একটি নিতান্ত আনাড়িবান্ধব রেসিপি ২ – ডিম-পাউরুটি বড়া

পল্লব এর ছবি
লিখেছেন পল্লব [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ৩১/০৩/২০১০ - ১:৪৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আনাড়িবান্ধব রেসিপি সিরিজের দুই নাম্বার হলো ডিম-পাউরুটি বড়া। ভূমিকা ছাড়াই শুরু করি।

আগের রেসিপিঃ টুনা ভর্তা

উপকরণঃ
১) দুটা ডিম
২) তিন স্লাইস পাউরুটি
৩) সয়াবিন তেল
৪) আধা চামচ লবণ
৫) সিকি চামচ মরিচ গুঁড়া
৬) সামান্য চিনি (দুই আঙ্গুলের এক চিমটি - এর চেয়ে স্পেসিফিক হতে পারলাম না হাসি )
৭) এক্সট্রা ফ্লেভারের জন্য সামান্য পরিমাণে ক্রাশড রেড পেপার (pepper), রোস্টেড গারলিক & হার্বস সিজনিং, গ্রাউন্ড ব্ল্যাক পেপার (pepper), অরেগানো লিভস। (এগুলো না দিলেও চলবে। ওয়ালমার্টে গেলেই এগুলা কিনি বাসায় বার্গার, স্যান্ডুইচ এসব বানানোর সময় দিব বলে, পরে এইসব টুকটাক রান্নার সময়ও দিয়ে দেই।)

এক্সট্রা ফ্লেভারস

ডিম ফেটে পাউরুটি বাদে বাকি সব মিশাতে হবে। তারপর পাউরুটি ছিড়ে ছোট ছোট টুকরা করে মিশিয়ে থকথকে কাই করতে হবে।
ইলেক্ট্রিক স্টোভে রান্না করি, সে হিসাবে বলছি। স্টোভ মিডিয়ামের চেয়ে একটু কমে দিয়ে ফ্রাইপ্যানে একটু ডিপ করে তেল (৩-৪ মি.মি ডিপ) (বিঃ দ্রঃ টা দেখে নিতে হবে এখানে) নিতে হবে। তেল গরম হলে (এই তাপে মোটামুটি ১ মিনিট লাগে) ছোট ছোট দলা করে কাই দিয়ে বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। মোটামুটি ৫-৬ মিনিটের ভেতরে হয়ে যাওয়া উচিত।

ডিম-পাউরুটি বড়া

পুরো প্রসেসটায় সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট লাগা উচিত। সকাল বা বিকালের নাস্তা হিসাবে তাই জটিল। বাসায় টমেটো কেচাপ বা আর কোন সস থাকলে আরো জমবে দেঁতো হাসি

[বিঃ দ্রঃ যেভাবে তেলের কথা বললাম, সেটা মোটামুটি ডুবো তেল। ডুবো তেলে ভাজলে বড়ার সবদিক সুন্দর ভাজা হয়। কিন্তু কথা হচ্ছে, ডিমের যেকোন কিছু ভাজতে গেলে সেটা তেল পুরোটা শুষে নেয়, যদিও খাবারটা সেরকম তেল চুপচুপে হবে না। তাই বেশি তেল খাওয়ার অসুবিধা হলে একটু কম নেয়াই ভাল। কম নিলে বড়ার পিঠ পুড়বে, সাইড পুড়বে না, কিন্তু রান্না ঠিকই হবে।

তেল কম নিলে বড়াগুলা দেওয়ার একটু পরে তেল পুরো শুষে নেওয়ার আগেই উলটে দিতে হবে, নাহলে এক পিঠ তেল পাবে, অন্য পিঠ পরে তেল ছাড়া পুড়ে একটু তিতাতিতা হওয়ার চান্স থাকে।

দেঁতো হাসি ভাজার প্রসেসটাতে একটু হাত পাকায় এই জ্ঞান ঝাড়ার সু্যোগটা ছাড়তে ইচ্ছা করল না দেঁতো হাসি ]

ডিসক্লেইমারঃ আনাড়িবান্ধব রেসিপির কৃতিত্ব বাই ডিফল্ট আমার স্ত্রীর। যদি কোনটা আমার হয়, আমি বিশাল বড় করে অনেকগুলা দেঁতো হাসি দিয়ে লিখে দিব।

===========
আশাহত


মন্তব্য

নাশতারান এর ছবি

আপনার ডিম-পাউরুটি বড়ার রেসিপি বেশ আলাদা। আমি যেটা খেয়ে অভ্যস্ত তার জন্য পাউরুটি ভিজিয়ে রেখে পরে পানি ঝরিয়ে সেই ভেজা পাউরুটির নরম একটা মন্ড করা হয়। তারপর লবণ-মরিচ-পেঁয়াজ দিয়ে ভেঙ্গেচুরে ভাজা ডিমের পুর ছোট ছোট মন্ডের ভেতর ঢুকিয়ে গোল্ গোল করে তেলে ভাজা হয়। পরিমাপ জানি না। আপনি চাইলে ওটাও করে দেখতে পারেন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারটা মনে হয় এল্যাবোরেটেড ভার্শন, এবং আরো মজার হওয়ার কথা। সপ্তাহান্তে ট্রাই মারব একটা দেখি। আমি যেটা দিলাম, সেটা সকালে উঠে তড়িঘড়ি করে বানায়ে খিদা মিটানোর জন্য হাসি

==============
আশাহত

রেনেট এর ছবি

তারপর পাউরুটি ছিড়ে ছোট ছোট টুকরা করে মিশিয়ে থকথকে কাই করতে হবে

থকথকে কাই করতে হয় কেম্নে ইয়ে, মানে...?

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

থকথকে কাই করতে হবে না, যেই পরিমাণে বলসি, সেইভাবে করলে এমনেই হবে হাসি

===========
আশাহত

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সচিত্র রন্ধনপ্রণালীর জন্য চলুক, বাকীটা কখনো রান্না করলে জানাবো।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। রান্না করে ভাল্লাগলে জানায়েন, নাইলে থাক দেঁতো হাসি

===========
আশাহত

মূলত পাঠক এর ছবি

একটা কাছাকাছি রেসিপি দিই, স্বাস্থ্যবান্ধব নয়, তবে আমার এক মাসী বানান, খেয়েছি বিকেলের চায়ের সাথে, চমৎকার "টা"। পাঁউরুটি নিয়ে তার চারিদিকের বাদামি অংশটা কেটে বাদ দিন। পুর হবে আলুর তরকারির লেফট-ওভার, বা চাইলে কিমা মিশিয়ে একটু রেঁধে নিলে তো তোফা! এইবার ঐ পাঁউরুটি জলে হাল্কা ডুবিয়ে জলটা অল্প ঝেড়ে ফেলে হাতের পাতায় নিন, তার মাঝে ঐ পুর দিয়ে হাত মুঠো করলেই চপের আকার নেবে। এবার এটা ব্রেডক্রাম্বে গড়িয়ে নিয়ে ডুবো তেলে ভেজে ফেলুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

কম তেলে ভাজলে অত "স্বাস্থ্য-অবান্ধব" (ঠিক শব্দটা ভেবে পেলাম না) হবে না। কিন্তু এইটাও একটা ভালো "আনাড়িবান্ধব" রেসিপি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

=========
আশাহত

বর্ষা এর ছবি

আপনার রেসিপির মূল বৈশিষ্ট্য হলো পরিমানটা একদম ঠিকঠাক দেয়া। আরো জটিল রান্নার রেসিপির দাবী জানিয়ে গেলাম। আমি বিশাল গাধা টাইপ রাধুনি ছিলাম এককালে, এখনো আছি মনে হয়। কারণ একবার আমি পাব্দা মাছ না কেটে ভেজে ফেলেছি, তারপর মনে পড়েছে, আয়হায়!!! তাড়াতাড়ি নামিয়ে ধুয়ে, কেটেছি।
মুরগীর রোষ্ট (ঈদ স্টাইল), ফুলকপি আর মাছের রেসিপি চাই।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিকঠাক পরিমাণের কৃতিত্ব আমার স্ত্রীর। সে যে কিভাবে এক চান্সে ঠিকমত মশলা মিশায় তা কোনভাবেই বুঝি না। কিছু হিসাব আছে তার, কিন্তু আমার অ্যান্টেনার উপর দিয়ে যা্য় সেগুলা। পরিমাণ মাপজোক আর সিকোয়েন্স মনে রাখাতে আমি সবজায়গাতেই ধরা খাই।

ঢাকায় থাকতে একদিন মাছ রান্না শিখে সেটা মনে রাখার চেষ্টা করতে করতে ঘুমালাম রাতে, স্বপ্নে দেখি, তেল ছাড়া স্রেফ পানি আর মশলা দিয়ে মাছ রান্না করে মেজাজ খারাপ করে বসে আছি।

সবরকম রেসিপিই আসবে আস্তে আস্তে। আগে নিজে দেখে নেই দেঁতো হাসি আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ হাসি

=========
আশাহত

মণিকা রশিদ এর ছবি

মুর্গীর রোস্টের একটা সোজা রেসিপি এইখানেঃ

পর্ব ১ঃ
মুর্গীর ঠ্যাং( এক কেজি) প্রথমে কাঁটা চামচ দিয়ে আচ্ছামতন খুঁচিয়ে নিতে হবে। খোচাখুঁচি শেষ হলে লবণ আর আদা (এক টেবিল চামচ ) মাখিয়ে ২ ঘন্টা ধরে ফ্রিজে বন্ধ করা জরুরী( আমি দেখেছি যে কোনো মাছ বা মাংস রান্নায় মেরিনেটিং খুব ভালো কাজ দেয়)। এর পরে এগুলারে ফ্রাইপ্যানে (তেল, ঘি বা বাটার দিয়ে) বাদামী করে ভাজতে হবে।

দ্বিতীয় পর্বঃ
ঢাকনা দেয়া যায় এরকম বেশ প্রশস্ত প্যান এ তেলের মধ্যে লবণ রসুন, আদা, জিরা, গরম মশলা, সামান্য গুঁড়া মরিচ ও কয়েকটা কাঁচা মরিচ( পরিমানের বেলায় আমি কম মশলার পক্ষপাতী, মশলা যেন মাংসের ফ্লেভার ছাপিয়ে না যায়-) দিয়ে কষাতে হবে বার দুয়েক সামান্য জল দিয়ে। সাথে এককাপ দুধ আর সামান্য চিনি দিয়ে দিতে হবে। সবশেষে দুই টেবিল চামচ পরিমান তেঁতুলের ঘন জল দিয়ে ভাজা মাংস আর এক কাপ পানি দিয়ে
ঢেকে রাখা। ঝোল ঘন হলে নামানোর আগে ২ ফোঁটা কেওড়া আর স্যাফ্রন( এক চা চামচ) দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে সাথে দুই-চারজন খাদক নিয়ে খেতে বসতে হবে( এই জিনিস পোলাউএর সাথে ভালো যায় আর একা খেতে ভাল্লাগে না!)।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

রেনেট এর ছবি

রেসিপি পড়েই তো ক্ষুধা লেগে গেল মন খারাপ
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মণিকা রশিদ এর ছবি

মন্ট্রিয়াল চলে আসেন, রেনেট। রান্না করে খাওয়ানো হবে।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

রেনেট এর ছবি

আমার তো খুশিতে সবগুলো দাঁত বেরিয়ে গেল দেঁতো হাসি

তবে, আমি যেদিন আসবো, সেদিন আর কাউকে দাওয়াত কইরেন না...খাবারে শর্ট পড়তে পারে হাসি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

বর্ষা এর ছবি

আপু, অনেক ধন্যবাদ। আচ্ছা পেঁয়াজ দিতে হয় না? এই উইকেন্ডেই ট্রাই মারবো। রেনেট আমি বড়ো জোর ডেট্রয়েট পর্যন্ত দিয়ে আস্তে পারি খেতে চাইলে...হাসি
ইয়ে মাছ, ফুল্কপি রান্না???
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

মণিকা রশিদ এর ছবি

হাহা! পেঁয়াজ রান্নায় লাগে না। তবে বেরেস্তা করে পরিবেশনের সময় সাজিয়ে দেয়া যেতে পারে। স্বাদ বাড়ার কথা, দেখতেও সুন্দর লাগবে।
বর্ষা, মাছ রান্নার তো কয়েকশ রেসিপি হতে পারে, আপনি কোন ধরণের মাছ রান্না করতে চান জানাবেন। আমি বরং আমার ব্যক্তিগত রেসিপিগুলো মেইল করে দেব আপনাকে।
ফুলকপির বেলায়ও তাই। মা একটা জিনিস রান্না করতেন 'ফুলকপির ডালনা' এইটা আমার খুব প্রিয়, তবে বেশ মশলাদার হয়। বাকিগুলো হালকা।

____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

অতিথি লেখক এর ছবি

আমারেও মেইল কইরেন।

==========
আশাহত

রেনেট এর ছবি

ক্যান, ডেট্রয়েটের পর কি সমস্যা? বাস চলে না? চিন্তিত
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

বর্ষা এর ছবি

ইয়ে, এরপর সাধ আর সাধ্য ঝগড়া করা শুরু করে। মনিকা আপু, একটু ক্ষট করে কি আমাকে একটা সূচনা মেইল করবেন? তাহলে আমি আমার আরজি জানাবো, আপনার ইমেইল আইডি দেয়া নেই কিন্তু সচলায়তনে।
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

মোটামুটি এইটার একটু অলটারনেট ভার্শন বোধ হয় জানি। একটু ঘুরপথে গেলে কোর্মাও হয়ে যায়।

==========
আশাহত

হরফ এর ছবি

আনাড়িবান্ধব মিঠাই
৫০০ গ্রাম সাদা দৈ নিয়ে একটা পরিষ্কার কাপড়ে (ধরুন বড় রুমাল গোছের কিছু)ঢেলে কল-ট্ল কিছু একটা থেকে ঝুলিয়ে রাখুন জল ঝরানোর জন্য, য্তক্ষণ ইচ্ছে (২৪ ঘন্টা ওবধি ভুল করে রেখে দেখেছি, দিব্বি হয়)। আপনার যখন ইচ্ছে হবে মিঠাই বানাতে তখন কয়েক-ফোঁটা গোলাপ-জল বা ১ চা চামচ এলাচ-গুঁড়ো বা আধ কাপ দুধে ১ চা চামচ জাফরান গোলা আর স্বাদানুসার চিনি (মিহি হলে সুবিধা হয়) মিশিয়ে নিন। আপনার শ্রীখন্ড রেডিঃ-) যদি ইচ্ছে হয় তাহলে এর মধ্যে পেস্তা-বাদাম কুচি দিতেই পারেন। আর আপনি যদি সত্যিই "মারসবতিসু-কদাচন" হন তাহলে ফচকে ভাগ্নে থেকে নব্য প্রেমিকা সব্বাই ঘাড় মুচড়ে ইমপ্রেসড হবে এই ক্ষীরসম শ্রীখণ্ড খেয়ে, গ্যারান্টিডঃ-)

"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। আমরা এরকমই কিছু একটা করে সন্দেশ বানাই। দুধ জাল দিয়ে ছানা তুলে এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে সন্দেশ বানাই। পয়লা বৈশাখের কয়েকদিন পরে ভার্সিটিতে একটা ইন্টারন্যাশনাল অনুষ্ঠান টাইপ হবে, সেখানে বাংলাদেশের একটা স্টল খুলে আমরা বিভিন্ন জিনিস বেচব। আশা করি, তখন আরো রেসিপি দিতে পারব।

===========
আশাহত

মেলিতা [অতিথি] এর ছবি

বাহ, তুমি আর টিউলিপ তো ভালো রান্না করে বেড়াচ্ছ।

কানাডা আসার পর থেকে মনে হচ্ছে, প্রবাসী বাঙ্গলীর জন্য একটা রেসিপি ইবুক করা খুবই দরকার। যেইখানে বৈদ্যুতিক চুল্লীর আঁচ এর হিসেব থাকবে, ফুটবল সাইজের পেঁয়াজ ভেজে বাদামী করার উপায় থাকবে, দুইশ বছরের পুরানো মাংস সাইজ করার পদ্ধতি থাকবে...

অতিথি লেখক এর ছবি

করে ফালাও। আমি এইসব সহজ, কুইক রেসিপি দিব আলাদা একটা চ্যাপ্টারের জন্য। এইগুলা একদম আনাড়িদের জন্য, "পরিমাণমত" বা "স্বাদমত" টাইপ শব্দ বাদ দিয়ে দেঁতো হাসি

চুলার আঁচের হিসাব মোটামুটি বুঝে গেসি, চুলার কাজটা মোটামুটি আমি একাই পারি। পেঁয়াজ বাদামী করারও অত ঝামেলা হয়না, সমস্যা হইল উচ্চতা আর আর্দ্রতা। প্রথমপ্রথম খুবই সমস্যা হত পানি কতটুক দিব বুঝতে, জিনিসপত্র সিদ্ধ করতে, এখন সিদ্ধ হতে সময় লাগে এমন সবই মাইক্রোওয়েভে সিদ্ধ করে নেই "potato/baked potato" অপশন দিয়ে। মাংস যতই পুরানো হোক, আগের দিন মেরিনেট করে পরের দিন রান্না করলে আর সমস্যা থাকে না।

তুমি বোধ হয় এগুলা জান অলরেডি, আর মানুষের জন্য বললাম।

=========
আশাহত

শম্পা এর ছবি

বর্ষার জন্য মাছের রেসেপি: যেকোনো ফ্রোজেন মাছের জন্য উপযুক্ত।
প্রথমে মাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। তারপর অল্প হলুদ লবণ মাখান ভাল করে। ননস্টিক ফ্রাইপ্যানে এমনভাবে তেল নিন যেন মাছের টুকরোগুলি আধোডুবো হয়। এক মিনিট পর এক পিঠ উল্টে দিন। মাছ বাদামী হোলে তেল ঝরিয়ে উঠিয়ে নিন। এবার এক কাপ পেয়াজ কুচি অবশিষ্ট তেলে বাদামী করে ভাজুন। এরপর একে একে দিন এক চা চামচ কের লাল মরিচ গুড়ো, ধনে গুড়ো, জিরা গুড়ো এবং আধা চা চামচ হলুদ গুড়ো। অল্প পানি দিয়ে ভাল করে কষাণ। শুকিয়ে গেলে অল্প পানি দিন যেন মসলা পুড়ে না যায়। এরপর একে একে মাছের টুকরোগুলি দিয়ে একটু নাড়ুন যেন ভাল করে মসলা মিশে। এরপর মাছ ডুবিয়ে পানি দিন। চার পাঁচটি কাঁচা মরিচ চিড়ে দিয়ে ঢেকে দিন। পানি কমে তেল উপরে উঠে এলে লবণ চেক করে স্বাদমত লবণ দিয়ে অল্প নাড়ুন। আমি এ পন্থা অবলম্বন করি লবণের পরিমাণ ঠিক রাখতে। ভুনা খেতে হলে পানি শুকিয়ে ফেলুন। তৈরি হয়ে গেলো আনাড়িবান্ধব মাছের রেসেপি।

বর্ষা এর ছবি

ওনেক ধন্যবাদ। মাছ রান্নার রেসিপি আমাকে দয়মন্তীদি আগে দিয়েছিলেন, মাছ ফুল্কপি পারছি না কারণ ফুল্কপি গুলো গলে যায় কেনো যেনো----ঃ(

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

শম্পা এর ছবি

ফুলকপি দিয়ে মাছ রাঁধতে, আগের রেসিপি অনুসারে মাছ ভেজে উঠিয়ে নিন। এবার পেয়াজ ভাজা হলে মসলা কষিয়ে ফুলকপি (বড় টুকরো), আলু, মটরশুটি দিয়ে ভাল করে নেড়ে মসলা মেশান। এরপর অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিন। ঝোল ফুটে উঠলে ঢাকনা তুলে মাছের টুকরোগুলো ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢেকে দিন। এ পর্যায়ে মন চাইলে টমেটো দেয়া যেতে পারে। মৃদু আঁচে দশ মিনিট রান্না করুন। ঢাকনা তুলে পরখ করুন সব্জি সেদ্ধ হয়েছে কিনা।সব্জি সেদ্ধ হয়ে তেল উপরে উঠে এলে নামিয়ে ফেলুন। আশা রাখছি ফুলকপি গলে যাবে না :)।

অফ টপিক: আমি নূর-উস-শাম্‌স, চিনতে পেরেছ?

বর্ষা এর ছবি

অবশ্যই। অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু রেসিপি আমাকে দিলে আপনি কেনো? চিন্তার বিষয়।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।