অণু কবিতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/০৮/২০০৯ - ১:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ফুটেছিল চাঁদ,ঘুচিয়ে বিষাদ-
মুছে নোনা জল,জেগেছিল সাধ।
ঘুমচোখে চেয়েছিল স্বপ্নেরা থাক,
জ্যোৎস্নাজলে ধুয়ে যাক সব অবসাদ।
স্বপ্ন দেখাই হল কাল;
ঘোর অপরাধ।।

ঝরে পাতা ,ঝরে ফুল
হয়েছিল দেখা,সে কী মনের ভুল?
বয়ে যায় সময়,বয়ে যায় নদী
এ কোন মায়ায় জড়ালে নিধি!
ভাবি অনুক্ষণ,প্রতিক্ষণ;ভাবি নিরবধি;-
হারায়ে ফেলি যদি!


বরষা হবে ভেবে মেঘ ভাসিয়েছি
জ্যোৎস্নাস্নাত হব বলে দিনটা ডুবিয়েছি
স্বপ্ন দেখব বলে স্নৃতির পানে ছুটেছি;
কেউ ফিরে আসেনি তোমারই মতো।


তুমি ছিলে, তুমি নাই
তোমারেযে খুঁজি নাই।
তুমি আছো, বুঝি তাই;
তোমারেযে পাই নাই।
তুমি থাকো,তুমি থেকো
অনাবিল জ্যোস্নায়।
আমি আছি চিরদিন
সূদুরের সীমাহীন ;
প্রতীক্ষায় ।


ঘুমিয়ে জাগো,ঘুমিয়ে আঁকো
ঘুমের বুকে ঘুমিয়ে থাকো।
স্বপ্ন বুকে, স্বপ্নে বাঁচো
স্বপ্ন বুকে স্বপ্ন আঁকো।
রংধনুকের রঙে রাঙো
রাঙিয়ে ভুবন লাজ ভাঙ্গো;
বদ্ধলোকের দুয়ার ভাঙ্গো।


আঁধারে ছিল ছেয়ে বিশ্বচরাচর,
সেই আঁধারে লুকিয়ে ছিল হৃদয় তাহার।
চোখের আলো সে তো কারো নয়যে আপনার,
মনের আলো জ্বেলেই ফুটুক প্রভাত আজিকার;
ঘুচিয়ে আপন পর।


বিজনে বসিয়া ভাবি
পূণিমা এল বুঝি!
জ্যোৎস্নার ভরা বরষায়;
মিছেই খুঁজি।
চকিতে ভাঙ্গিয়া ঘোর
জাগিয়া বসি,
দুয়ারে এলে বুঝি!
হায় প্রতীক্ষয়া,হায় জ্যোস্না!
সবই যে মায়া!!

চুরি যায় নিভৃতে বতমান, প্রতিক্ষণ
ফেলে আসা জ্যোৎস্নায় ফিকে হয়-
স্মৃতি; অণুক্ষণ।
পলে পলে যাচ্ছে ক্ষয়ে;
বৃথাই এ জীবন।
চলেতো যাবই, ভুলেতো যাবেই;
না হয় তবু রইলে কিছুক্ষণ।

ভুলে থাকি সুখ,প্রিয় কোন মুখ।
মুছে যাই ক্ষত,ধূলোমাখা পথ।
জেগে রই রাত;অন্তরঘাত।
হেটে যাই জ্যোৎস্নায়,জীবনের কালিমায়।
ভুল ভেবে থেমে যাই,জীবনের লালসায়;-
বৃথাই।
১০
ফেলে এলাম তারে,জীবনের ঘোরে;
মুছে অশ্রুজল।ভুলেছি অনগল।
পেতেছি বাসর;-
যেথা ডুবছে বালুচর।
স্বপ্ন হল ভঙ্গুর,কেউ রাখেনি খবর।
পেয়েও তারে হারালাম নিরন্তর!!

১১
ভুলে পথ ভুলো মন,
খুঁজে যায় অকারণ;
খোয়া যায় নিভৃতে-
সুখ আপন।
ভুলে স্নৃতি ভুলোমন,
ফিরে চায় অকারণ;
মুছে যায় সব আপন।
মিছেই জীবন;
অকারণ;অকারণ ক্রন্দন!
১২
ডুবেছে মন মায়ার বালুচরে,
আপন হবার ঘোরে।
ছুয়েছে মন মানুষ সকলে,
আপন হবার ছলে।
কেঁপেছে মন রাতজাগা ভোরে,
বেদনার ঝড়ে।
জীবন;গিয়েছে সে অকালেই ঝরে!!
১৩
ভুলে থাকি সেই ভাল,
মন ভোলে কষ্ট।
বেঁচে থাকা ঢের ভাল,
জীবন যখন ভ্রষ্ট।
হারায়েও নিজেরে-
দূরে থাকা গেল না।
সময়ের ঝরনায়-
স্নৃতি মোছা হল না;
রয়েই গেল যন্ত্রণা!
১৪
বেশ হয়;যদি ফুরিয়ে যাই,
মরে গিয়ে জীবন ফিরে পাই,
একটা জীবন অন্যভাবে কাটাই।
জন্ম জন্মান্তরে ঘুচবেনা জীবনের আশ,
যদি কোন জনমেই তোমারে না পাই;
জন্ম সে যে বৃথাই।

১৫
না ফোটা পাপড়ি নিভৃতেঘুমাক,
গহন খেলাঘর ঢেউয়ে ভেঙ্গে যাক।
সময়ের বালুচরে;স্মৃতিগুলো-
গোপনেই থাক।
জ্যোৎস্না মেখে যেন চেয়ে থাকে-
একফালি চাঁদ।
এতটুকুই সাধ।
১৬
কষ্টগুলো উড়িয়ে নিল
এলোমেলো বাতাস।
গোপন আমার অন্তঃপুরে
কাহার বসবাস?
গহন আধার মুছিয়ে নিল
জ্যোৎস্নাধোয়া আলো
হৃদয় আমার কারে বাসে ভাল?
অবাক প্রেমে অবাক জীবন;
আরো অবাক হল!
১৭
যাবনা অজানায়,
জাগবনা জ্যোৎস্নায়,
যায় জীবন যায় যাক;
মিছে বাসনায়।
আঁকব না সপন,
ভাবব না আপন,
হয় জীবন হয় হোক;
একান্ত গোপন।
হাসিমুখ বয়ে বেড়ায়;
তিক্ত ক্রন্দন;
এই তো জীবন।
১৮
প্রণতি হৃদয়ের গহন চূড়ায়,
আকূল হয়ে বয়ে চলা রিমঝিম ঝরণায়।
প্রতিক্ষণ জীবনের পথ চলায়;
পাগল পারা বোধে পথ হারায়।
নিরিবিলি জেগে ওঠে নিঃসঙ্গ জ্যোৎস্নায়।।
১৯
কোমল রোদে রাঙ্গা প্রভাত-
ঘুম ভাঙ্গায়ে গেল।
ভোরের পাখি আপন সুরে-
গান শুনায়ে গেল।
ঘুমের শেষে তন্দ্রা হয়ে-
অবশ করে গেল।
গহন সুখে সাতসকালে-
হৃদয় নাচায়ে গেল।
২০
আলতো এসে এলোচুলে
বাতাস হয়ে ছুয়ে গেলে।
একটু হেসে সবনাশের-
নীরব আগুন জ্বালিয়ে গেলে।
রাঙ্গা লাজের পেখম মেলে
তুমুল আমায় নাড়িয়ে গেলে।
তাই অভাগা ডুব মেরেছি-
তোমার জলে।।

২১
আকাশজোড়া একফালি চাঁদ,
অথব যত সাধ।
হাতের মুঠোয় ভগ্ন রেখা,
নষ্ট আলোয় স্বপ্ন দেখা।
মেলার ভীড়ে হারিয়ে ফেলা,
একঘেয়ে এক গল্প বলা;
স্মৃতির কাদায় পিছলে চলা।

২২
মন ভাবে সব আবোলতাবোল,
নানান কথার হট্টগোলে।
দিন কেটে যায় জাবর কেটে,
স্মৃতির জলে আচড় কেটে।
ভাব হলনা,প্রেম হলনা,
একলা চলা তা-ও হলনা!
জীবন গেল ভৎস্নাতে!

২৩
বৃষ্টি আমায় ডেকেছিল;বিষাদ পাবণে,
সবটুকু তার লুকিয়ে;নয়ন গহনে।
পুড়িয়েছিল স্বপ্ন যত;নীরব প্রত্যাখ্যানে,
আজো পোড়ায় বৃষ্টি আমায়;
স্মৃতির দহনে।।

২৪
বিজনে বসিয়া ভাবি আনমনে,
উতলা হাওয়ায় শুধাই জনে জনে,
আমারে কী হায় রাখিবে স্মরণে?
জনম গেল তাহার বিহনে,
জুড়াইবে কী জ্বালা একক মরণে?
না কী পোড়াইবে জনম জনমে!

২৫
ফুল জড়ালে চুলে,
মন পোড়ালে ভুলে।
দিন কাটাবার ছলে
জীবন জুড়ে এলে।
বলো সখি ,কোন সে পথে
আমায় ফেলে গেলে-
সব হারাবার কালে?

২৬
ঘর বেধেছি সুখের বাসায়
পথ ভুলেছি পথের আশায়
পর করেছি আপন সকল,
হঠাৎ কোন ভাষায়।
দিন কেটেছে দুখের ঘোরে
মন রয়েছে একলা পড়ে,
রাত ফুটেছে ভোরের শেষে;
মিছেই জীবন চলায়।।

২৭
শোনো! আজ ভালবাসাহীন;
মিছে প্রবোধে পথ হারাবার দিন।
আজ ভালবাসাহীন;
ছন্নছাড়া জীবনের টানে পথ হারাবার দিন।
আজ ভালবাসার দিন;
বেহিসেবে বিকিয়ে দিয়ে ফেরারী হবার দিন।।

২৮
ভিজল না মন স্বপ্নধারায়,
ভিজল না মন জলে।
অবাক ভুলের কীট ধরেছে-
গহন স্মৃতির ফুলে।
ভাসল মিছে এলোমেলো-
অচিন হাওয়ায় দুলে!
জীবন কেবল বয়ে চলা-
ছন্নছাড়া ভুলে!

২৯
বন্ধুরে তুই আছিস কেমন?
কোথায় যেন হারিয়ে গিয়ে!
আর হলনা যুদ্ধে যাওয়া,
তোকে সঙ্গে নিয়ে।
ফেলে আসা হাজার স্মৃতি,
যাচ্ছে সদাই ধুয়ে।
একলা জাগা রাত্রিগুলো,
আনে তোকে ফিরায়ে।
আয়না ফিরে বন্ধু আমার,
আয়না ফিরে আবার।
তোকে নিয়ে জীবনের এ পথটা,
চষে বেড়াই আবার।
সাধ,সাধনা,স্বপ্ন,কষ্ট,
সবই যে আজ নষ্ট-ভ্রষ্ট,
আয় দিয়ে যা বেঁচে থাকার,
নবীন ছত্র।
৩০
তুমিযে মেঘ,
তবুওযে বৃষ্টি হয়ে ঝরো!
তুমিযে হারিয়ে পাবার,
তবুওযে আমায় খুঁজে মরো!
মনের লাগাম হারিয়ে গেলে
আর হবে কী দেখা?
এতকিছুর মাঝে থেকেও
নও কী তুমি একা??


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কে গো ভাই বেনামে এত এত সুন্দর কবিতা লিখে গেলেন? নাম জানিয়েন। শুভেচ্ছা রইলো। আর দু'দিন পর নিজেকেই এগুলোর লেখক বলে দাবি করে বসবো নয়তো! চোখ টিপি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।