ওরা আসবে(?) সাতশ পৃষ্ঠার একটি উপন্যাসের ইতিকথা।

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: রবি, ০৫/০৯/২০১০ - ৩:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাইরে এতো সুন্দর আবহাওয়া! এই বসন্তের শ্রেষ্ঠদিন আজ। মায়ের সাথে আঁচলকে পানির কাছে ছেড়ে আসলাম। ডুব-সাঁতার দিতে শিখুক মেয়েটা। সময় পাওয়া খুব কঠিন। এমন মূল্যবান সময় নষ্ট করে প্রায় আটশ পৃষ্ঠার বইটা পড়ে লেখকের প্রতি যে অশ্রদ্ধা এবং ক্ষোভ মনে জন্মেছে, তার কিছুটা আপনাদের সাথে ভাগ না করলে কমবে না।

 

সাধারণত বড় বই দেখলে ভয় পাই। পড়ার সাহস না থাকলেও এই বড় বইটা ঘরে দেখে মনে মনে খুশিই ছিলাম। কারণ বাংলা বই এই প্রবাসে অমৃত। কিন্তু এত্তো বড় বই পড়ার সময় আর হয়ে উঠে না। আঁচল ঘুমে, শুভ দূরালাপনীতে আমার গীবত গেয়ে সুমির কান ভারী করছে। শুভর সতীন সচলায়তনে ঢোকার রাস্তা আমার জন্য বন্ধ। গুলশান এভিন্যু দেখতে গিয়ে শুভ কম্পুতে ভাইরাস আমদানী করসে। আমার টোটকা ওষুধে কম্পুর রোগ ভাল হয় নি। তীরুদা সময় পেলে এসে ভাইরাস নিবারক ট্যাবলেট দেবেন, আগামী সপ্তায়। এই সুযোগে আমি আজ কানাই মাষ্টারের চশমাটা চোখে এঁটে বসে গেলাম বইটা নিয়ে। নাম  ওরা আসবে। শিরোনাম দেখে একটু আন্দাজ করা যায়, বইটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর হতে পারে। পড়ার এইটাই বড় কারণ। লেখকের নাম আবুল কাসেম চৌধুরী

 

মলাটে বেশ কয়েকটা রঙ্গীন ছবি। সব চেয়ে বড় ছবিটা সিঁথিতে সিঁদুর পরা এক যুবতীর। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে কত মেয়ের সিঁথির সিঁদুর মুছে গেছে! আমার আগ্রহ বাড়ে। বইটার পেছনে কিছু উদ্বৃতি যেমন; ... ভারতের দুইটি লাভ, ভারতের সামরিক ব্যয় হ্রাস পাবে এবং সে অর্থ উন্নয়নমূলক কাজে খরচ করা যাবে। বা তার পরেরটা ... এদেশে (স্বাধীন বাংলাদেশে) পাকিস্তানের বাজার নষ্ট হয়ে যাবে এবং সে বাজার ভারতীয়দের দখলে আসবে অথবা ... জয়বাংলা বা বাংলাদেশ জিন্দাবাদ নিয়ে বিতর্ক নয়। নতুন প্রজন্মের চিন্তা-চেতনা বিকশিত হোক দেশের সমৃদ্ধিকে ঘিরে লেখকের মনোভাব বুঝতে কথাগুলি যথেষ্ট। কিন্তু আমি বইটা পড়ে দেখতে চাই।

 

নায়ক বুয়েটের কোন এক হলের আবাসিক ছাত্র। ভদ্র এবং ভাল ছাত্র বিধায় মিটিং-মিছিলে না গিয়ে মনোযোগ দিয়েছেন পড়ায়। কিন্তু সেখানে বাধা পড়ল, হলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কারণে উদ্ভূত গণ্ডগোল। সময়টা উনসত্তুরের গন আন্দোলনের সময়। তিনি পড়ার টেবিল ছেড়ে বারান্দায় গিয়ে দেখেন তার দিকে এগিয়ে আসছে বোরখা  পরা এক রমনী। তাঁকে নিজের কক্ষে এনে দরজা এঁটে দেন। বাইরে জয়বাংলা শ্লোগান।

 

পরের ঘটনা খুব সরল। এক বিহারী ছাত্র এবং তার রুমমেট মিলে রাবেয়া নামের ঐ মেয়েকে নিয়ে এসেছে হলে। বিহারী ছাত্রকে ধাওয়া করেছে ছাত্রলীগের ছেলেরা। মেয়েকে একা রেখে বিহারী ছাত্র পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আর আমাদের পড়ুয়া ভাল ছাত্র অবলা মেয়েটিকে নিজের রুমে এনে তার ইজ্জত রক্ষা করেন। এই বিপদের মধ্যেও নায়কের চোখ বারবার বিপদগ্রস্থ নায়িকার বক্ষযুগলে আটকে যায়। বইটা এই জাতীয় দৃশ্যে ঠাসা। এক বিপদ না যেতেই আর একটা উপস্থিত। দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ। নায়িকার বোরখা আগেই জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেয়া হয়েছে। এখন কেউ এসে পড়লে রাবেয়া নামের ঐ হতভাগীকে নায়ক নিজের বোন বলে চালিয়ে দেবেন। কিন্তু দরজা খুলে দেখেন রক্তে ভেজা ছেড়া জামা-কাপড় নিয়ে পাশের রুমের এক ছেলে পানি চাইছে। তাঁর এই হাল করেছে টিএসসিতে মতিয়া চৌধূরী গং। ছাত্র সংঘের আর এক সদস্যকে মতিয়া চৌধুরী গংরা খুন করে ফেলেছে। কী ভয়ংকর অবস্থা! এবং ছাত্রলীগ, মুক্তিযোদ্ধা বা প্রগতিশীল এরা সবাই লেখকের মতে ভুল এবং বিভ্রান্তির শিকার। সুযোগ পেলেই লেখক সেই ভুলগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন। 

 

এর পর কি আসে সেটা দেখতে গিয়ে বইটা আরো একটু পড়ি। লেখক আমাকে নিয়ে যান নায়কদের বাড়িতে। দেশ থেকে নায়কের কোন ফুপাতো বোন চিকিৎসার জন্য এসেছে। এখানেও বাংলা সিনেমার সস্তা যৌন সুড়সুড়ি বিস্তর। সে যাতনা থেকে আপনারা মুক্ত থাকুন। কথা এবং ঘটনায় আমরা জানতে পারি আসলে ঐ ফুপাতো বোন নায়কের পিতার দিক থেকে আপনোন। সমাজে স্বীকৃতি দিতে না পেরে, নায়কের পিতা গ্রামের এক আত্মীয়ার কাছে তাকে গছিয়ে এসেছেন। মেয়ের জন্মের সময় নায়কের বাবা নায়কের মায়ের সাথে বিবাহিত থাকায়, মেয়েকে নিজের মেয়ে স্বীকৃতি দিতে পারেন নাই। মেয়ের মাকে নিজের কুমারীবোন বানিয়ে এক পাকিস্তানীর কাছে গছিয়ে এসেছেন করাচিতে। এবং মুসলীম লীগের ঐ নেতা প্রায়ই পাকিস্তানে যান। তিনি কী মহান!

 

এখানে লেখকের সততার প্রশংসা একটু করতে হয়। পাকমনপেয়ারুদের নৈতিকতা তিনি পক্ষপাতিত্ব করে হলেও আমাদের কাছে তুলে ধরেন। যদিও ভাবখানা এমন যে, এদের দূর্ভাগ্যের জন্য আমাদের কষ্ট পাওয়া উচিৎ।

 

যাই হোক অনেক আলতু-ফালতু বিষয়- বিশ্লেষণে ভরা ঐ লুল সাহিত্যের বিস্তারিত কাহিনী না জানলেও চলে বিধায় ঐ দিকে আর না যাই। সত্তরের কোন এক শুভদিনে নায়কের পরীক্ষা শেষ। তিনি একটা পাকিস্তানী নির্মান কোম্পানীতে চাকরী নেন। সরকারী টাকায় একটা স্কুল বানাতে হবে। ঐ সময়ে পাকিস্তানী ফার্মে চাকরী নেয়া খুব বীরত্বপূর্ণ কিছু ছিল কী? কিন্তু আমাদের বীর নায়ক সে কাজে বীরত্ব দেখাতে চট্রগ্রামের কোন অজপাড়াগাঁয়ে লোকলস্কর নিয়ে হাজির।

 

সেখানের কাহিনী একটু বেশী লুল টাইপের। সারসংক্ষেপ হল: চাটগাইয়া এই হিন্দু মেয়ে প্রথমে খুব সাম্প্রদায়িক কিন্তু তার পরে নায়কের মুখরা রমনী বশীকরণ ক্ষমতায় মেয়ের সাথে নায়ক দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে অবৈধ গ‍র্ভধারণে সক্ষম হন। ঢাকায় পালিয়ে এসে মুক্তি না পেয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের রাত্রেই পঁচিশে মার্চের সেই কালো রাত্রি। বউ নিয়ে পালিয়ে যান ভারতে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় লাভ হল এই যে, তিনি জেলহাজতে প্রেরীত হন। অবশ্যই এখানে আমাদের নায়ক ন্যায়ের পক্ষে। ছয় মাস পরে ছাড়া পেয়ে শুনেন পাকিস্তান ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাঙ্গালীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। বউ এবং নবজাতক কন্যা সন্তান নিয়ে নায়ক দেশে ফিরে আসেন পাকিস্তান জিন্দাবাদ কইতে কইতে। সময়টা নভেম্বরের শেষের দিকে ৭১। নায়ক বাংলাদেশ সীমান্তে তাদের গ্রামের বাড়িতে উঠেন। এই সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা অনেক গ্রামের দখল নিয়েছেন। হতে পারে নায়কদের গ্রামের দখল মুক্তি বাহিনীর হাতে। কিন্তু তা তিনি খোলসা করেন না ইচ্ছা করেই। তার কারণ; সেই রাতেই তিনি হাগতে যান খাল পারে। আর কিছু লুঙ্গী-গেঞ্জি পরা যুবক নায়কের বউ সেই হিন্দু মেয়েটিকে ধরে নিয়ে যায়। এরা মুক্তি বাহিনীর লোক হতে পারে, এইটাই ধরে নেয়া ছাড়া পাঠকের আর কোন কল্পনা এখানে অকেজো। মুক্তি বাহিনী খুব খারাপ, এইটা লেখককে প্রমান করতেই হবে তো।

 

যাই হোক, দেশ স্বাধীন। কিন্তু আ. লীগ এবং তার সণ্ডা-পাণ্ডাদের অত্যাচারে তিনি দেশে টিকতে না পেরে চলে যান মিডেলইষ্টে। মা হারা মেয়েকে কোন এক খালাত বোনের জিম্মায় রেখে। দেশে ফেরৎ আসেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে।

 

মেলা কাহিনী বাদ দিলাম। কারণ লেখকের লুলের চেয়ে তাঁর মূল উদ্দেশ্য বিশ্লেষণের জন্য নষ্ট করলাম   সময়। বিপথগামী বামদের বাঁশ দেয়ার কথাও চেপে গেলাম। তথাকথিত গর্বিত স্বাধীন বাংলাদেশী একজন মুক্তিযোদ্ধা কেমন হতে পারে বা কেমন হওয়া উচিৎ, মোটা দাগে লেখক সেটাই বলতে চেয়েছেন। এবং প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে গেছে তাঁরা কেউ ভাল নয়। ভাল হলো লেখকের নায়ক। কারণ তিনি সাম্প্রদায়িক একজন হিন্দু মেয়ের মন জয় করেছেন। যুদ্ধের সময় যুদ্ধে না গিয়ে নিরাপদে জেল খেটেছেন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের খারাপ প্রমান করার জন্য স্বাধীনতার একটু আগে পাকিদের সাধারণ ক্ষমা পেয়ে দেশে এসেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলেও নায়কের তেমন ক্ষতির কিছু ছিল না। হয়তো সেই কারণেই জয়বাংলা বা বাংলাদেশ জিন্দাবাদ তর্কে না গিয়ে আমাদের উপদেশ দিচ্ছেন দেশকে এগিয়ে নিতে। সে আগানোর পথ পাকিস্তানের দিকে হলেও ক্ষতি নেই। আগানোটাই মূল উদ্দেশ্য। সে উদ্দেশ্যে লেখক সফলও হয়েছেন! পুরানা পল্টনের অমর প্রকাশনী থেকে বইটির তৃতীয় সংস্করণ বের হয়েছে ২০০১ সালে। আশা করি ইতিমধ্যে দশম সংস্করণ শেষ হয়ে গিয়েছে। এই ধরণের ছাগু (আসলে পাঠা) এবং লুল ছাহিত্যের বিয়াপক চাহিদা দেশে।

 

কারণ; ... ১৯৭১ যারা বাংলাদেশ আন্দোলনে শরীক হয়নি, তারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধী ছিল না।... তারা তখনো অখণ্ড পাকিস্তানের নাগরিকই ছিল। ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা এ বিশ্বাসের ভিত্তিতেই কাজ করেছে। পলাশী থেকে বাংলাদেশ বইয়ে লেখা গো. আযমের এই বাতেনি (গোপন) কথা জাহির করতেই বইটি লিখেছেন এই লুল, ছাগু ওরফে পাঠা লেখক। এই ধরণের ছুপারাজাকারী বই, লেখক এবং প্রকাশকদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত।    

       

 


মন্তব্য

মাসকাওয়াথ আহসান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।তবে এই বইটার কথা না পড়তে হলে ভাল হতো। তাইনা। আপনি জানেন কেউ কোন প্রকাশনা বন্ধ করতে পারেনা। নিষিদ্ধ হলে তা ট্র্যাশবেস্ট সেলার হয়।আমি হলে বইটাকে ইগনোর করতাম। ভালো থাকবেন।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনি,নইলে কোন দিন নয়।

পুতুল এর ছবি

আগে জানলে কি আর ...। তবে মাঝে মাঝে কৌতূহল হয়, কি ভাবে রাজাকাররা!

নিষিদ্ধ হলে তা ট্র্যাশবেস্ট সেলার হয়।
ঠিকই কইছেন। ইগনোর করাই সর্বোত্তম পন্থা।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

রেন্টুর বই পড়ার পর থেকে এসব ডালভাত হয়ে গেছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পুতুল এর ছবি

রেন্টু কে? নজুভাই।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

জাহামজেদ এর ছবি

আবুল কাশেম চৌধুরী কি কাশেম বিন আবু বকরের ছেলে না বাপ ? নাকি এটা ঐ ছাগুর আরেক নাম !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

পুতুল এর ছবি

সব ছাগলের এক রা
ছাগল খায় কাঠাল পাতা।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

অসহ্য!!!
-শিশিরকণা-
(amihimi@gmail.com)

পুতুল এর ছবি

সত্যিই অসহ্য। পড়ে এতো বিরক্ত হয়েছিলাম! লিখতে ইচ্ছে হয় নি। পরে পাণ্ডবদার পরামর্শমতে ভেবে দেখলাম; এই ছাগুদের একটা তালিকা হোক।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কথা রাখার জন্য ধন্যবাদ দাদা। আপনি আরো দশ জন মানুষের সময় বাঁচিয়ে দিলেন। আপনার এই বই নতুন কিছু নয়। আজ থেকে সতের-আঠারো বছর আগে আল মাহ্‌মুদ "কাবিলের বোন" নামে এক বৃহদায়তন 'অপন্যাস' লিখেছিলেন। সেই অপন্যাসের সাথে এই অপন্যাসের ব্যাপক মিল দেখতে পেয়ে অবাক হইনি। সব রশুনের গোড়া এক জায়গায়।

পাঠকদের কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ, 'ওরা আসবে' বা 'কাবিলের বোন' জাতীয় অপন্যাসের নাম যা যা জানেন তা লেখকের নামসহ আমাদের জানিয়ে দিন। তাতে আমাদের অর্থ-সময়-শ্রম বাঁচবে, আমরা উপকৃত হবো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পুতুল এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ পাণ্ডবদা। সাধারণত রিভিউ লিখি মুগ্ধতা। ছাগলামি নিয়ে লিখতে কষ্ট হয়। কিন্তু এই আবাল গুলো চিনে রাখার দরকার আছে।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

অসুস্থ বোধ করতেসি মন খারাপ
_________________________________
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

পুতুল এর ছবি

দুঃখিত বস। সামনে ভাল কিছু নিয়ে লিখব।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নাজনীন খলিল এর ছবি

'এই ধরণের ছুপারাজাকারী বই, লেখক এবং প্রকাশকদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। '

১০০০০০০০০০০০০০% সহমত।

শুভকামনা।

পুতুল এর ছবি

সহমতের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

এইটা কী ধরণের বই ?? মানে বলতে চাচ্ছি- এইযুগেও লেখকেরা এতোটা ভ্রান্ত ধারণা পাঠকের মনে কীভাবে প্রবেশ করাতে চান ?? ...

. ১৯৭১ যারা বাংলাদেশ আন্দোলনে শরীক হয়নি, তারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধী ছিল না।... তারা তখনো অখণ্ড পাকিস্তানের নাগরিকই ছিল। ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা এ বিশ্বাসের ভিত্তিতেই কাজ করেছে।

বেকুব।
_________________________________________

সেরিওজা

পুতুল এর ছবি

দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে কাঁপতে কাঁপতে নায়ীকার ওড়না পড়ে যায়। উত্তেজনায় পুষ্টবক্ষের উঠানামা বেড়ে যায়। দুই পাহাড়ের মাঝে বা চূড়ায় ছাগুর চোখ স্থির হয়ে থাকে। এই জাতী অসংখ লুলদৃশ্যের শেষে থাকে দরজা খোলার পর যে এলো, তার মুখে শুনলাম, মতিয়া চৌধুরী এবং তার চেলাচামুণ্ডারা মিলে ছাত্রসংঘের (তখনকার শিবির) কাউকে অমানুষিক নির্জাতন করেছে।
এ ভাবে প্রগতিশীলদের বিপক্ষে পাঠককে ধীরে ধীরে উত্তেজিত করা আর কী। আমার ধারণা এক ধরনের প্রপাগাণ্ডা। ঐ লুলদৃশ্যগুলো ইচ্ছে করে বসানো হয়েছে জাতে বিষয়টা সাহিত্যের আওতায় রাখা যায়। এবং মুক্তিযুদ্ধ বা প্রগতিশীলদের বিপক্ষে কোন বক্তব্য এলেই এই ধরণের লুলটা থাকে।

বেকুব নারে ভাই। ধূর্ত শেয়াল এরা।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

ধুর, আমার মন্তব্য ওপরে জাহামজেদ করে ফেলেছেন। তাঁকে মাইনাস। বই লেখককে প্লাসাইলাম। উনি নিশ্চয় জান্নাতুল মাওয়াতে অবস্থান নেবেন।
সমালোচককেও প্লাস। 'জিয়ে পাকিস্তান' শ্লোগানটা ছোট করে বইয়ের কোথাও ছাপা দেখেন নি?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

পুতুল এর ছবি

ম.জা ভাই,
পাকাস্তানের লোক সংখ্যা কম অথচ ধান উৎপাদান হয় বেশী। কাজেই সেখানে চালের দাম কম। পাকিস্তানীরা বাঙ্গালীদের চেয়ে সাহসী, অনিবার্য কারণে সেনাবাহিনীতে তারা সংখ্যাগুরু। এইমন বহু অলংঘনীয় যুক্তিতে লেখক পাকিস্তানকে জিয়ে রেখেছেন।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।