সেক্স এবং জেন্ডার- পার্থক্যটা যেখানে

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: বুধ, ১৯/০৮/২০০৯ - ১:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেক্স এবং জেন্ডার- দুটি শব্দকেই সাধারণভাবে আমরা লিঙ্গ বলে থাকি। আভিধানিকভাবেও জেন্ডার শব্দটির অর্থ লিঙ্গ। ব্যাকরণ পড়তে গিয়ে আমরা দেখেছি জেন্ডার শব্দটির প্রতিশব্দ করা হয়েছে লিঙ্গ, যেমন- পুংলিঙ্গ, স্ত্রীলিঙ্গ, ক্লিবলিঙ্গ ও উভয়লিঙ্গ। জেন্ডার বিষয়টিকে নিয়ে যখন থেকে নড়াচড়া শুরু হয়, তখন প্রথমদিকে জেন্ডারকে লিঙ্গের প্রতিশব্দ বা ইংরেজি শব্দের আক্ষরিক অর্থ হিসেবেই মনে করা হতো। লিঙ্গ শব্দটি দিয়ে যেভাবে জৈবিক বা শারীরিক প্রপঞ্চকে প্রকাশ করা হয়, তাতে এর সামাজিক দিকগুলো সুস্পষ্টভাবে বুঝায় না। তাই পরবর্তী সময়ে এই ধারণা থেকে সরে আসা হয়েছে। বর্তমানে সাহিত্য, আলোচনা বা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জেন্ডার শব্দটি ভিন্ন ও ব্যাপকতর অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং দুটো শব্দেরই আলাদা ও সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে। উল্লেখ্য যে, সেক্স ও জেন্ডারের মধ্যে এই পার্থক্যের সূচনা কিন্তু নারীবাদীরা করেন নি; কিন্তু জৈবিক বা শারীরিক প্রপঞ্চের প্রকাশ থেকে ভিন্নতর প্রেক্ষাপট তুলে ধরার জন্য মনোবিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম এই শব্দটির ব্যবহার শুরু করেন, পরে নারীবাদীরা এটিকে অনুসরণ করেন।

সেক্স কী?
সেক্স হচ্ছে নারী ও পুরুষের মধ্যকার বৈশিষ্টসূচক ভিন্নতা যা শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নারী-পুরুষের স্বাতন্ত্র্য নির্দেশ করে। এটি শারীরবৃত্তীয়ভাবে নির্ধারিত নারী-পুরুষের প্রাকৃতিক প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বা জৈবিক কারণে সৃষ্ট এবং অপরিবর্তনীয়।

জেন্ডার কী?
জেন্ডার হচ্ছে নারী ও পুরুষের সামাজিক পরিচয় যা একইসাথে সামাজিকভাবে নারী-পুরুষের সম্পর্ক ও ভূমিকাকে নির্দেশ করে। এতে নারী ও পুরুষের সাথে সম্পর্কিত মনস্তাত্বিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বোধটি প্রাধান্য পায় বেশি। ফলে সমাজ, পরিবেশ ও স্থান বদলের সাথে সাথে জেন্ডার-ধারণা পরিবর্তিত হতে পারে।

পার্থক্য কোথায়?
অ্যান ওকলের (http://www.annoakley.co.uk/) মতে, সেক্স শারীরিক বৈশিষ্ট্য বহন করে। আর জেন্ডার একটি নির্দিষ্ট সমাজে সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে নির্ধারিত বিশিষ্টতা নির্দেশ করে।একজন নারী ও পুরুষের কার কী রকম পোশাক-পরিচ্ছদ হবে; কে কী রকম আচার-আচরণ করবে; আশা-আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা কার কী রকম হবে; সমাজের নানা ধরনের কাজে একজন নারী বা একজন পুরুষের ভূমিকা কী হবে;মানসিক গঠনের দিক দিয়ে একজন নারী বা পুরুষ কী রকম হবে; সমাজ ও সংস্কৃতি নির্ধারিত এই বিষয়গুলোর ব্যাখ্যাদাতা হচ্ছে জেন্ডার।

উপর্যুক্ত বক্তব্য অনুযায়ী, সেক্স বিষয়টি পুরোপুরি শরীরের উপর নির্ভরশীল কিন্তু জেন্ডার নির্ভরশীল সমাজের উপর। যেহেতু নারী বা পুরুষের দায়িত্ব, কাজ ও আচরণ মোটামুটি সমাজ কর্তৃক নির্ধারিত হয়, তাই সমাজ পরিবর্তন বা সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে জেন্ডার ধারণা বদলে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ- আমরা যখন কাউকে ‘নারী’ বা ‘পুরুষ’ হিসেবে চিহ্নিত করি, তখন সেখানে জৈব-লিঙ্গ নির্দেশ করাটাই মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাড়ায়। কিন্তু ‘মেয়েলি’ বা ‘পুরুষালি’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে জেন্ডার প্রপঞ্চকে যুক্ত করা হয় যেখানে নারী বা পুরুষের লিঙ্গীয় বৈশিষ্ট্যকে ছাপিয়ে স্বভাব-আচরণগত ইত্যাদি বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়। আর এ কারণে সেক্সকে জৈবলিঙ্গ এবং জেন্ডারকে সামাজিক লিঙ্গ বলে অনেকে অভিহিত করেন।

মোট কথা সেক্সের সাথে সম্পর্কযুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো শারীরিক বা জৈবিক, সর্বজনীন, অপরিবর্তনীয় এবং প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট।

অন্যদিকে জেন্ডারের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্বিক; সমাজ ও সংস্কৃতিভেদে তা ভিন্ন হতে পারে এবং এটি পরিবর্তনীয়।

শ্রমবিভাজনেও সেক্স ও জেন্ডারের মধ্যকার পার্থক্যগুলো সুস্পষ্ট। নারী ও পুরুষ তার শারীরিক গঠনের কারণে যে কাজ বা ভূমিকা পালন করে, সেগুলোকে সেক্সভিত্তিক শ্রম বিভাজন বলা হয়। যেমন- বংশরক্ষায় নারী ডিম্বাণু সরবরাহ করে,শিশুকে স্তন পান করায়, অপরদিকে পুরুষ শুক্রাণু সরবরাহ করে। অন্যদিকে নারী ও পুরুষ সামাজিক বা সাংস্কৃতিক রীতিনীতি ও বিশ্বাসের কারণে সে কাজ বা ভূমিকা পালন করে সেগুলোকে বলা হয় জেন্ডারভিত্তিক শ্রম বিভাজন। যেমন- আমাদের দেশে সাধারণ ফেনোমেনা হচ্ছে নারী ঘরের ভিতরে কাজ করবে, পুরুষ কাজ করবে ঘরের বাইরে ইত্যাদি।

সুতরাং শব্দগত দিক দিয়ে দুটো শব্দ পুরোপুরি ভিন্নার্থ বহন করে। বাংলাদেশে একসময় সেক্স ও জেন্ডার- উভয়ক্ষেত্রেই লিঙ্গ শব্দটি ব্যবহার করা হলেও বর্তমানে অর্থগত দিক দিয়ে ভিন্নতা বহন করায় সেক্সের প্রতিশব্দ হিসেবে লিঙ্গ এবং জেন্ডারের জন্য আলাদা কোনো প্রতিশব্দ ব্যবহার না করে জেন্ডার শব্দটি হুবহু ব্যবহার করা হচ্ছে। সুতরাং শারীরিক বা জৈবিক বৈশিষ্ট্যের সাথে সম্পর্কিত কোনো আলোচনায় লিঙ্গ এবং এর বাইরের সব ধরনের আলোচনায় জেন্ডার শব্দটি ব্যবহার করাই শ্রেয় বলে মনে করা হয়।

***
নোট: ‌এনজিওতে কাজ করতে গিয়ে সেক্স ও জেন্ডারের পার্থক্য সম্পর্কে মোটামুটি এই ধরনের কিছু ধারণা পেয়েছি। এগুলোকে কেন্দ্র করে বর্তমানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উন্নয়ন, পুষ্টি ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে জৈবলৈঙ্গিক বৈশিষ্ট্য থেকে জেন্ডারকে পৃথক করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জেন্ডারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এনজিও জেন্ডার কর্মকাণ্ড বা জেন্ডার চেতনার সাথে অনেকক্ষেত্রে ব্যক্তিগতভাবে আমি একমত নই। উদাহরণস্বরূপ- অনেক এনজিওর জেন্ডার কর্মশালায় নারী-পুরুষ বৈষম্যের জন্য ধর্মকে দায়ী করা হয় না; কিন্তু আমার মতে প্রতিটা ধর্মই প্রবলভাবে পুরুষকেন্দ্রিক, পুরুষ-চেতনা পৃষ্ঠপোষক। এরকম আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমার দ্বিমত রয়েছে। আগামী মাসে জেন্ডার বিষয়ক একটা প্রশিক্ষণে যাচ্ছি। সেখান থেকে ফিরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনার আশা রাখি।


মন্তব্য

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

চলুক

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ মানিক ভাই।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রতিটা ধর্মই প্রবলভাবে পুরুষকেন্দ্রিক,

সহমত ।

নৈশী ।

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ, নৈশী। আপনার তো লেখা দেখছি না।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

ফিরে এসে এটার উপরে আরো বিস্তারিত পোস্ট করবেন বলে আশা করছি।

গৌতম এর ছবি

আমিও আশা করি। হাসি তবে জেন্ডার নিয়া এনজিওর মানুষজনের সাথে আমার ক্যাঁচাল লাগে। আসার পর মেজাজমর্জি ভালু থাকে কিনা কে জানে!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার পোস্ট। কাল একজনের পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে আমি একটু ওয়েবে ঘাটাঘাটি করেছিলাম। তখন এ রকম তথ্যই পেয়েছিলাম, তবে বিচ্ছিন্ন। আপনি বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে লিখে দিলেন।

রেটিং দিতে পারছি না, এখনও অতিথিতো তাই। কিন্তু দিতে পারলে ৫ দিতাম।

শুভেচ্ছা রইলো।

গৌতম এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ব্যাপারে আরও কিছু আছে। তবে যেহেতু আগামী মাসে একটা কর্মশালায় যাচ্ছি, ভাবছি ওখান থেকে ফিরে এসেই বিস্তারিত লিখবো।

তারা দেওয়ার ইচ্ছার জন্য আবারও ধন্যবাদ। আপনার কাছ থেকে ৫ তারা আমি নিয়ে নিলাম। হাসি ভালো থাকবেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

ঐ একি জায়গায় কাজ করতে গিয়ে পুরুষকেন্দ্রিক ধারণা/ পিতৃতন্ত্র নিয়ে বিশাল কেচাকেচি করেছি।পরের পোস্ট হবে সেটা নিয়ে।তবে ব্যক্তিগত অভিব্জতা থেকে বলি দেশের ‌এনজিওতে যারা জেন্ডার নিয়ে কাজ করেন, তাদের অনেকরই জেন্ডারের উপর পড়াশুনা খুব কম।
সাজিয়া
shazia[dot]shahnaz[at]gmail[dot]com

গৌতম এর ছবি

আপনার পোস্টের জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষা করছি। এর আগে আমি একদিনের একটা ওয়ার্কশপে অ্যাটেন্ড করেছিলাম। কথাবার্তা শুনে একপর্যায়ে খুব মেজাজ খারাপ হয়েছিলো। আগামী মাসে আবার জেন্ডার নিয়ে একটা কর্মশালায় যাচ্ছি। তখন আশা করি আপনার লেখার সাথে আমিও কিছু যোগ করতে পারবো।

আপনার লেখাটা দ্রুতই চাই। তাহলে কর্মশালায় কথা বলতে আমারও কিছু সুবিধা হবে।

ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নৈষাদ এর ছবি

বিশ্লেষণ ভাল লাগল। দ্রুত কিছু কথা॥॥।্।

জেন্ডারভিত্তিক ‘শ্রম বিভাজন’ শব্দটায় কিছুটা অস্বস্তি হল। পুরুষকেন্দ্রিক সমাজ ব্যাবস্থার জন্য এবং অনেক দিনের বিশ্বাসের কারণে জেন্ডারভিত্তিক 'শ্রম বিভাজন' ব্যাপারটা এসে থাকতে পারে। কিন্তু আমার ধারনা যারা জেন্ডার নিয়ে কাজ করছে তারা এধরনের ব্যাপার থেকে দূরে সরে আসতে চাচ্ছে। চাকুরীক্ষেত্রের নারী-পুরুষ বৈষম্যের ব্যাপারে এই ধারনাটা কি বেশ ক্ষতিকর না?EEO বা European discrimination laws তো একে সাপোর্ট করে না।

জেন্ডার কর্মশালায় যাচ্ছেন – কিছু ব্যাপার বলি, চিন্তা করুন। Affirmative Action বলেতো একটা ব্যাপার আছে জানেন নিশ্চই (যারা জানতে চান wiki তে দেখে নিন), যেটা এনজিওরা অনুসরন করতে চায়। একটা ঘটনার কথা বলি। চাকুরীর প্রথম দিকের ঘটনা, একটা রিক্রুটমেন্ট হবে ফাইনান্স ডিপার্টমেন্ট যেখানে শুধুই পুরুষ, এবং কঠিন লোকজন। একজন মহিলা নিব চিন্তা করলাম আমি এবং ফাইনান্সের প্রধান (যিনি আবার একজন বিদেশি)। এখন দেখুন, যদি একটা ফেয়ার সিলেকশন প্রসেসের মধ্য দিয়ে একজন পুরুষ ভাল করার পরও একজন মহিলা নেই তবে তা হবে একধরনের প্রতারনা, যেটা করা সম্ভব না। আবার যদি সিলেকশন প্রসেসে শুধু মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করি, পরবর্তীতে যিনি কাজে যোগ দিবেন তার জীবন ভাজা ভাজা করে ফেলবে অন্যরা (আরে কিছু জানে না, মহিলা, এজন্য চাকুরী পেয়েছে, .. তার সাথে অশ্লীল হাসি)। কী করবেন আপনি?

এবার অন্য পক্ষে একটা উদাহরন দেই। কিছুদিন আগে হিমু ভাই গৃহক হয়ে যাওয়ার বাসনা জানিয়ে সুন্দর একটা ব্লগ লিখেছিল। রোমান্টিক চিন্তা এবং আমি যেটা সবসময় প্রত্যাশা করি – একজন গৃহক হয়ে যাব। কিন্তু চিন্তা করুন বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে – পাগল হয়ে যাবে সমাজের চাপে (কিছু করে না, বৌয়ের পয়সায় খায়,... বাকী বিশেষণ আর দিলাম না।) কোথায় যাবেন?

উপভোগ করুন আপনার কর্মশালা।

গৌতম এর ছবি

এখানে আসলে যা যা বলেছি, সেগুলো একদিনের একটা কর্মশালা থেকে শেখা। জেন্ডারভিত্তিক 'শ্রম বিভাজন'-এর প্রসঙ্গ ও উদাহরণ সেখান থেকেই ধার করা। আমি নিজেও এই বিষয়গুলো জানতাম না। তবে আগামী মাসে যাওয়ার আগে বেশ কিছু বিষয় পড়াশুনা করেই যাবো। ইতোমধ্যে কিছু ম্যাটারও যোগাড় করেছি।

চাকুরির রিক্রুটমেন্টের ব্যাপারে আমারও একটা অভিজ্ঞতা আছে। জেন্ডার সমতা আনার লক্ষ্যে কিংবা নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার একবার প্রাথমিক স্তরে ৬০% নারী শিক্ষিক নেওয়ার ঘোষণা দেয়। সেখানে পুরুষ প্রার্থীদের সর্বনিম্ন যোগ্যতা ছিলো এইচএসসি পাশ, কিন্তু নারী প্রার্থীদের জন্য এসএসসি পাশ ধরা হয়েছিলো।

বিষয়টি নিয়ে এক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছিলাম। তাঁকে জানিয়েছিলাম, নারী-পুরুষ দু'জনের জন্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা সমান করা হোক। সেখানে যোগ্যতা যাচাইয়ের পর যদি দেখা যায়- যে পরিমাণ শিক্ষক নেওয়া হবে, ততোজন যোগ্য নারী আছে, তাহলে প্রয়োজনে তাদের সবাইকেই নেওয়া হোক। অর্থাৎ কোটার চেয়ে যোগ্যতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। যারা যোগ্যতার সূচকে উত্তীর্ণ, তাদের সবাইকে নিলেও আমার আপত্তি নেই। (আমরা ছোটখাটো মানুষ, আমাদের কথাকে কেউ পাত্তা দেয় না)। এখন দেখা যাচ্ছে, এই ৬০% নারী শিক্ষক নিতেই সরকার হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে!

অন্যপক্ষের উদাহরণও একটা আছে আমার দেঁতো হাসি । ইউনিভার্সিটি পাশ করার পর তিনমাস ইচ্ছাবেকার ছিলাম (যেখানে কাজ করতাম সেখান থেকেও ছুটি নিয়েছিলাম বেকার থাকার জন্য)। তখন একজন চাকুরিরত নারীর জন্য হন্যে হয়ে ঢাকা শহর ঘুরে বেড়িয়েছি, যিনি কিনা বাকি জীবনের জন্য আমার ভরণপোষণের ভার বহন করবেন। চাকুরীরত নারী তো এই দেশে কতোই আছে, কিন্তু একজন মুমিন পুরুষের ভার বহন করতে কেউ রাজি হলো না মন খারাপ

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হুম। বুঝলাম।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

গৌতম এর ছবি

কী বুঝলেন আপা? চিন্তিত

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ গৌতম।
দারুণ পোস্ট। সংক্ষেপে মূল কথা গুছিয়ে বলেছেন।
জেন্ডার বিষয়ক প্রাথমিক ধারনা লাভের জন্য আপনার এই পোস্টটি যে কারও কাজে লাগবে বলে আশা করছি।

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

গৌতম এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ ফিরোজ ভাই। আমার ধারণা এগুলো সবাই জানে। আমি কেবল এখানে একের পর এক লিখে গেছি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

গৌতম, আমার মনে হচ্ছে এই লেখাটা আপনার আরো বিস্তৃত করে লেখা উচিত।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

গৌতম এর ছবি

বিস্তৃত লিখবো কি! আমি তো আর কিছু জানি না!

তবে লেখা প্রকাশের পর এখন পড়ে মনে হচ্ছে ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থীর জন্য গাইড বই লিখেছি দেঁতো হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

এনকিদু এর ছবি

কিন্তু আমার মতে প্রতিটা ধর্মই প্রবলভাবে পুরুষকেন্দ্রিক, পুরুষ-চেতনা পৃষ্ঠপোষক।

এখানে আমার একটু আপত্তি আছে । সম্ভব সঠিক কথাটি হবে, ব্যক্তিগত মালিকানা ধারনা মানব সমাজে প্রবেশ করার পর থেকে যেসব ধর্মের ঊদ্ভব ঘটেছে সেসব ধর্ম পুরুষকেন্দ্রিক ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

গৌতম এর ছবি

আমি আসলে সেটাই বলতে চেয়েছি।

তবে দেবদাস মুখোপাধ্যায়ের মতে, মালিকানার ধারণা প্রচলনের আগে ধর্মটা ঠিক ধর্মের আকারে ছিলো না। হিংস্র পশু থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো মতো বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার একটা উপকরণ ছিলো এই ধর্ম। মালিকানা প্রথা চালু হওয়ার সময় এতে নানা অনুষঙ্গ ঢুকে যায়, যার একটি হচ্ছে কালচার। আর কালচারের সাথেই পুরুষতান্ত্রিকতা জায়গা করে নেয়।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অনিকেত এর ছবি

দারুন লেখা---পছন্দের পোষ্টে ঢুকে গেল সরাসরি----

শুভেচ্ছা রইল

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ, অনিকেত দা। মেঘ বলেছে যাবো যাবো-র পর আর গান কই?

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রণদীপম বসু এর ছবি

সেক্সের বাংলা পরিভাষা যেহেতু লিঙ্গ, তাই জেন্ডারকে আমরা হয়তো লৈঙ্গিক অবস্থা বা লৈঙ্গিক দশা বলতে পারি। তবে আপনার পোস্টেই একটা যুথ-শব্দ রয়েছে জৈব-লিঙ্গ, ভাবছি জেন্ডারের পরিভাষা হতে পারে কি না !

ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অভিজিৎ এর ছবি

জৈব-লিঙ্গ, ভাবছি জেন্ডারের পরিভাষা হতে পারে কি না !

না তা বোধ হয় পারে না। আপনি যদি গৌতমের লেখাটা মন দিয়ে আরেকবার পড়েন তাহলে দেখবেন, গৌতম বলতে চেয়েছেন জৈব-লিঙ্গ হচ্ছে সেক্স সংক্রান্ত লিংগ - যা কেবল শারীরিক বৈশিষ্ট্য বহন করে। অর্থাৎ, সেক্স ব্যাপারটা 'বায়োলজিকাল' (সেজন্যই জৈব লিংগের প্রয়োগ সেক্সের সাথেই যাওয়া উচিৎ), আর জেন্ডার ব্যাপারটা 'কালচারাল'। তাই আমি মনে করি সেক্স বলতে জৈবলিংগ এবং জেন্ডার বলতে সামাজিক/সাংস্কৃতিক লিংগ ব্যবহার করা যেতে পারে।

আরো দু চার কথা বলি। গৌতমের সময়োপযোগী লেখাটা খুবই ভাল হয়েছে। খুব কম কথায় আসল ব্যাপারটা তুলে ধরা হয়ছে (যেটা করতে আমি বরাবরই ব্যর্থ হাসি )। কিন্তু তারপরেও কিছু ব্যাপারের সাথে দ্বিমত করছি। গৌতম যেভাবে সেক্সের সংজ্ঞা দিয়েছেন, তাতে শুধু নারী - কিংবা পুরুষ - এই দুইই স্থান পেয়েছে - অস্বীকার করা হয়েছে, উভলিংগ সত্ত্বাকে কিংবা অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বকে। যেমন, আমি আমার 'সেক্স বনাম জেন্ডার - কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনা' লেখাটিতে দেখিয়েছি - পশ্চিমা বিশ্বের বহু জায়গায় ইতোমধ্যেই কেবল নারী-পুরুষ – এই দ্বিলিঙ্গভিত্তিক সমাজ ঘুচিয়ে দিয়ে বহুলিঙ্গভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস নেয়া হচ্ছে। এই ধারনার সাথে সঙ্গতিপুর্ণ পেপার লিখছেন অনেক জীববিজ্ঞানীই। Anne Fausto-Sterling এর Two Sexes Are Not Enough কিংবা সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত The Five Sexes: Why Male and Female Are Not Enough প্রবন্ধ দুটি পড়া যেতে পারে। তিনি 'নারী' এবং 'পুরুষ' এই দুই পদের পাশাপাশি হার্মস ( ট্রু হার্মাফ্রোডাইট), নার্মস (মেল সুডো হার্মাফ্রোডাইট) এবং ফার্মস (ফিমেল সুডো হার্মাফ্রোডাইট) -এর প্রস্তাব করেছেন। লেখকের 'সেক্সিং দ্য বডি' বইটি পড়ে দেখা যেতে পারে।

আসলে যারা সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন, তাদের উচিৎ কেবল সংখ্যাগরিষ্ঠদের কথা না ভেবে সামগ্রিক জীববৈচিত্রকে মাথাইয় রাখা। রাফ গার্ডেনের 'ইভলুশন রেইনবো' এদিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপুর্ণ।

আরেকটি ব্যাপার- গৌতম লিখেছেন -

অন্যদিকে জেন্ডারের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলো সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মনস্তাত্বিক; সমাজ ও সংস্কৃতিভেদে তা ভিন্ন হতে পারে এবং এটি অপরিবর্তনীয়

শব্দটি বোধ হয় 'পরিবর্তনীয়' হবে। যেমন, অনেকেই মনে করেন বায়োলজিকাল' বা স্কসুয়াল' পার্থক্যের জন্য - ধরেই নেন - নারী ঘরের ভিতরে কাজ করবে, পুরুষ কাজ করবে ঘরের বাইরে ইত্যাদি এবং দাবী করেন এটাই ‘প্রাকৃতিক’। নারীবাদীরা এই ধরণের মনোভাবকে ‘পিতৃতান্ত্রিক’ শোষণ হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য দূর করতে চান। বলা বাহুল্য, এখানে লৈঙ্গিক বৈষম্য দূর করা বলতে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বৈষম্যগুলোই দূর করার কথা বলা হয়। অর্থাৎ, নারী পুরুষে জৈবিক বা ‘সেক্সুয়াল’ পার্থক্য মেনে নিয়েই জেন্ডারগত বৈষম্যগুলো দূর করার জন্য কাজ করেন। সেক্সুয়াল পার্থক্য 'অপরিবর্তনীয়' হলেও জেন্ডারগত পার্থক্যগুলো তা নয়।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

গৌতম এর ছবি

জৈব-লিঙ্গ হচ্ছে সেক্স সংক্রান্ত লিংগ - যা কেবল শারীরিক বৈশিষ্ট্য বহন করে।

ঠিক।

যেটা করতে আমি বরাবরই ব্যর্থ

ব্যর্থ কিনা সেটা আমরা পাঠকরা ভালোভাবেই বুঝতে পারি। আর আমি তো কোনো লেখকই না। ব্লগ না থাকলে আমার লেখা কেউ কোথাও কোনোদিন ছাপার অক্ষরে দেখতো বলে মনে হয় না।

আর হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, ওটা পরিবর্তনীয় হবে। ঠিক করে দিলাম। ধন্যবাদ।

এখানে আসলে আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ে আপত্তি করেছেন, সেগুলো যথার্থ। তবে লেখার বক্তব্যগুলো আসলে পুরোপুরি আমার নয়। একটি কর্মশালা থেকে যা শেখানো হয়েছে, বলা ভালো বাংলাদেশে জেন্ডারকে যে পরিপ্রেক্ষিত থেকে যেভাবে দেখা হয়, আমি শুধু সেগুলোই তুলে ধরেছি। আর ওখানে এ ধরনের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমার সাথে তর্কবিতর্ক হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে তেমন কোনো পড়ালেখা বা তাত্ত্বিক ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকায় অনেক কিছু বলতে পারি নি। স্বাভাবিক প্রবৃত্তি থেকে যেগুলো মনে এসেছিলো, শুধু সেগুলোই ব্যক্ত করতে পেরেছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

হিমু এর ছবি

জেন্ডারের বাংলা করা যেতে পারে অধিলিঙ্গ। লিঙ্গকে ছাড়িয়ে, আরো ব্যাপক কোনো গিয়ানজাম বোঝাতে ... ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

গৌতম এর ছবি

আচ্ছা, লিঙ্গ শব্দটা বাদ দিয়ে কিছু করা যায় না। শুনতেই কেমন যেন লাগে! চোখ টিপি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

গ্রেট!
এনজিও-তে কাজ করার কিছু অভিজ্ঞতায় এবং অবজার্ভেশন মিলিয়ে আমি মোটামুটি এরকমটিই জানতাম। তবু, আপনার গোছানো লেখাটা বেশ ভালো রসদ জোগালো গৌতমদা'।
ওয়ার্কশপের পরে আরো শোনার আশা রইলো।
চলুক
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। ওয়ার্কশপে গত মাসে শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হয় নাই- কাজের চাপে। তবে শেষ পর্যন্ত যেতেই হবে মন খারাপ ছাড়ান নাই।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।