ভেঙে পড়ার শব্দ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/১০/২০০৮ - ১০:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

টয়নবি তাঁর ইতিহাসের লেখালেখির সংগ্রহের পঞ্চম খন্ডের একজায়গায় লিখেছিলেন, সমাজের সৃজনশীল মানুষেরা চিন্তাভাবনা ছেড়ে দিলে সভ্যতার হৃদয় ধ্বসে পড়ে। অবশ্য এরকম কার্যকারণ সম্পর্ক কোন থিওরি দিয়ে ব্যাখ্যা করা না গেলেও ফেড-এর প্রধান চিন্তক যে সযত্নে সৃজনশীলতা পরিহার করে চলেছেন তা খানিকটা টের পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য এরি মধ্যে অনেকে বিশ্ব পুঁজিবাদের অন্তর্নিহিত সারশূন্যতা ও তার সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে অনেক বলে ফেলেছেন।

যুক্তরাষ্টের অর্থনীতির ওপর দিয়ে গত ১০/১২ বছরে অনেক ধকল গেছে। সংক্রামক ব্যাধির মত তা দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়েও পড়েছে অনেকখানি। আগে টাকাপয়সা ছড়িয়ে ছিটিয়ে সামাল দেয়া গেছে। কিন্তু এবার পাওয়া যাচ্ছে না। ভাবনার কথা বটে! আইনপ্রণেতারাও একটি ফুটো হয়ে যাওয়া টাইটানিককে নিয়ে চিন্তিত নন।

চিন্তিত নন ওখানকার ডাকসাইটে আঁতেলগণও। ডাউ জোন্স ইন্ডেক্স কমছে। তাঁরা যেন বেহালা শুনছেন। আতশবাজি দেখছেন। আর একটি দৈত্যাকার অর্থনীতি একটু একটু করে ধ্বসে পড়ছে।

ভেঙে পড়ার শব্দ শোনা যাচ্ছে।


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

অর্থনীতির মতো এতো কঠিন বিষয় নিজের নাম ছাড়া লিখে ফেললেন?

নাকি যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ে নাম দেননি?

অতিথি লেখক এর ছবি

লীলেন ভাইয়ের সাথে আমিও একমত ।
নিবিড়

সবজান্তা এর ছবি

হুমায়ূন আজাদ বোধহয় আগেই দেখে ফেলেছেন।

বলেছেন, "সবকিছু ভেঙ্গে পড়ে"


অলমিতি বিস্তারেণ

টিকটিকির ল্যাজ এর ছবি

যুকরাষ্ট্রের এবছরের অর্থনৈতিক আকালের সাথে কি নির্বাচনের সম্পর্ক আছে? দাতাগোষ্ঠীদের হয়ত অনেক ডলার ঢালতে হয়েছে প্রার্থী প্রচারণার জন্য......!

টিকটিকির ল্যাজ এর ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের এবছরের অর্থনৈতিক আকালের সাথে কি নির্বাচনের সম্পর্ক আছে? দাতাগোষ্ঠীদের হয়ত অনেক ডলার ঢালতে হয়েছে প্রার্থী প্রচারণার জন্য......!

তানবীরা এর ছবি

কেয়ামত নজদিক, আলামত দেখা দিচ্ছে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

বৃক্ষ তোর নাম কী ফলে পরিচয়।
মাহবুব লীলেনের ভয়ে আমিও নিজের নাম নিলাম না।

প্রফাইল এর ছবি

মাফ করবেন মাহবুব ভাই, ভয় একটা ছিল। প্রথম লেখা, আসবে কিনা।

সবজান্তার পান্তার হাড়িটা ভাগ্যিস ভাঙেনি। নাহলে আজাদ হয়ত উল্টোদিকে হাঁটতেন।

লেজ পড়ে গেলে টিকটিকি বাঁচে, কিন্তু টাকশাল পড়ে গেলে রাজা-রাজ্য কিছুই যে বাঁচে না।

কেয়ামতের আলামত ভালমত দেখা যাচ্ছে না। তবে এশিয়ার আর বেশিদিন নেই।

রণদীপম বসু এর ছবি

আমি কি কিছু বুঝলাম... ?

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

প্রফাইল এর ছবি

মনে হয়, কারণ মাথাটা ভেঙে পড়ছে যে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।