শিষ্যের কাছের গুরূর পরাজয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৯/০৬/২০১০ - ২:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশ বড় ব্যবধানেই হারলেন মহিউদ্দিন । এত সহজে মনজুর হারিয়ে দেবেন ঝানু মহিউদ্দিনকে তা কি পাড় বিএনপি সমর্থকরা ও আশা করেছিলেন ? যেখানে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিএনপি ঠিকমত কাউন্সিল করতে পারেনি, সেখানে বিএনপি'তে নবাগত মনজুরকে নিয়ে বিএনপির নগর সভাপতি আমীর খসরু বেশ বড় বাজিই ধরেছিলেন । প্রায় লাখের কাছাকাছি ভোটের ব্যবধানে রাজনীতির তুখোর খেলোওয়াড় মহিউদ্দিনকে হারানো চাট্টিখানি কথা নয় ! কিভাবে তা সম্ভব হল মহিউদ্দিনের এক সময়কার শিষ্য মনজুরের পক্ষে?
দি ডেইলি স্টারের মতে মনজুরের পরিচ্ছন্ন ইমেজ মহিউদ্দিনের ১৭ বছরের অধ্যায়ের সমাপ্তি টানতে বড় ভুমিকা রেখেছে । এছাড়াও বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, বিনয়ের অভাব, পার্টি নেতার কাছে টানতে ব্যর্থতা এবং ভোটকেন্দ্রে কম উপস্থিতি মহিউদ্দিনের পরাজয়ে মুখ্য ভুমিকা রেখেছে ।স্বজনপ্রীতি, দূর্নীতি এবং সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণে তার ব্যর্থতাও বড় পরাজয়ে ভুমিকা রেখেছে বলে ব্লিশেষকদের ধারণা ।
জাতীয় রাজনীতিতে এই নির্বাচনের তাৎপর্য কি ? অনেকেই হয়তো বলবেন তেমন কোন গুরূত্ব সিটি নির্বাচন বহন করেনা । অবশ্য খালেদা এবং হাসিনা উভয়ই এই নির্বাচনকে বেশ সিরিয়াসভাবে নিয়ে ছিলেন । শেখ হাসিনা স্থানীয় সব শীর্ষস্থানীয় নেতাকে তার দফতরে নিয়ে অতীত ভূলে মহিউদ্দিনের পক্ষে কাজ করতে নির্দেশ দেন । তেমনিভাবে, খালেদা ও তার অনুসারীদেরকে দলে নবাগত মনজুরের পক্ষে কাজ করতে সবাইকে নির্দেশ দেন । এমনকি, তিনি একধাপ এগিয়ে তার সমর্থকদের রাত জেগে ভোটকেন্দ্র পাহারার ও নির্দেশনা দেন ।
তবে, নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে ব্যর্থ হয়ে বেশ ডায়নামিক একটি স্বিদ্ধান্ত নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা শুরূ করেছে । সেই যথন রাজনীতিবিদদের রূখা যাচ্ছেনা, ইসি আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনীতিক তকমা ব্যবহার জায়েজ করে দিতে চাইছে । এতে অবশ্য দোষের কিছু নেই । এমনকি বিলাতে মেয়র এবং কাউন্সিলাররা রাজনৈতিক দলের সমর্থনপুষ্ট হয়ে নির্বাচিত হন । এবার যেমন শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপ লেবার পার্টি খেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ।

ওলি
oli


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।