এক রাতের গল্প

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: মঙ্গল, ০৩/০৭/২০০৭ - ৩:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
-তুই কই?

মোবাইলে কেউ প্রশ্ন করলে আমি কখনো উত্তর দেইনা। বদলে আমি বলি, 'আপনি ভাল আছেন?'

-ব্যাটা ফাইজলামি করস? হালারপুত, আমি টিটু। কই তুই?

আবার প্রশ্ন। আমি বিগলিত গলায় বলি,
-আসসালামুআলাইকুম। কেমন আছেন টিটু ভাই?

-হারামি, আমার মোবাইলে বেশী ট্যাকা নাই, ফাইজালামি করিস না, হীরা। তোর জন্য ব্যাটা রইদে দাড়াইয়া আছি পাক্কা বিশ মিনিট। আইবি না?

'গু খা ' বলে আমি লাইন কেটে দেই।

কালকে নিয়াজের জন্মদিন। আজ রাতে এই উপলক্ষে পার্টি। রাত বারোটায়, নিয়াজের মেসে।

আমার আর টিটুর উপর দায়িত্ব দুই বোতল মাল কেনার। এক বোতল কেরু আর এক বোতল বিদেশী, যেটা পাওয়া যায়।

টিটুর এসএমএস আসে- 'আমি গ্যালাক্সির সামনে। কাম কুইক।'

দূর থেকে টিটুকে দেখে মায়া হয়। বেচারা সত্যি সত্যি এই দুপুরের রোদে দাড়িয়ে আছে। এত তাড়াতাড়ি বের হবার প্ল্যান করা ঠিক হয়নি।

আমি রিকসা ছেড়ে দিয়ে টিটুর কাছে যাই। আমাকে দেখে টিটু বোধহয় স্বস্তিবোধ করে। বলে, কিরে হালা, এতক্ষণ লাগে আসতে?
আমি শুধু বলি, চল্।
দুজনে সিড়ি বেয়ে উঠে হোটেলে ঢুকি।

কিছুক্ষণ পর আমাদেরকে আবার রিকশা নিতে হয়। কেরু পাওয়া যায়নি। এরা নাকি বাংলা মদ বিক্রি করে না।

আবার রোদ।

গ্রীনরোডের দোকান বন্ধ। এক বোতলে এতগুলা পোলাপানের হবে না।তখনই আরেকটা বিদেশী কিনলে ভাল হতো।

মগবাজারের দোকানটাও দোতলায়। সিড়িতে সিগারেটের তীব্র গন্ধ। মদের দোকানে সিগারেটের গন্ধ কেমন বেমানান মনে হয় আমার কাছে। মদের দোকানে থাকবে মদের গন্ধ। ভুড়ভুড়ে নয়,এলকোহলের মিষ্টি গন্ধ। আমি সিগারেট খাই না। বমি আসে। একারনেই হয়তোবা আমার ভাল লাগে না।

যে লোকটা দোকানে ছিল সে বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছে। আমার হাতে হ্যাভারসেক। ভেতরে অন্য দোকানের মাল। লোকটা গন্ধ পেয়ে গেছে নাকি।

এখানেও কেরু নেই। রাম পাওয়া গেল। ফালতু জিনিস। তবে বোতলটা সুন্দর। কিনে ব্যাগে ভরার সময় দুই বোতলে ঠোক্কর খাওয়ার শব্দ হলো। লোকটার চোখে চোখ পড়তেই দেখি সে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে। থাক ব্যাটা। কার কি।

জিগাতলা ফিরতে ফিরতে সন্ধা। চারদিকে অন্ধকার। কারেন্ট চলে গেছে।

হাতড়ে হাতড়ে সিড়ি বেয়ে মেসবাড়িটার ছয়তলায় উঠা। এই তলায় এখনও কাজ চলছে। একটাই ঘর। বাকী অংশে নতুন ছাদ উঠছে। বাঁশ, কাঠ, ইট বালুর স্তুপ। হিসু পেলে এখানেই ছেড়ে দেয়া। সুব্যবস্থাই বলা যায়। ঝামেলা কম। আর অন্যটার জন্য পাঁচতলার বাথরুম। গোসলের জন্যও তাই।
খাবার নিচ থেকে আসে।

মোমবাতির আলোতে কটা মুখ দেখা যায়, বাকীগুলো জলন্ত সিগারেটের আড়ালে পড়ে থাকে।
মেঝেতে মোমটা ঘিরে অমল, বশির, হাদু আর সুমনের হাতে তাস।
নিয়াজ, রনি আর কমল চৌকিতে শুয়ে বসা। ওখানে কোনায় কিছুটা জমাট বাধা আঁধার।
পাশে চার বোতল স্প্রাইটের বোতল, কয়েকটা গ্লাস, আর পলিথিন ব্যাগে হয়তো চানাচুড়। সেরকমই কথা ছিল।

সবাই আমাদের ঢুকতে দেখে ঘুরে তাকায়। ব্যাগটা খালি চেয়ারটায় রাখতেই এক হাতে তাস নিয়ে সাধু ডান পা দোলাতে দোলাতে আমাদের দিকে চেয়ে বলে উঠে, খবর খারাপ রে। কালকে তুলির বিয়া।

চট করে নিয়াজের মুখের দিকে তাকাই। ঘরের কোনায় জমে থাকা অন্ধকার এখন নিয়াজের মুখ ঢেকে রাখে।

২.
ঘটনা আসলেই খারাপ। সাধুর কথায় যা জানা গেল তা হচ্ছে, তুলির বড় ভাই সৌদিআরব থেকে কয়েকদিন আগে এসেছে। তার আসার সেকেন্ডারি উদ্দেশ্য যাই হোক, প্রাইমারি উদ্দেশ্য হচ্ছে ছোটবোনের বিয়ে দেয়া। খালি বোনের বিয়ে উপলক্ষে কেউ বিদেশ থেকে ছুটে আসে না। তুলির ভাই এসেছে কারন, পাত্র নিজেও সৌদিআরব নিবাসী এবং তার বিশেষ বন্ধু। পাত্রের বাংলাদেশ ভ্রমনের একটাই উদ্দেশ্য - বিয়ে করা। আর তুলির বড় ভাইয়ের উদ্দেশ্য বিয়েটা তার বোনের সাথে দেয়া। কথা পাকাপাকি সে দেশে ফিরে আসার আগেই সেরে এসেছে, এখন খালি কালেমা পড়ানো বাকী। এবং সেই কাজটা কালকেই ঘটানো হবে। অতি গোপন সূত্রে জানা খবর।

-এইটা একটা কথা তুই বল্! ট্রাম।
ভাবিষ্ট্ রনি কোনো একজনের টেক্কার উপর ট্রাম্প করতে করতে বলে।

নিয়াজ দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

টিটোর বোধহয় মেজাজ খারাপ হয়। ধুর বলে চৌকির খালি জায়গাটায় শুয়ে পড়ে। আমি ওর মেজাজ খারাপের কারনটা বুঝে ফেলি। আজকের রাতের মজাটা গেল। এত কষ্ট করে জোগাড় করা মাল খাওয়া চাংগে। মাল খাওয়ার জন্য দরকার ফুরফুরে মন। অথচ ব্ন্ধুর মহাসমস্যা। তার নায়িকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাচ্ছে চব্বিশ ঘন্টা পর। এই সময়ে ফুরফুরে ফুর্তি করা যায় না।
তাও আবার যার প্রব্লেম তার ঘরে, যার নিজের জন্মদিনে ডারলিং আরেকজনের বউ হবে তারই সাথে বসে।

ওরা আবার তাস খেলায় মন দেয়।

সুনসান। সুনসান।

আমি বাইরে বের হই। বালুর ডিবিটার একপাশ ভিজিয়ে তারপর পাশের সদ্য ঢালাই করা পিলারটার গায়ে হেলান দিয়ে সারাদিনের কথা ভাবতে থাকি।

কিছুক্ষন পর কমল আসে। সেও বালুর ডিবিটার শীর্ষ আন্দাজ করে তার জলকামান ছুঁড়ে দেয়। তারপর চেন টানতে টানতে বলে, কি করা যায় বলতো।

আমি কিছু বলি না। মদের দোকানের লোকটার কথা ভাবি। কেমন তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। এ কিসের লক্ষন কে জানে।
আমার সাড়া না পেয়ে কমল বলে চলে, ব্যাটা এইজন্যেই বলি ঐসব ফালতু কাজে জড়াইস না। শুধু শুধু। দুইদিন পিতলা পিরিত,আবডুম বাগডুম, চড়ুই পাখির ড্যান্স, তারপর মালদার পার্টি একটা পাইলেই লগে লগে ফুরুত। শালা নিয়াজ, মালের বোতল কোলে নিয়া এখন কান্দো!

অন্ধকারে কমলের মুখ দেখা যায় না। কথা শেষে থু দিয়ে কমল থুথু ফেলে বালির ঢিবির উপর।

আর তখনি কারেন্ট চলে আসে।

মোমবাতিটা প্রায় শেষ হয়ে এসেছিল। হাদু ফু দিয়ে নিভিয়ে দেয়। তারপর মোমটা হাতে নিয়ে বলে, রাত বারোটায় তোমাকে আবার জ্বালাবো সুন্দরী।

অমল বলে, গুরু মোম কিন্তু এই একটাই। আবার বাতি গেলেগা এইটাই ভরসা। নিয়াইজ্জারে ফুও দেয়াইতে হইবো এইটাতে। কিরে নিয়াইজ্জা ফু দিবি না?

অমল হ্য়তো ভুলে গেছে, এখনকার মূল বিষয় আর নিয়াজের জন্মদিন নয়, তুলির বিয়ে।

বশির তাস গুটায়। কারেন্ট আসার পর সবাই হাতের তাস ফেলে দিয়ে নড়েচড়ে ওঠেছে। খেলায় কারো মন নেই। সুমন ওঠে একটা স্প্রাইটের বোতল হাতে নিয়ে মুখ খুলতে খুলতে বলে, অমল অফ যা। তোর শালা কমনসেন্স নাই। বলে বোতলে চুমুক দেয়। অমলের বোধহয় হঠাত আসল কথা খেয়াল হয়। কিন্তু নিজের বলা আগের কথাকে সাপোর্ট করতেই হয়তো বলে, তোরা খালি প্রবলেম আমদানি করস। এমন একটা দিন, কই মৌজ করুম তা না।
এইটুকু বলে অমল এদিক ওদিক তাকায়।

শুয়ে থাকা টিটোর হাতে এখন নিয়াজের স্প্যানিশ গীটার। টুং করে একটা তারে আওয়াজ তোলে। অমল টিটোর দিকে তাকিয়ে হাসতে চেষ্ঠা করে।
অমলটা বোকাটে। ভেবেচিন্তে কিছু বলে না।

আমি হ্যাভারসেকটা সরিয়ে নিচে রেখে চেয়ারটায় বসে পড়ি।
কিছু মুহুর্ত কথাহীন কেটে যায়।
নিরবতা কাটাতে হাদু রনিকে জিগ্গাসা করে, ভাবিষ্ট, তোর বালের ঘড়িতে কয়টা বাজেরে?
-সাড়ে নয়টা।
-খিদা লাইগা গেল।

এইবার নিয়াজ উঠে গিয়ে আলনায় ঝুলানো জি্নসের প্যান্ট হাতে নিয়ে পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে। আজ রাতে ওর আমাদের সবাইকে নান আর চিকেন টিক্কা খাওয়ানোর কথা। পাচশোঁ টাকার একটা নোট বের করে অমলের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে নিয়াজ বলে, যা, তোরা কি খাবি নিয়া আয়।
কথার মধ্যে ঝাঝ টের পাওয়া যায়।

কমল জোরে বলে উঠে, যা অমল তাড়াতাড়ি নিয়া আয়। খাওয়ার পর সবাই মিলা বইসা নিয়াজ আর তুলির ব্যাপারটা একটু ভাবতে হবে। এমনি এমনি তো ছাইড়া দেয়া যায় না। কিছু করন লাগবো।
নিয়াজ টিটোর হাত থেকে গীটারটা বলতে গেলে কেড়ে নেয়। তারপর বলে, আমার ব্যাপার নিয়া তোদের কাউকে কিছু ভাবতে হবে না। তোরা বাল কি খাবি খা, তারপর যারযার মত বাড়ি যাগা।
স্পষ্টতই রাগত স্বর।

অমল দ্রুত বের হয়ে যায়। বশির আমার দিকে তাকায়। কেউ কিছু বলে না।

কারেন্টটা আবার চলে গেলে সুনসান নিরবতার দেহ ফালি ফালি করে কেটে ফেলতেই হ্য়তো গীটারের তারগুলো অহেতুক কেঁপে উঠে।

৩.
অমল খাবার নিয়ে আসে। এবং কিছুটা বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে কটা মোমবাতি।

মোমের আলোয় রাখা চিকেন টিক্কা, নান, সালাদ আর কোক - আমরা সবাই হাতে নিয়ে যার যার মতন আঁধারে দাড়িয়ে দাড়িয়ে সাবার করে দেই সব। খাওয়া শেষে পরে থাকে শুধু কয়েকটা খালি গ্লাস, কোকের বোতল আর আমার হ্যাভারস্যাকে দুই বোতল মদ।
কারেন্ট তখনো আসে না।

হাদু সিগারেট ধরায়, তারপর রনি, তারপর কমল।
কিছুক্ষন পর সবাই মাল খাবো- চিন্তাটা সবার মনে গাঢ় হতে হতে নিয়াজে গিয়ে ধ্বস খায়।
হ্যাভারস্যাকে দুই বোতল বিদেশী জিনিস চুপচাপ শুয়ে থাকে।

সিগারেটের হাত বদল হয়। হাদু থেকে সুমন, কমল থেকে টিটু, রনির বাম হাত থেকে ডান।
তারপর মাল খাবো চিন্তাটা আবার সবার মনে ধীরে ধীরে ফিরে আসতে শুরু করে। আগের চেয়ে গাঢ় হয়। তারপর আমাদের সবাইকে ঘিরে চক্কর কাটতে শুরু করে। মাল খাবো, মাল খাবো, মাল খাবো।

এই সময় সিড়িতে পায়ের শব্দ শোনা যায়। থেমে থেমে।
কেউ আসছে।

নিয়াজ বলে উঠে, অমল একটা মোম নিয়ে দেখতো কে আসে?
অমল অনিচ্ছা নিয়ে উঠে মোমটা নিয়ে আস্তে আস্তে দরজার চৌকাঠে গিয়ে দাড়ায়। ওখান থেকে সিড়ি দেখা যাওয়ার কথা।
তারপর মনে হয় আমরা কোনো সিনেমা দেখছি।

দরজার চৌকাঠে অমল, অমলের হাতে মোম। আমরা অমলকে দেখি।
সিনেমার দৃশ্য বদল হয়।
এখন দরজার চৌকাঠে অমল, অমলের হাতে মোম, মোমের আলোয় তুলির মুখ।


মন্তব্য

ফারুক হাসান এর ছবি

এই গল্পটি (যদি আদৌ গল্প হয়) সামহোয়্যারে প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম।
হাসান মোরশেদের লেখা গল্প নিয়ে যে অসাধারণ এক আলোচনার সুত্রপাত হয়েছে, সচলায়তনে আমার এই গল্পটি প্রকাশে তার ভূমিকা ষোলোআনা।
বড্ড লোভ হচ্ছে যদি কিছু ফ্রি মতামত, সমালোচনা আর উপদেশ পাওয়া যায়!!

সবার সমালোচনার জন্য উন্মুক্ত এই গল্প।
-----------------------
এই বেশ ভাল আছি

ঝরাপাতা এর ছবি

ভালোই। ভাষার ব্যবহারটা জীবন্ত মনে হয়েছে যদিও ঘটনা গতানুগতিক।
_______________________________________
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

(যদি আদৌ গল্প হয়) ব্রাকেট বন্দী এই সব বিনয় কি আসলেই খুব জরুরী ?লেখক মাত্রই ইশ্বরের মতো নিঃসংগ ও অহংকারী ।
পাঠক ও সমালোচকদের দিকে ছুঁড়ে দিন লেখা ।পাঠকের ভুমিকা পাঠ আর সমালোচকের সমালোচনা । করতে থাকুক ।
লেখক উপভোগ করুন,তুরীয় আনন্দে ভাসুন,মন খারাপ করুন,মেজাজ খারাপ করুন,মনে মনে সমালোচকও পাঠককে করুণা করুন ।

পাঠক হিসেবে বলি-পড়তে ভালো লেগেছে । কেনো? সেই প্রশ্ন যদি করেন তাহলে ফেঁসে যাবো নিশ্চিত । মদ খেতে তিতা লাগে,খেতে তবু ভালো লাগে । কেনো, কি কারন?

-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ফারুক হাসান এর ছবি

সমালোচনায় অনীহা!
নাকি পিঠ চাপড়ানো?
তুরীয় আনন্দে ভাসলাম, কিন্তু মেজাজটা খারাপ করে দিচ্ছেন কখন?@ হাসান মোরশেদ।

-----------------------
এই বেশ ভাল আছি

কনফুসিয়াস এর ছবি

গল্প ভাল লেগছে। ভাষার ব্যবহার গতানুগতিক লাগে নাই আমার কাছে, যেহেতু বেশ কিছু ছোট ছোট চমক চোখে পড়েছে!
ভালো লাগার আরেকটা কারণ, শেষটা আগে আন্দাজ করতে পারি নাই। এইখানে আমি হইলে সম্ভবত বন্ধুদের বিষন্নতার বর্ণনা দিতে দিতে গল্পের সমাপ্তি টানতাম, কিন্তু তার তুলনায় এই ফিনিশিংটা চমৎকার হইছে।
ফাহা-র আরো গল্প পড়তে চাই। জমা থাকলে তুলে দ্যান। না থাকলে নতুন লিখেন।
আরেকটা কথা,আপনারে দিয়া হবে।
-যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

অসামান্য ভালো লেগেছে।
কোনো কেরদানি না করে সহজ শব্দে লেখা। অথচ এর ভেতর লুকিয়ে আছে লেখকের দক্ষ হাতের কারসাজি। মানিক বন্দোপাধ্যায়ের সহজ বাক্যগঠন মনে করিয়ে দেয়।

সংলাপে বা বর্ণনায় অভিনবত্ব আছে। আছে চরিত্রানুগ বৈচিত্র্য। অনেক সময়ই পাঠকের অলস অনুমানের সাথে সেগুলো মিলে না। সেখানেই চমক; লেখকের গভীর দৃষ্টি আর সৃষ্টিশীলতার ছোঁয়া।

গল্পের স্থানটাকে আমরা খেয়াল করতে পারি। লেখকের বর্ণনায়:
এই তলায় এখনও কাজ চলছে। একটাই ঘর। বাকী অংশে নতুন ছাদ উঠছে। বাঁশ, কাঠ, ইট বালুর স্তুপ।
খুব স্বাভাবিক বর্ণনা মনে হয়, মনে হয় এই বয়সের ভাড়াটেদের জন্য সহজলভ্য জায়গা। কিন্তু গল্পের সম্ভাবনা ও পরিণতির ইংগিতও এতে লুকিয়ে আছে। আছে নতুন ছাদ উঠার আশা।

গল্পটা শুরু হয়েছিল মদপান নিয়ে। এক থেকে দুই বোতল মদ। দুই মদের বোতলের ঠোক্কর খাওয়া শব্দের কারণে অস্বস্তি। কিন্তু মদের বোতলের উপলক্ষ আর গুরুত্বপূর্ণ থাকে না গল্পে। কিন্তু মদের বোতলের সদ্ব্যবহার হচ্ছে না এই হালকা অনুযোগ গল্পে ফিরে ফিরে আসে। শেষ বাক্যেও ফিরে আসে মদের বোতল:
আমার হ্যাভারস্যাকে দুই বোতল বিদেশী মদ পাশাপাশি চুপচাপ শুয়ে থাকে।

এই জায়গায় মদের বোতলের নিজেদেরই চরিত্র হয়ে উঠার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু গল্পের ধরনটা সেরকম নয় বলেই হয়তো লেখক সেপথে যান না।

জন্মদিনের জন্য কেনা একমাত্র মোমটারও ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা তৈরি হয়। লোডশেডিং-এ কাজে আসে। আবার নিভিয়ে রাখা অনুষ্ঠানের জন্য। তারপর শেষে এসে মোমের আলোয় আমরা তুলির মুখ দেখি। আর সে কারণেই আমাদের আশা জাগে' মালের বোতল কোলে নিয়া কান্দার' দূর্ভাগ্য থেকে রক্ষা পাবে হয়তো নিয়াজ।

গল্পকারের আরেকটা স্বার্থকতা হলো তিনি পাঠকের সাথেই ছিলেন। পাঠকের সমানই জানতেন। পাঠক যেমন বিস্ময়ে শেষে এসে তুলিকে দেখতে পায়, তিনিও সমান বিস্ময়ে সেদিকে তাকান। এতে মনে হয় পাঠকের সাথে তার অবস্থান ছিলো একই সমতলে। গল্পটি যদিও তার সৃষ্টি কিন্তু তাকে স্রষ্টার মতো সবজান্তা ভাগ্যনিয়ন্তা মনে হয় না। তাকেও মনে হয় আমাদের মতই ঘটনার দর্শক। লেখকের এ এক সাংঘাতিক অর্জন।
--------------------------------------------
গাধারে সাবান দিয়া গোসল দেয়ানোটা গাধাপ্রীতির উজ্জ্বল নমুনা হতে পারে; তবে ফলাফল পূর্বেই অনুমান করা সম্ভব, গাধার চামড়ার ক্ষতি আর সাবানের অপচয়।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সমালোচনায় অনীহা নয় ফাহা,সমালোচনায় অক্ষমতা । সমালোচনা করার জন্য যতোটা নির্মোহ ও ঋদ্ধ হতে হয়,আমি ততোটা নই । যেমন দেখো শোমচৌ কি চমৎকার মুন্সীয়ানায় সমালোচনা করলেন ।
আমি নির্মোহ হতে পারিনা একটা গল্প কিংবা কবিতা পাঠের বেলায় । আমি আক্রান্ত হয়ে পড়ি । গল্প কিংবা কবিতা পড়তে পড়তে নিজে যেনো একটা চরিত্র হয়ে যাই ।
এই ভাবে সমালোচক হওয়া যায়না,বড়জোর আবেগী পাঠক হাসি
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গতকালও খেয়াল করেছি। লেখা পড়ে - 'ভালো লেগেছে' বলার বাইরে কথা বলার স্কোপ সচলায়তনে সৃষ্টি হয়েছে। আমি বিশেষ করে গল্পের কলকব্জা নিয়ে আগ্রহী। এক্ষেত্রে মোরশেদ ভাই, জুবায়ের ভাই, সুমন রহমান, শোমচৌ, বদ্দা এবং কনফুসিয়াসসহ অন্যান্যদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কনফু আলাদা পোস্ট দিয়েছিলেন এ ব্যাপারে। সমস্যা নেই, বিক্ষিপ্ত ভাবেই হোক টুকটাক আলোচনা। আমার মতো খড়ি হাতে যারা আছেন, তাদের উপকার হবে বৈকী!

তারেক এর ছবি

আমার ভাল লেগেছে গল্প। আর আলোচনাটা উপভোগ করছি...

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

ফারুক হাসান এর ছবি

কনফুসিয়াস এবং ঝরাপাতা- আপনাদেরকে ধন্যবাদ।
কনফুসিয়াস, আমারে দিয়া হবে- এটা পড়ে খুব ফুলে গেছি।

জনাব শামোচৌ,
আপনার সমলোচনা এবং দীর্ঘ মন্তব্য আমার জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া। গল্পের অনেক খুটিনাটি আপনি দারুন সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন (বলা যায় আবিস্কার করেছেন, কারন আমি নিজেও সবজায়গায় অতটা সচেতন ছিলাম না। অনেকটা না বুঝে ভাল কাজ করে ফেলার মতন অবস্থা। তবে আপনার অবজারভেশন আমার কাজে লাগবে এটা নিশ্চিত।
আর এই ধরনের পজিটিভ পারস্পেক্ট নিয়ে বিভিন্ন দিকগুলো তুলে ধরা সমালোচনার একটা ভাল টুল হতে পারে। এতে লেখকের শক্তিমত্তায় আলোকপাত হয়, তার ধার বাড়ে।
মদের বোতলের কারেক্টার হয়ে ওঠার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে কি আরেকটু ডিটেল বলবেন? আমি কৌতুহলি।

হাসান মোরশেদ,
"গল্প কিংবা কবিতা পড়তে পড়তে নিজে যেনো একটা চরিত্র হয়ে যাই"- আপনি বড় ভাগ্যবান!

আসাশিমুল,
আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত। ॥
খুব ভাল লাগছে সচলায়তনের প্লাটফর্ম। চলুক।

সুমন রহমানে নেই যে আজ!?

-----------------------
এই বেশ ভাল আছি

ফারুক হাসান এর ছবি

তারেক, আলোচনায় অংশ নিন, দেখবেন আরো ভাল লাগছে। হাসি

-----------------------
এই বেশ ভাল আছি

তারেক এর ছবি

এই বেশ ভাল আছি।
পড়তেই বেশি মজা। হাসি

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

??? এর ছবি

ফাহা... আজকে আমি সারাদিন এনইউএইচ-এ... একজন রোগী এটেন্ড করতেছি। খাইতে আইসা আপনার মেইল দেখলাম। গল্প পড়বার সময় এখন হাতে নাই। সন্ধ্যায় আইসা পড়ব তারপর জানাব। ধন্যবাদ আপনার অপেক্ষার জন্য। গতকাল আপনার আরেকটা পোস্ট পড়ার পর মন্তব্যের ঘরে শত চেষ্টাতেও ঢুকতে পারলাম না। কেন জানি না।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আগে কন এইটা গল্প না ঐতিহাসিক ঘটনা? নিয়াজ আর তুলি দুইটাই আমার বন্ধু। বর্তমানে তারা রেজিস্টার্ড।

.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

মাশীদ এর ছবি

আগেও দারুণ লেগেছিল, এবারো লাগল।
তোর এটা দেখে ইনস্পায়ার্ড হয়ে আমারো একটা পুরনো লেখা তুলে দিয়েছি আজকে।


ভাল আছি, ভাল থেকো।


ভাল আছি, ভাল থেকো।

ফারুক হাসান এর ছবি

সুমন রহমান, আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায়।

সুমন চৌধুরী, গল্পে আপনিও তো আছেন, খেয়াল করেননি? এবার বলুন, এইটা গল্প না ঐতিহাসিক ঘটনা।

-----------------------
এই বেশ ভাল আছি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বুঝ্লাম
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আমার মতে গল্পের জন্য পাঠকের দুইটা জিনিষ দরকার।
১/গল্পের ঘটনার স্বাদ নেয়া।
২/কোনরূপ বাধো বাধো না ঠেকেই যাতে মূল গল্প পড়া যায়।

আপনার গল্পে দু্ইটাই পেলাম।
আপনার দ্বারা হবে,আমিও এই মত পোষন করি।

-----------------------------------
কিস্তিমাতের যুদ্ধ শেষে,সাদাকালো ঘুটিগুলো এক বাক্সেই ফেরত যাবে...

দৃশা এর ছবি

এতো কথা জানিও না বুঝিও না...পইড়া বোর হই নাই...।এবং মজা পাইছি...এটা হইল আমার কাছে ইম্পর্ট্যান্ট।

দৃশা

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমার খুব খুব খুব খুব ভালো লেগেছে। এরকম গল্গ আরো লিখবেন Please

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

??? এর ছবি

ফাহার গল্প পড়লাম। যথারীতি গল্পের লেজে থাকা মন্তব্যও পড়া হল। ভাগ্যবান ফাহা, অনেক রিভিউ পেয়েছেন আপনি। অনুমান করি, সামহোয়ারইন ব্লগে এরকম রিভিউ হয়ত পাওয়া যায় নি (যদিও আপনার গল্পের প্রায় সব রিভিউয়ার ঐ ব্লগেও ছিলেন)। এতে বোঝা যায় সচলায়তনের একটা ভিন্নরকম প্রস্তুতি আছে। বেশ ভাল।

ফাহা-র লেখা সম্পর্কে বলি। অবশ্য অনেকেই বলে ফেলেছেন, শোহেইল চৌ. ডিটেইল আলোচনা করেছেন। বেশ কিছু মন্তব্যের সাথে আমিও একমত। রিপিট না করে,যেখানে আমার ভিন্ন কিছু মত আছে, সেগুলো বরং বলি।

ফাহা-র ভাষা গতিশীল, আবার একেবারে পাতলা না। নিজের মত করে বলার চেষ্টা আছে। লেখক হিসাবে স্মৃতিশক্তি খুব ভাল তার, কিংবা বাউন্ডুলে (?) ছাত্রজীবনের কোডগুলো ভাল মনে রেখেছেন! নিজের ব্যক্তিত্বকে নিজের সৃষ্টির ওপর আরোপ করতে চান না তিনি। নিজেকে পার্শ্বচরিত্রে দেখতে তার সমস্যা হয় না। অনুমান করি, এই গল্পটির লেখক একজন ফিকশন রচয়িতা হিসেবে তার অভিজ্ঞতার জগতকে ম্যানিপুলেট করেছেন খুবই মিনিমাম লেভেলে।

আমার মতে, এসবই ভাল লক্ষণ। তবে, কাভি কাভি, বেশি ভাল। বেশি ভাল হলে কী সমস্যা? ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।

এই গল্পের নামচরিত্র, যিনি ঘটনাচক্রে গল্পের লেখকও বটে, তিনি নেহাত ভাল মানুষ। তার সাথে আমার পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে এই মন্তব্য করছি না, বরং লেখক হিসেবে তিনি তার গল্পে যেভাবে হাজির থেকেছেন তার অনুভব থেকে বলছি সেটা। শুরুর মোবাইলসংক্রান্ত সামান্য ঘরোয়া ফাজলামিটুকু ছাড়া পুরো গল্পে "আমি" চরিত্রটুকু বেশ সুবোধ। এমনকি বন্ধুর আসন্ন বিচ্ছেদে তার এবং উপস্থিত অন্য সবার মন ভার-ভার, এমনটা ভাববার মত যথেষ্ট শাদা মন তার! তার পরিপার্শ্ব বর্ণনা, এমনকি মদের বার ও দোকানের বৃত্তান্ত পড়েও বোঝা যায় তিনি "মূলানুগ"। অভিজ্ঞতার জগতকে শান্ত সুবোধ চিত্তে অনুসরণ করেন। ফলে, আমার অনুমান, গল্পটি যেভাবে লিখিত হয়েছে, গল্পের প্লট এর থেকে বেশি ভিন্ন কিছু ছিল না। লেখকের এই "সততার" কারণেই কি জানি, খুব সাদামাটাভাবে শেষ হল গল্পটা।

শেষদৃশ্যে তুলি চলে আসাটা কি খুব অভাবনীয় ছিল? আর এই চলে আসাটা কি তুলির পাকাপাকি চলে আসা প্রমাণ করে? এমনও হতে পারে, শেষবিদায় নিতে আসা ছিল এটা (নিজের জীবনেই ঘটেছে এমনটা, সেই ডাটা থেকে বলতেছি!)! তারপর তুলি আর তার হাজব্যান্ড...হ্যাপিলি এভার আফটার ইন সৌদী আরব... !!!

যাক। শেষ করি। ফাহা, আপনার গল্পে অনেক প্রতিশ্রুতি আছে, তবে সব মিলিয়ে, আমার কাছে এই গল্পটি "অসামান্য ভাল" লাগে নাই। কিন্তু এই গল্পের আনাচ কানাচে, নানান ছোটখাট পর্যবেক্ষণে, লেখকের নিজের প্লেসমন্টে আমি এই লেখকের মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছি। পরামর্শ দেওয়া আমার পক্ষে ধৃষ্টতা, তবু পাঠক হিসেবে আমার প্রিয় লেখককে আমি আরেকটু দুষ্টু দেখতে চাই, আরেকটু কম-আস্তিক, চাই আরেকটু সংশয় নিয়ে তিনি জীবনের দিকে তাকান, আরেকটু কাটাছেড়া করে দেখেন এবং দেখান নিরীহ বাস্তব ঘটনাগুলোকে!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই রে!
এইতো সাহিত্য সমালোচনা । পারফেক্টো ।
-----------------------------------
'পড়ে রইলাম বিধির বামে,ভুল হলো মোর মুল সাধনে'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ফারুক হাসান এর ছবি

আরিফ ভাই,
আপনি ইদানিং সবকিছুতেই বড্ড সায় দিচ্ছেন। হলে তো কবেই হতো। আমার দ্বারা আসল কাজটাই হয় নাই- একটা ট্রাই মারা।
দৃশা এবং মুমু- ভাল লাগলো জেনে।

ফারুক হাসান এর ছবি

সুমন রহমান,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, এই ব্যস্ত সময়েও আপনার কাছে থেকে ডিটেইল,আন্তরিক সমালোচনা পেয়ে খুব ভাল লাগছে।
নামচরিত্রের ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষণ বেশ interesting.আমি আমার দৃষ্টিকোণ থেকে যেটুকু বলতে পারি, আমি চেয়েছিলাম যাকে দিয়ে গল্পটা বলাচ্ছি তার চরিত্রে একটা নির্মোহ আর অনাসক্তি ভাব থাকুক। নির্মোহভাব এসেছে কিনা জানি না তবে তা যে অনাসক্তিতে আর গড়ায়নি আমি নিজেও বুঝেছি। কিন্তু পরে আর বদলাতে চাইনি।

অবশ্য আমি চরিত্রের সুবোধ ভাব খন্ডানোর মতন কোনো পরিস্থিতিও তৈরী হয়নি।

চেয়েছিলাম কমল আর হীরার (বক্তাচরিত্র)অন্ধকারের কথপকোথনে কিছুটা সংশয়ের আঁচ আনবো। এটাও হয়ে উঠেনি।

আপনার আলোচনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পা এই ব্লগে নিয়মিতই আশা করছি। ভাল থাকুন।

-----------------------
এই বেশ ভাল আছি

??? এর ছবি

শুধু ব্লগে কেন ভাই, আমরা তো আমাগো ফিস পন্ডের সামনে খাড়ায়া খাড়ায়াও সাহিত্য উদ্ধার কৈরা দিতে পারি! প্রতিবেশী বৈলা কথা।

প্রসঙ্গত আরেকটা ছোট্ট আলাপ। আপনার গল্পের "আমি" চরিত্র সুবোধ হতেই পারে। আমার অমত নাই। তবে, আমি এটা বলেছিলাম এপ্রোচের কথা মাথায় রেখে। অর্থাৎ যিনি লিখছেন, তার বর্ণনা, ভ্যালু জাজমেন্ট, তুলনা এসবের মধ্যে লুকানো নখদন্ত যত বেশি থাকে, পাঠক হিসেবে সেই গল্পে আমি তত বেশি আচ্ছন্ন। লেখক বলছেন একটা গল্প, আর ঠারে ঠারে দেখাচ্ছেন আরো বহু কিছু... এমন একটা পরিস্থিতি আমার ভাল লাগে।

ফারুক হাসান এর ছবি

হুম,আমার আপনার ফিশ পন্ডের সামনে খাড়ায়া থাকনের টাইমিংটা মিলতেছে না, এই যা।
প্রতিবেশী হিসেবে আলাদা দাবি আপনের কাছে। আপনার নিজের লেখা আরো ছাড়েন।

-----------------------
এই বেশ ভাল আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

ফাটাফাটি ! আমার বেশি ভাল লাগতাসে বন্ধুগো লেইগ্গা, আহা এহন কি আনন্দে মদ খাইতে পারবো । দেঁতো হাসি

- খেকশিয়াল

তিথীডোর এর ছবি

শেষাংশটা ইন্টারেস্টিং, আন্দাজ করতে পারছিলাম না, কিভাবে শেষ হবে। চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।