একুশের কোপাকুপি !!!

সবজান্তা এর ছবি
লিখেছেন সবজান্তা (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৩/২০০৮ - ১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একুশের কোপাকুপি

দীর্ঘদিন সচলে অচল হয়ে ছিলাম। আজ অবশেষে এই আটকুঁড়ে অপবাদ থেকে মুক্তির চমৎকার একটা উপায় খুঁজে পেয়েছিলাম। গতকালই সুন্দরবন ঘুরে ঢাকায় এসেছি। সাথে রয়েছে তোলা বেশ কিছু চমৎকার ছবি (তোলার কৃতিত্বে চমৎকার নয়। সুন্দরবন নিজেই এত চমৎকার যে নবিশ আলোকচিত্রশিল্পীর হাতেও সে রীতিমত সুন্দরী ) ভাবলাম, ফটো ব্লগ দিয়েই আবার নিজেকে সচল করি। সেই আশাতেই আজ সারা সকাল ব্লগের জন্য কিছু ছবি বাছাই করলাম, তাদের রেজুলেশন কমালাম। ইচ্ছা ছিলো টিউশনি শেষ করে বাসায় এসে রাতে ছবিগুলি আপলোড করবো।

কিন্তু আমার ছাত্র আজ আমাকে এমনই মোহিত করেছে, যে সব কিছু বাদ দিয়ে এখন তার কথাই লিখতে হচ্ছে।


আমার ছাত্র ও লেভেল এর শিক্ষার্থী। ধানমন্ডির এক নামকরা ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলের ( যাদের কোটি কোটি ক্যাম্পাস আমার চোখে পড়ে ধানমন্ডির এই মাথা থেকে ওই মাথা যেতে) ছাত্র সে। ছাত্র হিসেবে সে যে খুব ভালো তা হয়তো নয়, তবে তার জানার ইচ্ছেটা মারাত্মক। ইন্টারনেট থেকে শুরু করে রকেট সব ব্যপার নিয়েই তার জানার আগ্রহ অপরিসীম। মাঝে মাঝে আমি রীতিমত হিমশিম খাই এত আগ্রহের খোরাক মেটাতে।অবশ্য খারাপ যে লাগে ঠিক তা নয়। আজকালকার অধিকাংশ ছাত্রের মধ্যেই কোন প্রশ্ন নেই, সে দিক থেকে দেখলে আমার ছাত্র অনেক উঁচু স্তরের।যাই হোক, আজ পড়ানো শেষে যখন উঠতে যাচ্ছি, আমার ছাত্র আমাকে বললো, “ ভাইয়া, কালকে আমার বেংগলী এক্সাম। আমাকে বেংগালী এসের ব্যপারে একটু হেল্প করবেন? ”

অগত্যা বসে পড়তেই হল। জিজ্ঞেস করলাম কী এসের ব্যপারে তার সাহায্য দরকার। শুরুতে সে বললো, শীতের সকাল। আমিও তাকে গরগর করে বলে গেলাম, টিপিক্যাল শীতের সকাল রচনার কথা। দু’চারটা কবিতারও চালান দিতে চাইলাম। অবশ্য বেংগালী পোয়েম বলে সে ভ্রু কুঁচকে তাকালো আমার দিকে। আমি তাড়াতাড়ি বললাম, “ঠিক আছে, থাক দরকার নেই” । এরপর আর কি রচনার ব্যপারে সে সাহায্য চায় বলতেই সে বললো “একুশে ফেব্রুয়ারি”। আমি বললাম, একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে তো তেমনভাবে বলার কিছু নেই। তুমিও তো কিছুটা জানো। আর বাকিটা রচনা বইগুলিতে দেখো। হিস্টোরিক্যাল ইভেন্টসগুলির টাইমলাইন জানতে পারবে। ছাত্র আমাকে অবাক করে দিয়ে বললো, “ না ভাইয়া, আমি এই ব্যপারে কিছুই জানি না। আমাকে আপনার সবই বলতে হবে” ।

আমি তো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তাকিয়ে আছি তার দিকে। আর আমার ছাত্র নির্বিকারচিত্তে বলে চলছে, “ কী যেন হয়েছিলো একটা। ইয়াহিয়া খান ......... কারা যেন কোপাকোপি করছিল......... ভাষা নিয়ে যেন কী একটা গ্যাঞ্জাম.........”

বিশ্বাস করুন, আমি একটুও বাড়িয়ে বলছি না। আমি নিজেও প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি, এমনকি নিজের কানে শুনেও। কিন্তু একটু পরই বুঝতে পারলাম, সে মোটেই মশকরা করছে না। আসলেই সে জানে না একুশে ফেব্রুয়ারি কি। কারা, কিসের দাবিতে “কোপাকুপি” করেছিল। সেই সাথে আমি তার বাংলা স্কুলের খাতা দেখছিলাম। আমার সারা শরীর কেমন যেন অবশ হয়ে উঠছিলো। বাংলা বানানের ন্যূনতম জ্ঞান তার নেই। বাংলার এই দুরবস্থার জন্য তাকে যখন আমি বকতে আরম্ভ করলাম, সে আমাকে জানালো তার ক্লাসের শতকরা ৯৮ ভাগ ছাত্র-ছাত্রীরই এই হাল বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে। হঠাৎ করেই আমার মুখটা কেমন যেন তিতা হয়ে উঠলো। আমি নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রেখে বললাম, “ তোমার কি নিজের দেশের ব্যপারে আরেকটু খোঁজ খবর রাখা উচিত না ? তুমি তো আর আমেরিকার নাগরিক না, তুমি তো এখনো বাংলাদেশের লোক, তা ছাড়া এটা তোমার জন্মভূমি। তোমার কি উচিত নিজের দেশ নিয়ে এতখানি না জানা ? এতখানি কম জানা ?”

সে এক অদ্ভুত সারল্যে আমাকে উত্তর দিলো, “ ধুর ভাইয়া, কি হবে বাংলাদেশের এত ইতিহাস জেনে। সব বোরিং। আমাকে আমেরিকার ভিসা দিলে আমি কি এই দেশে পড়ে থাকি ? ”

ঘটনাটা বললাম, ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্রদেরকে ছোট করবার জন্য নয়। কারন আমি জানি এদের মধ্যেও ব্যতিক্রম রয়েছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বর্তমান কিশোর প্রজন্মের ইতিহাসজ্ঞান আমাকে আতংকিত করে তোলে। বিশেষত অধিকাংশ ইংরেজী মাধ্যমের ছাত্রদের দেশ এবং মাতৃভাষার ব্যাপারে উন্নাসিকতা বেশ ভীতিজাগানিয়া। একজন ছাত্র যখন বলতে পারে না, একুশে ফেব্রুয়ারি কি দিবস ? কেন সেই দিবস পালন করি? কি হয়েছিল এই দিনে ? --তখন আমার নিজেরই খুব অসহায় লাগে। এত বড় একটা ঘটনার মাত্র পঞ্চাশ বছর পরের প্রজন্মই যদি সে সুতাকে ধরে রাখতে না পারে, তাহলে আমরা সামনে এগুবো কিভাবে ? তার চেয়েও বড় চিন্তার বিষয় আমাদের দেশের এই ইংরেজী মাধ্যমের পাঠ্যসূচী এবং শিক্ষাপদ্ধতি। মাধ্যমিক সমতুল্য শ্রেনীর অধিকাংশ ছাত্র যখন সরলতম বাংলা বানান লিখতেও হিমসিম খায়, তখন এই শিক্ষাব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র বুঝতে পিএইচডি করার দরকার হয় না। এমনিতেই এক দেশে দু ( আসলে তিন )রকম শিক্ষা পদ্ধতি রাখা উচিত কিনা, তা নিয়েই আমার ব্যাপক সন্দেহ আছে।তার উপর যদি মাতৃভাষা এবং নিজেদের ইতিহাসের ব্যপারে এহেন যত্ন নেওয়া হয়, তাহলে সত্যিকার অর্থেই তা নিয়ে শংকিত না হয়ে উপায় থাকে না। শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে অনেক বড় বড় সেমিনার হয়, অনেক বড় বড় শিক্ষাবিদেরা কাপের পর কাপ চা ধ্বংস করেন, গলাবাজি করেন আর আখেরে চমৎকার ভাবে নিশ্চুপ থাকেন। তাদের এই নীরবতা খুব মসৃণভাবে ধ্বংস করে দিচ্ছে আমাদের ভবিষ্যতকে, আমাদের দেশকে। আর কেউ না বুঝুক, আমরা যারা দেশের ব্যপারে সম্পূর্ণ এমনকি সামান্য হলেও জানি, তারা কি চেষ্টা করতে পারি না, আশপাশের কিংবা পরিবারের কিশোর কিশোরীদের এই তথ্যগুলি জানাবার ?

আজ আমরা যারা নিজেদের ছেলেমেয়ে কিংবা ভাইবোনকে ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলে পড়িয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছি, কে জানে তারাই হয়ত কাল বিদেশী সংস্কৃতি বদহজমের বমিতে মাখামাখি হয়ে যাবো।


মন্তব্য

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হুম
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সবজান্তা এর ছবি

ঠিকাছে
-----------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

অন্দ্রিলা এর ছবি

এতো inquisitive ছাত্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে এতো indifferent কেন, সেটাও কিন্তু একটা প্রশ্ন হতে পারে। আর এই প্রশ্ন বাংলা কিংবা ইংরেজি, যে কোনো মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের বেলায় খাটে।

সবজান্তা এর ছবি

এতো inquisitive ছাত্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে এতো indifferent কেন, সেটাও কিন্তু একটা প্রশ্ন হতে পারে।

এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য দায়ভার সকলকেই নিতে হয়। আমরাই এবং আমাদের পূর্বসুরিরাই মুক্তিযুদ্ধকে স্বমহিমায় আমাদের কাছে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছি । মুক্তিযুদ্ধ আমাদের কারো কারো কাছে "গন্ডগোল" , কারো কারো কাছে "সুদূর অতীত, যা নিয়ে ঘাটাঘাটি করার দরকার নেই"। আমরা তো নিদেন পক্ষে ক্রিকেটেও পাকিস্তানকে সমর্থন করা বন্ধ করতে পারিনি। পাকিস্তানের খেলোয়াড়দেরকে দেখলেই আনন্দে আমাদের হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়, আমরা ভাবি খেলার সাথে রাজনীতির কি সম্পর্ক। তাই এই প্রজন্ম যখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এমন উন্নাসিকতা দেখায়, তার দায়িত্ব আমরাও অস্বীকার করতে পারি না।

আর এই প্রশ্ন বাংলা কিংবা ইংরেজি, যে কোনো মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের বেলায় খাটে।

সত্য। বাংলা মাধ্যমের ছাত্ররাও এই অভিযোগের বাইরে নয়। কিন্তু ভুল হোক আর ঠিক হোক, বাংলা মাধ্যমের বইগুলিতে এই ইতিহাস লেখা রয়েছে। পরিমানও একবারে ফেলে দেওয়ার মত নয়। তাই বাংলা মাধ্যমের ছাত্ররা কিছুটা ধারণা রাখে এবং বাংলা মাধ্যমের কোন ছাত্র আশা রাখি ২১শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে একদমই জানে না, এমন নয় ( অবশ্য সেই আশাতেও গুড়ে বালি হতে পারে)।ইংরেজী মাধ্যমের সব ক্লাসের বই আমি দেখি নি, আমি জানিও না তাদের ঠিক কি পর্যায়ে শিক্ষা দেওয়া হয় দেশের ইতিহাসের ব্যপারে।তবে পত্র পত্রিকায় সব সময়ই দেখতে পাই, এ নিয়ে আক্ষেপ করা হচ্ছে। সেই সাথে তাদের যারা শিক্ষাদান করেন, তারাও কতটুকু গুরুত্বের সাথে মুক্তিযুদ্ধের উপর আলোকপাত করেন, সেটাও ভেবে দেখবার। দোষ অবশ্যই ঢালাওভাবে ইংরেজী মাধ্যমের সবার নয়, ব্যতিক্রম আছেই। তবে আমি এর আগেও একটা লেখাতে উল্লেখ করেছিলাম যে, এমন অজ্ঞতার পরিচয় আমি ইংরেজী মাধ্যমের কিছু ছাত্রের থেকে পূর্বেও পেয়েছি।তাই শংকার পরিমানটা তাদের নিয়েই বেশী।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

হিমু এর ছবি

আপনার ছাত্র খুবই আশাবাদী। আমেরিকার ভিসা পেয়ে যাবে একদিন, সে আশায় ব্যাটা যাবতীয় ইতিহাসশিক্ষার ব্যাপারে হাত ধুয়ে ফেলেছে। মনে হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকে পটাতে হবে, ভিসা দেয়ার সময় বাংলাদেশের ইতিহাসের ওপর লিখিত পরীক্ষা নিতে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সবজান্তা এর ছবি

আমেরিকা নিশ্চয়ই এমন বান্দাই চায়, যাকে নাগরিকত্ব দিলে সে পুরোদস্তুর আমেরিকান বনে যাবে। হয়ত ১ মাসের মধ্যে বাংলা বলাও ভুলে যাবে।
তাই পরীক্ষার আশাতেও গুড়ে বালি !
------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সুবিনয় মুস্তফী, আপনি কোথায়??

সবজান্তা এর ছবি

ইয়ে মানে, ইশতিয়াক ভাই ভালো আছেন ? শরীর ভালো ? মন ভালো ?

ইয়ে বলছিলাম কি, থাক না, কি দরকার ডাকাডাকি করার (চামহাসি)
-------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

বিপ্রতীপ এর ছবি

যদ্দুর জানি ইশতিয়াকওতো ইংলিশ মিডিয়ামে ছিলা দেঁতো হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান…

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অ্যা? ছিলাম, তবে সাকুল্যে বছর দেড়েক। নার্সারিতে এক বছর, আর দাঁত ভাঙার পর ক্লাস টু'তে ছয় মাস।

সুবিনয় মুস্তফীকে ডাকার কারণ অন্য। ইংরেজি মাধ্যমে ও প্রবাসে পড়াশুনা করেও উনি ষোল আনা বাঙালি। তিনিই ভাল বলতে পারবেন কী ধরনের আগ্রহ ও উৎসাহ তাঁকে নিজ ভাষার পথে রেখেছে। শুধু অভিযোগ তো অনেক দিন ধরেই করলমা, এবার বোধহয় সমাধান খোঁজার দিন এসেছে।

কনফুসিয়াস এর ছবি

ঠিক কথা। আমিও অভিযোগ বাদ দিয়ে এবারে সমাধান খোঁজার পক্ষপাতী।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

সবজান্তা এর ছবি

সমাধানের জন্য খুব জরুরী যে দুটি দিকে মনযোগ দেওয়া দরকার তা হচ্ছে, পারিবারিক পর্যায়ে সচেতনতা এবং পাঠ্যক্রম তথা পাঠপদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা।

ইংরেজী মাধ্যমে আমার বেশ কিছু বন্ধু আছে, যারা এর সম্পূর্ন বিপরীত। তাদের দেশের প্রতি টাণ অসাধারণ এবং সেই সাথে ভাষার প্রতি ভালোবাসাও তুলনাহীন। তাই কোন একটি মাধ্যমের প্রতি আসলে বিষেদাগার নয় এটি। ইংরেজী হোক , বাংলা হোক কিংবা মাদ্রাসাই হোক, তারা আমাদের দেশের নাগরিক, আমাদের দেশের সন্তান। তাই তাদের অজ্ঞতা কিংবা অসচেতনতাতে মাধ্যম নির্বিশেষে আমাদের সকলেরই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। আমি ইংরেজী মাধ্যমের কথা উল্লেখ করলাম, কারন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় আমার অধিকাংশ ছাত্রকেই দেখেছি তুলনামূলকভাবে বেশি ইতিহাস উন্নাসিক।
--------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

বিপ্রতীপ এর ছবি

আসলে এসব বিষয়ে আগ্রহের জন্য চারপাশের পরিবেশটা জরুরী। ইংরেজি মাধ্যম হলেই সবাইকে এক কাতারে ফেলার কোন মানে হয় না...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান…

সবজান্তা এর ছবি

যেই ভুল বোঝাবুঝির আশংকা করছিলাম, তা মনে হয় ঠেকানো গেলো না। আমি ইংরেজী মাধ্যমের সবাইকে এক কাতারে ফেলছি না। বাংলা মাধ্যমের ছেলেরাও হয়ত এমন আছে ( হয়ত বলছি কারন আমার নিজের এমন কাউকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি), কিন্তু ইংরেজী মাধ্যমের মধ্যে আমি প্রবনতাটা বেশি দেখেছি। আমরা আমাদের চোখের সামনে সুবিনয় মুস্তফীকে দেখছি, চমৎকার বাংলা বলতে এবং লেখতে পারেন। কিন্তু অন্তত আমার জন্য দুঃখজনক সত্যি হল, এমন লোক আমি ৩-৪ জনের বেশি দেখিনি। এতে ছাত্রদের দোষ নেই, যে পরিবেশে তারা বড় হচ্ছে, সেটাই তাদের এমন উন্নাসিক করে গড়ে তুলছে। সচেতন তাই ইংরেজী বাংলা সকল মাধ্যমের লোকদেরই হতে হবে, তবে প্রায়োরিটি বিচার করলে ইংরেজী মাধ্যমের জন্য তা একটু বেশিই হবে।
--------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

কমরেড ! সেইরকম ভয় পেলাম ! ইয়ে, মানে...
- খেকশিয়াল

সবজান্তা এর ছবি

কমরেড ভয় পাওয়ারই কথা। আমিতো নিজেই আতংকিত !!

লাল সেলাম !
-----------------
অলমিতি বিস্তারেণ

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি

ছেলেটিকে আর কী দোষ দেবো? তার বাপ-মায়েরা কোথাকার? তাদের আহার-বিহার, মলমূত্র ত্যাগ তো বাংলাদেশেই ঘটে, নাকি?

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সবজান্তা এর ছবি

হ্যা, তা বাংলাদেশেই ঘটে।

সত্যি কথা বলতে কি, ছেলেটার ওই কথাগুলির থেকেও আমাকে বেশি হতবাক করেছে, কথাগুলি বলার সময় তার মুখের অদ্ভুত সারল্য। সে আদৌ অনুভব করছিলো না যে তার কথাগুলি কি পরিমান ভুল এবং লজ্জাজনক। এই পরিবারগুলিতে ঠিক কি শিক্ষা দেওয়া হয় দেশের ব্যপারে তা ভেবে আমার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছিল।
-----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

অনিন্দিতা এর ছবি

কোন কথ না এসব ছেলে মেয়ের মা বাবাকে দেশ থেকে বের করে দেয়া দরকার্।

সবজান্তা এর ছবি

আমি ওই ছেলের পরিবার নিয়ে যতটুকু জানি, নিজামী, মুজাহিদ কিংবা গোআ তার কেউ হয় না। এদেরকেই যখন দেশ থেকে বের করা যায়নি, বাকিদেরই বা কোন মুখে বের করি !!

-----------------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

নজমুল আলবাব এর ছবি

আপনার ছাত্র নিশ্চিতভাবেই আরজে হয়ে আমাদের কানকে রোশনাই করবে।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

ভয়াবহ পরিস্থিতি !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নিঘাত তিথি এর ছবি

সবজান্তা যেমন শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারেন নি, আমি এখন তেমন পড়ে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না!
কিভাবে সম্ভব? এই দেশেরই তো মানুষ!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

রাবাব এর ছবি

তোমারটা দেখি আমারটার থেকেও শেয়ানা। এই জন্যে বলি ইংরেজি মিডিয়ামের স্টুডেন্ট পড়াতে গেলে বাংলার ধারে কাছে দিয়েও যাবা না। নাইলে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্হা-ই হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।