নিম নিম বিকেলটা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৬/১১/২০০৯ - ১২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সন্ধ্যের আকাশটা আজ বেশ শ্যাওলা ; ঘনীভূত হয়ে থাকা বায়বীয় ফ্রাইপ্যানে লাল টুকটুকে আগুন
আর
পোড়া পোড়া গন্ধে নিম নিম ডিম - দূরের আকাশ যতটা না কছে তার চেয়ে
বেশি নমনীয় হয়ে আছে উড়তে থাকা ছেড়া ব্যানার -

তবুও একজন রিক্সা আরোহী আর অন্যজন মধ্য বয়সী শাদা আঁচল
আজলে তুলে নেয়া নরম পানির মতো দুজনে বেশ ভাবাতুর হতে পারে অথচ আনমনে অস্বীকার করে গেল যে কোন একজন গতকাল যে ছিল ভিন্ন - ভিন্ন বাসরীয়,

আজকাল না মুঠোফোনের বেশ রমরমা - তবুও কানে বাঁজে না তেমন ঝংকার, যতটা ঘনীভূত হলে বলতে পারি নিম্নচাপ আজ জ্বলোচ্ছাস এনে দেবে পাশের বন্দরে - নোনতা ব্রীজে দাড়িয়ে যেমনটা দু'হাত মেলেছে পৃথিবীর সকল একাকীত্ব

উড়তে থাকা গাংচিল ক্রমশ যেন হয়ে যায় রাতের বেলকনি, পর্দার আড়ালে পর্দা।

আর একাকী আমি তাকে বলতে পারি - বেশ নিম নিম গেল আজ বিকেলটা - তুমি কী বোঝো

-নীল মানব


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একজন বড় কবিকেও বলেছিলাম, আপনাকেও বলছি, এত ছোট লেখায় (মানে কবিতায়) বানান ভুল থাকলে পড়তে খুবই বিরক্তি লাগে। আর কবিতার মানেও বদলে যায়, অর্থাৎ মানোদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে। কয়েকটা স্থানে চন্দ্রবিন্দু হওয়ার দরকার ছিল- হয়নি, আর একস্থানে দরকার নেই অথচ দিয়েছেন।

চন্দ্রবিন্দু হবে:
ছেড়া
আজলে (এই বানানের মানে কিন্তু কবিতার সাথে একেবারেই যায় না)

চন্দ্রবিন্দু হবেনা:
বাঁজে

মূলত পাঠক এর ছবি

আরো আছে:

কছে: কাছে

জ্বলোচ্ছাস: জলোচ্ছ্বাস, যদি না জ্বলছে এমন উচ্ছ্বাস বুঝিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রেও শেষের ব-ফলাটা লাগবে।

নোনতা ব্রীজে দাড়িয়ে: দাঁড়িয়ে

প্রশ্ন: নিম নিম ডিম ব্যাপারটা কী। জানি কবিতায় মানেটানে থাকলে চলে না, তা বলে স্রেফ অন্ত্যমিলের লোভে নিম আর ডিমকে এক বেঞ্চিতে বসতে হবে?

তবে এতো কথার পরেও বলি, এ কবিতাটা কী যেন কারণে ভালো লেগেছে, মানে না বুঝেও।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।