তালিবানের জন্মকথা ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো (পর্ব ২)

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৩/০৮/২০১০ - ১২:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তালিবানের জন্মকথা ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো (পর্ব ১)

আগেই উল্লেখ করেছিলাম “নানারকম টানাপেড়েনের মধ্যে দিয়ে ১৯৪৭ সাল চলে আসে .................”। টানাপোড়েনের একটু ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে, কারণ ঘটনাগুলো যা শুনেছিলাম তা পরিষ্কার মনে ছিলোনা, একটু চেক করে নিলাম। এই দলিলের একটা বিষয় ক্রমাগত জটিল থেকে জটিলতর ইস্যু হয়ে দাঁড়াচ্ছিলো তা হলো এর মেয়াদকাল। পাকিস্তানের একদল আদিবাসী দাবী করে বসলেন যে এই দলিলের মেয়াদকাল হতে হবে ১০০ বছর, যদিও দলিলের কোথাও এর মে ...আগেই উল্লেখ করেছিলাম “নানারকম টানাপেড়েনের মধ্যে দিয়ে ১৯৪৭ সাল চলে আসে .................”। টানাপোড়েনের একটু ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে, কারণ ঘটনাগুলো যা শুনেছিলাম তা পরিষ্কার মনে ছিলোনা, একটু চেক করে নিলাম। এই দলিলের একটা বিষয় ক্রমাগত জটিল থেকে জটিলতর ইস্যু হয়ে দাঁড়াচ্ছিলো তা হলো এর মেয়াদকাল। পাকিস্তানের একদল আদিবাসী দাবী করে বসলেন যে এই দলিলের মেয়াদকাল হতে হবে ১০০ বছর, যদিও দলিলের কোথাও এর মেয়াদকাল উল্লেখ ছিলোনা।

১৯০১ সালে কিং আবদুর রহমান খানের মৃত্যুর পর তার ছেলে হাবিবুল্লাহ খান আফগানিস্তানের কিং হন। এবং তার মধ্যে এই দলিলের বিষয়ে কোনও মাথাব্যাথা ছিলোনা। একই সালে বৃটিশ ইনডিয়া তাকে মিটিং করার জন্যে দিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানায়। উদ্দেশ্য ছিলো যেহেতু এই দলিলের অন্যতম প্রণেতা আবদুর রহমান খান বেঁচে নেই এবং ধরে নেওয়া হচ্ছে যে এই দলিলের মেয়াদ তার মৃত্যুর সাথে সাথে শেষ হয়ে গেছে; সেজন্যে বৃটিশ ইনডিয়া এবং আফগানিস্তান একসাথে বসে নতুভাবে আরেকটা দলিলটা তৈরী করা। কিং হাবিবুল্লাহ খান বৃটিশ ইনডিয়ার এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দিল্লি গেলেন না এই বলে যে তার বাবার প্রণীত এই দলিলের সমস্ত শর্তের সাথে তিনি একমত এবং সুতরাং তার দিল্লি যাওয়ার কোনওই প্রয়োজন তিনি দেখেন না। তার এই বার্তা বৃটিশ ভারত সহজভাবে নিলোনা এবং তারা এতে একরকম অপমানিত বোধ করলো। তারা প্রকাশ্যে হাবিবুল্লাহখানের এই আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করলো এবং আফগানিস্তানকে বৃটিশ ভারত বার্ষিক যে ১.৮ মিলিয়ন রুপি অনুদান দিতো তা প্রত্যাহার করে নিলো। যেইনা অনুদান বন্ধ হয়ে গেলো, কিং হাবিবুল্লাহ খানের টনক নড়লো। তিনি সাথে সাথে বৃটিশ ভারতকে কাবুলে মিটিংএর আমন্ত্রণ জানালেন।

তৎকালীন বৃটিশ শাসক লর্ড কার্জন ১৯০৪ সালে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যর লুইস ডব্লিউ ডেইন কে আফগানিস্তানে পাঠান। স্যর লুইস কিং হাবিবুল্লাহকে নতুন দলিলের মাহাত্ম বোঝাতে সক্ষম হলেন এবং কুটনৈতিক ইঙ্গিত দিলেন যে নতুন দলিল তৈরীর সাথে বার্ষিক অনুদানের বিষয়টা জড়িত। অবশেষে ১৯০৫ সালের ২১ মার্চ আগের দলিলের সমস্ত ধারা-উপধারা অপরিবর্তিত রেখে নতুন দলিল সম্পাদিত হলো যার নাম দেয়া হলো ‘ডেইন ট্রিটি’। এই চুক্তিতে কিং হাবিবুল্লাহ খান্ উল্লেখ করলেনঃ “আমি এতদ্বারা আমার পিতার সাথে বৃটিশ ইনডিয়া কর্তৃপক্ষের সম্পাদিত ডুরান্ড লাইন চুক্তি এবং অন্যান্য চুক্তিসমূহ মেনে চলতে বাধ্য থাকবো। এবং ডুরান্ড লাইন চুক্তির সমস্ত শর্তসমূহ আমি বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে মেনে চলতে বাধ্য থাকবো।”। এই নতুন দলিল স্বাক্ষরের সাথে সাথে স্থগিত বার্ষিক অনুদান এবং সামরিক সরঞ্জাম আমদানির জন্যে ভারতের ট্রানসিট ব্যবহার পূনর্বহাল হলো। ১৯১৯ সালে কিং হাবিবুল্লাহ খান নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত দু’দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিলো। এরপর দু’দেশের মধ্যে ওই ১৯১৯ সালেই আরেকটা স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধ হয়।

১৯১৯ সালে নতুন আফগান কিং আমানুল্লাহ খান কুটনৈতিক মিশন পাঠান বৃটিশ ইনডিয়ায় শান্তি প্রস্তাব দিয়ে। এসময়ে একটা ৩ বছর মেয়াদি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যাতে বলা ছিলো বৃটিশ ইনডিয়া চুক্তি স্বাক্ষরপরবর্তী ৬ মাস আফগানিস্তানের আচরণ পর্যবেক্ষণ করবে এবং যদি তাদের আচরণ সন্তোষজনক দেখা যায় তবেই পারষ্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ঠ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত এবং চুড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

অবশেষে ১৯২১ সালের জানুয়ারী মাসে একটা বৃটিশ মিশন আফগানিস্তানে যায় চুড়ান্ত চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে এবং নভেম্বর মাসে চুক্তি চুড়ান্ত এবং স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি ১৯১৯ সালে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তিকে প্রতিস্থাপন করে। এই চুক্তির মূল উপাদান ছিলো যে ডুরান্ড লাইন হবে আফগানিস্তান ও বৃটিশ ইনডিয়ার মধ্যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। তার অর্থ হচ্ছে এখন থেকে ডুরান্ড লাইনের অপর পারের আফগান অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে বৃটিশ ইনডিয়াভূক্ত হয়ে যাবে। আগে বিষয়টা ছিলো যে ওই অংশগুলো আফগানিস্তানের অংশ থাকবে কিন্তু সম্পূর্ণ বৃটিশ ইনডিয়ার নিয়ন্ত্রণ করবে। একই সাথে বার্ষিক আর্থিক অনুদান ও সামরিক সহায়তার বিষয়গুলোও বাতিল হয়ে যায়। কিং আমানুল্লাহ খানের পতনের পর কিং নাদির খানও এই চুক্তি নিয়ে আর কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। এভাবেই চলতে থাকে ১৯৪৭ পর্যন্ত।

কিছু স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞের মতে কিং আমানুল্লাহ খান ডুরান্ড লাইনের ওপারের দক্ষিণাঞ্চল এবং বার্ষিক অনুদান বাতিলের মাধ্যমে আফগানিস্তানকে বৃটিশ কলোনি হওয়া থেকে বাঁচিয়েছিলেন। এরাই আবার বলেছেন যে কিং আবদুর রহমান খানও হুমকির মুখে ডুরান্ড লাইন ট্রিটি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন। যদিও ঐতিহাসিকভাবে এইসব বিশ্লেষণ গৃহিত হয়না।

ইনডিয়া থেকে বৃটিশ বিদায় এবং পাকিস্তানের স্বাধীনতালাভের পর স্বাধীন ডুরান্ড লাইনের উভয় পাশের বৃহত্তর পশতুন উপজাতিগোষ্ঠীগুলোর একটা বড় অংশ বিচ্ছিন্নতাবাদি মনোভাব দেখাতে থাকে এবং “স্বাধীন পাখ্‌তুনস্তানের” স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্যে তৈরী হতে থাকে। আফগানিস্তান এই দলকে মদদ দিতে শুরু করে মূলতঃ পাকিস্তানের বিভক্তি তরান্বিত করতে। এইরকম ক্রমবর্ধমান টেনশনের ফলে উভয় দেশের সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে চেষ্টা শুরু করেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা ১৯৫৬ সালে আফগানিস্তানে সফর করেন এবং আফগান প্রধানমন্ত্রী সরদার দাউদ খান ১৯৫৯ সালে পাকিস্তান সফর করেন। ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৯ সময়ের মধ্যে দু’দেশের মধ্যে কিছু সম্পর্ক সৃষ্টি হয় যেমন, করাচী-কাবুল বিমান চলাচল, দু’দেশের মধ্যে রেডিওলিংক স্থাপন, ১৯৫৮ সালের শুল্কমুক্ত আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য চুক্তি, ইত্যাদি। কিন্তু এ সব কিছুরই সুফল ছিলো সাময়িক। মুল ডুরান্ড ইস্যু অধরা থেকেই যায়। ইয়াহিয়া খান থেকে জুলফিকার আলি ভুট্টো, তেমন কোনও বিশেষ ঘটনা ঘটেনি দু’দেশের মধ্যে পশতুনদের কিছু বিছিন্নতাবাদী কর্মকান্ড ছাড়া। বিশেষ করে পাকিস্তান ভারতের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং আফগানিস্তান উজবেক এবং তাজিক গোষ্ঠীগুলোর সৃষ্ঠ বিভিন্ন সমস্য নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। জুলফিকার আলি ভুট্টো অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে ডুরান্ড লাইন ইস্যু ম্যানেজ করতে থাকেন তেমন কোনও বড়সড় সমস্যা ছাড়াই। কিন্তু বিশ্বের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় ১৯৭৭ সালে জেনারেল জিয়াউল হক ক্ষমতাদখলের পর থেকে। যাদেরকে পরে গোটা বিশ্ব তালিবান নামে পরে চিনেছে, সেই দলের সৃষ্টি হয় ১৯৭৭ সালে। শুরুতে যাদের নাম ছিলো মুজাহেদীন; তাদের একটা বিরাট অংশই কিন্তু পরবর্তীকালের ভয়ানক তালিবান।

প্রশ্ন হচ্ছে তালিবানের স্রষ্ঠা কে? আসলেই কি পাকিস্তান?

ধরে নিচ্ছি পাকিস্তান তালিবানবাদের জনক বা পিতা। তাহলে এর মাতা কে? এর মাতা বা পাকিস্তানের বৈধ স্ত্রী হচ্ছে কিছু ‘ঘটনা এবং পরিস্থিতি’। তাহলে তালিবানের জন্ম কিভাবে? পাকিস্তান কিছু ‘ঘটনা এবং পরিস্থিতি’র সাথে হালাল যৌনসঙ্গম করে তালিবানের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ বলে অন্য কথাঃ

আমেরিকা ‘ঘটনা এবং পরিস্থিতি’র সাথে জেনা (অবৈধ যৌনসঙ্গম) করে তালিবানের জন্ম দিয়েছে তবে সাধারণভাবে সবাই ধরে নেয় যে পাকিস্তান তালিবানের জনক। কিন্তু আসলে তালিবান হচ্ছে আমেরিকার প্রোডাকশন দেওয়া এক জাউরা (বা জারজ)।

তালিবানের জন্মকথা ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো (পর্ব ৩)
তালিবানের জন্মকথা ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো (পর্ব ৪)
তালিবানের জন্মকথা ও ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো (পর্ব ৫)


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

আমেরিকা ‘ঘটনা এবং পরিস্থিতি’র সাথে জেনা (অবৈধ যৌনসঙ্গম) করে তালিবানের জন্ম দিয়েছে তবে সাধারণভাবে সবাই ধরে নেয় যে পাকিস্তান তালিবানের জনক। কিন্তু আসলে তালিবান হচ্ছে আমেরিকার প্রোডাকশন দেওয়া এক জাউরা (বা জারজ)।

হ। আম্রিকার পুত কিনা তাই পাকিব্যাটারা তারে অ্যাডপ্ট কইরা দুদভাত খাওয়াইয়া লালনপালন করতাসে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিগ মিসটেক হয়ে গেছে! ব্যাস্ত ছিলাম, খেয়াল করেছিলাম না যে নীড়পাতার একদম শেষে আর একটা পোষ্ট রয়ে গেছে। এখন কি উপায় ......................???

রানা [অতিথি] এর ছবি

খুব গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ।

কিন্তু মনে হয় রেফেরেন্স ব্যবহার করলে বক্তব্য আরো জোরদার হতো। অন্তত কিছু ক্ষেত্রে রেফেরেন্স থাকাটা বেশ দরকার। আপনার প্রথম পর্ব থেকে নিচের ঘটনাটি এক "তালিবান এক্সপার্ট" পরিচিতকে বলছিলাম

"তালিবানরা ক্ষমতাদখলের পর প্রথমেই যে কাজগুলো করেছিলো তা হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কম্পিউটার শিক্ষা বিলুপ্ত করেছিলো। ওই পোড়া স্কুলটা কম্পিউটার শিক্ষায় খুব ভালো ছিলো। একদিন তালিবানরা স্কুলের শিশুদের একটা রুমের মধ্যে ঝড় করে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে তারপর আগুন ধরিয়ে দেয়। বাকিটুকু কি আর না লিখলেই নয় .................!

ওরা ঘোষনা দেয় যে কম্পিউটার ভাংলে শয়তানের আসর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবেনা কারণ এই কম্পিউটার শেখা বাচ্চাগুলোর মধ্যে শয়তান ইতোমর্ধেই বাসা বেঁধেছে। এই বাচ্চগুলোই বড় হয়ে অন্যদের কম্পিউটার শিখাবে এবং এতে করে মানবজাতির উপরে শয়তানের প্রভাব ক্রমশই বেড়ে চলবে। তাই এদেরকে শেষ করে দিলে শয়তান আর অন্ততঃ এদের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হতে পারবে না। এরকমই আরও অনেক বর্বরতা।"

সে এই ঘটনা শুনেনি বা পড়েনি এবং বেশ অবাকই হলো। রেফেরেন্সটি বা লিন্কটি দিবেন কি? আপনি দ্বিতীয় প্যারাতে কি বলছেন তা পরিষ্কার ছিল না, তবে মনে হচ্ছে বাচ্চগুলোকে মেরে ফেলেছে বলছেন। তাইতো, না?

আপনার উত্তরের অপেক্ষাতে রইলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

রানা ভাই, ধন্যবাদ। এই বাচ্চাদের মেরে ফেলার ঘটনাটা আমি আসলে কোনও বই বা ওয়েবের সূত্র থেকে পাইনি। স্কুলটা আমি দেখেছি এবং বাচ্চাদের মেরে ফেলার ঘটনা স্থানীয় সহকর্মীরা আমাকে বলেছেন। এরকম ঘটনা বেশ কিছু ঘটেছে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের প্রথম দিকে। আর স্কুলটার লোকেশন হচ্ছে কাবুল শহরের বাইরে, কাবুল এবং সালাং এর মাঝামাঝি কোনও একটা জায়গায়। আর তালিবানদের হাতে ধ্বংস আরও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেখেছি তাখারে, কুন্দুজে এবং তালেক্বানে; এখনও পযন্ত যেগুলো সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।

আপনার সাথে একমত রেফারেন্স ব্যবহারের বিষয়ে। তবে ঐতিহাসিক যে ঘটনার বিবরণ আমি এখানে দিয়েছি বা দিচ্ছি, এগুলো গুগল সার্চ দিলে খুব সহজেই পাওয়া যাবে। তবে ঘটনাগুলোর অধিকাংশই এমন মানুষদের মুখ থেকে শোনা যারা তালিবান শাসনআমলের প্রত্যক্ষদর্শী এবং সরাসরি ভূক্তভোগি।

রাতঃস্মরণীয়

রানা [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য। আপনি যদি ঘটনাটির সম্ভাব্য তারিখ/সন মনে করতে পারেন তাহলে খুব ভাল হয় । আমি না বুঝে জোর দিয়ে বলেছি রেফারেন্স বা লিন্ক দিতে পারবো। যাই হোক ...

কামরুল চৌধুরী এর ছবি

আপনার প্রথম পর্ব থেকে নিচের ঘটনাটি এক "তালিবান এক্সপার্ট" পরিচিতকে বলছিলাম

বস, তালিবান এক্সপার্ট কি জিনিস? আপনার পরিচিত লোক "তালিবান এক্সপার্ট" হইলেন কেমনে? ইন্টারেস্টিং তো! যদি এট্টু বলেন। @ রানা

রানা [অতিথি] এর ছবি

তেমন ইন্টারেস্টিং কিছু নয়। আমি বিদেশি কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি, সেই সুবাদে অনেকের সাথে আলাপ হয়। খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই মুসলিমবিশ্ব নিয়ে আজকাল আগ্রহ বা "পন্ডিত্যের" অভাব নেই পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। " " ব্যবহার করেছি কারণ যার কথা বলেছি সে আসলেই এক্সপার্ট কিনা আমি জানি না, আমার ফিল্ড ভিন্ন।

দিগন্ত এর ছবি

পড়লাম। পরে আরো মতামত রাখব ...


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ দিগন্ত ভাই।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আইয়ুব খানের আমলে উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে কতগুলো সামরিক অভিযান চলেছে। প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় সেগুলো আনতে পারতেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ পান্ডবদা। আপনার পরামর্শ আমার মূল লেখায় যোগ করে রাখবো যেহেতু এখানে এডিটের সূযোগ নেই আমার জন্যে।

রাতঃস্মরণীয়

রানা মেহের এর ছবি

আগ্রহ নিয়ে আপনার লেখা পড়লাম। কিন্তু রেফারেন্স ছাড়া এ ধরনের লেখা একদমই বিশ্বাসযোগ্য নয়। মডারেটর দের কাছে পাঠিয়ে দিলে তারা লেখার শেষে রেফারেন্স যোগ করে দিতে পারবেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা পড়ার এবং মতামত শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ রানা মেহের ভাই। লেখার অধিকাংশই ঐতিহাসিক বিবরণ, আমার ব্যাক্তিগত কোনও মত না। তবে আপনার সাথে একমত যে বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য রেফারেন্স প্রয়োজন। ইস্যুটা এমনই কমন যে গুগল বা উইকেতে এর সবই ভূরি ভূরি পাওয়া যাবে। আমার কাছে রেফারেন্স লিংকগুলো সেভ করে রাখা আছে, মডারেটরকে ইমেইল করে দেবো।

তবে মানুষের মুখ থেকে শোনা কথার রেফারেন্স চাইলে কিন্তু দিতে পারবো না ভাই। এক্ষেত্রে ক্ষমাপ্রার্থী।

রাতঃস্মরণীয়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।