স্মৃতির জলে ঢেউ : শহরপর্ব

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: বিষ্যুদ, ১১/০৯/২০০৮ - ৮:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঝে মাঝে এরকম হয়। স্মৃতির নিস্তরঙ্গ জলে ঢেউ জাগে। দ্রবীভূত মনের ঘাটে সেই ঢেউ এসে আঘাত করে, নিঃশব্দে, মৃদুতালে। তখন আর ভালো লাগে না কিছুই। আবার কখনো কখনো নিঃসঙ্গতা পেয়ে বসলে আপন মনে ঢিল ছুড়ি সেই জলে। জানি, জল কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করে না।

১. শহরতলি

বাবার ছিল বদলির চাকরি। মাঝে মাঝে তিনিই বলতেন, ব্রিটিশরা এই একটা নিয়ম করে গিয়েছিলো ভালো। চাকুরেদের শিকড় থাকতে নেই। তিন বছর তো অন্য কোথায়ো বদলি।
বাবা অবশ্য তিন বছরেই বদলি হতেন না। টানা সাত-আট বছরও একই অফিসে কাটিয়েছেন। তাছাড়া, বদলি হলেও খুব বেশি নতুন জায়গায় আমাদের যাওয়া হয়নি। এমনও হয়েছে, ঘুরেফিরে আবার পুরাতন অফিসেই বাবা ফেরত এসেছেন।

তবে আমাদের শেকড় ছিড়তে হয়েছে বারবার। শেকড় গড়তেও।

হয়তোবা সেজন্যই, শেকড়টা মজবুত আর হয়ে উঠে নি কোথায়ই। দেশের বাড়ি বলতে টাঙ্গাইলের দাদার বাড়িকেই বুঝতাম। মাসে ছমাসে আর ঈদে-পার্বনে একআধবার যাওয়া পড়ায় সেটাও কেবল দেশের বাড়ি হয়েই থেকেছে সারাজীবন, নিজের বাড়ি আর হয় নি কোনোদিন।

স্কুলের শেষ চার বছর কাটলো পাবনার বেড়া উপজেলায়। স্কুল শেষে ঢাকা কলেজের হোস্টেলে উঠলাম। মা-বাবা ছেড়ে এই প্রথম বাইরে থাকা। ঢাকা কলেজের শুরুর দিকের সেই দিনগুলিতে কত বন্ধু হলো, কত জায়গার ছেলের সাথে হলো দোস্তি! কেউ ঢাকার, কেউ দিনাজপুরের, কেউ ময়মনসিংহের, কেউ গাজীপুরের, কারো দেশের বাড়ি ভৈরব, কারো ফেনী। পুরোনো স্কুল বন্ধুদের এবং কিছুটা ভাষার টানেই হয়তো বা আমি হয়ে গেলাম পাবনার ছেলে। সে তো বটেই। স্কুল পাবনায়, বাবা-মা থাকেনও পাবনায়, বন্ধুদের যারা পুর্বপরিচিত এবং জিগরিদোস্ত সবাই পাবনার, পাবনা আমার পরিচিত শহর, সেখানের অলিগলি আমার রক্তে।

সুতরাং দেশের বাড়ি টাঙ্গাইল হলেও এখন বাড়ি পাবনা। এই হয়ে থাকলো আমার পরিচয়, পুরোটা কলেজজীবন।

পাবনা বললেও আসলে আমি বেড়া'কেই বুঝতাম। ছোট্ট শহর কিংবা শহরতলি বেড়া। চোখ বন্ধ করলেই মনের পর্দায় একে একে ভেসে উঠে ওয়াপদা কলোনী যেখানে কেটেছে আমার বছরের পর বছর, কলেজ মাঠ, সিএনবি রোড, বেড়া বাজার, বিপীন বিহারি পাইলট হাই স্কুল, ইছামতি নদী, স্লুয়েজ খাল, হুরা সাগরের বাধ।

সেবা প্রকাশনীর কোনো এক বইয়ে প্রথম শিখেছিলাম আত্মসম্মোহন। চোখ বন্ধ করে নিজেকে কোনো একটা অসাধারণ এবং সবচেয়ে প্রিয় জায়গায় কল্পনা করতে হয়। তারপর ভাবতে হয় নিজের কাছে সবচেয়ে ভালো লাগা মুহুর্তগুলোর কথা। কেন জানি যতবার আমি এই কাজ করতে গেছি ততবার নিজেকে ভেবেছি দীর্ঘ ঝুমবৃষ্টির পর বিশ্বচরাচর যেন কী এক পবিত্র সবুজের সমারোহে চমকাচ্ছে বারবার, চারিদিক বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে নিপাট কিন্তু এখনও এখানে ওখানে জল জমে আছে, ছোটো ছোটো স্বচ্ছ জলের ধারা, আর আমি খালি পায়ে পায়ের পাতা ডুবানো বৃষ্টির জলে ভেজা ঘাসের উপর হাটছি, প্রিয় মাঠের ঠিক মাঝখানে ঠিক প্রিয় পৃথিবী। কতবার যে আমি এভাবেই হেটেছি বাস্তবে, একা কিংবা পাশে প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে।

স্কুলে যেতাম পায়ে হেটে, বিশ মিনিটের পথ যেনো হাওয়ায় উড়ে যাওয়া। টুংটাং রিকশা, সাইকেল চলা রাস্তা ঘেষে, সেচের পানি বওয়া খালের পাড় ধরে, তারপর বিস্তৃত আখের ক্ষেত, সেটা পাড় হলেই বনগ্রাম, পথের দুধারে বাড়িগুলোতে তাঁতের সারি, তাঁতের এ মাথা থেকে ও মাথা ছুটন্ত মাকুর খটখট খটখট আওয়াজ,কাপড়ে মাড় দিতে থাকা আর চড়কায় সুতো কাটতে থাকা জোলা পরিবার, নিস্তব্ধ বাঁশঝাড়, পুকুড় পেরিয়ে তারপরেই স্কুল। এখন এইখানে পরবাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল বাসে ল্যাবের দিকে যেতে যেতে ভাবি সেইসব স্কুলের দিনগুলি। এমন দিনেই তো ঝড় উঠে মনে, আন্দোলিত স্মৃতির ঢেউ সাইক্লোন হয়ে আছড়ে পড়ে বারবার, বারবার।

কিংবা সেই বিকালগুলি! সারি সারি পাটের গুদাম, বাতাসে ভেসে বেড়ানো খসে পড়া সূক্ষ্ম পাটের আঁশ, তারপর থানা, ডাকবাংলোর সাপের পিঠের মতন সড়ক পেড়িয়ে নদীর বাধে উঠে যাওয়া। নদী।
আহ! নদী আর মাঠকে ভালোবেসেছি সারাজীবন।

২. শহর

কিন্তু ততদিনে বাবা আবার বদলি হয়ে ফেরত গেছেন আগের শহর সিরাজগঞ্জে। আবার শেকড় উপড়ানো।

তবে খুব বেশি খারাপও লাগলো না। একেতো বেড়া কিংবা সিরাজগঞ্জ, কোনোটাই না, আমাকে থাকতে হচ্ছিলো ঢাকায়; তার উপর সিরাজগঞ্জ সেই শহর যেখানে কেটেছে আমার পুরোটা শৈশব। সেই চিরচেনা ছিমছাম, নিরিবিলি গঞ্জের শহর। মৃতপ্রায় রেলস্টেশন, লঞ্চ আর ফেরিঘাটের প্রেতাত্মা, পচে গলে যাওয়া পাটকলের লাশ, সময়ের কাছে হেরে যাওয়া নদী, চুরি হয়ে যাওয়া পাঠাগার আমাকে কষ্ট দিলেও এই শহরকে আমি ভালোবেসেছি প্রেমিকের মত।

হৃদয়ে চালানো ছুরির মত কাটাখালি নামের একসময়ের নামকরা এবং এখনকার মৃতপ্রায় এক খাল এ শহরকে দ্বিখন্ডিত করেছে, এপাড় আর ওপাড় নামে। পৃথিবীর আর কয়টা শহর এভাবে বেঁচে আছে দ্বিখন্ডিত শরীর নিয়ে আমার জানতে ইচ্ছে করে।

আমরা থাকতাম এপাড়, যমুনা নদীর প্রায় কাছাকাছি, দশ মিনিট হাটলেই যমুনা, বিসন্ন বিস্তৃত যমুনা, প্রমত্ত যৌবনা যমুনা। যেন হাজার বছর বেঁচে থাকা রূপসী ডাইনী, তেমনি তার ছলনাময়ী রূপ, ছলছল ঢেউ আবার ডলফিনের পিঠের মত মসৃন বালুকাময় চর- স্বপ্নের নদী।

শহর ছেড়ে যমুনার একটা তীর আছে যেখানে দাড়ালে আর কুয়াকাটা যেতে ইচ্ছে করে না। অদ্ভুত সুর্যোদয় দেখেছি, দেখেছি লাল রঙের পোঁছ দেয়া তীব্র সুর্যাস্ত। যমুনার জল আমাকে পবিত্র করেছে বহুবার।

এ শহরের রাস্তাগুলো আমাকে এখনো টানে। এ পথ ও পথ কত পথে কতবার হেটেছি, একা, সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে বন্ধুদের সাথে, হৃদয়ে বাষ্প নিয়ে প্রেমিকার সাথেও। আহা, সিমেন্টের ঢালাই করা কালিবাড়ি রোড, সোহরাওয়ার্দী রোড, স্টেশন রোড, কলেজ রোড- প্রতিটা সড়ক‌ নেশার মত চষে বেড়িয়েছি এক সময়।

সন্ধ্যার বিদ্যুতহীনতায় ডুবে গিয়ে কাটাখালির ইলিয়ট ব্রীজের রেলিংয়ে বসে পেনিসিলিন চা আর সোনালি পাতার ধোঁয়া গিলতে গিলতে, আড্ডায় কতবার চকিত মনে হয়েছে, শহরেরও প্রাণ আছে। আছে চোখ, সে দেখে। ছুটি হলে স্কুল ড্রেস পড়া বাড়ি ফেরতা অচেনা কিশোর কিশোরীরা একে অপরকে যেভাবে দেখে, আড়চোখে, হয়তো সেভাবেই আমাদের চোখাচোখি হয়, কিংবা হয়তো আমারই মনের ভুল!

পৌর (বর্তমান ভাসানী) মিলনায়তনে দেখেছি জীবনের প্রথম মঞ্চনাটক, সেই বালকবেলায়। কে লিখেছিল জানি না, কারা ছিল অভিনেতা জানা হয় নি, কিন্তু স্মৃতিতে রয়ে গেছে কিছু দৃশ্য, কাজী নজরুলের কাছে সুকান্ত দৌড়ে এসেছেন রক্তে ভেজা ধুতির খুট ধরে, দাদা, ওরা আমাকে মুসলমানি করিয়ে দিয়েছে- এইরকম ছিল সুকান্তের ডায়লগ।

আর দর্শক, সে হাসি! সে কিসের হাসি?

যে লোক সেজেছিল কাজী নজরুল, তাকে আমি বাস্তব নাটকে আরো দেখেছি, রিকশায় যেতে যেতে দরজার ফাঁক দিয়ে তরুণ নাট্যসম্প্রদায়ের অফিসে, কিংবা বড়বাজারের মাছের আড়তে, কিংবা ভিক্টোরিয়া স্কুলের সামনে, ছবির মত ঝাকড়া চুল, কী অবিকল মিল!

সুকান্তকে দেখিনি, হয়তো দেখেছি, চিনে রাখবার মত কিছু ছিল না তার।

কত হাজারো শৈবালের গা ছোঁয়া জলের ফোটার মত স্মৃতি জমে আছে মাথায়, কিন্তু কেন যে অমন কয়েকটাই শুধু ভর করে থাকে ভূতের মত, বুঝি না।

শহরকে ছেড়ে শহরে গিয়েছি, তারপর অন্য শহর।

কিন্তু স্মৃতি পিছু ছাড়ে নি।


মন্তব্য

রাফি এর ছবি

ফারুক ভাই অসাধারণ একটা লেখা। আমার জীবনের সবকটা বাঁক ছুঁয়ে আপাত অস্থিরতার বুকে চাবুক বসিয়ে দিল আপনার প্রতিটি বাক্য।
অতি সম্প্রতি মনকে এতটা আচ্ছন্ন করেছে এমন কিছু পড়িনি, এমন কিছু দেখিনি, এমন কিছু শুনিনি।
গুরু গুরু

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

ফারুক হাসান এর ছবি

রাফি, আপনার কমেন্টটা আমাকে ছুঁয়ে গেল। ভালো থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুধু বলব অদ্ভুত সুন্দর । আমিও এভাবে নানা জায়গায় ঘুরা মানুষ । এখন আবার ইচ্ছা করছে সেই সব পুরান মফস্বল শহর গুলোতে ফিরে যেতে । পুরানো সময় গুলো মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ ।
নিবিড়

ফারুক হাসান এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ, লেখাটা পড়ার জন্য। কার না ইচ্ছে করে বলুন, পুরোনো শহরে ফিরে যেতে।
কিন্তু তবু, কেন যে পারি না যেতে!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

khub apon laglo lekhata
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ফারুক হাসান এর ছবি

হাসি

সুমন সুপান্থ এর ছবি

বাতাসে ভেসে বেড়ানো খসে পড়া সূক্ষ্ম পাটের আঁশ, তারপর থানা, ডাকবাংলোর সাপের পিঠের মতন সড়ক পেড়িয়ে নদীর বাধে উঠে যাওয়া। নদী।
আহ! নদী আর মাঠকে ভালোবেসেছি সারাজীবন।

ফারুক হাসান ,উদ্ধৃতি দিয়ে কী হবে ! যেখানে আপনার পুরো লেখাটাই উদ্ধৃতি-উপযোগী !!

এই রকম সৃতিমন্ডিত লেখা এই রকম অতীতজাগানিয়া বাক্যরাজি বেসামাল করে তুলে; - তুলে আছড়ে-বিছড়ে কোথা থেকে কোথায় যেনো নিয়ে যায় । আর আকস্মাত থামিয়েও দেয় কোথায় জানি ।
খুব খুব ভক্ত আমি এইরকম লেখাগুলোর । সম্প্রতিই পড়লাম ষাটের শক্তিমান কথাশিল্পী জ্যোতি প্রকাশ দত্তের স্মৃতিকথা-'দুই নদীর মোহনায়' । ওখানেও হোর সাগরের কথা ছিলো বলে মনে পড়ে গেলো ।
কোথায় যেন সেই একই সুর ; ভাল্লাগা-বিষাদের !

---------------------------------------------------------

আমার কোন ঘর নেই !
আছে শুধু ঘরের দিকে যাওয়া

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ফারুক হাসান এর ছবি

স্মৃতিগুলো এমনি, যেমনটা আপনি বলেছেন, তুলে আছড়ে-বিছড়ে কোথা থেকে কোথায় যেনো নিয়ে যায় । আর আকস্মাত থামিয়েও দেয় কোথায় জানি
আর 'ভাললাগা বিষাদ' - শব্দদুটি দারুণ লাগলো শুনতে!

'দুই নদীর মোহনায়' বইটা পড়ার লোভ হচ্ছে, কিন্তু হায়, কবে যে হাতে পাবো!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

স্মৃতিরা পিছু ছাড়লে কি আর তিষ্ঠানো যাবে দু'দন্ড? স্মৃতি যে আমাদের পথ করে দেয় সামনে এগিয়ে যাবার। খুব খুব ভালো লাগলো ফারুক হাসান। পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

ফারুক হাসান এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ জুলিয়ান সিদ্দিকী, পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনি ঢাকা কলেজের? কোন ব্যাচ?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফারুক হাসান এর ছবি

জ্বী হ্যা, HSC'৯৮

আপনিও ঢাকা কলেজের নাকি? হাসি

জিফরান খালেদ এর ছবি

এই যে স্মৃতিকাতরতা... যে অতীত এর কাছে গেলে শুধু দীর্ঘশ্বাস গোপন করতে হয়, তারপরো সেই অতীতের শহরেই হাঁটার এই তীব্র ইচ্ছা, ইচ্ছা করেই এমন দুঃখ পাওয়া, এরেই বোধহয় সুনীল কয়েছিলেন, 'আরামদায়ক দুঃখবোধ'...

হা স্মৃতি!

Klanto Pathik এর ছবি

একি সময়ে একি জায়গা গুলি আমিও দেখেছি (বেড়া ছাড়া)........হয়ত দেখা হয়নি আপনার মত চোখে..........কিনতু এখন বুঝতে পারি...........অসাধারন লেখা।

ঝরাপাতা এর ছবি

ওরে আপনি তো ভাই টেরাবস (ট্যাড়া কই নাই কিন্তু)। ড্যাবস।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

ফারুক হাসান এর ছবি

এ্যাদ্দিনে বুঝলেন? চোখ টিপি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।