পর্বতসম ক্ষতির পর প্রসবিত মূসিক: কোপেনহেগেন সন্ধি

গৌতম এর ছবি
লিখেছেন গৌতম (তারিখ: মঙ্গল, ২২/১২/২০০৯ - ২:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক সম্মেলন কোপেনহেগেন-২০০৯

জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক সম্মেলন কোপেনহেগেন-২০০৯-এর শেষ দিনে একটি একটি সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। নানা কারণে বিতর্কিত এই সম্মেলনের সন্ধিটিও সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় নি। সুদান, বলিভিয়া, কিউবা, টুভালু, নিকারাগুয়া, ভেনেজুয়েলাসহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র এই সন্ধির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কী আছে এই সন্ধিতে? হিউম্যানিটিওয়াচ-এর প্রধান নির্বাহী হাসান মেহেদী সন্ধিটি বাংলায় ভাষান্তর করেছেন এবং 'নীতি ভাষান্তর সিরিজ'-এর আওতায় পুস্তিকাকারে প্রকাশ করেছেন। ভাষান্তরিত সন্ধিটি ওয়েবে প্রকাশের জন্য অনুমতি চাওয়া হলে তিনি সাথে সাথেই সম্মতিপ্রদান করেন। সেজন্য তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এতে মুদ্রণমাধ্যমের পাশাপাশি ওয়েব জগতেও সন্ধিটির বাংলা অনুবাদ পাওয়া সহজতর হয়ে গেলো। কারিগরি ত্রুটির কারণে চুক্তির সাথে থাকা পরিশিষ্ট দুটো এই মুহূর্তে লেখার সাথে সংযুক্ত করা গেলো না। সেগুলো ঠিক করে খুব তাড়াতাড়িই লেখার শেষে যুক্ত করে দেওয়া হবে। কয়েকটি বানান ঠিক করা ছাড়া এই লেখায় আমার কোনো কাজ নেই। লেখার ভূমিকা বা গোড়ার কথাটুকুও হাসান মেহদীর লেখা।

গোড়ার কথা
কথাটা শুরু হয় ২০০৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কর্মকাঠামো সনদ (ইউএনএফসিসিসি) সচিবালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ত্রয়োদশ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে (সিওপি-১৩) প্রশ্ন ওঠে- ২০১২ সালে কিয়োটো প্রোটোকলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পর কী হবে? ওই সম্মেলনে গৃহীত ‘বালি রোডম্যাপ’-এ বলা হয়, ২০০৯ সালে কোপেনহেগেন সম্মেলনে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আশায় বুক বাঁধে পৃথিবীর শুভকামী ও চরম দুর্গত মানুষ। এবার বোধ হয় বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদীভাঙন, লবণাক্ততা, পানীয় জলের সঙ্কট, কৃষি বিপর্যয় আর মানবমৃত্যুর খড়্গ থেকে মুক্তি পাবার একটি উপায় বের করবেন বিশ্বনেতৃত্ব। কিন্তু, না! গত ১৮ ডিসেম্বর (প্রকৃতপক্ষে ১৯ ডিসেম্বর) এমন একটি রাজনৈতিক চুক্তি গ্রহণ করা হলো যার মধ্যে নেই কার্বন দূষণ কমানোর কোনো সময়সীমা, নেই আইনি বাধ্যবাধকতা, নেই ঝুঁকি নিরসনে সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি। ভারত ও চীনের তীব্র বিরোধিতার মুখে এ সন্ধিতে একদিকে যেমন গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসের কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা হয় নি, অন্যদিকে উষ্ণায়ন প্রতিরোধে তাদের কাজগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষণেরও কোনো সুযোগ রাখা হয় নি। আবার, সারা পৃথিবীর অধিকারকর্মীসহ সাধারণ মানুষের দাবি উপেক্ষা করে অভিযোজন তহবিলে অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে।

কোপেনহেগেন সম্মেলনে (সিওপি-১৫) দীর্ঘ ১২ দিনের (৭-১৮ ডিসেম্বর ২০০৯) গভীর আলোচনা, তুমুল বিতর্ক ও তীব্র আন্দোলনে দেখা যায় তীব্র মতপার্থক্য। ‘উন্নত বনাম স্বল্পোন্নত’, ‘অগ্রসর উন্নয়নশীল বনাম উন্নত’, ‘দ্বীপরাষ্ট্র বনাম সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ ইত্যকার নানা দল-উপদলীয় স্বার্থে পৃথিবী বিভক্ত হয়ে যায়। হঠাৎ করেই ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে (ক্যালেন্ডারে ১৮ ডিসেম্বর) ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীনের সরকারপ্রধানদের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ব্রাজিলকে সংযুক্ত করে একটি বহুপাক্ষিক সন্ধি (Accord) স্বাক্ষর করেন।

ব্যাসিক নামে পরিচিত এই চারটি অগ্রসর উন্নয়নশীল দেশ এ সম্মেলনের আগেই নিজেরা একমত হয় যে, আর্থিক সাহায্য ছাড়া তারা কোনো ক্রমেই গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর ব্যাপারে সম্মত হবে না। উল্লেখ্য, এ দেশগুলোর অর্থনীতি খুবই দ্রুতগতিতে শক্তিশালী হচ্ছে। মাথাপিছু গ্রিনহাউজ নির্গমন এখনও পর্যন্ত কম কিন্তু মোট জাতীয় [গ্রিনহাউজ গ্যাস] নির্গমনের দিক দিয়ে এ দেশগুলোর অবস্থান প্রথম সারিতে। এছাড়া মাথাপিছু নির্গমনের হারও বাড়ছে হু হু করে।

১৮ ডিসেম্বর ২০০৯ সকালে বারাক ওবামা সম্মেলনের সকল সদস্যকে সন্ধিটি অনুমোদন করার আহ্বান জানান। ল্যাটিন আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ এ প্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধিতা করে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ বলেন, ‘সম্রাট (ওবামা) এলেন মধ্যরাতে, অন্ধকারের মধ্যে। এরপর সবাইকে পাশ কাটিয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে একটি চুক্তি চাপিয়ে দিতে চাইছেন। এটা অগ্রহণযোগ্য।’ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশীদ বললেন, ‘আমরা খুবই বিপজ্জনক অবস্থায় আছি কেননা এখানেও বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা বা অন্যান্য বহুপাক্ষিক আলোচনার মতো মেরুকরণ হচ্ছে।’

অপরদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো এ সন্ধির পক্ষে অবস্থান নেয়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাই সারকোজি বলেন, ‘এ সন্ধি আশানুরূপ নয়, তবে কিছু না হবার চাইতে ভালো।’ ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জোট (Alliance of Small Island States - AOSIS)-এর প্রধান ডেসিমা উইলিয়ামস বলেন, ‘আমরা এই সন্ধিটির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছি যদিও এতে অনেক কিছুই আছে যা আমরা চাই না; আবার যা চাই তার অনেক কিছুই এতে নেই।’

এরই মধ্যে ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিলের সাথে বাংলাদেশ, জার্মানি, ফ্রান্সসহ আরো কয়েকটি দেশকে জুড়ে দিয়ে ২৫ জন প্রতিনিধিকে একটি খসড়া চুক্তি প্রণয়ন করার দায়িত্ব দেয়া হয়। তাঁরা পূর্বের সন্ধিটিই সামান্য কাটছাঁট করে সম্মেলনে হাজির করেন।

সারাদিন সারারাত প্রায় ২৩ ঘণ্টা ধরে তর্ক-বিতর্কের পর ১৯ ডিসেম্বর সকালে বলিভিয়া, কিউবা, নিকারাগুয়া, সুদান, টুভালু ও ভেনেজুয়েলাসহ কয়েকটি দেশের তীব্র দ্বিমতের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্যাসিক-এর মধ্যে স্বাক্ষরিত সন্ধিটি সম্মেলনে গৃহীত হয়। সর্বসম্মতিক্রমে না হওয়ায় ভিন্নমতগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়। উল্লেখ্য, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার মতো ইউএনএফসিসিসির সকল সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে হবার বিধান রয়েছে। এ চুক্তিটি ‘কোপেনহেগেন সন্ধি’ (Copenhagen Accord) নামে পরিচিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

নিচের অনুবাদটি কোপেনহেগেন অ্যাকর্ড-এর ইংরেজি আইনি নথি বাংলায় ভাষান্তর করার সময় মূলত বক্তব্যের মূলসুরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভাষার গঠন ও ভাবপ্রকাশজনিত সমস্যার সামনে পড়ে বাধ্য হয়ে শব্দ সংযোজন বা বিয়োজন করা হয়েছে। মাত্র ১২ অনুচ্ছেদের এই সন্ধিতে কোনো পাদটীকা না থাকলেও বাংলাভাষী পাঠকদের জন্য সংশ্লিষ্ট তথ্যসূত্র ও শব্দসংক্ষেপের বিবরণ পাদটীকায় দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোনো কোনো পরিভাষার অংশবিশেষ ব্যবহার করা হয়েছে বিধায় তৃতীয় বন্ধনী []র মধ্যে শব্দটির বাকি অংশ দেয়া হলো। বিশেষ শব্দসংক্ষেপ বা পরিভাষা বুঝানোর জন্য উর্ধ্বকমা ব্যবহার করা হয়েছে।

আমাদের জীবন ও জীবিকার উপর প্রভাব বিস্তারকারী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতি-চুক্তি-সনদগুলো সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকারকর্মীদের কাছে সহজবোধ্য করার অভিপ্রায়ে ভাষান্তর করার উদ্যোগ নেয়া হয়। আশা করছি, বাংলাভাষীদের জন্য এ ভাষান্তর কাজে লাগবে।

কোপেনহেগেন সন্ধি
পক্ষসমূহের সম্মেলন-১৫
পঞ্চদশ অধিবেশন
কোপেনহেগেন, ৭-১৮ ডিসেম্বর ২০০৯

জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন-২০০৯-এ কোপেনহেগেনে উপস্থিত রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, মন্ত্রী ও বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের প্রধানগণ,

জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কর্মকাঠামো সনদের ২য় অনুচ্ছেদে বর্ণিত সনদের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য অনুসরণ করে,

সনদের মূলনীতি ও শর্তাবলী দ্বারা নির্দেশিত হয়ে,

‘দীর্ঘমেয়াদি সহায়তামূলক কর্মসূচি’-সংক্রান্ত অ্যাডহক ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং ‘কিয়োটো প্রটোকলের সংযুক্তি-১’-র আওতাভূক্ত দেশগুলোর পুনর্প্রতিশ্রুতি’ সংক্রান্ত অ্যাডহক ওয়ার্কিং গ্রুপের সম্পাদিত কাজের ফলাফল মনে রেখে,

পক্ষসমূহের সম্মেলনের যে সিদ্ধান্ত অনুসারে তারা কাজ করেছে এবং পক্ষসমূহের সভার যে সিদ্ধান্তের আওতায় কাজ করে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে, সেগুলো অনুমোদন করে,

এই কোপেনহেগেন সন্ধি গ্রহণ করছে যা অবিলম্বে কার্যকর হবে,

১. আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করছি যে, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের কালের সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জের একটি। ‘সর্বজনীন কিন্তু পৃথক দায়িত্ব ও সংশ্লিষ্ট সক্ষমতা’র মূলনীতি অনুসারে জরুরিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনরোধে আমরা গুরুত্বের সাথে রাজনৈতিক অভিপ্রায় ব্যক্ত করছি। জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক কর্মকাঠামো সনদের পরম উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু-ব্যবস্থায় বিপজ্জনক মাত্রায় মানব-হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করতে পারে এমন পর্যায়ে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যসের ঘনত্ব স্থির করা। এ উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য আমরা, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার বৈজ্ঞানিক মতামতের স্বীকৃতি দিয়ে, সাম্য ও টেকসই উন্নয়নের প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় নিয়ে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি করবো। সকল দেশ, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের ওপর এর সঙ্কটপূর্ণ প্রভাব, সঙ্কট নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের সম্ভাব্য প্রভাব এবং আন্তর্জাতিক সহায়তাসহ একটি সমন্বিত অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়নের চাপের বিষয়টি আমরা স্বীকার করছি।

২. আমরা সম্মত যে, বৈজ্ঞানিক তথ্য অনুসারে এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ধরে রাখার জন্য বৈশ্বিক [গ্রিনহাউজ গ্যাস] নির্গমন হ্রাসের উদ্দেশ্যে জলবায়ু বিষয়ক আন্তরাষ্ট্রীয় প্যানেল (আইপিসিসি)-র চুতর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদনের আলোকে বৈশ্বিক [গ্রিনহাউজ গ্যাস] নির্গমন ভীষণভাবে কমাতে হবে এবং বিজ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ও সাম্যের ওপর ভিত্তি করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বৈশ্বিক ও জাতীয় [গ্রিনহাউজ গ্যাস] নির্গমনের সর্বোচ্চ সীমার মধ্যে ফিরে যাবার ক্ষেত্রে আমাদের পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই লক্ষ্য অর্জনের সময়সীমা দীর্ঘতর হবার বিষয়টি স্বীকৃতি দিয়ে, আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনকে এই দেশগুলোর প্রথম ও প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে মনে রেখে এবং কম-নির্গমক উন্নয়ন কৌশলকে টেকসই উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য ধরে নিয়ে এই সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।

৩. জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো এবং সঙ্কট নিরসনে পদক্ষেপসমূহের সম্ভাব্য প্রভাব সকল রাষ্ট্রের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। উন্নয়নশীল দেশ বিশেষ করে যারা সুনির্দিষ্টভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, বিশেষত স্বল্পোন্নত, দ্বীপরাষ্ট্র ও আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি কমানো ও প্রতিরোধ-ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে গৃহীত অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতার মাধ্যমে সনদের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অভিযোজন-বিষয়ক কর্মসূচি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরিভাবে প্রয়োজন। আমরা সম্মত যে, উন্নয়নশীল দেশগুলোয় অভিযোজন কর্মসূচি বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলো যথোপযুক্ত, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই অর্থ, প্রযুক্তি এবং সক্ষমতা-বৃদ্ধিমূলক সম্পদ প্রদান করবে।

৪. সনদের সংযুক্তি-১ভুক্ত দেশগুলো [১] একক বা যৌথভাবে ২০২০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক-কার্যক্রমের [গ্রিনহাউজ গ্যাস] নির্গমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে এবং তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ নথিতে সমন্বিত করার জন্য ৩১ জানুয়ারি ২০১০ তারিখের মধ্যে পরিশিষ্ট-১-র ছক অনুসারে সচিবালয়ে পেশ করবে। সংযুক্তি-১-র আওতাভুক্ত দেশের মধ্যে কিয়োটো প্রটোকলের পক্ষভুক্ত দেশগুলো কিয়োটো প্রটোকলের বিধান অনুসারে [গ্রিনহাউজ গ্যাস] নির্গমনহ্রাসে আরও জোর দেবে। পক্ষসমূহের সম্মেলনে গৃহীত বিদ্যমান বা আগামীতে প্রণীত নির্দেশিকা অনুসারে উন্নত দেশগুলোর [গ্রিনহাউজ গ্যাস] নির্গমন কমানো ও অর্থায়ন পরিমাপন, প্রতিবেদন প্রণয়ন ও নিরীক্ষিত হবে, এবং এ ধরণের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্থায়নের হিসাবের কঠোরতা, তৎপরতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. সংযুক্তি-১-বহির্ভূত দেশগুলো তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ নথিতে (INF Document) সমন্বিত করার জন্য ৩১ জানুয়ারি ২০১০ তারিখের মধ্যে পরিশিষ্ট-২-র ছক অনুসারে সচিবালয়ে পেশকৃত কর্মসূচি ছাড়াও সনদের ৪.১ ও ৪.২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ [২] ও টেকসই উন্নয়নের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ উপায়ে ঝুঁকি প্রশমন কর্মসূচি গ্রহণ করবে। স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলো সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাধীন ও প্রাপ্ত সহায়তার ভিত্তিতে কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারবে। সংযুক্তি-১-বহির্ভূত দেশগুলো ‘পক্ষসমূহের সম্মেলনে’[৩] গৃহীত নির্দেশিকার ভিত্তিতে জাতীয় [গ্রিনহাউজ গ্যাসসংশ্লিষ্ট] পরিসংখ্যান প্রতিবেদনসহ তাদের পরিকল্পিত ঝুঁকি প্রশমন কর্মসূচির তথ্য অনুচ্ছেদ ১২.১(খ)-এর বিধানমতে [৪] প্রতি দুই বছর পরপর জাতীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রেরণ করবে। জাতীয় প্রতিনিধি বা অন্য কোনো মাধ্যমে সচিবালয়ে প্রেরিত তথ্যাবলী পরিশিষ্ট-২-তে সংযুক্ত হবে। প্রতি দুই বছর পরপর প্রেরিত সংযুক্তি-১-বহির্ভূত দেশগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে গৃহীত ঝুঁকি প্রশমন কর্মসূচির প্রতিবেদন প্রণয়ন ও নিরীক্ষণ তাদের জাতীয় মাপকাঠি অনুসারেই সম্পন্ন হবে। স্পষ্টভাবে বিবৃত নির্দেশিকা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক পরামর্শকদের অন্তর্ভুক্তি ও বিশ্লেষণের সুযোগসহ জাতীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে সংযুক্তি-১-বহির্ভূত দেশগুলো তাদের বাস্তবায়িত কর্মসূচিবিষয়ক তথ্য প্রেরণ করবে। এ নির্দেশিকা জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রতি মর্যাদা নিশ্চিত করবে। আন্তর্জাতিক সহায়তার দাবি করে এমন জাতীয়ভাবে বাস্তবায়িত কর্মসূচির প্রাসঙ্গিক প্রযুক্তি, অর্থ ও সক্ষমতাবৃদ্ধিমূলক সহায়তাসহ সকল তথ্য একটি নিবন্ধন বইতে তালিকাভুক্ত হবে। সহায়তাপ্রাপ্ত এ ধরনের কর্মসূচিসমূহ পরিশিষ্ট-২-তে সংযুক্ত হবে। জাতীয়ভাবে বাস্তবায়িত এ ধরনের ঝুঁকি প্রশমন কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মাপকাঠি অনুসারে গৃহীত হবে এবং প্রতিবেদন প্রণয়ন ও ফলাফল যাচাই পক্ষসমূহের সম্মেলনে গৃহীত নির্দেশিকা অনুসারে সম্পন্ন হবে।

৬. আমরা [গ্রিনহাউজ গ্যাস] নির্গমন হ্রাসের ওপর বন উজাড় ও বনজ সম্পদ ধ্বংসের সঙ্কটপূর্ণ ভূমিকা এবং বন সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রিনহাউজ গ্যাস দূরীকরণ বৃদ্ধি এবং উন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে আর্থিক সম্পদ সমবেত করার জন্য অবিলম্বে আরইডিডি-প্লাস [৫] (বন উজাড় ও বন ধ্বংস বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে নতুন বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে [গ্রিনহাউজ গ্যাস] নির্গমন হ্রাসসহ কর্মকৌশল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতিবাচক উদ্দীপ্তকরণ সহায়তা প্রদানের গুরুত্বকে স্বীকার করছি।

৭. ঝুঁকি প্রশমন কর্মসূচিগুলোকে সহায়তা ও অধিকতর ব্যয়সাশ্রয়ী করে তোলার উদ্দেশ্যে আমরা বাজারব্যবস্থা ব্যবহার করার সুযোগসহ বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ ও চালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি। উন্নয়নশীল দেশ, বিশেষ করে নিম্নহারে [গ্রিনহাউজ গ্যাস] নির্গমনের অর্থনীতির দেশগুলোকে, নির্গমনের নিম্নহার ধরে রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য উদ্দীপ্তকরণ সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন।

৮. সনদ বাস্তবায়নে অধিকতর অগ্রগতির লক্ষ্যে, বন উজাড় ও বন ধ্বংস বন্ধ করার মাধ্যমে [গ্রিনহাউজ গ্যাস] নির্গমন হ্রাস (আরইডিডি-প্লাস) কার্যক্রমে দাবিকৃত অর্থায়নহ, অভিযোজন, প্রযুক্তি উন্নয়ন ও হস্তান্তর এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঝুঁকি নিরসনে সহায়তা করায় যোগ্য করে তোলার জন্য সনদের সংশ্লিষ্ট বিধান অনুসারে বর্ধিত হারে নতুন ও অতিরিক্ত, নির্ভরযোগ্য ও যথোপযুক্ত তহবিল সরবরাহ এবং তাতে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করা হবে। নতুন ও অতিরিক্ত সম্পদ সহায়তা হিশেবে উন্নত দেশগুলো সম্মিলিতভাবে ২০১০-২০১২ মেয়াদে বনায়ন ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মাধ্যমে বিনিয়োগসহ ভারসাম্যের সাথে অভিযোজন ও ঝুঁকি প্রশমনের জন্য ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। স্বল্পোন্নত দেশ, ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র ও আফ্রিকার দেশগুলোর মতো সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ অভিযোজন-অর্থায়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। অর্থবহ ঝুঁকি প্রশমন কর্মসূচি গ্রহণ ও স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়নের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে উন্নত দেশগুলো সম্মিলিতভাবে ২০২০ সাল নাগাদ ১ লাখ কোটি মার্কিন ডলার তহবিল সমবেত করার লক্ষ্য গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। বিকল্প অর্থায়নের উৎসগুলোসহ সরকারি-বেসরকারি, দ্বিপাক্ষিক-বহুপাক্ষিক নানা উৎস থেকে এ তহবিলের যোগান দেয়া হবে। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের সমপ্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে গঠিত একটি ব্যবস্থাপনা কাঠামো দ্বারা কার্যকর ও দক্ষ অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে অভিযোজনের নতুন বহুপাক্ষিক তহবিল বিতরণ করা হবে। এ ধরণের তহবিলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ‘কোপেনহেগেন গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড’-এর মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।

৯. এ উদ্দেশ্যে, নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে অর্থায়নের বিকল্প উৎসসহ তহবিলের সম্ভাবনাময় উৎসগুলোর ভূমিকা যাচাই করার জন্য ‘পক্ষসমূহের সম্মেলন’-এর নির্দেশনা অনুসারে এবং সম্মেলনের অধীনে একটি ‘উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল’ গঠিত হবে।

১০. আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরইডিডি-প্লাস কর্মসূচিসহ ঝুঁকি প্রশমন, অভিযোজন, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি উন্নয়ন ও হস্তান্তরের লক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্প, কর্মসূচি, নীতিমালা ও অন্যান্য কার্যক্রমে সহায়তার জন্য সনদের ‘আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংস্থা’ হিসেবে ‘কোপেনহেগেন গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড’ গঠিত হবে।

১১. প্রযুক্তি উন্নয়ন ও হস্তান্তর সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে আমরা দেশীয় পরিস্থিতি ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রাষ্ট্রচালিত কৌশল দ্বারা নির্দেশিত অভিযোজন ও ঝুঁকি প্রশমন কর্মসূচিতে সহায়তার জন্য প্রযুক্তি উন্নয়ন ও হস্তান্তরের গতিবৃদ্ধিতে একটি ‘প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।

১২. আমরা ২০১৫ সালের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত উদ্দেশ্যের আলোকে এই সন্ধি বাস্তবায়নের অগ্রগতি মূল্যায়নের আহ্বান জানাচ্ছি। ১.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলোসহ নানাবিধ বৈজ্ঞানিক বিষয়াবলীর তথ্য নির্দেশ করে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য বিবেচনা করাও এই মূল্যায়নের অন্তর্ভুক্ত হবে।

------
১. ঐতিহাসিকভাবে এবং এখনও সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন করে এমন ৪১টি দেশকে ১৯৯২ সালের জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক কর্মকাঠামো সনদ (ইউএনএফসিসিসি)র সংযুক্তি-১-র আওতাভুক্ত করা হয়। দেশগুলো হলো: অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলারুশ, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক জোট, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, লাটভিয়া, লিচেস্টাইন, লিথুনিয়া, লুক্সেমবার্গ, মোনাকো, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, রুশ ফেডারেশন, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

২. জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক কর্মকাঠামো সনদ (ইউএনএফসিসিসি)-র ৪.১ ও ৪.২ অনুচ্ছেদে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমন কমানোর উদ্দেশ্যে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর করণীয় সম্পর্কে পদ্ধতিগত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।

৩. জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক কর্মকাঠামো সনদ (ইউএনএফসিসিসি)-তে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিদের বার্ষিক সম্মেলনকে ‘পক্ষসমূহের সম্মেলন’ বলা হয়।

৪. ইউএনএফসিসিসির ১২.১(খ)-তে ‘সনদ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপক্ষের গৃহীত বা পরিকল্পিত পদক্ষেপসমূহের সাধারণ বিবরণ’ ইউএনএফসিসি’র সচিবালয়ে প্রেরণের বিধান রয়েছে।

৫. REDD: Reducing Emissions from Deforestation and Forest Degradation। বন উজাড় ও বন ধ্বংস বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন শোষণ বৃদ্ধি করার কৌশলকে আরইডিডি-প্লাস বলে অভিহিত করা হয়।
------

ভাষান্তর. ব্যাখ্যা ও পাদটীকা
হাসান মেহেদী, প্রধান নির্বাহী, হিউম্যানিটিওয়াচ
,


মন্তব্য

বন্যরানা [অতিথি] এর ছবি

১৯৩ দেশের রাস্ট্রপ্রধানগন আর তাদের হাজার হাজার প্রতিনিধিরা মিলে যে বিশাল অশ্বডিম্ব প্রসব করেছে, তাতে আপাতত ক্ষোভ প্রকাশ করে যাওয়া ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। অবশ্য কয়েকটি দেশের পন্য বর্জন করে উৎপাদন সীমিত করে তাদের কার্বন নির্গমন হ্রাসে সহায়তা করতে পারি, কি বলেন?

অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ হাসান মেহদীকেও কষ্ট করে অনুবাদ করার জন্য, যদিও পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো ইংরেজিতেই পড়ছি। সব চুক্তির ভাষাই মনে হয় এরকম।

গৌতম এর ছবি

মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জমায়ে রাখলাম... কালকে পড়বো... অনেক ধন্যবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

গৌতম এর ছবি

ঠাণ্ডার দিনে বেশি জমায়েন না... চোখ টিপি অনুবাদকে আপনার ধন্যবাদ পৌঁছে দিবো। হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সচল জাহিদ এর ছবি

গৌতমদা অতি প্রয়োজনীয় পোষ্ট। এই কয়দিনে অসংখ্যবার এই চুক্তিটি পড়েছি মূল ইংরেজী ভাষারটি। হতাশ না হয়ে উপায় দেখছিনা। একটি লেখা দাড় করানোর চেষ্টা করছি কিন্তু এগোচ্ছেনা। আমাদের পক্ষ থেকে জনাব হাসান মেহেদী কে একটি ধন্যবাদ দিয়ে দেবেন।

আপনাকে অনুরোধ করব লেখাটি 'সচলায়তন COP 15 সংকলন' বই e তে পৃষ্ঠাকারে জুড়ে দিতে। না পারলে আমাকে বইলেন।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ। অনুবাদককে আপনার ধন্যবাদ পৌঁছে দিবো। ...আর আপনিই জুড়ে দিন। আমি এটা পারি না।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সচল জাহিদ এর ছবি

জুড়ে দিলাম।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ। যেহেতু মূল লেখাটি হাসান মেহদীর এবং তাঁর হয়ে আমি পোস্ট করেছি মাত্র, সেক্ষেত্রে লেখকের নামের জায়গায় আমার নামটা না দিয়ে তাঁর নামটা দিলেই ভালো হয়, যদি টেকনিক্যাল কোনো সমস্যা না থাকে।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সচল জাহিদ এর ছবি

গৌতমদা এটা স্বয়ংক্রিয়, যার একাউন্ট থেকে পোষ্ট হচ্ছে লেখক হিসেবে তার নাম চলে আসে। আপনি মডারেটরদের অনুরোধ করতে পারেন।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

গৌতম এর ছবি

ওহ্, এই ফিচারটার কথা অবশ্য জানতাম না। যাই হোক, দেখি মডারেটরদের অনুরোধ করে! ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মামুন হক এর ছবি

শিরোনামেই সব বলে দিসেন। যদিও সেটাই প্রত্যাশিত ছিল।

গৌতম এর ছবি

ধন্যবাদ, মামুন ভাই।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নাশতারান এর ছবি

মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম হতাশ হবার জন্য। তাই হতাশ হই নি।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

গৌতম এর ছবি

ভালো বলেছেন। খুব বেশি আশা ছিলো না বলে আমিও হতাশ হই নি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শাহিদুর রহমান শাহিদ [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্টের জন্য।

গৌতম এর ছবি

পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।