বৃতির স্বপ্নবিলাস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৮/২০১০ - ৮:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জহিরুল ইসলাম নাদিম

কল্যাণ বেশ ঘাবড়ে গেল। সে স্কুল থেকে ফিরেছে চারটা সাতাশে। এখন চারটা বত্রিশ। তার মানে পাঁচ মিনিট! সে কী করবে বুঝে উঠতে না পেরে আবারো দরজা ধাক্কাতে লাগল আর ভয় পাওয়া স্বরে বলতে লাগলো বৃতি! বৃতি! শহরের বাড়িগুলোতে দরজার বাইরে সাধারণত কলিং বেল লাগানো থাকে। এখানেও আছে। কিন্তু কল্যাণ সেটা টিপছে না। এর কারণ হলো কদিন আগে বাইরের লোকদের যন্ত্রণার কারণে যন্ত্রটাকে ডিটাচড করা হয়েছে। রুমের ভেতর যে বৃতি আছে তার প্রমাণ দরজা ভেতর থেকে লক করা। স্কুলে যাওয়ার সময়ই কল্যাণ জেনে গিয়েছিল আম্মা ওশিন আর অরিনকে নিয়ে বাইরে যাবেন ঘরে থাকবে বৃতি। কিন্তু এতো কিছুর পরও রুমের ভেতর থেকে যার নাম বৃতি সে বিন্দুমাত্র সাড়া দিচ্ছে না। কল্যাণের খারাপ লাগতে শুরু করেছে। এমনিতেই সাত সাতটি পিরিয়ড ফেস করে এসে সে খুব ক্লান্ত তার ওপর ছয় মিনিট ধরে এভাবে দাঁড়িয়ে ডাকাডাকি করছে! ক্লান্তি, দ্বন্ধ ও সন্দেহে কল্যাণের উজ্জ্বল মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল। তখুনি সিঁড়িতে কতগুলো অবিন্যস্ত পদক্ষেপের শব্দ শুনে কল্যাণ ঘাড় ফিরিয়ে দেখে ওশিন লাফাতে লাফাতে উঠে আসছে। ওশিনের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সে যখনই কোনো সিঁড়ি ভাঙবে লাফিয়ে লাফিয়ে ভাঙবে। মাকে দেখতে পেয়ে প্রায় কাঁদো কাঁদো কন্ঠে কল্যাণ বলল
আম্মা বৃতি তো দরজা খুলছে না!
কী বল?
হ্যাঁ তো! স্কুল থেকে ফিরে সাত আট মিনিট হয়ে গেল দরজা ধাক্কাচ্ছি কিন্তু খুলছে না..।
অ্যা!
হ্যাঁ!
আফরোজার চোখ কপালে উঠে গেল। তিনি প্রায় দৌঁড়ে বাকি সিঁড়ি কটা পেরুলেন তারপর দরজার ওপর ঝুকেঁ পড়ে বৃতির নাম ধরে ডাকতে লাগলেন। এই ডাকাডাকিতে অরিন এবং ওশিনও এসে কন্ঠ মেলালো। এতক্ষণ কল্যাণ ডাকছিল একা এবং প্রায় চাপা গলায়। এখন চারজনের স্বর একত্র হয়ে কাছাকাছি স্থানকে সরব করে তুললো। গোলমাল টের পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলেন মিসেস হাওলাদার, কল্যাণদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশি।
কী ব্যাপার আপা, কী হয়েছে?
আরে দেখেন না বৃতি ভেতর থেকে দরজা খুলছে না!
ওমা! তাই নাকি! কখন থেকে?
কল্যাণ তো বলছে সাত আট মিনিট ধরে। আমি তো মাত্র এখন এলাম। বলুন তো এখন কী করি?
হয়েছিল টা কী? মার ধোর করেন নি তো?
নাহ! কেন?
আজকাল কার মেয়ে তো! ইমোশন একটু বেশি। কখন কী করে ফেলে !
কী করবে? ওর সামনে পরীক্ষা। অরিন আর ওশিনকে নিয়ে একটু শপিং যাওয়ার দরকার ছিল। ওকে বললাম তুমি থাকো। অংক করো। ও যাওয়ার বায়না করলেও আমল দেইনি।
ঠিক ধরেছি! ইমোশন না হয়ে যায় না। আর হবেই না কেন আজকালকার বই-পত্রিকায় এসব ঘটনা ছাড়া আর লেখে কিছু! নিশ্চয়ই ওই সব ছাই ভস্ম পড়ে পড়ে শিখেছে.., তারপর হঠাৎ-ই মনে হয়েছে এমন ভঙ্গিতে গলার স্বরটা বেশ খানিকটা নামিয়ে এনে মিসেস হাওলাদার বললেন
ঘরে ঘুমের বড়ি-টড়ি ছিল না তো?
ধক করে উঠলো আফরোজার বুকের ভেতরটা। ইঙ্গিতটা তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারছেন। তাহলে কি? ঘরে ঘুমের বড়ি সব সময়ই থাকে। মাঝে মধ্যে ঘুম না এলে তিনি খেয়ে নেন একটা দুটো। আফরোজা হঠাৎ খুব অবসাদ বোধ করলেন। তার হাত কাঁপতে লাগলো। মনে হলো তার আর দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি নেই। এই অ্যাপার্টমেন্টের বিন্যাস এমন সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলে তার মুখে পড়ে দরজাটা। কিন্তু এছাড়া আর কিছু নেই ভেতরের সাথে যোগাযোগ করার। পেছন দিকে জানালা আছে কিন্তু তার সাথে লাগোয়া কোনো বাড়ি নেই। অর্থাৎ পেছন দিক থেকে খুব উঁচু মই না হলে জানালা অব্দি পৌঁছানো যাবে না। মিসেস হাওলাদার অরিনকে পাঠালেন খোকনকে ডেকে আনতে। এমন মিশ্র পরিস্থিতিতেও অরিনের মনে কৌতুকের একটা রেশ চলে এলো। খোকন শুধু নামেই খোকন। অরিন এই জিনিসটা বুঝে উঠতে পারে না। যখন সে সত্যিই খোকন ছিল তখন তার এই নামের একটা মানে ছিল। এতো বয়স হয়ে যাওযার পরও কারো নাম খোকন থাকে কী করে! খোকন তখন ব্যায়াম করছিল। অরিনের কথা শুনে বেরিয়ে এসে ওর সঙ্গে সঙ্গে আসতে লাগলো। লোকটার হাঁটা দেখলে অরিন সাধারণত হাসি চেপে রাখতে পারে না। আজ অনেক কষ্টে চাপতে পারলো। খোকনের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ প্রায় সমান মনে হয় অরিনের কাছে!

মা দরজাটা ভেঙ্গে ফেলি?
মিসেস হাওলাদার ছোট করে একটা ধমক দিলেন পুত্রকে।
এখনই ভেঙ্গে ফেলবি কী? আগে দেখ অন্য কোনো ভাবে বৃতিকে জাগানো যায় কি না। পেছনের বাড়ি থেকে চেষ্টা করে দেখ যদি কিছু করা যায়।
খোকন আইডিয়াটা গ্রহণ করলো। সে বাড়ির পেছনে এসে দেখলো দোতলার জানালাটা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যে মইটা পাওয়া গেল সেটা মাঝারি সাইজের। সেটায় উঠে গলা বাড়িয়ে বেশ কিছু ক্ষণ বৃতি বৃতি বলে চেঁচালো ও। তারপর হঠাৎ করে অন্য একটা আইডিয়া তার মাথায় ঝিলিক দিয়ে উঠলো। গলিতে কতগুলো ছেলে কর্কের বল দিয়ে ক্রিকেট খেলছে। তাদের কাছ থেকে বল এনে জানালা বরাবর ছুঁড়ে মারার পরিকল্পনা করলে কেমন হয়? এতে জানালার কাচ যদি ভেঙ্গেও যায় অসুবিধে নেই। দরজা ভাঙ্গার চেয়ে লেস এক্সপেনসিভ হবে! তাছাড়া জানালা গলে বলটা ভেতরে ঢুকে গেলেও অসুবিধে নেই। খোকন জানে জানালার বিপরীত দিকেই আছে খাটটা। বলটা বৃতির শরীরে পড়লে তা বৃতিকে জাগাতে সাহায্যই করবে বরং। খোকন ধরেই নিয়েছে নিঃসাড়ে ঘুমোচ্ছে বৃতি। মাঝে মাঝে এরকম ঘুম ও নিজেও ঘুমায়। হাজার ডেকেও তখন মাকে তাকে জাগাতে পারে না। প্রথমবার বলটা জানালা থেকে দুহাত দূরে দেয়ালে আঘাত করলো। খোকন শূণ্য থাকতেই বলটা লুফে নিল। সে দ্বিতীয়বার ছুঁড়ে দিল সেটিকে জানালা লক্ষ্য করে।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

বৃতি বেশ অবাক হয়। ওর চারপাশে একটা রঙয়ের মেলাই যেন! আর তা কি যে সে রঙ! একবার তাকালে আর দ্বিতীয়বার তাকানোর কথা ভাবাই যায় না। দ্বিতীয়বার দেখতে গেলে তো প্রথম দেখাটাকে থামাতে হবে। আর এই দুই দেখাদেখির মাঝখানটিতে যে সময়টুকু যাবে অদেখায় তার জন্য যে দুঃখ করে মরতে হবে আজীবন! আর কী কী নাম সব। কত সুন্দর এবং মিষ্টি এবং স্নিগ্ধ! শুধু ওই শব্দটার আগে আগে একটা একটা রঙের নাম জুড়ে দাও। ব্যস্ হয়ে গেল। বৃতি পলকহীন দৃষ্টিতে দেখতে থাকে এবং তাতেও তার মুগ্ধতা কাটে না। একেকটা যেন ওই যে কী বলে—হ্যাঁ ডানা কাটা পরী! এই যা! ভুল হয়ে গেল। ডানা কাটা কী ওরা তো ডানাঅলাই!
ওদের মধ্যে যে খুব লাল টুকটুকে সে এসে বলে,
বৃতি চলো তোমাকে ফুল ফোটা দেখিয়ে আনি।
বৃতি রাজী হয় না। এতে লাল রাগ করে কি না বোঝা যায় না কেননা সাথে সাথেই ধবধবে সাদা যে সে বলতে শুরু করেছে,
বৃতি এসো পেঁজো তুলোর মতো মেঘের সাথে তোমার সই পাতিয়ে দেই।
বৃতি অসম্মতি জানায়। তখন ফিনফিনে আকাশী যার রঙ সে বলে,
বৃতি এসো তোমাকে আকাশের স্নিগ্ধতার ছোঁয়া পাইয়ে দেই।
বৃতি মাথা এপাশ ওপাশ করে। তখন গাঢ় সবুজ নামের বিশেষণ যার সে বলে,
বৃতি চলো! সবুজ দেখে তোমার চোখ জুড়োবে....
বৃতি তবুও বলে 'না'। আসলে ওর ভীষণ খিদে পেয়েছে! তাই তো সে চমৎকার আর মজার সব প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলো। বৃতি জানে এমন সুন্দরের মেলায় এই সব খাওয়া দাওয়ার কথা কেমন বেখাপ্পা ঠেকে। কিন্তু কী করা? খিদে যে সত্যি পেয়েছে! সে সংকোচের রাস্তাটুকু পার হয়ে এক সময় বলেই ফেলে,
জানো আমার না খুব খিদে পেয়েছে! আর খিদে পেলে সুন্দর জিনিসও আমার কাছে কেমন পানসে লাগে। এ জন্যেই না তোমাদের সব অনুরোধ ফিরিয়ে দিলাম। বৃতির এই কথায় সবাই অর্থাৎ পরীরা দারুণ হেসে ওঠে। যেন বৃতি খুব একটা হাসির কথা বলেছে!
তোমরা এমন হাসছো কেন?
নাহ এখানে কেউ খেতে চায় না কি না তাই.. একজন কোনোরকমে হাসি বাঁচিয়ে উত্তরটুকু দেয়। এরপর আরেকজন বলে,
ঠিক আছে চলো খাবে। কিন্তু একটা শর্ত আছে।
কী শর্ত?
আগে এসো তো!
বৃতি আর কথা বাড়ায় না। ‘ডাইনিং’ স্পেসে এসে তো ওর চক্ষু চড়কগাছ। কত রকমের যে বাহারী খাবার! তার মধ্যে বৃতির যা সবচেয়ে প্রিয় অর্থাৎ মিষ্টি তাও থরে থরে সাজানো। ভুর ভুর করে গন্ধ বেরুচ্ছে। প্রাণ হরা গন্ধ! বৃতি খেতে শুরু করে। হঠাৎ তার শর্তের কথা মনে পড়ে। ব্যাপারটা কী সে জানতে চায়।
তেমন কিছু না। খুবই ভালো শর্ত। কেউ যদি এখানে খেতে চায় তবে তাকে যতটুকু খাবার দেয়া হয় তার সবটুকুই তাকে খেয়ে শেষ করতে হয়...
আর না খেলে, আরেকটা মোহনভোগে কামড় বসাতে বসাতে বৃতি প্রশ্নটা করে।
না খেলে তাকে তাকে জোর করে খাইয়ে দেয়া হয়!
বৃতি শেষ কথাগুলো ঠিক মতো শোনে কী না বোঝা যায় না। এক সময় পেট পুরোপুরি ভরে গেলে বৃতি পরীদের দিকে তাকায়। কিন্তু এ কি! একটা পরীও তো নেই! ভোজভাজির মতো হাওয়া। বৃতি চেয়ার ছেড়ে উঠতে যাবে কিন্তু সে দেখে তার শরীর আসনটার সাথে দৃঢ় ভাবে আটকানো। তখন গমগমে কন্ঠে কেউ বলে,
শর্তের কথা ভুলে গেলে বৃতি?
বৃতির মনে পড়ে। ওর দাঁত কিরমিরিয়ে ওঠে। অসম্ভব। এতো মিষ্টি একা একা খাওয়া? তখন বৃতির বোকা বোকা চাহনীর সামনে দিয়ে একটা মিষ্টি উড়ে এসে ওর মুখে ঢুকে পড়ে। যেন কেউ জোর করে খাইয়ে দিচ্ছে। বৃতিকে সেটা খেয়ে ফেলতে হয়। প্রথমটার দেখাদেখি আরো কতগুলো মিষ্টি শূণ্যে উঠে দাঁড়িয়েছে! বৃতি মুখ বন্ধ করে ফেললেও বুঝতে পারে মিষ্টিগুলো জোর করেই ওর মুখের ভেতর ঢুকে যাবে! সঙ্গে সঙ্গেই আঘাতটা টের পায় ও। ‘বলের’ মতো একটা মিষ্টি এসে লাগে ওর গালের একপাশে। একটু ব্যথা একটু ভয়ে বৃতি ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসে। চোখ কচলাতে কচলাতে পরিস্থিতি বুঝে নেবার প্রচেষ্টায় ক সেকেন্ড ব্যয় করতে হয় বৃতিকে। মেঝেতে তখন গড়াগড়ি করছে উড়ে আসা মিষ্টিটা! বৃতি হাবলাকান্ত দৃষ্টিতে দেখে কর্কের বলটির লাফালাফি। তখন ওর কানে আসে চাপা একটা গুঞ্জন। এবং দরজা ধাক্কাধাক্কির আওয়াজ। ত্রস্ত পায়ে দরজার কাছে পৌঁছে চেইন লক খুলে দরজার নব ঘোরায় বৃতি। দরজা খুলতেই সে দেখে অনেককে। দেখে বিস্ময়াবিষ্ট হয়ে যায়। ওর সামান্য ক বছরের জীবনে এমন দৃশ্য আর কখোনো দেখেনি বৃতি। এত্ত মানুষ! বাজার বসেছে যেন। সবার চোখে কীসের যেন ছায়া। ভীড় দেখে বৃতি ঘাবড়ে যায়। এবং এক ধরণের লজ্জায় মিইয়ে যেতে চায় সে। তাকে শপিংয়ে নেয়া হয়নি বলে বৃতি না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। তারপর এতো কান্ড! ঘটনার আকস্মিকতায় সম্বিৎ হারিয়ে ফেলেছলেন আফরোজা। সেটা ফিরতেই দৌড়ে ঘরে ঢোকেন। বৃতিকে দুহাতে জড়িয়ে চুমোয় চুমোয় ভরিয়ে দেন ওর গাল, কপাল, কপোল! বৃতিও নির্দ্বিধায় মুখ গোঁজে মায়ের কোলে। নিজেকে লুকিয়ে ফেলে মায়ের আঁচলের আচ্ছাদনে। মায়ের আঁচল হলো এমন একটি জায়গা যেখানে মুখ লুকালে দুঃখ, ভয়, লজ্জা, সংকোচ, রাগ এবং অভিমানরা পালাবার পথ পায় না!


মন্তব্য

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

নাদিম ভাই,
লেখা চলুক। ভালো থাকবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ মানিকদা! আপনিও ভালো থাকুন এবং নতুন নতুন উপন্যাস উপহার দিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল হয়েছে। গল্প যে কিভাবে লিখতে হয়, তা আজ পর্যন্ত শিখতে পারলাম না। কি সুন্দর তরতর করে আপনারা লিখেন, মাশাল্লাহ্।

অনন্ত আত্মা

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্প লেখা শেখা যায় না!
ওটা আপনা আপনি তৈরী হয়ে যায়। তবে প্রচুর পড়তে হয়।
আপনি তো ভালোই লিখছেন বিভিন্ন বিষয়ে। শীঘ্রই আপনার কলম থেকে মারাত্মক সব গল্প আমরা পড়তে পারব আল্লাহর রহমতে!

[বিষণ্ণ বাউন্ডুলে] এর ছবি

বেশ সাবলীল ভাষায় লেখা,ভালো লাগলো।।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ বি বা! কষ্ট করে গল্পটা পড়ার জন্য!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।