বিবর্জিতা (গল্প)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১১/০৮/২০০৯ - ১১:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

**বিবর্জিতা**

“আই কান্ট টেক দিস স্ট্রেস এনিমোর।”
“জাস্ট চিল বেবী।” আনিকাকে স্বান্তনা দেয়ার চেষ্টা করে মার্ক। আনিকা তাতে আরো চিৎকার করে উঠে,
“কিভাবে? আজকে বিশ তারিখ। অথচ পাবলিক ল’র টার্ম পেপারের কিছুই হয়নি এখনও। আঠাশ তারিখ সাবমিশন।”
“এখনও আট দিন হাতে আছে।” এবার আশান্বীত করার চেষ্টা করে মার্ক।
“হোয়াটেভার! আই নিড অ্যা রেড বুল।” আনিকা হনহন করে হেটে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন শপের দিকে যেতে থাকে। কিন্তু মার্ক বাধা দিয়ে থামায়।
“শোনো, এখন রেড বুল নিয়ে না বসে চলো কোন নাইটক্লাবে যাই। ফ্রাইডে নাইটটা আজকে অনেক মজা করে কাটাবো।”
আনিকা হাতের মোটামোটা দুটা বই মার্কের মুখের উপর তুলে ধরে বলে, “এগুলো নিয়ে নাইট আউট? আর ইউ আউট অফ ইওর মাইন্ড?”
“আচ্ছা ঠিক আছে। তোমার বাসায় চলো। একটু ফ্রেশ হয়ে তারপর ইস্ট লন্ডনের কোন এক পাবে যাবো।”

আনিকা আর কিছু বলেনা। সোজা টিউব স্টেশনের দিকে হাটা দেয়। মার্কও হেসে পাশে হাটতে থাকে। আনিকা মাঝে মাঝে আড় চোখে মার্ককে দেখে। ছয় ফুট তিন ইঞ্চি লম্বা এই ইংরেজ তরুনের প্রতি কিংস কলেজের কত দেশের কত মেয়ে যে পাগল ছিল তার হিসেব নেই। অথচ আজ সে অনিকার চোখের ইশারায় উঠে বসে। তবে এই ছেলে এত সহজে হাতে আসেনি। একে পটাতে আনিকার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কত মানুষের কত কটু কথা শুনতে হয়েছে। ভাবলেই আনিকার মেজাজ তিক্ত হয়ে যায়।

যদিও কে কি বললো সেসব কথায় আনিকার কিছুই যায় আসে না। মার্কের সাথে আনিকা কেবল এক সাথে থাকেনা; তাছাড়া ওদের মাঝে আর সবই হয়েছে। হয়তো এক সাথে থাকার ব্যাপারটাও ধীরেধীরে ঘটবে। আনিকার কাছে ‘সোশাল নর্মস’, ‘ভ্যালুজ’, ‘রিলিজিওন’ অথবা ‘কালচার’ কোন মূল্য রাখেনা। এসব ওর কাছে অসহ্য লাগে। মনে হয় মানুষ যেন পুরোনো ভাঙ্গা রেডিও বারবার বাজাচ্ছে। দেশে থাকতে ১৬ই ডিসেম্বর বা ২৬শে মার্চ আসলে মানুষের ‘এ্যাকটিভিটি’ ওর কাছে ভাড়ামো মনে হতো। ৪০ বছর হতে চললো কিন্তু স্বাধীনতা নিয়ে কপচানো বন্ধ হলো না এখনও। একটু টাইট টি-শার্ট পরে বের হলেই সবাই এমন ভাবে বুকের দিকে তাকায় যেন মেয়েদের বুক জীবনে দেখেনি। ছেলেদের সাথে রাত করে বাহিরে থাকলে মায়ের টেনশন শুরু, সিগারেট ধরালে যেন প্রতিবেশির ঘুম হারাম। মেয়ে উচ্ছন্নে যাচ্ছে বলে সবার চিৎকার। আরে বাবা ইউরোপ এ্যামেরিকার ছেলেমেয়েরাতো তাহলে জন্ম থেকেই উচ্ছন্নে গিয়েছে!

এসব নিয়ে আনিকা আগে কথা বলতো। এখন সেটাও বলে না। বাঙালী কমিউনিটি থেকে সে বেশ দূরে থাকে এবং খুব গর্বের সাথে বলে এসব বাঙালী কালচারের তার দরকার নেই। এগুলো সে কুলি করে ফেলে দিয়েছে। এমন কি মার্ককেও সে ঠিক মত বলেনি কোন দেশী সে। শুধু বলেছে সাউথ এশিয়ান। আসলে ওর কালচার ওর কাছে এক যন্ত্রনা। একে যতটা ভুলে থাকা যায় ততই ভালো। লন্ডর আসার সময় এয়ারপোর্টে ওদের ড্রাইভার ভাই হেসে বলেছিল, “আপা, আমার জন্য ফেরার সময় একটা বিলাতী কুত্তা আইনেন”। আনিকা হেসেছিল আর মনেমনে ভেবেছিল ‘বিলাত’ জগৎটাই যেন রঙ্গিন। তাইতো লন্ডনের উন্মুক্ত জীবনে এখন সে ইন্ডিপেন্ডেন্ট, মুক্ত, স্বাধীন। জীবনের প্রতিটা ক্ষনকে সে উপভোগ করছে। এটাই এখন তার সংস্কৃতি।

বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আনিকা এবং মার্ক বের হয়ে পড়ে পাবের উদ্দেশ্যে। বেশি দূর যেতে হয়নি ওদের। কাছেই একটা বেশ নাম করা পাব পেয়ে যায়। আজকে শুক্রবার রাত। পাব গিজগিজ করছে মানুষে। কত মানুষের কত পাগলামী। একটা গ্রুপ বাজীতে তাশ খেলছে। যে হারবে তার একটা করে কাপড় খুলতে হবে। ছেলেগুলোর মাঝে একটা মেয়ে ইতিমধ্যে প্রায় সব কাপড় খুলে বসে আছে। পুরো টেবিল জুড়ে মানুষের ভিড় সেখানে। কিন্তু মেয়েটা আর বাজীতে হারছে না। সবাই খানিকটা হতাশ। পুরো নগ্ন অবস্থায় দেখতে না পাওয়ার দুঃখে কাতর!

আনিকারা বিয়ার নিয়ে এক পাশের সোফায় বসে টিভিকে ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সের সিক্স নেশনস রাগবী ম্যাচের প্রিভিউ দেখতে থাকে। সাথে চলতে থাকে অলস সময়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত গভীর হতে থাকে লন্ডন নগরীর বুকে। দেখতে দেখতে বিয়ার দিয়ে শুরু করে রাম এবং ভদকাতে গিয়ে থামে ওদের নৈশ পানাহার। আনিকা অনুভব করে নিজের পায়ে হাটার শক্তিও যেন সে হারিয়ে ফেলেছে। মার্কের অবস্থা খানিকটা ভালো। ছোট বেলা থেকে ড্রিং করে অভ্যস্থ হওয়াতে ওকে ধরে দেরীতে। তবে সেও যখেষ্টই মাতাল। দুজন হাসতে হাসেতে যখন পাব থেকে বের হয়ে আসে তখন প্রায় মধ্যরাত।

মার্ক বলে, চলো একটা ব্ল্যাক ক্যাব নেই। আনিকা বাধা দেয়। দরকার নেই। আজকে হাটবো। অনেক হাটবো। সারা রাত হাটবো। আনিকার কথা শুনে মার্ক হাসে। আনিকাকে জড়িয়ে ধরে কোলে নিয়ে নেয়। তারপর টলতে টলতে হাটতে থাকে।

রাস্তায় এলোমেলো হাটা আর অহেতুক হাসির মাতাল ফোয়ারা ছোটাতে ছোটাতে ওরা যে কখন এক ভীড়ের সামনে এসে দাড়ায় নিজেরাই টের পায় না। আনিকা প্রায় বন্ধ চোখে বোঝার চেষ্টা করে কি হচ্ছে এখানে। মার্কও তখন অন্ধকারে। প্রচুর ব্রিটিশ এবং এশিয়ান এক সাথে ভিড় করে আছে। টিভি ক্যামেরাও দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকটা।

আনিকাকে রাস্তার পাশে দাড় করিয়ে মার্ক কাছের একটা ছেলের কাছে খোঁজ নিতে যায়,
“এখানে কি হচ্ছে?”
“মানুষ ফুল দিতে এসেছে।”
“কেন? কেউ মারা গিয়েছে নাকি?”
“আজকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২’র এই দিনে পাকিস্থানের ইস্ট বেঙ্গল প্রভিন্সে, যারা পরে স্বাধীন হয়ে বাংলাদেশ হয়, ভাষার জন্য প্রান দিয়েছিল বেশ কয়েকজন তরুন। তাদের স্মৃতিতে এখানে একটা সৌধ আছে। সেটায় সবাই নগ্ন পায়ে ফুল দিতে আসে প্রতি বছর।”
মার্ক অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখে। সামনে একটা পার্ক। সেখানে অন্যরকম সুন্দর একটা সৌধ আছে। মানুষগুলো ফুল নিয়ে সারিসারি ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেদিকে। অনেকেরই পায়ে জুতা নেই। প্রচন্ড ভিড় অথচ কত শান্তিপূর্ন ভাবে সবাই ফুল দিয়ে বের হয়ে আসছে।

আনিকার মাতাল ভাবটা তখন বেশ খানিকটা কমে এসেছে। চার দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে কোথায় দাড়িয়ে আছে। হঠাৎ সামনে চোখ পড়তেই দেখতে পায় শহীদ মিনার। বুঝতে বাকি থাকেনা সে আলতাব আলি পার্কের সামনে দাড়ানো। এটাও বুঝতে পারে বিশ তারিখ গড়িয়ে একুশে পড়েছে। আজ একুশে ফেব্রুয়ারী। সাদা-কালো-বাদামী, নির্বিশেষে সবাই ফুল দিচ্ছে। একুশে ফেব্রুয়ারী আজ আর শুধু বাংলাদেশেই স্বীমাবদ্ধ নয়। ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে।

মার্ক ছুটে এসে উত্তেজিত ভাবে আনিকাকে ইতিহাস শোনাতে যাচ্ছিল। ওকে হাতের ইশারায় থামিয়ে দিয়ে আনিকা বলে,
“আমি জানি এসব।”
“তোমারতো তাহলে ইতিহাসে ভালো জ্ঞান।”
“এর জন্য জ্ঞানের দরকার হয় না। আমি ঐ দেশেরই মেয়ে।” অনিকা বিরক্তবোধ করতে শুরু করে। কিন্তু কেন সেটা সে নিজেও বুঝতে পারেনা।
“তুমি বাংলাদেশী?” মার্কের গলার উত্তেজনা বেড়ে যায় আরো কয়েকগুন।
অনিকা কিছু বলেনা। মার্ক বলেই চলে,
“তুমি জানো, আমার দাদা বলতেন তোমরা নাকি বীরের জাতি। ৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধে মাত্র নয় মাসের মধ্যে তোমরা পাকিস্থানের মত একটা সুস্বজ্জিত বাহিনীকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করেছিলে। এত বড় রেজিমেন্ট এরকম অসহায় ভাবে অত্মসমর্পনের নজির ইতিহাসে খুব কম আছে। আজ তোমাদের তৈরী করা দৃষ্টান্তর সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য মায়ের ভাষার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ইউ মাস্ট বি প্রাউড অফ ইউর নেশন এন্ড কালচার!”

আনিকা মার্কের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে অপলক দৃষ্টিতে। কিছু বলেনা। কেমন অসহায় বোধ করতে থাকে ভেতরে। মার্ক আবার বলে, “চলো আমরাও ফুল দেব। আমি দুটো ফুলও সংগ্রহ করেছি।”
এবার অনিকা কেঁপে ওঠে। বলে, “নাহ। আমার শরীরটা ভালো লাগছে না। বরং তুমি একাই দিয়ে আসো।”
“আর ইউ শিওর?”
আনিকা ম্লাস হাসে। বলে, “কোন সমস্যা নেই। আমি ওই রাস্তার মুখে অপেক্ষা করছি তোমার জন্য।”

মার্ক ফুল দিতে চলে যায়। আনিকা ক্লান্ত পায়ে হেটে ব্রিকলেনের মুখে এসে দাড়ায়। তাকিয়ে দেখে সামনে লন্ডন শহীদ মিনারে জনতার ভীড় ক্রমেই বেড়ে চলেছে। চাইলে সেই ভীড়ের অংশ আনিকাও হতে পারতো। কিন্তু সে হয়নি। আসলে কেন যেন সেই সাহসই আনিকার হয়নি। বিবেকের ভেতর থেকে এক রুদ্ধতাবোধ ওকে গ্রাস করে নিচ্ছিল প্রতিক্ষনে। ভীড়ের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকতে থাকতে আনিকা হারিয়ে যায় ওর চিন্তার জগতে। মনে পড়ে মার্কের বলা কথাগুলো। আজ মার্ককে ওর শুধুই একজন ইংরেজ বলে মনে হয়নি। মার্ক যেন সারা পৃথিবীর মানুষের প্রতিনিধি হয়ে আজ আনিকার সামনে এসে দাড়িয়েছিল। প্রশংসা করেছিল ওর জাতীয়তাবোধের, ভাষার, সংষ্কৃতির। কিন্তু এ প্রশংসা গ্রহন করার অধিকার কি আজ আনিকার আছে? আনিকার মনে পড়ে ওদের ড্রাইভার ভাইয়ের বলা সেই কথাটা – ‘আপা, একটা বিলাতী কুত্তা আইনেন’। একটা কুকুর সেটা ‘বিলাতী’ হোক আর ‘দেশী’, তারওতো একটা জাত থাকে, থাকে স্বকীয়তা। অথচ মানুষ হয়েও আজ আনিকা বা ওরই মত যারা নিজের সংষ্কৃতিকে অস্বীকার করে, পায়ে মাড়িয়ে চলে যায় অথবা বর্জন করে, তাদের যেন সেটাও নেই। সেদিন প্রথমবারের মত অনিকার নিজেকে কুকুরের থেকেও নীচ মনে হচ্ছিল।

২১ ফেব্রুয়ারী ২০০৯
ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড।

নিক - নিয়াজ
নাম - নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী
লিঙ্ক - http://www.niaz.co.uk



বিবর্জিতা - আমার লেখা প্রথম প্রকাশিত গল্প। ডাবলিন থেকে প্রকাশিত বাংলা বার্তা পত্রিকার জুলাই সংখ্যায় এ গল্পটি প্রকাশিত হয়। এক্ষেত্রে শ্যামল ভাই এবং লুবনা ভাবীর কাছে আমি বিশেষ কৃতজ্ঞ।


মন্তব্য

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

এতো অল্পেই গলে গ্যালো?

খেকশিয়াল এর ছবি

“জাস্ট চিল ভেভী।”

খেক খেক

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অতিথি লেখক এর ছবি

খিক খিক হাসি

সচলায়তনে লেখা শুরু করলাম। আপনাদের সহযোগিতা আশা করছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

শাহেনশাহ সিমন অতিথি লিখেছেন:
এতো অল্পেই গলে গ্যালো?

বাঙ্গ নারীর রুপ কিন্তু মারাত্মক। গলতে যে বাধ্য। হাসি

গল্প কেমন লাগলো সেটাতো বললেন না?

মৃত্তিকা এর ছবি

খুব ভালো লাগ্লো আপনার গল্প। আরও লিখুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আরো কিছু গল্প নিয়ে আবারও আসবো।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গল্পটা ভালো হয়েছে ।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

একটু স্টেরিওটাইপ লাগলো। চরিত্রগুলোকে প্রকৃত মানুষের থেকে ক্যারিকেচার লেগেছে বেশী।

তবে বিদেশের জীবন নিয়ে অনেক অনেক কিছু লেখা যায়, তাই আপনের নেক্সট গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আশা করি নুতন গল্প লিখলে সেটাও পড়ে মতামত জানাবেন। শুভেচ্ছা রইলো।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আপনি যেহেতু, বিদেশে বাঙালি সংস্কৃতি দেখছেন, তাই সেগুলো নিয়ে আপনার আরো গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আর হ্যাঁ, আপনার গল্পটি যে ভালো লেগেছে, তা জানাতে ভুললাম না কিন্তু! চোখ টিপি
..................................................................

ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। ভবিষ্যতে আরো গল্পো লেখার চেষ্টা করবো। শুভেচ্ছা রইলো।

কীর্তিনাশা এর ছবি

ভালো গল্প। আরো ছাড়ুন হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। উৎসাহ পেলে আরো লিখবো। শুভেচ্ছা।

ভুতুম এর ছবি

ভালই লেগেছে। আরেকটু বৈচিত্র্য আসলে আরো জমতো। লিখুন আরো।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

অতিথি লেখক এর ছবি

পরবর্তিতে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করবো। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম। ভালো লাগল গল্পটা। নিয়মিত লিখুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো নিয়মিত লেখার। শুভেচ্ছা রইলো।

সাদা-মডু এর ছবি

জনাব নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী,

উদ্বেগ নিয়ে লক্ষ্য করা গেছে যে আপনি সচলায়তনের নীতিমালা সম্পর্কে অবগত নন। আপনার প্রতি অনুরোধ, নীতিমালাটি মনোযোগ দিয়ে পাঠ করার।

সচলায়তনে ইতিপূর্বে অন্য কোনো কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশিত লেখা পোস্ট না করে নতুন লেখা পোস্ট করার অনুরোধ রইলো। পাশাপাশি সচলায়তনে পোস্ট করা লেখা ৭২ ঘন্টার মধ্যে অন্য কোনো কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশ করা রীতিবিরুদ্ধ। সেক্ষেত্রে পোস্টটিকে সরিয়ে দেয়া হয়, এবং এ প্রবণতা বজায় থাকলে সচলায়তনে সংশ্লিষ্ট লেখকের লেখার সুযোগ সীমিত করা হয়। এ কারণেই সম্প্রতি পোস্ট করা আপনার একটি লেখা প্রকাশ করা গেলো না।

আশা করি আপনি সহযোগিতা করবেন, এবং রীতিটি অনুসরণ করে নিয়মিত লিখবেন। ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আনেক ধন্যবাদ। বিষয়টি জানতাম না। আমি নীতিমালাটি আরেকবার পড়ে নিচ্ছি।

আরেকটি বিষয় - গল্প বা সাহিত্য যদি অন্য কোথাও প্রকাশিত হয় তাহলে কি সেটা সচলায়তনে দেয়া যাবে? আমার লেখা পুরোনো গল্পগুলো কি সচলায়তনে প্রকাশ করতে পারবো?

বিষয়টি নজরে এনে দেয়ার জন্য আবারো ধন্যবাদ।

সাদা-মডু এর ছবি

নীতিমালাটি পড়লে এ প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যেতেন। সেখানে লেখা আছেঃ

২. সচলায়তনে প্রকাশিত লেখাগুলি ৭২ ঘন্টার জন্যে অনন্য থাকতে হবে, এবং অন্য কোন কমিউনিটি ব্লগে প্রকাশিত হতে পারবে না। মুদ্রিত মাধ্যম বা বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিগত ব্লগে প্রকাশের ক্ষেত্রে এ নিয়মটি প্রযোজ্য নয়। অন্য কোন কমিউনিটি ব্লগে সম্প্রতি প্রকাশিত লেখা সচলায়তনে প্রকাশিত হবে না।

আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়েছেন। জিজ্ঞাস্য থাকলে contact অ্যাট সচলায়তন.কম বরাবর মেইল করতে পারেন। ধন্যবাদ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি মন্তব্যটা করেই নীতিমালাটি পড়েছি। জবাব ওখানেই পেয়েছিলাম। আবার আপনি জানিয়ে দেয়ায় ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।