রহিম-মিনার প্রেম কাহিনী – ২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৩/০৩/২০০৮ - ২:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(দুঃখিত, ২য় অংশটুকু দিতে একটু দেরিই হয়ে। কি করব বলুন, পরীক্ষা ছিল যে।)

রহিম-মিনা প্রেম কাহিনী জানার জন্য যে কবিতাটি নগদে লিখেছিলাম তাই এখন পাঠকমহলের সামনে তুলে ধরছি।
সন্ধ্যের আকশটা আজও লাল হয়,
পাখিরা আজও নীড়ে ফিরে যায়,
একইভাবে কি মনে করবে আমায়?
নীড়হারা পাখি আমি, জানিনা ফিরব কবে,
ততদিন কি তোমাদের আমায় মনে রবে?
যেদিন আমি ছাড়া আবার একত্র হবে সবে?
এর চেয়ে বেশি কিছু সেদিন আর মাথায় আসেনি। মনে হয়না আজও এর চেয়ে বেশি কিছু মাথায় আসত। যাই হোক, এতটুকুই লিখে পাঠিয়ে দিলাম, এবং এও জানিয়ে দিলাম যে, আমাকে তাদের কাহিনী বলতে হবে। তারপর একদিন বন্ধুবর আমায় অনুগ্রহপূর্বক ফোন করলেন। আমিও লাফাতে লাফাতে এসে ফোন ধরেই বললাম,
- মামা এবার যে আমায় কাহিনী বলতে হচ্ছে। নাইলে ছাড়াছাড়ি নাই।
- সবই বলব, কিন্তু তার আগে তুই বল তুই এখন কি করস?
- আমি এখন তেমন কিছু করতেসিনা। তুই বলতে থাক। আমি শুনতাসি।
- নারে দোস্ত, এটা হইতাসে এক বিশাল কাহিনী। এই কাহিনী বলতে আমার না হইলেও ৩-৪ ঘন্টা সময় লাগবে। তোর হাতে ভাল রকম সময় থাকলে বল। নাইলে আজকে কাহিনী শুরু করা যাবেনা। এখন তুই বল যে তুই next ৩-৪ ঘন্টা আমার প্যাচাল শুনতে ready আসস নাকি? নাইলে বল কবে free আসস? ওইদিনই তোকে ফোন দিব।
- Ok. তাইলে আজকে বাদ দে। কারণ, আমার আবার আব্বুর সাথে আজকে কাজ আছে। তাই আজকে এত সময় দেয়া সম্ভব না। কালকে আমাদের সময় রাতে ফোন দিতে পারবি নাকি বল?
- নাহ্। তাইলে তোদের সময় পরশুদিন রাতে ফোন দিব? পরশুদিন free থাকবি?
- ঠিক আছে। পরশুদিন আমি পুরা ready থাকব। তুই ফোন দিস। ৩-৪ ঘন্টা না, আরও বেশি সময়ই ইনশাল্লাহ্ দিতে পারব।
- ঠিক আছে। তাইলে রাখি। ভাল থাকিস।
তারপর ফোন লাইন কেটে গেল।

অত্যন্ত কৌতুহলের মধ্য দিয়ে আমার দুটা দিন গেল।

যদিও আমার নিজের কোনই প্রেমিকা নেই, তবুও মানুষের প্রেম কাহিনী জানার ব্যাপারে আমার আগ্রহ কোনদিনই বেশি বৈ কম ছিলনা। নিজের অভিজ্ঞতা নেয়ার মাঝে আমি এক আলাদা ধরনের মজা পেতাম। এর চাইতে বেশি আগ্রহ বোধ করি আমি দুঃখের কাহিনী শুনতে। মানুষ খুব সহজেই তার আনন্দ অন্যের সাথে ভাগ করে নিতে পারে। কিন্তু দুঃখ অত সহজে পারেনা। তাই আমার বেশিরভাগ সময়ই আগ্রহ থাকে দুখী মানুষের দুঃখগুলো শোনার মাঝে। এছাড়াও যেকোন ধরনের অনুভূতিপূর্ণ সত্য কাহিনীই আমাকে আকৃষ্ট করে। যাই হোক, অন্য দিকে না গিয়ে মূল কাহিনীতে থাকি।

দুই দিন পর রহিমের ফোন এল। আমিতো অপক্ষাতেই ছিলাম। তাই প্রায় সাথে সাথেই ফোন ধরলাম। তারপর জিজ্ঞেস করলাম,
- তারপর দোস্ত, কেমন আছ? আর আজকে কিন্তু তোমার কাহিনী বলার দিন।
- জানি। ওই জন্যইতো ফোন করা গাধা। এটা আবার বলার কি আছে?
- ঠিক আছে। তাইলে এখন বলা শুরু করতে পারিস। আমি ready আছি। তোর যত ইচ্ছা সময় নিতে পারিস। কোন সমস্যা নাই।
- তার আগে তুই promise কর যে আমার কোন্দিন কাউকে বলবিনা। আর যদি বলেও ফেলিস, তাহলে এমনভাবে বলবি যেন কেউ বুঝতে না পারে যে আমার আসল পরিচয় কি, কিংবা এমন কোন information থাকবেনা যেখান থেকে আমার পরিচয় বের করা সম্ভব হবে।
- ঠিক আছে ঠিক আছে। চিন্তা নাই চিন্তা নাই। আমি বলবনা কথাটা রাখা মুশকিল, কিন্তু বললেও আমি এমনভাবে বলব যে কেউ তোর পরিচয় বের করতে সক্ষম হবেনা কোনদিনও। এটা আমি প্রতিজ্ঞা করলাম। আর তুই ভালমতই জানিস যে, আমি প্রতিজ্ঞা করলে তা খুবই ভালমত রক্ষা করি। ভায়া, মরব তবু বলব না।
- তা জানি। ঠিক আছে। তাহলে শোন আমার কাহিনী।
(পাঠক মহল, বেঁচে থাকলে পরবর্তী পর্বে এই কাহিনী তুলে ধরব)

আজমীর


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রথম পর্ব এখানে
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।