স্বামিজীর জালিয়াতি

শিক্ষানবিস এর ছবি
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: সোম, ১১/০২/২০০৮ - ৪:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেই ১৯১৩ সালে উপেন্দ্রকিশোরের হাতে "সন্দেশ" পত্রিকার পত্তন। জন্মের দু'বছরের মাথায় জনককে হারিয়ে সুকুমারের হাতে পড়ে সে। ১৯২৩-এ সুকুমারের অকাল মৃত্যুর পরও তার ছোটভাই সুবিনয়ের চেষ্টায় কোনমতে চলতে থাকে। কিন্তু ১৯৩৪-এর পর আর পারলো না, বন্ধ হয়ে গেল সন্দেশের প্রকাশনা। ১৯৬১ সালে শুরু হওয়া অভিনব যাত্রায় সন্দেশ বিশেষ পুলকিত, কারণ এবার সে সত্যজিতের হাতে পড়েছে যে কি-না রায় পরিবারের উজ্জ্বলতম বাতি। তখনকার সময়ের সেরা শিশু বিনোদন সন্দেশ, নিঃসঙ্কোচে বলা যায়। সত্যজিতের অনেক গল্পই এই পত্রিকায় প্রথমবারের মত প্রকাশিত হয়। এমনই একটি গল্প "বঙ্কুবাবুর বন্ধু", ছোট থাকতে যে বুঝতেই পারেনি, পরবর্তীতে তাকে নিয়ে এতো তোলপাড় হতে পারে। এই বিজ্ঞান কল্পকাহিনীটি বিশ্বসাহিত্যের দরবারেও অনন্য। কারণ এর আগে ভিনগ্রহ থেকে আসা এলিয়েনদের ভয়ংকর, বিধ্বংসী আর শত্রুভাবাপন্ন হিসেবে দেখানো হতো। সত্যজিতই প্রথম এমন এক এলিয়েনকে পৃথিবীতে নিয়ে আসলে যে কি-না সদয় ও বন্ধুভাবাপন্ন। শিশু-কিশোরদের কাছেই তার মূল্যায়ন সবচেয়ে বেশী, শিশু সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য সংযোজন। এর মাধ্যমে নিজের জীবনে নতুন গল্পকথার সূচনা ঘটালো সত্যজিৎ।

গল্পের কাহিনীটা এরকম: "গ্রামের পুকুরে অদ্ভুত এক চাকি অবতরণ করে। নড়াচড়া নেই, বিস্ময়ের প্রতিমূর্তি। গ্রামের মানুষ অবতার ভেবে এই চাকিকে পূজো করা শুরু করে। চাকির ভেতরের এলিয়েন কিন্তু এই পূজো নেয়নি, নিয়েছে পার্থিব শিশুর নির্মল চাহনির অর্ঘ্য। বন্ধুত্ব করে ফেলে একজনের সাথে। এই এলিয়েনের আবার বিভিন্ন পাওয়ার আছে, সবই উপকারী। কারও ক্ষতি করার ইচ্ছা তার মধ্যে নেই। এখান থেকে যে রহস্যের শুরু তার সমাধান করতে তিনজনের আবির্ভাব ঘটে, এক বাঙালি সাংবাদিক, এক ভারতীয় ব্যবসায়ী আর এক মার্কিন প্রকৌশলী।" চলচ্চিত্র শিল্পের প্রতাপশালী পরিচালক সত্যজিতের মনে যদি এই কাহিনী নিয়ে সিনেমা করার ইচ্ছা জাগে, তবে তাকে খুব একটা উচ্চাভিলাসী বলা যাবে কি? সিরিয়াসলি চিন্তা শুরু করলো সে। সাংবাদিক, ব্যবসায়ী আর প্রকৌশলী চরিত্রে তিনজন ভাল অভিনেতা এবং অর্থায়ন, এ দুটিই সমস্যা। মনে মনে ভারতীয় ব্যবসায়ী চরিত্রের জন্য অভিনেতা ঠিক করে ফেললো, প্রখ্যাত ব্রিটিশ কমেডি অভিনেতা "পিটার সেলার্স"। কারণ সেলার্স এর আগে হলিউডের "দ্য মিলিয়নেয়ারেস" ছবিতে ভারতীয় ডাক্তারের চরিত্রে অভিনয় করেছিল। আরেকটি কারণও রয়েছে, সত্যজিতের এই ছবির ইফেক্টগুলো দেয়ার জন্য যে অর্থ ও কৌশলের প্রয়োজন তা হলিউড ছাড়া পাওয়া যাবেনা। সেলার্সের অনেক চেনাজানা, সেই থ্রুতে হলিউডে কোন প্রযোজককে রাজী করাতে পারলেই হলো। কিভাবে কি হবে তা ভবে অস্থির সত্যজিৎ।

১৯৬৬ সালের কোন এক সময় সত্যজিতের সাথে লন্ডনে বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান লেখক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্থার সি ক্লার্কের দেখা হয়। সে ক্লার্ককে তার চিন্তার কথা জানায় এবং ক্লার্ক তার আগ্রহের কথা ব্যক্ত করে। শ্রীলঙ্কায় ফিরে এসে পরের বছর ক্লার্ক সত্যজিতের এই পরিকল্পনার কথা জানায় সেখানকার প্রভাবশালী চলচ্চিত্র নির্মাতা ও তার বন্ধু মাইক উইলসনকে। শোনার সাথে সাথে এর গুরুত্বের বিষয়টি বুঝে নেয় উইলসন আর তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করে সত্যজিতের সাথে। সত্যজিৎকে কলম্বোতে আসার আমন্ত্রণ জানালেও ব্যস্ততার কারণে সত্যজিতের পক্ষে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। অগত্য উইলসনই কলকাতায় সত্যজিতের বাসায় গিয়ে হাজির হয় আর তাকে অবিলম্বে চিত্রনাট্য শুরু করতে বলে। এমন এক প্রভাবশালী ব্যক্তি যদি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেয় তবে আর চিন্তা কি। সত্যজিৎ নির্জনে লিখতে বসার জন্য মনস্থির করলো। কিন্তু উইলসন চিত্রনাট্য লেখার সময় পাশে থাকতে আগ্রহ প্রকাশ করলো। সত্যজিৎ প্রত্যুত্তরে জানিয়েছিল, "লেখালেখি আমি একেবারে ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে মানি। কেউ পাশে থাকলে ঠিক হয়ে উঠেনা।" কেন জানি গোয়ার্তুমি করে বসল উইলসন, "মহাশয়, আপনি আপনার মতো লিখবেন, পাশে থেকে সময় সময় একটু কফি বানিয়ে দেবার অনুমতিও কি পাবনা?" অগত্যা, সত্যজিৎ লিখতে বসল; পাশে বসে থেকে উইলসন কফি বানিয়ে দেয়নি ঠিক, তবে ক্লার্কের বন্ধু হওয়ায় ভাল ভাল কিছু আইডিয়া দিতে পেরেছিল। পনের দিনে চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হল।

এর মধ্যেই সেলার্সের এজেন্টরা যোগাযোগ করল, সেলার্স নাকি আগ্রহ দেখিয়েছে। উইলসন আর সত্যজিৎ মিলে ১৯৬৭ সালের এপ্রিলে প্যারিসে পৌঁছুলো। সেলার্সের হোটেলেই দেখা হয় তাদের। সত্যজিৎ সেলার্সের প্রশংসা করে জানতে চেয়েছিল, তার কাজের সাথে সেলার্সের কোন পরিচয় আছে কি-না। সেলার্সের সাধাসিধে উত্তর, "না"। অগত্যা লন্ডনের ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকে "চারুলতা" (সত্যজিতের নিজের করা সবচেয়ে প্রিয় ছবি) আনিয়ে দেখানো হল সেলার্সকে। সেলার্স দেখে তো একবাক্যেই বলে ফেলল, "আমাকে আর কেন ভায়া? আপনার অভিনেতারা তো কোন অংশে কম নয়।" একটু জোক্‌স আর কি, সেলার্সও জানে তাকে কেন "দ্য এলিয়েন" (মুভির নাম দ্য এলিয়েন হিসেবে প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছিল) মুভির প্রকল্পে দরকার। পাকা কথা হয়ে গেল। আলাপ শেষে সবাই নিজ নিজ জায়গায় ফিরে গেল।

একমাস পর উইলসন সেই অবিশ্বাস্য আনন্দময় খবরটা দিল সত্যজিৎকে: হলিউডের প্রথম শ্রেণীর স্টুডিও কলাম্বিয়া পিকচার্‌স দ্য এলিয়েনর প্রযোজনার দায়িত্ব নিচ্ছে, সেলার্স অভিনয় করবে এবং এ নিয়ে সত্যজিতের সাথে বসার কথা বলেছে আর মুভির স্পেশাল ইফেক্ট তৈরী করতে সম্মত হয়েছে জগদ্বিখ্যাত গ্রাফিক ডিজাইনার "সল ব্যাস"। সবচেয়ে মজার কথা মার্কিন প্রকৌশলীর চরিত্রে অভিনয় করতে "মার্লন ব্র্যান্ডো" ("গডফাদার" চরিত্রের জন্য সবচেয়ে পরিচিত) আর "স্টিভ ম্যাককুইন" ("দ্য কিং অফ দ্য কুল" খ্যাত মার্কিন অভিনেতা) দুজনেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পয়লা জুন হলিউডে পৌঁছুলো সত্যজিৎ। এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে যাওয়ার পথে উইলসন বললো, "কলাম্বিয়া তো টাকা দিয়ে বাজিমাত করেছে। আর অপু ট্রাইলজি'র নির্মাতা এখন যা বানাবেন তা তো সেরা হবেই।" প্রথম কাজ সেলার্সের সাথে দেখা করা। দেখা হল ক্যালিফোর্নিয়ায় রবি শংকরের বাড়িতে। সেলার্স "দ্য পার্টি" ছবিতে এক ভারতীয় চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছিল। এজন্য তাকে সিতার বাজাতে হবে। সিতার বাজানোর স্টাইল শেখার জন্যই সে রবি শংকরের বাড়িতে গিয়েছিল। সত্যজিৎ প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিল, দ্য এলিয়েনে সেলার্স মুখ্য চরিত্র নয়; বাঙালি সাংবাদিক ও মার্কিন প্রকৌশলীর চরিত্র দুটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সেলার্স জানায়, এতে সে মোটেই অসন্তুষ্ট হয়নি। কারণ এক ভারতীয় জ্যোতিষী নাকি তাকে বলেছে, "আপনি শীঘ্রই এক ভারতীয় পরিচালকের সাথে কাজ করতে যাচ্ছেন।"

সবই প্রায় প্রস্তুত। সত্যজিতের চিত্রনাট্যের মাইমোগ্রাফ কপি হলিউডে ছড়িয়ে পড়লো। একদিন কলাম্বিয়া পিকচার্‌সের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললো সত্যজিৎ। তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, "চিত্রনাট্যের জন্য আমরা যে ১০,০০০ ডলার অ্যাডভান্স করেছি তা কি পেয়েছেন? উইলসন আপনার পক্ষে সেটি গ্রহণ করেছিলেন।" সত্যজিৎ তো তাজ্জব বনে গেল, টাকা তো দূরের কথা চিত্রনাট্যের জন্য যে এতোটা অ্যাডভান্স করা হবে তাও সে জানে না। পুরো টাকাটা হাতিয়ে নিয়েছে উইলসন। কিন্তু, বিস্ময়ের সবে তো শুরু। চিত্রনাট্যের কপিরাইট দেখে কি ভাবা যায় তাও বুঝে উঠতে পারেনি সত্যজিৎ। কপিরাইট: মাইক উইলসন ও সত্যজিৎ রায়, যে উইলসনের কোন অবদানই নেই চিত্রনাট্য রচনায়। সন্দেহ আর অবিশ্বাস ঘনীভূত হল উইলসনের ব্যাপারে। হলিউডের এক পার্টিতে উইলসনকে জিজ্ঞাসা করায় সে বলল, "একজনের চেয়ে দুজন কর্তা থাকা কি ভাল নয়?" বলে কি শালা। হতাশ হল সত্যজিৎ। এরই মধ্যে মার্লন ব্র্যান্ডো প্রকল্প ত্যাগ করলেন। জেম্‌স কোবার্নকে দিয়ে সে স্থান পূরণের চেষ্টা করা হলো। কিন্তু, বীতশ্রদ্ধ সত্যজিৎ তখনই কলকাতায় ফিরে এলো।

এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের কলাম্বিয়া অফিসের উপর দ্য এলিয়েন প্রকল্পের দায়িত্ব পড়লো। লন্ডন পৌঁছুলো সত্যজিৎ। উইলসনের হোটেলে গিয়ে তো অবাক, মদ আর নারী নিয়ে সেইরকম পার্টি চলছে। দ্য এলিয়েনের হর্তাকর্তা হওয়ার স্বপ্নে উইলসনের খুশী যেন আর ধরেনা। হতোদ্যম হয়ে লন্ডন থেকেও কলকাতায় ফিরে আসতে হলো তাকে। আসার আগে বিশ্বাসঘাতক উইলসন যা বলল তা আরও ভয়ংকর, "এখানে একটা সই করেন। তাহলে আমি আর আপনি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মুভির কাজ শুরু করতে পারবো।" রাজি হলো না সত্যজিৎ, কলকাতায় কাগজগুলো পাঠিয়ে দিলে ভেবে দেখবে বলে ফিরে এলো। কলকাতায় আর কাগজ আসেনি। কয়েক মাস পর কলাম্বিয়ার যুক্তরাজ্য অফিসের এক কর্মকর্তা কলকাতায় এসে সত্যজিৎকে বললো, "আপনি একাই তো দ্য এলিয়েন নির্মাণ করতে পারেন, উইলসনের কি দরকার। উইলসনকে রাজি করাতে পারলে আমরা শুধু আপনার নেতৃত্বেই প্রকল্প চালিয়ে যেতে রাজি আছি।" অগত্যা সত্যজিৎ উইলসনকে চিঠি লিখলো যেন সে চিত্রনাট্যের স্বত্ব ত্যাগ করে। উইলসন স্বত্ব ত্যাগ করলেই সত্যজিৎ একা কাজ চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু প্রত্যুত্তরে উইলসন সত্যজিৎকে চোর হিসেবে আখ্যায়িত করলো। একসাথে যেমন অনেক শুভ সংবাদ পেয়েছিল সত্যজিৎ, তেমনই একসাথে অনেক দুঃসংবাদ পেতে হলো। পরের দুঃসংবাদ বয়ে আনলো পিটার সেলার্সের চিঠি। সেলার্স নাকি এতো ছোট চরিত্রে অভিনয় করতে বলায় অপমানিত বোধ করছে। দ্য এলিয়েনে সে ভুলেও অভিনয় করবে না। কি কারণে তার মতিভ্রম, তা কেউ জানে না, উইলসন না তো? সত্যজিতের উপর এতোটাই ক্রুদ্ধ সে যে, "দ্য পার্টি" মুভিতে নিজের পোষা বানরের নাম রাখল অপু।

সত্যজিতের অনেক সাধের প্রকল্প নস্যাৎ করে দিয়ে প্রথম জীবনে মাস্তিতে থাকলেও শেষ জীবনে আবার মতিভ্রম হয় উইলসনের। এবার সে বিষ্ণুর অনুসারী হয়ে "স্বামী শিব কল্কী" নাম ধারণ করে। আর্থার ক্লার্কের চিঠিতে এ সম্বন্ধে সত্যজিৎ জানতে পারে। এরপর স্বয়ং স্বামিজীর চিঠি আসে তার কাছে, স্বামিজী এতোদিন পরে সেই চিত্রনাট্যের স্বত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন, সব ভেস্তে যাবার পর, জীবনের সব আনন্দ লুটে নেয়ার পর। ধর্ম ভাল শেখাতে না পারলেও, তৈলমর্দণ করে করে শেষে গিয়ে কিভাবে জালিয়াতি করতে হয় স্বামিজী তা ভালই শেখাতে পারবেন বলে মনে হল সত্যজিতের।

মুহাম্মদ২০১৭


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

বঙ্কুবাবুর বন্ধু তো পড়েছিলাম, কাহিনী তো ঠিক এমন ছিলো বলে মনে পড়ছে না। বঙ্কুবাবুর বন্ধুতে কোন শিশু চরিত্র নেই। সত্যজিৎ কি তাহলে পরবর্তীতে গল্পটি পুনর্লিখন করেছিলেন?


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

এখানে একটি বড় ভুল হয়ে গেছে। গল্প আর চিত্রনাট্য গুলিয়ে ফেলেছি। সত্যজিৎ গল্পটি পুনর্লিখন করেন নি, বরং সেই গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দ্য এলিয়েনের চিত্রনাট্য লিখেছেন। গল্পের কাহিনী যা লিখেছি তার সাথে চিত্রনাট্য মিশে গেছে। কেউ সম্পাদনা মাধ্যমে ঠিক করে দিলে ভাল হয়।

মুহাম্মদ২০১৭

হিমু এর ছবি

মুহাম্মদ২০১৭, সচলে আপনি নিবন্ধন করেছেন দেখতে পাচ্ছি। আপনার সাথে যোগাযোগের প্রথম পর্যায়েই যে অস্বস্তিটি হচ্ছে, সেটি হচ্ছে আপনার নিকের সাথে যুক্ত অঙ্কগুলি। আপনি যদি আপনার স্বনামে, বা ভিন্ন কোন সংখ্যাবিহীন ব্লগীয় নামে অংশগ্রহণ করতেন, আপনার সাথে যোগাযোগ আরো মসৃণ হতো। এ নিছক পাঠক হিসেবে আমার অনুরোধ, আশা করি আপনি মনক্ষুণ্ন হবেন না। ধন্যবাদ।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

নাম পরিবর্তন করতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু নিবন্ধন করে ফেলেছি. এখন কি নাম পরিবর্তন করা যাবে? কিভাবে করবো জানালে ভাল হয়।

মুহাম্মদ২০১৭

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পরিবর্তন করা যাবে পরে। সমস্যা নাই।



ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অজানা ঘটনা নিয়ে মজার লেখা লিখে
মুহাম্মদ যথারীতি তার গভীরতা প্রমাণ করল
---------------------------------
মহিব
ভাবসাব দেখে মনে হইল "উনি একজন মানুষ"

দিগন্ত এর ছবি

এটা আমি উইকি তে পড়েছি। আমি শুনেছি স্পিলবার্গ পরে এই চিত্রনাট্য থেকেই বিখ্যাত ই-টি ছবিটি তৈরী করেছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন না যে এটা কার লেখা আদপে। পরে জানার পরে হয়ত কিছুটা গ্লানিতেই উনি সত্যজিতের নাম অস্কারের জন্য তুলেছিলেন। জানি না সত্যতা ...


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।