আছি নির্বাসনে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৯/০৭/২০১০ - ৮:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রখর-রোদ্দুর
_______________

ঠকাস শব্দে সোডার ছিপি খোলার মত বিরক্তির আওয়াজে "if fact then matter"
যত অকারণ বায়নাক্কা, আর সহজ কথায় জরিদার বেলুচির সোনালী কাজ-
কেবল বিয়ের সাজেই এক প্রহরে মানায় ।
ন্যাকামির জোয়ারে যদি ভেসে যায় শেষ পারানির নাও, তবে
হিসাবের খাতায় খতিয়ানে ভরপুর লসের বুদবুদ ।
গুনের বালাই নেই,গুন হীনতার থোরাই কেয়ার বালিকার মন-
ভালোবাসা! যদি হয়, তবে চার পাণ্ডব থেকেও ধ্রুপদী অর্জুনের
আর যদি না হয়......

[ঠিক কেমন ছিলো সেই মুহুর্ত ঝাপসা মতো মনে পড়ে । কথা গুলো ঠিক এভাবে বলেছিলে, তাও হলফ করে বলার জোর নেই । তোমার অকস্মাৎ হুড়মুড়িয়ে আষাঢ়ের মেঘ যখন পাপড় ছড়ানো উঠোনে আচমকা তোড়ে জোড়ে ঝাপিয়ে পরে মিয়ানো মুড়ির মত ভড়কে দেয় আমার লুটোপুটি আবেগ গুলোকে একটাই প্রশ্ন জাগে "আমরা কতটা পৌঁছুতে পারি স্পর্শ কিংবা অনুভবের কাছে? এর পর হাঁটা, চলা, আবেগে-কাছে, প্রয়োজনে-দূরত্ব, কোন খানেই জন্মেনি অবহেলার আগাছা কিংবা বিরক্তির চোরকাঁটা পথ । কেবল শোনানো হয়নি কোন দিন কবিতার শেষ অংশ খানি সেই গোধূলীর বিদায় পরে , যা ছিলো ঠিক এমন -]

ধরণী জননী হয় কয় লক্ষ অমরাবতীর বৃক্ষ কোল পেতে ?
আমি এক নক্ষত্র উদ্দ্যান সেচে, অশোকের কিংশুক ক্লান্তি নিয়ে-
থমকে যাই! তোমার বিছানো অমরত্বের স্নান যোগ্য নদীর পাড়ে ।
স্বর্ণলতানো বেনুনী খাঁজে বেল ফুল না জুই, সেই চিন্তায় কপট কুঞ্চিত কপালে
হিজলের শিকড় ছড়ানো এক দুই বিন্দু ঘামের লুকোচুরি খেলা ভ্রু যুগল-
আঙ্গুলের খুব কছে যে খসখসে ত্বক
তার লজ্জা লুকিয়ে বহুবার
ছুঁয়েছি গ্রীবা,চোখ কুঞ্চিত কনুইয়ের ভাঁজ ।
আকাঙ্খা পুড়েছে, সমাপ্তির ধোয়া ওঠা নেভানো চুলোয় ধুপ
রক্তের মাঝে সমস্ত ফুলের বীজ বহন করা মহীরুহ ।
না ডাকতেই বুকের কাছে ছটফটে হলুদ পাখি,
বুকের হাড় পাঁজর মেরামত করেছি বাসযোগ্য উদ্যান ।
সমস্ত ঘুম অন্যপারে ফেলে,
কেবল স্বপ্নের নৌকা পাড়ি দিয়ে,
এই পারে ভালোবেসে ,
আছি নির্বাসনে ।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।