে হাসে, "তুই আবার এইসবের খবরও রাখিস!! আমি মোনালিসার পাল্লায় পড়ে একবার কিছু ইন্ডিয়ান সিরিয়াল দেখতে বাধ্য হইছিলাম। সিরিয়াল তো না, সব যেন খ্যাত মার্কা গয়নার অ্যাড!"

"ধুর, কথা শেষ করতে দে।" মাশরাফি বিরক্তির সুরে বলে, "সে ঝালাক দিখ লা যা করলে আমার আপত্তি নাই; কিন্তু মনে কষ্ট লাগে অন্য কথা চিন্তা কইরা। আজ যদি প্রীতির দলে খেলতাম, তাইলে প্রত্যেক ম্যাচের শেষেই হাগের সুযোগ পাইতাম। তার ভয়েস আমার অতো পছন্দ না, তবুও বয়স কম আর নাই মামার চেয়ে ..."

"শোন, শোন," আশরাফুল মাশরাফিকে বাক্য শেষ করতে না দিয়ে বলে, "আচ্ছা প্রীতি কি প্রেগন্যান্ট? পাঞ্জাবের সাথে ম্যাচে দেখলাম ফিগার একটু অন্যরকম।"

"ধুর, তোর মনেই দোষ," মাশরাফি ইনোসেন্ট চেহারা করে বলে, "প্রীতির বয় ফেরেন্ড থাকলেও সে সামাজিক মেয়ে বলে শুনেছি, বিয়ের আগে এসব কেলেঙ্কারিতে জড়াবে না।"

"তাইলে?"

"আমার মনে হয়, এবার পাঞ্জাবের অফ ফর্মই এর কারণ। যুবরাজ সিংরা ছক্কা মারার সাথে সাথে প্রীতি হাততালি দিতে দিতে গ্যালারিতে বসে লাফায় আর ম্যাচ জিতলে তো লাফাতে লাফাতে সারা মাঠ চষে বেড়ায়। এতে ব্যায়াম হয়, মেদ কমে। এবার পাঞ্জাব তো প্রায় আমাদের মতোই অবস্থা। বিষণ্ণ মুডে মুখে হাত দিয়ে গ্যালারিতে বসে থাকতে থাকতে বাড়তি মেদের দফারফা হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।"

"যা, তুই যা বলোস, তা-ই সই। তুই প্রীতি স্পেশ্যলিস্ট", আশরাফুল আবারও খোঁচা মারে, মাশরাফি পাত্তা দেয় না, তার মন এখনও খারাপ, না খেলে টাকা নিতে হয় বলে তার নিজের প্রতি আক্ষেপ হয়। আশরাফুল দোস্তের ব্যথা বুঝে।

"আচ্ছা, তোগো বুকানান নাকি একটা রেসিস্ট? কোন ইন্ডিয়ান প্লেয়াররে ব্লাডি ইন্ডিয়ান বইলা গালি দিছে?"

"আরে না, বুকানান লোক খারাপ না, একটু কম্পিউটার নিয়া বিজি থাকে, তাই কাঠখোট্টা মনে হয়, ভিতরটা কচ্ছোপের মাংসের মত নরম, টলটলা।" মাশরাফি বুকাননকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করে, অবশ্য খুব জোরেসোরে ডিফেন্ড করাটা ভিতর থেকে আসে না, সেদিক এক ম্যাচে অতি উৎসাহী হয়ে বল মাঠের বাইরে আসার আগেই বল বয়ের কাজ করে সে বুকাননের কাছে রামঝাড়ি খেয়েছে, লোকটা শুধু কাঠখোট্টা না, বদমেজাজিও এবং মেজাজটা সাদা চামড়ার ওপরে খুব কমই প্রয়োগ করতে দেখেছে সে।

"আচ্ছা, ল্যাপটপের ব্যাপারটা বলতো। ল্যাপটপে কি আছে? আমি তো ল্যাপটপে হিন্দি মুভি দেখা আর ফেসবুকিং করা ছাড়া অন্য কোনো কাজ পাই না, এইটা দিয়া ক্রিকেট খেলার হিসাবকিতাব কেমনে হয়?"

মাশরাফি একটু ভেবে বলে, "আমিও ঠিক বুঝি না। তবে একবার কম্পিউটারে ফুটবল খেলতে দেখছিলাম এক ফ্রেন্ডরে। সেইটাইপ কিছু একটা হবে।"

আশরাফুল কনভিন্সড হয় না দেখে মাশরাফি ট্রাই করে, "যতো যা-ই বলিস, লোকটা বিরাট জ্ঞানী, অস্ট্রেলিয়া থিকা আসছে, তারওপরে ভরসা করা যায়।"

ভরসা যে করা যায় না, তা আশরাফুলের চেয়ে ভালো আর কেউ জানে না। এই ব্যাটার শিষ্য সিডন্স বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসার পর থিকাই আশরাফুলের জান কালা কইরা ফেলছে। আগের আশরাফুল যে দুয়েকটা ঈদ ইনিংস খেলতো, তাতে বাংলাদেশ অন্তত দুয়েকটা ম্যাচ জিততো। এই ব্যাটা এসেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি শুরু, প্যাডল সুইপ খেলতে পারবা না, পুল শট খেলতে পারবা না, হুক করতে পারবা না, আরে ব্যাটা তাইলে করবো টা কি? প্রথম প্রথম সেও ভাবছিলো, এই ব্যাটা অস্ট্রেলিয়ান মাল, বেশি বুঝে, তারে ফলো করে দেখা যাক। একবার ৬০ বলে ২০ রান করে আউট হওয়ার পরদিন গোল্লা ভাইয়ের সাথে দেখা, সে কয়, "আশরাফুল, শুনলাম, তুই আমারে ফলো করতাছোস। ভালো, ভালো। তবে শোন, লেগ স্পিনাররে কখনো অফসাইডে খেলবি না, তাকে খেলবি বামপা দুই কদম সামনে এগিয়ে ডান পা এক কদম পিছিয়ে, পুরা শরীরের ভর পিছনের হাঁটুর ওপর দিয়ে স্ট্রেইট ব্যাটে আলতো করে লেগ সাইডে ঘুরিয়ে শট ফাইন লেগের ফিলডারকে পাশ কাটিয়ে মাটি কামড়ে ...." আশারাফুলের গা জ্বলে গেছে এই উপদেশ শুনতে শুনতে। সে শেষমেষ সিডন্সকে গিয়ে বলেছে, "তোমার স্ট্রাটেজি আমি মানি না, আমারে আমার মত খেলতে দাও।"

তারপর থিকাই সিডন্স আশরাফুলের ওপর বিলা। ম্যাচ হারলেই এমন সব কথা বলতে শুরু করে, যাতে মনে হয়, আশরাফুলই একটা অ্যাসহোল, যদিও সিডন্সের অদ্ভূত স্ট্রাটেজিরে ফলো করতে গিয়াই খেলোয়াড়রা ক্রিকেট ভুইলা স্ট্রাটেজি খেলতে গিয়াই ভরাডুবি। ইদানিং সে নাকি আবার তার গুরু বুকানানের মত মালটিপল ক্যাপ্টেন্সি চালু করতে চাইছে।

মালটিপল ক্যাপ্টেন্সির কথা চিন্তা কইরা আশরাফুলের বুকের ভেতরটা মোচড় দিয়া উঠে, সিডন্সরে মনে মনে অশ্রাব্য গালি দেয়। দশ উইকেটে ম্যাচ হারার পরেও প্রেজেন্টেশনের সময় বা সংবাদ সম্মেলনে গিয়া সে ক্যামেরার সামনে যেমনে কইরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতির গ্রাফটা তুলে ধরতো, সেইটা আর পারবে না হয়তো। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত চিন্তা করে তার কান্না পায়।

মাশরাফিও কেমন ম্যান্দা মেরে গেছে, বউ এইমাত্র এসএমএস পাঠিয়ে বলেছে, সে নাকি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এক চিয়ারলীডারের দিকে এই নিয়ে তিনবার তাকিয়েছে, সব অপকর্ম বউ তার ডায়েরীতে নোট করে রাখছে, দেশে গেলে বোঝাপড়া হবে।

স্ট্রাটেজী ব্রেক শেষ। আম্পায়াররা ধীর পায়ে মাঠে নেমে যায়, সাথে খেলোয়াড়রাও, আশরাফুল ও মাশরাফি যার যার বেঞ্চিতে গিয়ে পরবর্তী ১০ ওভারের জন্য আবারও মেডিটেশনে বসে যায়।


মন্তব্য

দিগন্ত এর ছবি

হাসি দারুণ হয়েছে ...


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

গৌতম এর ছবি

এইরকম একটা লেখাই চাচ্ছিলাম। দারুণ লিখেছেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

হাহাহাহা

দ্রোহী এর ছবি

অসাধারণ!!!!!!!!!!!!! এক কথায় অসাধারণ!!!!!!!!!!!

আকতার আহমেদ এর ছবি

ফাডায়ালাইসেন বলাইদা! ব্যাপক হইসে হো হো হো

কীর্তিনাশা এর ছবি

হায় আশরাফুল ! হায় মাশরাফি !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ফারুক হাসান এর ছবি

কঠ্ঠিন হৈছে গুল্লি

মাশরাফির গতকালের পার্ফমেন্সে অনেকেই ভ্যাদর ভ্যাদর কৈরা কান্দেছে দেখলাম ফেইসবুকে। কিন্তু শেষ ওভার বল করতে গেলেই তাহার যে শৈশবকালীন বিছানা ভেজানোর স্মৃতি এখনো মনে পড়ে আর সব ব্যারাছ্যারা লাগায়ে দেয়, সেইটা সম্ভবত কারো মনে নাই।

দিগন্ত এর ছবি

প্রথম দুওভারেও কিন্তু মাশরাফি ভাল বল করেনি। কাল খেলা দেখে মনে হল ওর ২০-২০ খেলার অভিজ্ঞতার যথেষ্ট অভাব আছে। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ৫৮ রান।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মাশরাফি সেকেন্ড বলেই গিলক্রিস্টের উইকেটটা পেতে পারতো। তাইলে পুরা সিনারিওই অন্যরকম হতো। তবে এরপরে লাইনলেংথের অবস্থা ভয়াবহ হয়েছে। গিলক্রিস্টকে লেংথবল দিয়ে মার খাওয়ার পরে ইয়র্কার দিতে গিয়ে ফুলটস। টীমে নিয়মিত খেললে অবস্থা আরো অনেক ভালো হতো, তবে এই লেভেলে সেটা কোনো অজুহাত হতে পারে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

মাশরাফি এর আগেও শেষ ওভারে ২০রান+ দিয়ে ম্যাচ হারাইছে খাইছে
কেকেআর জিতলেও কি হারলেও কি! ডিসি জিতায় ভালো হইছে একটা ভালু টিম সেমিতে যাবে দেঁতো হাসি
লেখা সমন্ধে কি আর কমু আমি হাসতে হাসতে চেয়ার থেকে পড়ে গেছি!! দেঁতো হাসি
ফেচবুকে শেয়ারে দিছি দেঁতো হাসি
-----------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আবার ফেচবুক! দেঁতো হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আরিফ জেবতিক এর ছবি

অনেকদিন পরে একটা অছ্যুৎ বলাই ক্লাসিক পড়লাম ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

লেখার ইচ্ছা ছিলো আরো আগে, মাশরাফির ম্যাচেরও আগে। মাশরাফির ব্যাডলাক খারাপ, তারেও পঁচাতে হলো। মন খারাপ

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

পলাশ দত্ত [অতিথি] এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

জি.এম.তানিম এর ছবি

বিয়াপক!!!!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

ঈশান  এর ছবি

দারুন হইছে ভাই। আপনি তো সুন্দর ছবি তোলার সাথে সাথে সুন্দর লেখেনও

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হুমম, ছবি প্লাস লেখা ...আমি কিন্তু হিমু না। চোখ টিপি
বিশাল পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অনিকেত এর ছবি

দুর্দান্ত, বলাই দা!!!!

দময়ন্তী এর ছবি

দারুণ লাগল
দেঁতো হাসি
-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আপনি পুরা বস্‌!!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। অসাধারণ! হো হো হো

সুমন চৌধুরী এর ছবি

হা আশরাফুল হা মাশরাফি



অজ্ঞাতবাস

রেনেট [অতিথি] এর ছবি

হেহেহেহে মারাত্নক লেখা! চলুক

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আশরাফুলকে নিয়ে রেনেটের সেই লেখা ছিলো আইএসও-২০১০ স্ট্যান্ডার্ড। এই লেখা বলা যায় সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

তানবীরা এর ছবি

বলাইদা জটিলজ

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

মামুন হক এর ছবি

আইপিএল ক্রিকেট নিয়ে একটা অতি বদ তামাশা, নতুন টাকা দেখানোর আস্ফালন আর নির্লজ্জ ব্যবসা ছাড়া আর কিছু না।
বলাইদাকে ধন্যবাদ এই লেখাটির জন্য, রসিকতার ঢংয়ে খুব সিরিয়াস কিছু টপিক তুলে ধরেছেন আপনি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

'নির্লজ্জ ব্যবসায়' টার্মগুলা পুরা সঠিক। মাঝখান থেকে ক্রিকেটেরই ক্ষতি হচ্ছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ভুতুম এর ছবি

ছড়ম লেখা ছড়ম!! সেইরকম হাসির হইছে।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই ম্যারাথন পোস্ট পড়ার পরেও যারা মন্তব্য করার ধৈর্য্য দেখিয়েছেন, তাদেরকে স্পেশাল ধন্যবাদ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

একুশ তাপাদার [অতিথি] এর ছবি

হাস্যরসের মধ্যদিয়ে তীব্র সমালোচনা। অসাধারন লেগেছে

রানা মেহের এর ছবি

আরে জোস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সিরাত এর ছবি

সেদিক এক ম্যাচে অতি উৎসাহী হয়ে বল মাঠের বাইরে আসার আগেই বল বয়ের কাজ করে সে বুকাননের কাছে রামঝাড়ি খেয়েছে,

হাঃ হাঃ!!

ভাল লাগলো! হাসি

পিয়াস কাওসার এর ছবি

"সে যেখানে ডিউ, সেখানে প্রোপার রেসপেক্ট ফিল করতে কার্পণ্য করে না।"

ফাটাফাটি লেখা!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।