(এক যুগ আগে) এক রাতে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৮/০৮/২০১০ - ৮:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছাদের উপরে সিঙ্গেল খাটে
দু’ চোখে একটু ঘোর,
ঘোরে ঘোরে কেটে সারা এক রাত
কেটে হয়ে গেলো ভোর।

আকাশটা জুড়ে ছেড়াঁ ছেড়াঁ মেঘ
চাঁদ ঢেকে দিতে চায়,
কিন্তু এমন ষোলকলা চাঁদ
মেঘে কি ঢাকতে পায় ?

স্বপ্নের কোন্ দেশে থেকে যেন
বইছে মাতাল হাওয়া,
চেতনের এক গভীর অতলে
নিশ্চুপে ছুয়েঁ যাওয়া।

দুচোখে আমার স্বপ্নের মদ
ঢালে কোন্ অচিন প্রিয়া,
কি যে জুয়া এক খেলতে চায়
ছেঁড়া ছেঁড়া এ মন নিয়া।

আমার উদাস মনটা তখন
শরত্ মেঘের মত,
পেঁজা পেঁজা হয়ে যায় উড়ে যায়
স্বপ্নের দেশ কত।

ছেঁড়া মেঘগুলো যাযাবর যেন
নামতে তারা না পায়,
এতটুকু জায়গা খুজিবার তরে
সমুখ পানেতে ধায়।

সারা শরীরে নেশা ধরে যায়
মৃদু বাতাসের তোড়ে,
চোখ দুটি গাঢ় আবেশিত থাকে
রঙ্গিন স্বপ্ন ঘোরে।

নীল চাঁদোয়ার মাঝখানে ভাসে
ধবল মেঘের ভেলা,
মাঝখানে তারা চাঁদ নিয়ে খেলে
রংবৃত্তের খেলা।

ফ্যাকাশে মেঘের মাঝখানে ভাসে
আলো আলোময় চাঁদ
চাঁদটিকে যেন জরিয়ে রেখেছে
রং বৃত্তের ফাঁদ।

প্রাণমোহিনী একটুকু সুধা
একটু স্বপ্নরস,
অজানার পথে কেমনে করেছে
প্রাণ মন মোর বশ।

ওদিকে আমার নেশাময় মন
অসীমের পানে ধায়,
বুঝেও বুঝতে পারলাম না কেন
কি খোঁজ সে পেতে চায়।

সব হারিয়েও পেতে চায় সে
অমরলোকের স্বাদ,
রাহবার হয়ে এসেছে যেনো এ
আলোক রাতের চাঁদ।

কোন্ সে এক অচিন জগতে
হৃদয় আমার ধায়,
অচেনা এক পরমের রসে
মরম রঙিনে নায়।

সারা দিনমান কত ব্যস্ততা,
নিজকে হারায়ে খুঁজি,
এতটুকু কাল খুঁজিয়া না পাই
পরমের তরে নুজিঁ।

আমারে এখন টেনে নিয়ে যায়
আলোক চাঁদের ফাঁদে,
মনখানি মোর ভাসিয়ে দিলো
আবেশ রাতের স্বাদে।
এটুকুর লাগি সারা দুনিয়া
তারে খুঁজে খুঁজে কাঁদে।

হেনকালে যেন চেতন জুড়িয়া
ভোরের আযান পড়ে,
সারা জীবকূল সাড়া দিয়ে উঠে
মৃদু মৃদু কলে বরে।

এতটুকু রাতই জীবন ব্যপিয়া
জীবন ধন্য করে,
ক্ষুদে এ জীবনে স্মরণে পরিয়া
আবেশে বুকটি ভরে।

-- কেমন সুর

রচনা: ৮ ই আগস্ট, ১৯৯৮
নামকরণ: ৮ ই আগস্ট, ২০১০
@ মুহাম্মদপুর, ঢাকা

http:\\kmonsoor.blogspot.com


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পুরনো ধাঁচের কবিতা। এখন কবিতা একটু অন্যভাবে লেখা হয়। আমি নিজেও এরকম কিছু কবিতা লিখেছিলাম। কিন্তু সমালোচনার ভয়ে এগুলো প্রকাশ করি না।

কেমন সুর [অতিথি] এর ছবি

আমি মনে করি, যতক্ষণ on-demand মাল সাপ্লাইয়ের মত কবি / লেখক না হচ্ছি, ততক্ষণ কে কি মনে করলো, জনপ্রিয় নাকি সমালোচিত হলো, যুগের সাথে গেলো নাকি না গেলো, এইসবের জন্য পরোয়া করা নিজের কবি-সত্তার বারোটা বাজানোর নামান্তর।

হোমারের যুগে বহু কবি রাজদরবারে গান গাইতো, আর বাহবা পাইতো. আর হোমার ছিলো রাস্তার অন্ধ ফকির. আজ আমরা কাকে চিনি ?

দ্য ভিঞ্চি যখন মোনালিসা আঁকছিল, লোকে কি কইত? "বুড়ার মাথা খারাপ হইছে; মেয়েছেলের ছবি আঁকতাছে" ... কিন্তু এখন ?

আপনে লেখছেন, মার্কেটে ছাইড়া দ্যান; "পাছে লোকে কিছু বলে" এর পিছনে পইরেন না। লোকে হয়তো আপনার লেখা পছন্দ করলো না; কিন্তু আপনি আপনার কবি-সত্তার সাথে সততা দেখালেন।

-- কেমন সুর

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।