শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে তিনটি প্রস্তাব

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০৪/২০০৯ - ১১:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি সরকার জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে প্রধান করে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। সংবাদপত্রের খবর অনুসারে, কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে ১৯৭৪ সালে প্রণীত কুদরাত-এ-খুদা কমিশনের প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ২০০০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিকে সময়োপযোগী করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষানীতি প্রণয়ন নিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার জন্য সরকার ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। এ প্রসঙ্গে আমি তিনটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে চাই।

১. ধারাবাহিকতা রক্ষা: স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন নামে ও আদলে বাংলাদেশে নয়টি শিক্ষা-বিষয়ক কমিশন বা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি এবং শিক্ষা-বিষয়ক টাস্কফোর্সও রয়েছে। কিন্তু কোনো সরকারই পূর্ববর্তী কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি। প্রতিবারই নতুন কমিশন বা কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নতুন প্রতিবেদন এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে অধ্যাপক মোহাম্মদ শামসুল হককে সভাপতি করে যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন করে, সেটির প্রতিবেদনও আওয়ামী লীগ সরকারই বাস্তবায়িত করেনি। বদলে সেই প্রতিবেদনের আলোকে ২০০০ সালে জাতীয় শিক্ষা কমিটি নামে গঠিত আরেকটি কমিটি একটি ক্ষুদ্রাকৃতির প্রতিবেদন তৈরি করে, যেখানে শিক্ষানীতি ও তা বাস্তবায়নে কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে, তার খাতওয়ারি প্রাক্কলন দেওয়া হয় (সমীর রঞ্জন নাথ, শিক্ষা: আশা, বাস্তবতা, নব আশা, ২০০৯)। এ কাজটির যৌক্তিকতা কী ছিল জানি না, তবে বাংলাদেশে এটিই সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদে আলোচনার পর জাতীয় নীতি হিসেবে গৃহীত হয়। এরপর বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এসে এটিকে উপেক্ষা করে প্রথমে নতুন শিক্ষা সংস্কার বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং পরে মোহাম্মদ মনিরুজ্বামান মিঞাকে সভাপতি করে নতুন কমিশন গঠন করে। আগের সরকারের আমলে প্রণীত প্রতিবেদন বা নীতিকে অগ্রাহ্য করার এ রকম ইতিহাসে আমরা সমৃদ্ধ!
এবার যেহেতু ২০০০ সালের শিক্ষানীতিকে সময়োপযোগী করার কথা বলা হয়েছে, তাই আশা করেছিলাম, এ সরকার পুরোনো পথে না গিয়ে আগের সব প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর ২০০০ সালের শিক্ষানীতিকে সময়োপযোগী করার নির্দেশনা দেবে। কিন্তু সেই উপেক্ষার ঐতিহ্যই বজায় থাকল। রাজনৈতিক মত ও পথের দূরত্ব যতই থাকুক না কেন, একেকটি কমিশনের প্রতিবেদন একেক দিক দিয়ে বিশিষ্টতা অর্জন করে। তা ছাড়া প্রতিটি প্রতিবেদনেই তৎকালীন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় দর্শনের প্রতিফলন ঘটে। এককভাবে কোনো প্রতিবেদনই অন্যগুলোর তুলনায় পুরোপুরি শক্তিশালী নয়, প্রতিটিরই ভালো-মন্দ আছে। সুতরাং সরকার ও বর্তমান কমিটির প্রতি প্রস্তাব থাকবে, স্বাধীনতার পর গঠিত প্রতিটি কমিশন ও কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে তারপর যেন ২০০০ সালের শিক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করা হয়। এতে বর্তমান প্রতিবেদনের আগের সব প্রতিবেদনের ইতিবাচক দিকগুলোকে ধারণ করে অনন্য হয়ে ওঠার সুযোগ থাকবে। তা ছাড়া পূর্ববর্তী সরকারের কাজকে উপেক্ষার যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার একটা ক্ষেত্রও তৈরি হবে।

২. প্রতিবেদন তৈরির সময় বাড়ানো: বিদ্যমান শিক্ষানীতি পর্যালোচনা বা নতুন শিক্ষানীতি তৈরি, যা-ই হোক না কেন, এ কাজের জন্য তিন মাস যথেষ্ট নয়। কারণ, সার্বিক শিক্ষার দর্শন নির্ধারণ থেকে শুরু করে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা কীভাবে চলবে এবং ভবিষ্যতে এর গতিপ্রকৃতি কেমন হবে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখাই ধারণ করবে এ শিক্ষানীতি। সরকার এবং কমিটির সদস্যরা ভালো করেই জানেন, শিক্ষানীতি প্রণয়নের সময় শিক্ষার সার্বিক চাহিদা নিরূপণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা দরকার। আমাদের দেশে এখনো শিক্ষা ও গবেষণার সংস্কৃতি ভালোভাবে গড়ে ওঠেনি। ফলে শিক্ষার কোন পর্যায়ে কী চাহিদা রয়েছে, সেটি তাৎক্ষণিকভাবে জানা দুরূহ। তা ছাড়া শিক্ষানীতি প্রণয়নের সময় সুশীল-সমাজ, রাজনীতিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মতামত জানাও গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কমিটির সদস্য ও সাধারণ মানুষের বোঝাপড়াটাও এক জায়গায় নিয়ে আসা চাই। এ কাজগুলো কোনোমতেই তিন মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। শুধু ২০০০ সালের শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করলেও অনেক কিছু বাদ পড়ার অবকাশ থাকতে পারে। কারণ, এরপর ১০টি বছর পার হয়েছে। পরিস্থিতি বদলেছে অনেক। আর বর্তমান সময়ের চাহিদা জানার জন্য বেশ কিছু মাঠ-গবেষণা দরকার। এছাড়া দার্শনিক বা তত্ত্বগত দিক দিয়ে এ কমিটির প্রতিবেদন সমৃদ্ধিশালী তো হবেই না, উপরন্তু তাতে বাস্তব অবস্থা প্রতিফলিত না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

অতীতের শিক্ষানীতিগুলোতে অদূর-ভবিষ্যতে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা কেমন হবে, কীভাবে তা পূরণ করা হবে, চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের শিক্ষা-ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত−এ বিষয়গুলো তেমন গুরুত্ব পায়নি। বর্তমানে বিশ্বে চাহিদাভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি তৈরির প্রক্রিয়া গড়ে উঠেছে।

বাংলাদেশকেও ঠিক করতে হবে অন্তত আগামী ১০ বছরে কোন খাতে কী পরিমাণ দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। তার জন্য ব্যাপক গবেষণা ও চাহিদা নিরূপণ এবং সেই অনুযায়ী সুপারিশ প্রণয়ন করা দরকার। এবং এর জন্য তিন মাস সময় কোনো অর্থেই যথেষ্ট নয়। সরকার একটি স্থায়ী শিক্ষানীতি চায়। প্রশ্ন হলো, প্রথমবারের মতো ‘স্থায়ী শিক্ষানীতি’ প্রণয়নের জন্য তিন মাস সময় কি যথেষ্ট? এত দিন আমাদের শিক্ষা স্থায়ী শিক্ষানীতি ছাড়াই চলতে পেরেছে, একটি ভালো শিক্ষানীতির জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করাই যায়।

৩. সমৃদ্ধ কমিশন চাই: প্রায় প্রতিটি শিক্ষা কমিশন বা কমিটিতে শিক্ষাবিজ্ঞানী বা শিক্ষা গবেষকের অন্তর্ভুক্তির হার অত্যন্ত কম দেখা গেছে। বর্তমান কমিটির সদস্যরা সবাই জ্ঞানী-গুণী ও যশস্বী। কিন্তু তাঁরা ছাড়াও শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটিতে আরও কিছু শিক্ষাবিজ্ঞানী ও শিক্ষার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পৃক্ত, অভিজ্ঞ গবেষককে অন্তর্ভুক্ত করলে ভালো হতো। শিক্ষানীতিতে বেশ কিছু দিক আছে যেখানে রাষ্ট্র-দার্শনিক দিক, অর্থনৈতিক দিক, কাঠামোগত সংস্কার ও জ্ঞানতত্ত্বের আধুনিক দিক এবং চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন কাঠামোতে উত্তরণ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় গুরুত্ব পায়। তাই শিক্ষানীতি প্রণয়নে দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিক, শিক্ষা প্রশাসক, শিক্ষক ইত্যাদি সব পেশার মানুষের মতামতের সম্মিলন প্রয়োজন। মতামতের সম্মিলনের কাজটি যথাযথ ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে শিক্ষাবিজ্ঞানীরা ভালোভাবে করতে পারবেন। মনে রাখা দরকার, শিক্ষা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ভিন্নতর হতে বাধ্য। সবার কাজই বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বের দাবিদার। যেহেতু বর্তমান কমিটি প্রয়োজনানুসারে বিভিন্ন ব্যক্তিকে এ কাজে কো-অপ্ট করতে পারবে। সে অনুযায়ী শিক্ষা বিষয়ে যাঁদের একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে এবং যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা বিষয়ে গবেষণা করছেন, তাঁদের অধিক হারে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হবে।

আমাদের দেশে সাধারণত শিক্ষার রাজনৈতিক দিকটি প্রাধান্য পায়, অর্থনৈতিক দিকটি আসে তার পরপরই; শিক্ষাতত্ত্বের অনেক বিষয়ই অনেক সময় থাকে উপেক্ষিত। শিক্ষা, শিক্ষাতথ্য ও শিক্ষাতত্ত্ব নিয়ে যাঁরা নীরবে কাজ করেন, বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার বাস্তব প্রয়োগ ঘটান যাঁরা, তাঁরা এ ধরনের বড় নীতি-নির্ধারণী ক্ষেত্রগুলোতে প্রায়ই উপেক্ষিত থাকেন। এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে তা আমাদের শিক্ষার জন্যই মঙ্গলকর হবে।

অন্যদিকে বিশেষত, শিক্ষার মাধ্যমে কোন ধরনের মানুষ তৈরি হবে, তারা সমাজলগ্ন থাকবে কি না, কী হবে তাদের নৈতিকতা সেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা চাই। শিক্ষাই জাতিগঠনের প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। সেই ধাপে এক গুণ অবহলো বা ত্রুটি থেকে গেলে বহুগুণে তার খেসারত দিতে হয়। শিক্ষা কেবল ব্যবস্থাপনার বিষয় নয়, তা নতুন মানুষ তৈরিরও বিষয়।


মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তিন পয়েন্টেই একমত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ বলাইদা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

একমত, তবে লেখাটায় শিক্ষার আদর্শিক দিক নিয়ে কিছু প্রস্তাবনা থাকলে ভাল হতো। আশা করি পরের লেখায় সেটা পাব।

ধন্যবাদ গৌতম।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

গৌতম এর ছবি

আপনাকে আর ধন্যবাদ দিলাম না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ফারুক হাসান এর ছবি

প্রথমালোতে পড়লাম

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

একমত।

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনিই বলেছেন, শিক্ষানীতি সরকার বদলের সাথে সাথে বদলায়। তাহলে, আমরা স্থায়ী শিক্ষানীতি কিভাবে পাবো? এখন পর্যন্ত আমরা কম করে হলেও এক হালি শিক্ষানীতি পেয়েছি, কিন্তু কোনোটাতেই আমরা সন্তুষ্ট না। ব্যাপারটা কি এমন যে, আমরা শিক্ষানীতিগুলো প্রয়োগ ও পর্যালোচনা করে দেখেছি এবং নিশ্চিত হয়েছি যে, ওগুলোতে মৌলিক পরিবর্তন দরকার। আমার তা মনে হয় না। মুশকিল হচ্ছে, দ্বিমতের জায়গাটা শিক্ষা না, অন্য কিছু।

কোনো কিছুতেই কেন জানি আমরা ঐক্যমতে পৌছাতে পারিনা। এই যে, বিদ্যুতের ভয়াবহ সমস্যা; অথচ কতদিন হয়ে গেল আমরা একটা কয়লানীতি এখনো করতে পারলাম না।

আশা করছি, এবার আসলেই ভালো এবং দীর্ঘস্থায়ী কিছু হবে।

গৌতম এর ছবি

স্থায়ী শিক্ষানীতি পাওয়ার উপায় হচ্ছে একটি স্বাধীন ও স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করা। যেটি সরকার বদলের পরপরই পরিবর্তিত হবে না। এই স্থায়ী শিক্ষা কমিশনই দেশের শিক্ষার গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করবে। ফলে রাজনৈতিক সরকার আসলে গেলেও দেশের শিক্ষা চলবে স্থায়ী শিক্ষা কমিশনের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে।'

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।