চড়ুয়ের বাসা থেকে ডিমের গন্ধ ভেসে আসে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৯/২০০৯ - ৩:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তোমার শৈশবে কী ছিলো কোন খাঁচা?
বালিহাঁসের নরম পালকের মায়াঘেরা
বেশ কিছু পুরাতন শুকনো কঞ্চি দিয়ে
সুতোয় বাধা চৌকোন ঘরের বেড়া।

জোড়াতালির ফাঁকগুলো সেখানে
হাঁ হয়ে ছিলো হা-ভাতের স্বাদ
পোষা ময়না, শালিক আর টিয়ে
বাদামী চোখের নিচে ছিলো না-
যাদের ফুড়ত ফুড়ত সুবিধাবাদ।

পাখিদের থাকে লালটুকটুক হৃদয়
মায়াবী দুটি পায়ের কাছাকাছি
মাটি ছুঁয়ে, ঘাস ছুঁয়ে, পাতা ছুঁয়ে
হেঁটেছিলো তারা অচল আয়তনে
অবাক লালটুকটুক ভালোবাসা নিয়ে
শৈশবসিক্ত উদার-উষ্ণ চুমু চূয়ে।

তারপর শুরু হলো ঘরের গল্প
বড়-বড় ঘর, দীর্ঘ কান্নার খাঁচা
লাল-দালানের কোটরে কোটরে
ভাঙা-ভাঙা সে খাঁচায় বাঁকিয়ে বাঁচা।

তার সাথে ভাঙে পাথরে পাথর,
পোড়ে আগুনে ম্যাশনের দুধরাত
মার্বেলমুখে কেঁপে ওঠা পাতিমুখ
রঙিন বমিতে যখন অট্টহাসে-

ঠিক তখনই চড়ুয়ের বাসা থেকে
ডিমের গন্ধ ভেসে আসে।

শেখ নজরুল, ঢাকা


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

"পাখিদের থাকে লালটুকটুক হৃদয়
মায়াবী দুটি পায়ের কাছাকাছি
মাটি ছুঁয়ে, ঘাস ছুঁয়ে, পাতা ছুঁয়ে
হেঁটেছিলো তারা অচল আয়তনে"
ভালো লাগলো বেশ ভালো

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কবিতায় শুদ্ধ বানান প্রত্যাশা করি ১০০%। কবিদের অধিকার আছে ছন্দের প্রয়োজনে শব্দ বানানোর, তবে এর পাশাপাশি দায়িত্বও আছে শুদ্ধ বানানে লিখবারও।

শৈশবে কি ছিলো
বাঁধা
চৌকোণ
ফুড়ৎ
দু'টি
চুঁয়ে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভালো লাগলো। আরো লিখুন।
............................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।