আগুন পোড়া মানুষেরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৫/১২/২০১০ - ২:২১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিকাল থেকেই অপেক্ষা করছিলাম একটা প্রতিবাদী কিংবা দুখী পোস্টের আশায়। কোন সচল না হোক অন্তত কোন এক অচল একটা প্রতিবাদী পোস্ট দিবেন। কিন্তু আমি হতাশ। শেষপর্যন্ত আমিই লিখতে বসে গেলাম।

খবরটা সকলের জানার কথা। না জেনে থাকলে জেনে নিন। দৈনিক প্রথম আলো মারফত জানতে পারলামঃ

গতকালের দৈনিক কালের কণ্ঠে পড়া চট্টগ্রাম ইপিজেড এ শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে চার শ্রমিকের মৃত্যুর খবরঃ

দৈনিক কালের কণ্ঠেরই গতকালের দ্বিতীয় পাতায় ছাপা র‌্যাব-পুলিশের শ্রমিক-বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের দৃশ্যঃ

অনেকেই জানি এইদেশ তৈরী পোষাক শিল্পে বিশ্বে একটা জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু যে খবরটা রাখি না তা হল এ শিল্পকে চালনা করতে শ্রমিকেরা কীভাবে জীবন কাটাচ্ছেন।

গত মাসেই আমাদের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আমাদের তৈরী-পোষাক শিল্পের হর্তাকর্তা বিজেএমই রাজকীয়ভাবে বাটেক্সপো-২০১০ এর আয়োজন করলো। উদ্দেশ্য বিদেশি অর্ডার পাওয়া নিশ্চিত করা। সেখানে পোষাক পরিদর্শনের ফ্যাশন-শো নামক দেশি-বিদেশি মডেলদের অশালীন বিড়াল-হাঁটা চললো। আর আমাদের র‌্যাব ও পুলিশ ভাইয়েরা কুকুর সহ বাইরে পাহারা দিলেন। তাতে কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি টিকে থাকলো। শুধু শাহরুখের কনসার্ট আর বাড়ির মহিলাদের হিন্দি সিরিয়ালেই দেশ গেল রব। আমি বলছি না যে তারা ভালো কিছু করছেন। কিন্তু শুধু সেটা দেখলেই চলবে না; বাকি ব্যাপারেও চোখ আনতে হবে, মুখ খুলতে হবে।

আজ এই কারখানায় আগুন লাগলো বেলা একটায়। আর নিয়ন্ত্রণে আসলো রাত ন'টায়। দ্রুত নেভানোর মত যন্ত্রপাতিই নেই। শুধু একথা বললে ভুল হবে। কেনার ইচ্ছেটাও নেই। ইচ্ছে থাকলে বিদেশিদের ডেকে অশালীন পোষাকে নারী প্রদর্শন না করে সে টাকায় আগুন নেভানোর কিছু জিনিস কিনতে পারা যেত।

আমাদের দেশে এইসব শ্রমিকদের টাকাটাও ঠিকমত দেওয়া হয় না। বেতন কাঠামো নিয়ে সারাদেশে আগুন জ্বললো। আর আমাদের দেশের মন্ত্রীরা কৌশলে মালিকপক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে গেলেন। শেষ পর্যন্ত একটা বেতনের কাঠামো ঠিক করা হলেও শ্রমিকেরা এখন পর্যন্ত সে বেতনটাও পাচ্ছেন না।
বরং মন্ত্রী একের পর এক শ্রমিকদের এই বলে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন শীঘ্র সে কাঠামো কার্যকর করা হবে। সময় আর বাড়ানো হবে না। দরকার হলে আবার আলোচনা হবে। কিন্তু এর সমাধানটা কবে হবে?? অবশ্য আশা করাটাও বোকামি। যেদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যূনতম তদন্তের আশ্বাস না দিয়েই বলে বসেন এর মাঝেও রয়েছে যুদ্ধাপরাধী ও বিরোধীদলের ষড়যন্ত্র, সেখানে কী আর আশা করা যায়?? অবশ্য একটা উন্নতি হয়েছে। শিল্প পুলিশের যাত্রা। শ্রমিকদের পেটে ভাত দিতে পারুক আর না পারুক তাদের পেটাতে নতুন বাহিনী তৈরি করা গেছে।

সাবেক সরকার মালিকদের খুশি করে গেছেন। এই সরকারও করছে। আগামী সরকারো তাই করবে। দল-মার্কা নির্বিশেষে তারা টাকাওলাদের সেবক। আর আমরা মধ্যবিত্তেরা সুশীল সমাজের টুপি মাথায় দিয়ে শাহরুখের কবল থেকে ভাষা-সংস্কৃতি বাঁচানোর ব্লগীয় আন্দোলন করে যাবো।
____________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...


মন্তব্য

সজল এর ছবি

১। শ্রমিকদের জীবনের আবার দাম আছে নাকি! ওদের মজুরী দিতে মনে হয় মোট উৎপাদন খরচের ১/২% খরচ করা হয়, সেটাও দিতে অনীহা।
২। ছবিতে র‍্যাব-পুলিশের বাইরে ও তো একজনকে দেখা যাচ্ছে, ওইদিন তো সরকারী দলের স্থানীয় ক্যাডাররা ও শ্রমিক ঠ্যাংগানো তে অংশ নিয়েছে।
৩।

আর আমরা মধ্যবিত্তেরা সুশীল সমাজের টুপি মাথায় দিয়ে শাহরুখের কবল থেকে ভাষা-সংস্কৃতি বাঁচানোর ব্লগীয় আন্দোলন করে যাবো।

এই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে অন্য ইস্যুতে কথা বলা নিয়ে খোঁচা দেয়ার কি খুব দরকার! কেউ হয়তো আপনার ব্লগ পড়েও বলছে, মাঠে না নেমে ব্লগে দেশ উদ্ধার করছে (এই কথাটা ব্লগারদের নিয়ে বলা হয়, ব্যক্তিগত ভাবে নিবেন না দয়া করে)।

ধন্যবাদ এই ইস্যুটা তুলে ধরার জন্য।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

ছবিতে র‍্যাব-পুলিশের বাইরে ও তো একজনকে দেখা যাচ্ছে, ওইদিন তো সরকারী দলের স্থানীয় ক্যাডাররা ও শ্রমিক ঠ্যাংগানো তে অংশ নিয়েছে।

ভাই, যুগে যুগে যে সরকারই আসছে, তারাই মালিকগণের পক্কে কাজ করছে। তাই তাদের দলীয় ক্যাডারেরা শ্রমিক বিরোধী অভিযানে থাকবেই। আর আমাদের পুলিশতো সকল সম্যের জন্যই সরকার দলীয় বাহিনী, কখনই জনগণের না।

আর আমরা মধ্যবিত্তেরা সুশীল সমাজের টুপি মাথায় দিয়ে শাহরুখের কবল থেকে ভাষা-সংস্কৃতি বাঁচানোর ব্লগীয় আন্দোলন করে যাবো।

ভাই, কথাটা কাউকে আক্রমণ করার জন্য না। এটা প্রতিকী। এই ব্যাপার দিয়ে শুধু শাহরুখ না অনেক কিছুই বোঝাতে চাইছি। আমি কিন্তু নিজেও ওইদলে যারা শাহরুখের কবল থকে নিজ সংস্কৃতিকে বাঁচাতে চান। তবে শুধু এটা দেখলেই কি চলবে?? আর শুধু ব্লগেই কি চলবে?? মনে হয় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর রাস্তায় নামার সময় এসেছে। রাস্তায় নেমে আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতি চাপ তৈরি করতে হবে ৬৯, ৯০ এর মতন।
__________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

প্রতিচ্ছবি [অতিথি] এর ছবি

মনে হয় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর রাস্তায় নামার সময় এসেছে। রাস্তায় নেমে আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতি চাপ তৈরি করতে হবে ৬৯, ৯০ এর মতন।

আপনার সাথে পুরোপুরি সহমত, অনেক তো দেখলাম এখন মাঠে নামার সময়।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আর আমরা মধ্যবিত্তেরা সুশীল সমাজের টুপি মাথায় দিয়ে শাহরুখের কবল থেকে ভাষা-সংস্কৃতি বাঁচানোর ব্লগীয় আন্দোলন করে যাবো।

আমিও আমার ভাষা সংস্কৃতিকে বাঁচানোর ব্লগীয় আন্দোলনে অংশ নিচ্ছি, আপনার কি মনে হচ্ছে তার অর্থ আমি শ্রমিক নির্যাতনের পক্ষে?

কী করলে আমার মধ্যবিত্ত হওয়ার অপরাধ ঘুচবে? কী করলে আপনার মনে হবে আমি শ্রমিক নির্যাতনের পক্ষে নই?

ব্লগীয় আন্দোলনে সমস্যা কোথায়?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

আর আমরা মধ্যবিত্তেরা সুশীল সমাজের টুপি মাথায় দিয়ে শাহরুখের কবল থেকে ভাষা-সংস্কৃতি বাঁচানোর ব্লগীয় আন্দোলন করে যাবো।

ভাই, কথাটা কাউকে আক্রমণ করার জন্য না। এটা উদাহরনমাত্র। আমি কিন্তু নিজেও ওইদলে যারা শাহরুখের কবল থকে নিজ সংস্কৃতিকে বাঁচাতে চান। তবে শুধু এটা দেখলেই কি চলবে?? আর শুধু ব্লগেই কি চলবে?? মনে হয় মধ্যবিত্ত শ্রেণীর রাস্তায় নামার সময় এসেছে। রাস্তায় নেমে আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতি চাপ তৈরি করতে হবে ৬৯, ৯০ এর মতন।
__________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

অতিথি লেখক এর ছবি

ঢাকা ইপিজেড-এর পর চিটাগাং ইপিজেড - তার পর সাভারে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে আগুন...

শ্রমিক শোষণের একটা সীমা থাকা দরকার।

Police brutality সম্পর্কে মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকলাম - কারণ আমি মনে করি এক-দুইটা বাজে উদাহরণের কারণে সবাইকে গালি দেওয়া উচিত নয়।

- না ফিশ

অতিথি লেখক এর ছবি

পুলিশকে গালিদিতে চাই না। তারাও তাদের নিজমত কাজ করতে পারে না, তাদের করতে দেওয়া হয় না। বিত্তবান ও ক্ষমতাশীলের সর্বদা তাদের বগলদাবা করে রাখে।

মনে হয় এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে মাঠে নামার সময় এসেছে। আম্রা সরকারের পতন চাই না। আমরা চাই সরকার ও বিরোধীদলের চিন্তা-ভাবনা ও কার্যকারিতায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন। আমাদের রাজনীতিবিদদের প্রতি চাপ তৈরি করা দরকার ৬৯, ৯০ এর মতন। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।
__________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

সাদেক এর ছবি

আপনি কি সরকার বিরোধী? বিএনপি-জামায়েত সমর্থক? তা না হলে সরকার যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে এমন সমালোচনা কাম্য না।

অতিথি লেখক এর ছবি

চোখে হয়তো রঙিন চশমা ছিল, তাই দেখতে পাননি। রঙিন চশমাটা খুলে এই লেখাটা আবার পড়ুন। বিশেষ করে এইটুকুঃ


সাবেক সরকার মালিকদের খুশি করে গেছেন। এই সরকারও করছে। আগামী সরকারো তাই করবে। দল-মার্কা নির্বিশেষে তারা টাকাওলাদের সেবক।

____________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

সাদেক এর ছবি

চোখে হয়তো রঙিন চশমা ছিল, তাই দেখতে পাননি। রঙিন চশমাটা খুলে এই লেখাটা আবার পড়ুন।

এভাবে লেখার মানে কি? একেতো সরকার নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে তেনেছেন তারপর আবার এভাবে অপমান করার চেষ্টা করছেন। মডারেটরেরা এমন লেখা এবং এমন মন্তব্য প্রকাশ করেটা কিভাবে? তারা কি ঘুমায়?

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহাপগে......
ভালোই বলেছেনঃ

একেতো সরকার নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে তেনেছেন তারপর আবার এভাবে অপমান করার চেষ্টা করছেন।

ভাই, আপনি পত্রিকা পড়েন?? টিভি চ্যানেল এর সংবাদ শুনেন?? যদি শুনে না থাকেন, না পড়ে থাকেন তো শুরু করে দিন। তবে তার যদি ভুল বলে খাকে, লিখে থাকে তবে তাদের সাথে বোঝাপড়া করেন, আমার সাথে না। আমি অতি সামান্য মানুষ। বলতে পারেন আদার ব্যাপারি। তাই আমার সাথে আপনার মত জাহাজ মালিকের কথা না বাড়ানোই ভালো।

ভালো থাকবেন।
____________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

নামহীন [অতিথি] এর ছবি

ভাইরে, এই পুঁজিবাদী সমাজে টাকাই সব। টাকা নাই লাথি খাবেন। এর আর কোন ব্যাখ্যা নেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুমতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি। টাকাই ঈশ্বর।
____________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

স্পর্শ এর ছবি

কিন্তু আমি হতাশ। শেষপর্যন্ত আমিই লিখতে বসে গেলাম।

এই স্পিরিটটা ধরে রাখুন। অন্যের জন্যে অপেক্ষা করে লাভ নেই।
নিজেই হাতে তুলে নেবেন কলম, কীবোর্ড, লাঠি বা বন্দুক।
চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, ধন্যবাদ।

নিজেই হাতে তুলে নেবেন কলম, কীবোর্ড, লাঠি বা বন্দুক।

হ্যাঁ, খুবই ঠিক কথা। কারো আশায় বসে না থকে নিজেই এগিয়ে যেতে হবে। কথাটা অনেক ভালো লাগলো।
____________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

অর্বাচীন [অতিথি] এর ছবি

আজ সকালেই টিভি নিউজ থেকে লাইভ টেলিকাস্টের এক পর্যায়ে দেখলাম একটা আধপোড়া হাত ব্যালকনি থেকে সাহায্য চাইছে । আস্তে আস্তে হাতের রঙ পাল্টে যাচ্ছে-কালো থেকে ঘোর কালো । সে কালির কিছুটা কি আমাদের জাতিসত্ত্বার গায়েও এসে লাগে নি ??? দিনের পর দিন অব্যবস্থার শিকার হয়ে মানুষের অপমৃত্যু স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । আজ মৃত মানুষের সংখ্যার উপর বিপর্যয়ের পরিমাণ নির্ধারিত হয় । অথচ একটি জীবনও কি অসীম গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিবারের কাছে!! আমাদের জীবন অথবা মৃত্যুর নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের বা বিরোধীদলের আদৌ কোন মাথাব্যাথা আছে বলে মনে হয় না ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের জীবন অথবা মৃত্যুর নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের বা বিরোধীদলের আদৌ কোন মাথাব্যাথা আছে বলে মনে হয় না ।

সরকার মসনদ বাঁচাতে ব্যাস্ত আর বিরোধীদল ব্যস্ত একটা বাড়ি বাঁচাতে।
____________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া, আমার পড়া আপনার বেস্ট লেখা।
চলুক

---আশফাক আহমেদ

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, ধন্যবাদ। আরো ভালো করার চেষ্টা করবো।
__________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার লেখা ভাই
___________________
রুদ্র

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, ধন্যবাদ।
_________________________________________
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, ধন্যবাদ।
________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

দীপাবলি [অতিথি] এর ছবি

আমি অর্থনীতির ছাত্রী। মইনুল ইসলাম স্যার আমাদের অনুন্নয়নের রাজনৈতিক অর্থনীতি নামে কোর্স পড়াতেন। এই কোর্সটা পড়তে গিয়ে আমরা আমাদের অনুন্নয়নের আসল ইতিহাস জানতে পারি। স্যার আমাদের State-Monopoly Capitalism নামে একটা তত্ত্ব পড়িয়েছেন। এর মূল বক্তব্য হল "বহুজাতিক কোম্পানি গুলো যখন ক্ষমতাধর হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে তখন সরকার বাধ্য হয় তাদের স্বার্থ রক্ষা করে।"
আমাদের দেশে বেশিরভাগ দেশীয় কোম্পানীগুলো বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। স্যার এদের বলতেন মুৎসুদ্দি (দালাল)। আমাদের গার্মেন্টস মালিক রাও তাই। তাদের হাত এতই ক্ষমতাবান যে রাষ্ট্র তাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। শ্রমিকদের আর্তচিৎকার শোনার সময় তাদের কোথায়? অথচ এই শ্রমিকদের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

দশম শ্রেণীর সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের পর কখনও অর্থনীতি পড়া না হলেও এটা জানা হয়েছেঃ

"বহুজাতিক কোম্পানি গুলো যখন ক্ষমতাধর হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করে তখন সরকার বাধ্য হয় তাদের স্বার্থ রক্ষা করে।"

আনু মোহাম্মদের কাছ থেকে ব্যাপারটার ছোট্ট একটা ব্যাখ্যা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। আর বর্তমানকালে খোদ ওবামাই আমেরিকাতে এইসব বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের জাল থেকে দেশ রক্ষার প্রচেষ্টায় সরাসরি দেখে নেবার হুমকি শুনেছেন। সেখানে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদেরা তো চুনোপুঁটি। তবে সে যাইহোক যতদিন আমরা এইসব শ্রমিকদের ঘামের দাম দিতে পারবো না ততদিন সত্যিকারের উন্নয়ন সম্ভব না।
________________________________________
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।