কোথাও সেই নীড় নেই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ৩০/০৫/২০০৯ - ১১:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শকুন্তলা

স্মৃতির ভেতরে ডুব দিয়ে দেখেছি, দূরছায়া
স্থির আনত করে সন্ধ্যার বেগবান সিঁথি আঁকা পথ।
ক্রমশঃ ভাড়ারে সব সঞ্চয় নিঃশেষে,
পালায় অযথা রেখে উপবাসী ক্ষুধার্ত আত্মা।
স্মৃতি কিছু দেয়নি স্বভাবতঃই।

ডুবেছি রৌদ্রের তীব্র রশ্মির আলোকে
নীল সূর্যে শুধু শুধু বিদ্ধ দীর্ঘশ্বাস!
ঝড়ের প্রকোষ্ঠে গিয়ে ফিরেছি বৈরাগ্য নিয়ে
পিছে ফেলে ভাঙ্গাচোরা রক্ত-মাংশ-হাড়।

ডুবেছি গৃহস্থের জালে, গোনাবাছা গর্তের গভীরে; সেখানেই আজো আছে
জন্ম থেকে গেঁথে যাওয়া পালকের রংধনু মালা!

আত্মা ফেলে, রক্ত-মাংশ-হাড় ফেলে
ভেবেছি পশ্চিমের ওই সুকোমল প্রেমে গিয়ে দেখি--
প্রেম তুমি ফেরায়না গ্রীবা অবধি ধেয়ে আসা তৃষ্ণার এই প্রবল হাহাকার
প্রেমের গভীরে অতঃপর
ডুবে দেখি
সেও এক বিলোভন পলায়নকামী
সেও এক তন্বী বিভীষিকা!


মন্তব্য

স্বপ্নরাজ এর ছবি

ভাই, আপনার কবিতা পড়ে তো মনে হচ্ছে, আপনি বিদ্রোহী কবিতা রচনা করেছেন। একটু নজরুলিস্টিক ভাব আছে :D। কিছু মনে কইরেন না। আপনার প্রতিভা আছে। চালায় যান।

শকুন্তলা [অতিথি] এর ছবি

ভাই, এখানে আপনি বিদ্রহের কী দেখলেন সেটা কিন্তু বুঝলাম না। বোঝাবেন?
আর, কবিতা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

ভুতুম এর ছবি

কবিতাটা বেশ ভালো। আরো লিখুন।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

শকুন্তলা [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ!

মূলত পাঠক এর ছবি

কবিতার পরিসর যেহেতু গদ্যের তুলনায় ছোটো, বানান ভুল না হওয়াটা তাই বেশি বাঞ্ছনীয়। যা চোখে পড়লো তুলে দিলাম, ভুল ধরছি বলে মনে কিছু করবেন না।

ভাড়ারে > ভাঁড়ারে
মাংশ > মাংস
তন্বী > তণ্বী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।