নাইরোগংগো

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১০/০৯/২০১০ - ১১:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শেষ বিকেলের সূর্য তখন দূর পাহাড়ের কোণে হেলে পড়েছে। দুরন্ত বালকের দল ঘরে ফেরার আগে গোধুলীর কমলা রঙে নেয়ে আরো খানিকটা বেলা শেষের খেলা খেলে নিচ্ছিলো। ইব্রাহিম সাসা তার কাঠের চকোডুটা* ঠেলে ঠেলে ঘরে ফেরার পথের শেষ চড়াইটা পার হচ্ছিল। পেশল কালো দেহ ঘামে নেয়ে গেছে। বুকটা ওঠানামা করছে হাপরের মতো। ভেতরটা যেন নাইরোগংগোর** জ্বালামুখ। আর একটু উঠলেই বামে বাঁক নিয়ে পথটা নীচে নেমে শেষ হয়ে যাবে। বড় ভাল লাগে এই শেষ পথটুকু। এতক্ষণ চকোডুটা একেবারেই চলতেই চাচ্ছিলো না। ক্যাঁচ ক্যাঁচ শব্দে সেরেঙ্গাতির গোঁ ধরা বুড়ো মোষের ফোঁশ ফোঁশ। শেষ পথটুকুতে সেটাতেই যেন চ্যারিয়টের গতি। দু'চাকার কাঠের সাইকেল, এতক্ষণ টেনে টেনে তুলেছিল, এবার সেটাতেই চেপে বসে ইব্রাহিম। সোঁ করে নেমে আসে এক্কেবারে দোরগোড়ায়।

গোলপাতার ছাউনী দেয়া মাটির কুটির। বুড়ো মা ও জোয়ান ছেলের ছোট সংসার। গেল বার নাইরোগংগো যখন ফুঁসে উঠে আগুনগরম লাভা উগরে দিলো, হাবিয়ার তরল স্রোতে সয়লাব চারদিক, বাপটা যুঝেছিল বটে! সাসা তখন কিশোর। লেকপারের শেল্টারে ওকে আর মাকে রেখে ফিরে গিয়েছিল বাপটা, যদি কিছু নিয়ে ফিরতে পারে। নেবার কীইবা ছিল এমন, মায়াটুকু ছাড়া। ফিরতে পারলো না। নাকি ফিরে এলো চিরতরে, স্মৃতি হয়ে।

বামের টিলার উপর অবজারভেটরীটা নতুন হয়েছে। তিনটে উঁচু টাওয়ার আর নানা রকম যন্ত্রপাতি সেখানে। পাশেই সবুজ টালি ছাওয়া মেটে রংয়ের বাংলো। সাদা সাহেবগুলো থাকে সেখানে। সেবার তাঁদেরই একজনের বাক্স পেটরা বয়ে এনেছিল সাসা। এই চকোডুটাতেই। টাওয়ারের মতোই ছিপছিপে লম্বা এঞ্জিনিয়র টমাস, ভারী খুশী হয়ে হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল বিশ ডলারের চকচকে একটি নোট। কোন মতেই মাকে বিশ্বাস করানো গেল না সেটা। মায়ের কাছে শোনা কলোনী যুগের তিরিক্ষি মেজাজের বেলজিয়ান প্রভূদের গল্পের সাথেও মেলানো গেল না।

সেবারই অবজারভেটরীটা কাছে থেকে প্রথম দেখে সাসা। তার কিছুদিন পর ও যখন পানি তুলে দেবার কাজটা পেল, তখন থেকে একটু একটু করে দ্বিধা গেল কেটে। এক পা দু'পা এগিয়ে আরো দু'জনের সাথে জানাশোনা হলো সাসার। টাওয়ারের ঠিক নীচের ঘরটাতে টেলিভিশনের মতো চার পাঁচটা যন্ত্রের সামনে বসে এক মনে ওরা কি যেন দেখে সারাদিন। মাঝে মাঝে পাশে রাখা আরেকটি মেশিনের মুখ দিয়ে হিজিবিজি আঁকা কিছু ফিতের মতো লম্বা কাগজ বেরিয়ে আসে। এক টানে সেটা ছিঁড়ে এনে দু'জনে মিলে গম্ভীর আলোচনায় বুঁদ হয়ে থাকে। কেমন পাগল পাগল ঠেকে রে বাবা!

-টমাস, বুঝবে নাকি নাইরোর জারিজুরি?
-না বাপু, আমার বুঝে কাজ নেই! তোমরাই বোঝো! সেই কবে থেকে তো বসে আছে সুবোধ বালক হয়ে। বমি টমি করার নাম নেই। ডগমগে বউটাকে ফেলে শুধু শুধু পড়ে আছি এখানে। আমি বরং ওদিকটা দেখি।
-সাসার তো আর কিছুক্ষণ পড়েই আসার কথা, তাইনা? একটু এদিকে পাঠিও তো।
-কেন, কি হবে? ওকে আবার মেটেরোলজীর পাঠ শেখাবে নাকি?
-আরে না, গন্ডমূর্খ যে ওটা! বুদ্ধি-শুদ্ধি থাকলে শিখিয়ে হয়ত কিছুটা লাভ হতো। কিভু মার্কেট থেকে একটা এবোনি কাঠের মূর্তি আনাবো ওকে দিয়ে। জেনিফারের জন্য। ওর আবার এন্টিক্স কালেকশনের শখ।
-সেটা আবার কি করে এন্টিক্স হলো? গিয়েছিলে দোকানটায়? সেখানে একটা এন্টিক্স আছে বটে! লোলচর্ম বৃদ্ধ ভাস্কর। বসে বসে কাঠের উপর দুঃখ খোদাই করেই চলেছে। নিজের কালো কুচকুচে মুখের সবকটি রেখা কাঠের গায়ে খোদাই করে দেবেই দেবে যেন। এবনি কাঠ তো, অমনই তো রঙ, হয়তো ওটিকেই নিজের মুখ ভেবে বসে আছে।
-তোমার কাছে কথা তোলা ভুলই হয়েছে হে। কে জানতো আগে, পেশায় এঞ্জিনিয়র হলেও তোমার মাঝে কাব্যি থইথই করছে! কাব্যি টাব্যি যাই করো, সাসাকে দিয়ে এবার লেক কিভূর মলা মাছ আনতে ভুলো না কিন্তু! যা টেষ্টি, গেলবারের স্বাদ এখনো জিভে লেগে আছে।

টমাস দীর্ঘশ্বাস ফেলে। নাইরোগংগোর নিঠুর খেলায় হাত মিলিয়েছে লেক কিভুর সুবিশাল জলরাশি। তলপেট জুড়ে বিছিয়ে দিয়েছে বিষাক্ত মিথেনের আস্তরণ। বিষাক্ত সেই পৃথিবীতে বেড়ে উঠতে না পেরে খর্বাকৃ্তি হয়েছে মাছগুলি, মলা নয় মোটেও। ওদের দুজনের কারুর সেটা অজানা নয়। লেক কিভূর উপরে গড়ে উঠা ফ্যাক্টরীর প্রিমাস বীয়র খেতে খেতে কতবার সেই গল্প করেছে ওরা।

প্রথম যে বার এলো আন্তনভে চড়ে, রেকী মিশন ছিলো সেটা। টমাসের পষ্ট মনে আছে রাশিয়ান পাইলট ভ্লাদিমিরের পাগলামো। পুরো পথটা কি স্মুথ চালিয়ে এলো এয়ার পকেটের ভেতর দিয়েও। কাছটায় এসে এমন এক গোত্তা দিয়ে নামিয়ে আনলো, যেন একেবারে সেঁদিয়ে দেবে নাইরোর জ্বালামুখ দিয়ে ভেতরের টগবগে উষ্ণ লাল যোনীতে। সেই কবে থেকে টমাসের মতোই আকাংক্ষাকে নিবৃত্ত রেখেছে নাইরোগংগো।

টমাস বেরিয়ে পড়ে সাসাকে নিয়ে। ভোডাকম স্কোয়ারের পাশে জাতিসংঘের হাসপাতাল। সাদা সাদা এম্বুলেন্সগুলো বয়ে আনে কত রকমের রোগী। কারুর হাত, কান বা পা কেটে ফেলা হয়েছে। কারুর সেলিব্রাল ম্যালেরিয়া। সমানে রক্ত চোষে মশা ও মানুষ। শাদা শাদা দাঁতের কুটিল হিংস্রতায় সৃষ্ট ক্ষতে শান্তির প্রলেপ বুলোয় জাতিসংঘের হাসপাতালের সাদা এপ্রনের ডাক্তার-নার্সেরা। পাশেই কুলি-কামিনের দল জঙ্গল থেকে কেটে আনা বাঁশ ও শ্রম বেঁচতে পসরা মেলেছে। দু'একজন সন্ধ্যার আঁধার নামতে না নামতেই মেলে ধরে দেহের পসরাও। আরো খানিকটা দূরে লেক কিভূর তীর ঘেঁষে গিসেনী কলেজের ক্যাম্পাস পেরিয়ে ডানে কয়েকটা বস্তির ছাপড়া মতো ঘর ফেলে বামে বিলাসবহুল হোটেল সেরেনা। তারপর স্টিপ হোটেল আর সবশেষে হোটেল পীসল্যান্ড। বছরখানেক আগে প্যারিস থেকে সরাসরি উড়ে এসেছিলো গাব্রিয়েলা, পীসল্যান্ডে বেশ ভালোই কেটেছিলো উইকএন্ড। সেই উষ্ণতা আজো চনমনে করে রেখেছে টমাসকে।

ঘুরে ঘুরে এক এক করে সপ্তাহের বাজার সেরে ফেলে টমাস। টমেটো, এভোগাড্রো, মারাক্যুজা, কাসাভা ফ্লাওয়ার, ব্রায়ানের জন্য এবোনি কাঠের মূর্তি, দিমিত্রির পসন্দের মলা মাছ সবকিছু ফর্দ মিলিয়ে মিলিয়ে কেনে। সাসার চকোডুতে সব সদাইপাতি চাপিয়ে ডাউন ট্রিপের বাসে চেপে বসে সে। জানালার ফাঁক দিয়ে মাথাটা বের করে সাসাকে বলে, "সাবধানে আসিস সাসা, দেখিস আবার ফেলে দিস না যেন।"

দেড় ঘন্টার পথ, ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা। এবনি মূর্তিটি সাথে করে নিয়ে এসেছে সে। সুবিশাল ঢাকের উপর বসে পূর্ণিমার পূর্ণচন্দ্রের দিকে তাকিয়ে দু'হাতে একমনে বাজিয়ে যাচ্ছে ভরা যৌবনা চন্দ্রাহত নিগ্রো যুবতী। জ্যোছনা উপছে পড়ছে তাঁর আবক্ষ নগ্ন সম্ভারে। ব্রায়ানের পসন্দ না হয়েই পারে না, পসন্দ হবে জেনিফারেরও। ব্রায়ানকে যখন জিজ্ঞেস করবে জেনিফার, নিশ্চয়ই টমাসের পসন্দে কেনার কথাই জানাবে ওকে। কেনার পর থেকেই ব্রায়ানের হাতে দেবার জন্য মনটা আঁকুপাকু করছে টমাসের। টিলার শরীর পেঁচিয়ে উঠা সর্পিলাকার পথ বেয়ে দ্রুত উঠে আসে সে। আবছা অন্ধকার গায়ে মেখে ঝিঝির সান্ধ্যসংগীত শুনছে পুরো টিলাটা। ব্রায়ান, দিমিত্রি রুমে নেই। অবজারভেটরী রুমে নেইতো? বাংলোটা পাশ কাটিয়ে ওদিকে এগিয়ে যায় টমাস। অবজারভেটরী রুমটাও ফাঁকা। গেল কোথায়? "ব্রা-য়া-ন, দি-মি-ত্রি কোথায় তোমরা?" হাঁক দিয়ে উঠবার ঠিক আগের মুহূর্তে টমাসের চোখ পড়ে ছোট স্টোর রুমটার দরজায়। তালাটা খোলা, দরজা আলতো করে ভেজানো। সন্তর্পণে পেছন দিকটার জানালার কাছে গিয়ে ভেতরে উঁকি দেয় টমাস। গাদা গাদা কাগজের স্তুপ। পুরোনো ডাটা প্রিজার্ভ করে রাখা। তার ফাঁক দিয়ে ব্রায়ানের উলংগ পিঠটা দেখা যাচ্ছে। কোমর আছড়ে আছড়ে যেন দেহ থেকে হাজারটা বিষপিঁপড়ের বিষ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে। নীচে একটি ভরন্ত দেহাতী নারী শরীর, এবোনি কাঠের মতো কালো কুঁচকুঁচে। পাথর চোখদুটি স্থির হয়ে আছে সিলিংয়ের কোন একটি বিন্দুতে। শুধু নিস্প্রাণ অপেক্ষা, উদগীরণ শেষ হলেই নিস্কৃতি। আরেকটু দূরে ডান পাশের দেয়ালটায় ঠেস দিয়ে আছে দিমিত্রি। বেহেড মাতাল হয়ে বিড় বিড় করে কিসব আউরিয়েই যাচ্ছে।

জানালার পাশ থেকে সরে আসে টমাস। সারাটা দিন ঘুরে ঘুরে গায়ে অনেক ধুলো জমে গেছে। গীজারটা অন করে। গরম জলে আরাম করে একটা শাওয়ার নিতে হবে। ওদিকে অবজারভেটরী রুমে প্রাণপণ চেঁচিয়ে যায় দুটো যন্ত্র, কমপিউটার আর প্লটার। উদগীরণের পূর্বাভাস, ওদের কারুরই সেটা চোখে পড়ে না।

রোমেল চৌধুরী

---------------------------------------------------------------------------------
*চকোডুঃ কাঠের তৈরী দু'চাকার বাইসাইকেল, চাকাগুলিও কাঠের, মূলত ভার বহনের কাজে ব্যবহার করা হয়।

**নাইরোগংগোঃ কঙ্গোর গোমা শহরের উপকন্ঠে আফ্রিকার সবচেয়ে বিপদজনক জীবন্ত আগ্নেয়গিরি।


মন্তব্য

বইখাতা এর ছবি

ভালো হয়েছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।

রোমেল চৌধুরী

অতিথি লেখক এর ছবি

শেষ চমকটার আরেকটু বিস্তার প্রয়োজন ছিল বলে মনে হচ্ছে। আর সবই ভাল লাগেছে।

অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম

অতিথি লেখক এর ছবি

ভবিষ্যতে খেয়াল রাখবো, ধন্যবাদ।

রোমেল চৌধুরী

কৌস্তুভ এর ছবি

লেখা খারাপ না, পরিবেশের বর্ণনা ভাল লেগেছে, অবশ্য আরো একটু ফোটাতে পারতেন হয়ত। যেহেতু চরিত্রগুলো ডেভেলপ করার পিছনে বেশি সময় দেন নি, এতগুলো নামের আড়ালে ঠিক কে কি করছে সেটা গুলিয়ে যাচ্ছে মাঝে মাঝে।

পেশল কি একটা শব্দ? নাকি পেশিবহুল হবে?

এভোগাড্রো, নাকি অ্যাভোকাডো ফলের কথা বলছেন?

শেষ চমকটার আরেকটু বিস্তার প্রয়োজন ছিল বলে মনে হচ্ছে।

এটা আমারও মত। তবে ওটা যেন ঠিক চমক না, ক্লাইম্যাক্সে ওটাই যেন হতে হত বলে মনে হয়...

রোমেল চৌধুরী [অতিথি] এর ছবি

ভাই,
কি বলে যে আপনাকে ধন্যবাদ দেব সে ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা! আমি সাধারনতঃ গদ্য লিখি না, গদ্য লেখা বড় কঠিন ঠেকে, বড় ওজনদার বলে মনে হয়। ‘নাইরোগঙ্গো’ দিয়েই হাতেখড়ি, তাই নভিসেস ভ্রান্তিগুলো প্রকট হয়ে উঠেছে।

লেখা খারাপ না, পরিবেশের বর্ণনা ভাল লেগেছে, অবশ্য আরো একটু ফোটাতে পারতেন হয়ত। যেহেতু চরিত্রগুলো ডেভেলপ করার পিছনে বেশি সময় দেন নি, এতগুলো নামের আড়ালে ঠিক কে কি করছে সেটা গুলিয়ে যাচ্ছে মাঝে মাঝে।
নিখুঁত পর্যবেক্ষণ!
পেশল কি একটা শব্দ? নাকি পেশিবহুল হবে?
মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান চয়িত যথাশব্দে ‘পেশল’ শব্দটি আছে। দু’জায়গায়, পর্ব ১৫৭ তে বলার্থে, আর পর্ব ১৫৭ তে সৌন্দর্যার্থে।
এভোগাড্রো, নাকি অ্যাভোকাডো ফলের কথা বলছেন?
আমার ভুল হয়েছে, Avocado ফলকেই বুঝিয়েছি।

রোমেল চৌধুরী [অতিথি] এর ছবি

সংশোধনঃ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান চয়িত যথাশব্দে ‘পেশল’ শব্দটি আছে। দু’জায়গায়, পর্ব ১৫৭ তে বলার্থে, আর পর্ব ৮৬৭ তে সৌন্দর্যার্থে।

কৌস্তুভ এর ছবি

বেশ। আপনিও কি রাতঃস্মরণীয় ভাইয়ের মত আফ্রিকায় আছেন নাকি?

আর মন্তব্য করার সময়েও অতিথি লেখকের অ্যাকাউন্ট থেকে করাই ভাল বোধহয়। নিচে আপনার নাম দিয়ে দেবেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, রাতঃস্মরণীয় ভাইকে না চেনার অজ্ঞতা মার্জনা করবেন। তবে রাত হলেই স্মরণ হয়ঃ

"রাত নির্জন, পথ সুনসান, ক্লান্তি জড়ানো পা
ঘরে ফিরে আসি, সঙ্গিনী হয় বিশাল শুন্যতা;
ডাকে কালো মাটি আমার দেশের, ভাসে প্রেয়সীর মুখ
এখানে একেলা পরবাসী আমি, সেখানে স্বর্গসুখ!"

শুভকামনা!

রোমেল চৌধুরী

কৌস্তুভ এর ছবি

রাতঃস্মরণীয় ভাইও একজন অতিথি লেখক (অবশ্য সম্প্রতি হাচল হয়েছেন) - আপনারা অতিথিরাই একে অন্যের লেখা না পড়লে ক্যাম্নেকি?

উনি সোমালিয়াতে আছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের মিশনে সম্ভবত, সেখান থেকে ওনার রোমাঞ্চকর সব অভিজ্ঞতার বর্ণনা পাঠাচ্ছেন - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/34684

আপনিও আফ্রিকা নিয়ে লিখলেন, এবং বর্ণনাটাও মন্দ দিলেন না, তাই মনে হল আপনিও প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ দিচ্ছেন হয়ত।

ধুম্রজাল এর ছবি

রোমেল চৌধুরী,
আপনার লেখনী সুন্দর। তবে দুই একটা ব্যাপারকে নজর দিলে আরও ভাল হত।

১। মাউন্ট নাইরোগংগো'র সাথে পাঠকদের পরিচয় করে দিতে হত। এর ইতিহাস, লোকেশন,ভয়াবহতা,সৌন্দয ইত্যাদির সাথে কেউই পরিচিত নয়। গোমা শহরটা যে এক আনবিক বোমার উপর- তা বলতে পারতেন।

২। লেখাটা হটাত করে শুরু। মনে রাখবেন আফ্রিকা ভ্রমন করেছে এমন লোকের সংখ্যা নাই বললেও চলে।

৩। মাউন্ট নাইরোগংগো'র দুই একটা ছবি দিতে পারতেন।

auto

auto
আরও লিখুন। ভাল থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই,
‘নাইরোগঙ্গো’ দিয়েই হাতেখড়ি, তাই নভিসেস ভ্রান্তিগুলো প্রকট হয়ে উঠেছে। আর আমার এই লেখাটি যে এত আগ্রহ নিয়ে পাঠকেরা পড়বেন এমনটিও আশা করিনি। সত্যি কথা বলতে এমন সুশীল ও সমঝদার পাঠক পেয়ে আমি আপ্লুত। দুটো মূল্যবান ছবি জুড়ে দিয়ে যে নিবিড় ভালোবাসাটুকু রেখে গেলেন সে জন্য আমি বড়ই কৃতজ্ঞ। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১। মাউন্ট নাইরোগংগো'র সাথে পাঠকদের পরিচয় করে দিতে হত। এর ইতিহাস, লোকেশন, ভয়াবহতা, সৌন্দয ইত্যাদির সাথে কেউই পরিচিত নয়। গোমা শহরটা যে এক আনবিক বোমার উপর- তা বলতে পারতেন।
২। লেখাটা হটাত করে শুরু। মনে রাখবেন আফ্রিকা ভ্রমন করেছে এমন লোকের সংখ্যা নাই বললেও চলে।

একমত, ভবিষ্যতে আরো অনেক বেশী যত্নবান হবো।

৩। মাউন্ট নাইরোগংগো'র দুই একটা ছবি দিতে পারতেন।

আমার কাছে ভিডিও ক্লিপও ছিলো একটা, কিন্তু অত্যন্ত শ্লথগতির আন্তঃজালে 'ধরা পইরা' গেছি। কিছুতেই আপলোড করতে পারছি না।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

পড়তে ভাল লাগলো গল্পটি....
চরিত্রের বর্ণনায় কিছুটা বিস্তার প্রত্যাশা করেছিলাম ....
লিখতে থাকুন... শুভকামনা রইলো....

----------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভবিষ্যতে আলসেমী ঝেড়ে ফেলে প্রত্যাশা পূরণে ব্যাপক সচেষ্ট হবো। সাথে পাবো আশাকরি।

রোমেল চৌধুরী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।