কালচে ভবিষ্যত

দুর্দান্ত এর ছবি
লিখেছেন দুর্দান্ত (তারিখ: মঙ্গল, ০২/০২/২০১০ - ১১:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গণক যদি বলে "ভবিষ্যত কালচে" তাহলে মুখ তিতা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ভবিষ্যত কালচে শুনে মুখ চিমসে হয় না। জিনিস কালো হলেই খারাপ না। আমাদের উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি কয়লা খনি, বড়পুকুরিয়া, ফুলবাড়ী, দিঘপাড়া, খলসপির আর জামালগঞ্জ - এগুলোকে যদি এক করি, তাহলে শিশু রংপুর বিভাগের মাটির তলাতেই আছে ৩০ বছর ধরে ২০ গিগাওয়াট বিদ্যুত তৈরীর সমতূল্য বা প্রায় ৬৫ ট্রিলিয়ন ঘণ মিটার গ্যাসের সমতূল্য, গন্ধকহীন, ছাইহীন, নিষ্কন্টক, সুমিষ্ট কালো সোনা।

যা আমাদের উন্নতির ইঞ্জিন হবার কথা ছিল, সেটাকে আমরা একটি দুর্ঘটনায় পরিনত করেছি। সদিচ্ছা থাকলে খুব সহযেই পরিবেশ ও সামাজিক ক্ষতি এড়িয়ে গত দশকেই কয়লাকে দেশের কাজে লাগানো যেত। আমরা কি করলাম? সবচাইতে ভাল খনিটিকে অনভিজ্ঞ এক চীনা কোম্পানীর কাছে থালায় বেড়ে দিলাম। দুনিয়ার কোথাও মাটির এত কাছের কয়লা বের করতে সুরঙ্গ খোঁড়া হয়না। তারওপর খনির মাটি যদি হয় বড়পুকুরিয়ার মত স্যাঁতস্যাঁতে, সেখানে ইট সিমেন্টের দেয়াল তোলা রীতিমত শিল্প-অপরাধ। কিন্তু যে কারিগরের হাতে শুধু হাতুড়ীই আছে, তার কাছে সব কাজকেই পেরেক মনে হয়। মাটির ৫ মিটার নিচে সুরঙ্গখুঁড়ে কয়লা ওঠানো হচ্ছে। কয়দিন পর পর সুরঙ্গে পানি জমে, কয়লার গ্যাস ওঠে, সুরঙ্গের দেয়াল ধ্বসে পড়ে। সেই সুরঙ্গের রক্ষনাবেক্ষনে কয়লার খরচ বেড়ে যায়, তাকে খনি থেকে বেশীদুর বয়ে নিলে পোষায় না, তাই খনির মুখেই গড়তে হয় বিজলীকল। সেই বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়েও আছে নানান ক্যাচাল। এ যাবত সরকারের ৩৪ কোটি টাকার শ্রাদ্ধ হয়েছে বড়পুকুরিয়া। এত কিছুর পরেও এই খনি ব্যাবস্থা বড়পুকুরিয়ার মাত্র ১০% কয়লা তুলতে পারবে। জ্বীনা আপনি ভুল পড়েন নি। এত শোরগোল এর ফলাফল সাকুল্যে ১০%! ২০১১ তে এই ১০% এ ঠেকার কথা, তখন গিয়ে নতুন খনির মুখ খুলতে হবে, তখন হয় সেই নতুন মুখ থেকে বিজলীকলে রেল বসাতে হবে, আর সেই রেল যদি ১০ কিলোর বেশী গেলে যে খরচা পড়বে, তার চাইতে নতুন বিজলীকল বসালেই ভাল, তারপর আরো ১০%। তারপর? তারপর এভাবেই চলবে।

একদিকে বড়পুকুরিয়া ওপেন পিট দরকার ছিল, অন্যদিকে ফুলবাড়ীতে ওপেন পিট এর জটিলতা অনেক। ৯০ এর মাঝামাঝি ফুলবাড়ীকে যারা খুঁজে পায়, সেই বিলিটন ফুলবাড়ী-জামালপুর কে এক করে কোল-বেড-মিথেন, বা ইন-সিটু-গ্যাসিফিকেশান করার প্রস্তাব করেছিল। চৌফিক কি তখন জ্বালানী সচীব? যি হোক, আমাদের সেসব হাইটেক মুসিবত পছন্দ হয়নি। তারবদলে এশিয়া এনার্জির ওপেন পিট আমাদের বেশী মনে ধরেছে। এরপরের ঘটনা নতুন করে নাই বললাম। 'বিদ্যুত দৃশ্যকল্প' নামক যে অশ্বডিম্বটি চৌফিক এই সেদিন প্রসব করেছিল, তাতে দেশে যে কয়লা বলে কিছু আছে, সেটা বোঝার উপায় নেই। চৌফিকরা, মানে সে ও তার জাতভাইয়েরা কয়লাকে কেন যেন বিশেষ ভালু পায় না। তাদের বসবাস গ্যাসে।

কিছু দিন হয় চৌফিক লন্ডন, সিঙ্গাপুর, ওয়াশিংটনে রোডশো করে ফিরল। খালি পকেট নিয়ে এল, নাকি সেখানে কেউ দু দশটা ভাল প্রস্তাব গুঁজে দিয়েছিল, সেটা খবরে আসেনি। তবে খেলাটা ভাল ছিল, সেটা পরিস্কার। অন্তত ওয়াশিংটনের আয়োজন ভালই হয়েছে, সেটা আমি অস্বীকার করতে পারি না। তবে হতাশার কথা এই যে, রোড শোতে আমাদের দিক থেকে জ্বলানীখাতের শেষের দিকটা (ভোক্তার কাছের, বিজলী উতপাদন, বিতরন এসব) নিয়ে যতটা আগ্রহ দেখানো হয়েছে, গোড়ার দিকটা (জ্বালানীর উত্তোলন, নবায়নযোগ্য জ্বালানীর প্রসার) কে সেই একই আগ্রহে আড়াল করে রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, আপাতত গ্যাস নেই, পরে হয়তো থাকবে। খোলা ময়দান থেকে কিছু প্রশ্ন এসেছিল, "আর কয়লা? তোমাদের কয়লার কি হবে?" উত্তর এল, সেটা আপাতত এই শো'এর আওতার বাইরে, তবে তোমরা চাইলে কয়লা আমদানী করে বিজলীকল চালানোর ছাড়পত্র দিয়ে দেবো আমারা। সেই মূহুর্তে হলরুমের গুঞ্জন কিছুটা স্তিমিত হয়েছিল কিনা আমার মনে নেই।

এই সপ্তাহ থেকে দেশে (অন্তত কাগজে কলমে) গ্যাস রেশানিং শুরু হয়ে গেল। সিরামিক, কাঁচ, চিনি, বস্ত্র, চামড়া, ইঁট, সিমেন্ট, লোহা - সবকিছুই এই রেশানিং এর আওতায়। আজকে বিশ্বমন্দার যে সূযোগটি আমাদের হাতে এসে পড়েছে, যখন আমাদের অর্থনীতির চাকাকে দুই নম্বর গিয়ার থেকে তুলে পাঁচে ওঠানোর সময়, ঠিক তখনই অতিগ্যাসনির্ভর আমদের এই অর্থনীতির ক্লাচে পা ঠেকিয়ে এক টানে একে নামিয়ে দেয়া হল।

শুধু তাই নয়, যেখানে আমাদের নিজের কয়লা দিয়ে দু চারটা বিশাল আকারের বিজলীকল বানানো যেতো, এখন আমদানীকৃত কয়লা দিয়ে মিকি মাউস সাইজের বিজলীকল বসাতে হবে। তারপর সেগুলোতে কয়লা নামাতে এখন গাঁইটের পয়সা খরচ করে বন্দরের নাব্যতা বাড়াতে হবে, সারাবছর নদীতে ড্রেজিং করতে হবে।

ও আমার সুশীল ভাই। ঘুম থেকে ওঠেন। আমাদের ভবিষ্যত যে কালচে হয়ে গেল।

(ছবি সত্বঃ www.etftrends.com)


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বুঝিনা, যারা এইসব সিদ্ধান্ত নেয় তাদের ব্যক্তিগত লাভটা আসলে কতো! যদি ঠিকঠাক পরিকল্পনা আর তার বাস্তবায়ন করতে পারে তারা, তাহলে তো ইন দ্য লং রান, পজিশন আর পকেট দুইটাই বেশ ভারী থাকার সম্ভাবনা আছে, এটাও কি বুঝেনা তারা?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নাশতারান এর ছবি

আমরা কী করব? আমরা কি কখনো কিছু করি?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হায়! আমার দেশ! তোকে শুধু তোর ক্ষমতাহীন সন্তানেরাই ভালোবাসে...

দারুণ লিখেছেন। স্যালুট দিলাম।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

যুধিষ্ঠির এর ছবি

বিষয়টা নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

সুশীলরা বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনের মত জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ব্যস্ত। সরকারের মাথাব্যথা নেই, কারণ এই ব্যাপারগুলো সাধারণ জনগনকে অতটা ভাবায় না, যতটা ভাবালে সরাসরি ভোটসংখ্যায় টান পড়ে।

কী কঠিন হতাশা আর দুর্ভাগ্য আমাদের।

হিমু এর ছবি

দেশের গ্যাস যত খরচ করা যাবে, গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বিদেশী কোম্পানির কাছে বিভিন্ন ব্লক বরাদ্দ বাবদ বোঙ্গা মারা যাবে। চৌফিক চাচা মনে হয় ঐ মতলবেই যাবতীয় জিনিস গ্যাস দিয়ে চালাইতে উৎসুক।

বাংলাদেশে ক্যাপটিভ পাওয়ার উৎসাহিত করার জন্যে ইন্ডাস্ট্রিতে গ্যাস দুই দরে বিক্রি হয়। বয়লারের জন্যে গ্যাসের দাম জেনারেটরের জন্যে গ্যাসের দামের প্রায় তিনগুণ। ইন্ডাস্ট্রিতে রেগুলেশন সেন্টার পার হয়ে তারপরে গ্যাসের লাইন ভাগ হয়। ইন্ডাস্ট্রি মালিকরা ওভাররেটেড জেনারেটর কেনেন, তারপর জেনারেটর বাবদ গ্যাসের খরচ দেখিয়ে সেই গ্যাস বয়লারে খরচ করেন। যারা আরো এক ধাপ সরেস তারা তিতাসের লোকজনকে আরো সাইজ করে বিল ম্যানেজ করেন। কানে শুনে আর চোখে দেখে বলছি এ কথা।

যখন শিল্প-মালিকরা বিদ্যুৎ আর গ্যাস নিয়ে কান্নাকাটি করেন, ইচ্ছা করে ধরে একটা চটকানা কষাতে। এইসব লোকের ইন্ডাস্ট্রির বিল ঠিকমতো অডিট করলে কত কোটি টাকা এরা চুরি করেছে তা বেরিয়ে আসবে। এই চুরির টাকা যোগ করলে কয়েকটা বড় বড় পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানোর টাকা সাম অফ হুইচের পাশে লেখা যাবে।

আমাদের শিল্প ও বিদ্যুৎ খাত মাত্রাতিরিক্ত রকমের গ্যাস-হেভি। প্রচুর দীর্ঘায়ু অবকাঠামো আছে কেবল গ্যাসোপযোগী। যখন বাংলাদেশের গ্যাস ফুরাবে, এই শিল্পমালিকরা তখন সরকারের পাছায় ডান্ডা ঢুকিয়ে তাকে বাধ্য করবে বার্মা আর ভারত থেকে চড়া দরে গ্যাস কিনে ভর্তুকি দিয়ে এদের কাছে বেচতে। চৌফিক চাচ্চু ঐখান থেকেও আরেক দফা বোঙ্গা মারবেন হয়তো।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

রাজিব মোস্তাফিজ [অতিথি] এর ছবি

নামকরা ছাত্র (এবং সম্ভবত মুক্তিযোদ্ধাও) চৌফিক চাচ্চুরা কত টাকার বিনিময়ে নিজের বিবেককে বিক্রি করেন জানতে মন চায়! আর আমাদের সরকার মহাশয়েরও কেন তাদের উপদেশ না হলে চলেই না এই রহস্যও পরিষ্কার হয় না।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

শুধু রংপুর কেন, বৃহত্তর সিলেটে লিগনাইট জাতীয় আর বৃহত্তর ফরিদপুরে পীট জাতীয় কয়লা আছে। পাওয়ার প্ল্যান্ট বসাতে চাইলে সেখানেও বসানো যায়। খোলা কূপ নাকি সুরঙ্গ কোন পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করা হবে, নাকি মাটির নিচেই গ্যাস বানানো হবে সেটা নির্ভর করে খনির বিস্তৃতি ও গভীরতা, কয়লার স্তরের বিন্যাস, স্তরের কাঠিন্য, পানির উপস্থিতি এমন হাজারোটা ফ্যাক্টরের ওপর। প্রাকখনন পর্যবেক্ষণ ও নীরিক্ষার মাধ্যমে এই যাচাইগুলো করা যায়। এসব করার জন্য দুনিয়াজোড়া বিখ্যাত ও অভিজ্ঞ কোম্পানী আছে। কয়লা তোলার জন্যও অমন বিশেষজ্ঞ কোম্পানী আছে। কিন্তু এই দেশে কাজতো আর অমন নিয়ম মাফিক হবেনা। এখানে প্রথমেই হিসাব করা হবে কে বেশি ঘুষ দিতে পারবে। খনির বারোটা বাজলো, পরিবেশ ধ্বংস হল নাকি উৎপাদন খরচ বাড়লো সেগুলোর হিসাব কোন বোকা করবে বলুন?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ইমি এর ছবি

পীট কয়লা দিয়ে পাওয়ার প্লান্ট বানানো নিয়ে একমত নই। বাকিটা একমত।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

দারুণ লেখা বস। অনেক কিছু জানলাম। এবং জেনে মুখটা আরেকটু কালচে হল।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার লেখাগুলো আসলেই বাঁধায়ে রাখা দরকার... ফেসবুকে শেয়ার মারলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সিরাত এর ছবি

পুরা বুঝি নাই, তবে জানা হইলো কিছু।

দুর্দান্ত এর ছবি

চেষ্টা করার জন্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশের কয়লা নিয়া আমার গভীর আগ্রহ আছে, কিন্তু ঘটনার পুরাটা আমার কাছে পরিস্কার না। আমার মত আরো এইরকম আধা অন্ধকারে অনেকেই আছে। আমার মনে হয় যারা দেশের কয়লা নিয়া কাজের কিছু করতে পারে, তারা সেই আধা অন্ধকারে বইসা আছে।

তোমার তো অনেক পড়াশুনা, জানাশুনা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বড় বড় ঘটনা তোমার নখদর্পনে, সেখানে গণসংযোগ আর মাস-মোবিলাইজেশান প্রসেস নিয়া তোমার ভাল ধারনা আছে। তোমার কি মনে হয়, আমাদের সুশীলদের কয়লায় এত বিতৃষ্ণা কেন? কি ঘটলে পরে তারা সক্রিয় হবে? এইদিকে মাস-মোবিলাইজেশান এর বাধা গুলা কি? চিন্তা কইরা বল। ফট কইরা জানিনা বলবা না।

ইমি এর ছবি

যা বুঝি, দেশের কয়লা না তুললে লাভ মেঘালয় আসামের পচা কয়লা (হাই সালফার, ভারতেও বিক্রী হয়না) আমদানী -রপ্তানী ব্যবসায়ীদের।
সমুদ্রে গ্যাস নিয়ে কিছু না করে বসে থাকলে লাভ বার্মা ,ভারতের।
বুঝিনা কে বুঝে বা নাবুঝে কার স্বার্থে কি করে।

বর্ষা এর ছবি

অনেক কিছু জানলাম। পছন্দের পোষ্টের সাথে যুক্ত করলাম।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।