২১, অসাম্প্রদায়িক জাতীয় চেতনার জন্ম ও বিনাশের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৮/০২/২০১১ - ৯:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৪৭ এর ১৪ আগস্ট যে ঘটনাটি ঘটল তা পৃথিবীর ইতিহাসে ছিল প্রথম ও অদ্বিতীয়। পাকিস্তান নামে যে অদ্ভুত দর্শন ও অবৈজ্ঞানিক রাষ্ট্রটির জন্ম হল তা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ঠিক রাষ্ট্র ছিল না, ছিল এক নতুন ধরনের রাষ্ট্র কাঠামো গড়ার এক নিছক এক্সপেরিমেন্ট। দুই অংশের এ বিশাল ভৌগলিক ব্যাবধান, রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক-ঐতিহ্যগত আকাশ পাতাল ফারাক এই নির্দেশ করছিল যে এই রাষ্ট্রটি হবে ক্ষণিক সময়ের জন্য এক সংগ্রামময় রঙ্গমঞ্চ। দুই অংশের একমাত্র ঐক্যের জায়গা হল ‘ইসলামী জাতীয়তাবাদ’ নামক এক তত্ব।
সম্রাজ্যবাদী শোষণের চিরায়ত ও অবশ্যম্ভাবী পক্রিয়ার অংশ হিসেবেই পুঁজিবাদী শাসক ব্রিটিশ রাজ ভারত বর্ষের প্রধান দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়কে শোষণ ও শাসনের সুবিধার্থে মুখোমুখি দাঁড় করায়। যার শেষ অমোঘ পরিণতি ভারত ও পাকিস্তান নামের দুইটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম।
হাজার বছর ধরে চলে আসা বৈদিক ধর্ম, আর্য শ্রেণী, ভিনদেশি শাসক হতে বৃটিশ রাজের সকল শোষণ-নির্যাতন-প্রতিরোধ-সংগ্রাম ইত্যাদি বিবেচনায় না এনে শুধু বৃটিশ ভারতের শাসনের শেষ অংশ টুকুতেই নজর দিচ্ছি। সাধারণত দেখা যায় শোষণের সুবিধার্থে শাসক শ্রেণী সাম্প্রদায়িক আবেগকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করে, এটি এক চিরায়ত বৈশিষ্ট্য। আর ভারতীয় উপমহাদেশে এ সাম্প্রদায়িকতার ব্যাবহার ইংরেজদের হাত দিয়ে সুসংবদ্ধ কাঠামো লাভ করে। বাংলার পুর্বাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই ছিল নিম্নবর্গের মুসলমান ও কৃষক সম্প্রদায়ের । এরা সম্পূর্ণই ছিল শ্রমজীবী ও উৎপাদনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। অপরপক্ষে এ অঞ্চলের অধিকাংশ মহাজন-জমিদাররা ছিল হিন্দু সম্পদায়ের, যারা ছিল সম্পুর্ন উৎপাদন বিমুখ। স্বাভাবিক ভাবেই এ উৎপাদন বিমুখ, পরগাছা শাসক শ্রেণী ও শোষিত কৃষক সম্প্রদায়ের মধ্যে থাকা সম্পর্কের পরতে পরেতে থাকত শ্রেণী দ্বন্দ। এই দ্বন্দ, এ শোষক-শাসিতের সম্পর্ককে ঢেকে রাখার চিরায়ত কৌশল হল একে স্বাম্প্রদায়িকতার চাঁদর দিয়ে ঢেকে দেয়া। ইংরেজরা হিন্দু সম্প্রদায়কে বোঝায় বহিরাগত মুসলমানরা ৬০০ বছর শাসন শোষণ করে ভারত বাসীর অধিকার হরন করে রেখেছিল, তাদের বিকাশকে দমিয়ে রেখেছিল। তাই প্রতিশোধের এই সময়, এই হল তাদের রেনেসাঁ যুগ। অপরদিকে অভিমানী মুসলমান সম্প্রদায় দেখল কিভাবে দিন্দু শাসক গন তাদের শ্রমকে ঠকিয়ে রক্ত শোষণ করছে এবং তা ইংরেজদের আশ্রয়ে ও পশ্রয়ে। এভাবে ইংরেজরা ভারতবাসীকে বুঝতে দেয়নি এই কৃষক-জমিদারের দ্বন্দ নিতান্তই শোষক-শোষিতের শ্রেণী দ্বন্দ, যা অবশ্যম্ভাবী ঘটনা। এ শোষণ কোন সম্প্রদায় চেনে না, হিন্দু চেনে না, মুসলমান চেনে না।
ব্রিটিশদের ব্যাবহার করা ও প্রতিষ্ঠিত এ পদ্ধতিকে রাজনৈতিকভাবে মুসলমানদের সামনে উপস্থাপন করে মুসলিম লীগ। তারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে শ্রেণী ও শোষণগত দ্বন্দ্বকে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব হিসেবে উপস্থাপন করে পাকিস্থান সৃষ্টির দাবি ও যৌক্তিকতাকে জোরদার করে। চাকুরি-ব্যাবসা-শিক্ষা-সম্পদ ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের এই যে অগ্রগামিতা, অপরদিকে মুসলমানদের প্রশ্চাদপদতা অথবা এই যে উৎপাদনের ভিত্তি এ অঞ্চলের শ্রমজীবী কৃষকের পেটের ক্ষুধা এই সব কিছুর একমাত্র নিরাময় পাকিস্তান নামের এক আলাদা রাষ্ট্রের সৃষ্টি। এই দেখিয়েছিল মুসলিম লীগ।
অতপর সেই ক্ষুধাহীন-শোষণহীন-স্বপ্ন রাজ্য পাকিস্তানের জন্ম হল। আর সেই শোষক হিন্দু সম্প্রদায় শ্রেণীটি থাকল না। কিন্তু শোষণের চিরায়ত নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতার পালা বদল হল কিন্তু শোষণের অবসান হল না। ধর্মের দোহাই দিয়ে যে রাষ্ট্রের জন্ম হল সে ধর্ম বা রাষ্ট্র মানুষের খাবারের যোগান দিতে পারল না। তারা অল্প ক্ষণেই বুঝে নিল এই নব্য শাসক গোষ্টির চরিত্র। তাই পাকিস্থান সৃষ্টির মাত্র ৪ বছর পর এই তন্দ্রাগ্রস্থ জাতির মোহভঙ্গের প্রতফলন দেখা যায় ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে। সেই ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত হয় পৃথিবীর প্রথম ভাষাভিত্তিক জাতীয় রাষ্ট্রের বীজ। এ ঐতিহাসিক বিপ্লব ছিল সাম্প্রদায়িকতা মুক্তির পথে এক মহান যাত্রা। এ মুক্তির অর্থ শতবছর ধরে চলতে থাকা, রাজনৈতিক কাঠামোতে ধর্মের ব্যাবহার বন্ধ হওয়া। এ বিপ্লব সহজ কথায় দ্বি-জাতি তত্বের পেটে লাথি মারল, এই তত্বের অবৈজ্ঞানিকতা প্রমান করল।
এই সাম্প্রদায়িকতা ব্যাপারটা একটা বিচ্ছিন্ন মাত্রা। এটি প্রান ফিরে পায় তখন যখন রাজনীতি একে ব্যাবহার করে। জ্ঞানভিত্তিক-মুক্তমনের-গণতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোর পূর্বশর্ত সাম্প্রদায়িকতা মুক্তি। আমাদের এই জাতিগত সাম্প্রদায়িকতা মুক্তির ভিত্তি ছিল ৫২ এর ভাষা আন্দোলন। সেই রাজনীতি বা সংস্কৃতির সাম্প্রদায়িকতা মুক্তি আমরা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছি। সে আমাদের অতি দুঃখ জনক রাজনৈতিক ব্যার্থতার ইতিহাস।
৫২ এর ২১ শে ফেব্রুয়ারির পর হতে এদেশের ভুমি ও রাজনৈতিক কাঠামোতে ধর্মের ব্যাবহার বন্ধ হবার যোগার হয়। কিন্তু এই অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক সংস্কৃতি, পুজিতান্ত্রিক ও সম্রাজ্যবাদি শোষণ-আগ্রাসনের অন্তরায়। সাম্প্রদায়িক শক্তির অবস্থান, জন বিভক্তি ইত্যাদি সম্রাজবাদীদের আসনকে পুক্ত করে। তবে ৫২ এর ভাষা বিপ্লবের পর মুসলিম লীগের মত এত বড় ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন আজ অব্দি তৈরি হতে পারে নি এবং পারবেও না। কারন বাংলাদেশের বাঙ্গালীরা অসাম্প্রদায়িক, তাদের সংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যই এইরকম এবং এই চেতনার ভিত্তিটাই ৫২ এর ২১।
বলতে গেলে এখানে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি ও কৃত্তিম সাম্প্রদায়িকতাকে মোটামোটি ডেকেই আনা হয়েছে। এ জন্য কম বেশি প্রধান স্রোতের সকল রাজনৈতিক দলই দায়ী। আপনি লক্ষ্য করলেই দেখবেন জামাত-ই-ইসলামি, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী শাসন তন্ত্র আন্দোলন ইত্যাদি সাম্প্রদায়িক সংঘটন সমুহকে সুযোগ করে না দিলে এরা কখনই এদেশে ভিত্তি গাড়তে পারত না। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সহযোগী অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সমূহের বিশ্বব্যাপী সম্রাজ্যবাদি আগ্রাসনের অংশ হিসেবে আসা এদেশে দফায় দফায় সেনা শাসন এর জন্য বেশী দায়ী। অবৈধ সেনা শাসন তার ভিত শক্ত করতেই ধর্মকে নিজেদের মত ব্যাবহার করেছে।
আসলে বাংলাদেশের সাথে অন্য যেকোন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সাথে তুলনা করা বোকামি। দেশটির নিজ্বস্ব ইতিহাস-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য একে স্বাতন্ত্রতা দিয়েছে। আমি বলব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে সহনশীল, ধর্ম নিরেপেক্ষ দেশ আর একটিও নেই।
এদেশে যে জঙ্গিবাদের কথা বলা হয়, যে জঙ্গি, জে.এম.বি বা বাংলা ভাইকে দেখানো হয়েছে তা যদিও সত্য তথাপি তা বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র। এ জঙ্গিবাদের উত্থানের প্রচেষ্টা ছিল এদেশে সম্রাজ্যবাদী ও বিদেশী মৌলবাদী শক্তির এক এক্সপেরিমেন্ট মাত্র। কয়েকদিনের মধ্যে জঙ্গিবাদের উত্থান ও কয়েকদিনের মধ্যে পতন কখনো সম্ভব নয়। এটাকে একটি মঞ্চায়িত নাটক বলা যেতে পারে। সাম্প্রদায়িকতার বিকশিত ও ফলিত রূপ ‘জঙ্গিবাদের’ উত্থান ও রাজনৈতিক-সামাজিক কাঠামোতে শেকড় গাঁড়তে হলে দেশের জনগনের বড় অংশের স্বমর্থন থাকতে হবে। যারা জঙ্গিকে এখানে প্রতিষ্ঠা দিতে যাচ্ছিল তারা অল্প সময়েই বুঝে নিল এই দেশটি আফগানিস্থান বা পাকিস্থান হতে আরও শত বছর লাগবে।
যেহেতু জঙ্গি উত্থানে জোট সরকারের বহু কর্তা ব্যাক্তি জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে তাই একথা সাধারন জ্ঞান সম্পন্ন ব্যাক্তি মাত্রই আঁচ করতে পারবে জঙ্গির উত্থানে সরকার বিপুল অর্থসাহায্য পেয়েছিল আবার অন্য বহিশক্তির কাছ হতে জঙ্গি দমনেও তদ্রূপ সাহায্য পেয়েছিল। এ জোট সরকারের কতিপয় নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদেই জঙ্গিরা সংঘটিত হয়, প্রয়োজন শেষে এ সরকারই আবার এদের গলা টিপে মেরে ফেলে। আবার দেখুন পতিত জঙ্গিবাদের ফেলে যাওয়া খোলস-ছাল-বাকল কিন্তু উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করবে এবং এটাই স্বাভাবিক। আর এ ব্যাপারটাই কাজে লাগাচ্ছে মহাজোট সরকার। এ জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ ইত্যাদি কারসাজি দেখিয়ে সে জনগণকে প্রথম থেকেই বিভ্রান্ত করে আসছে। সকল ব্যার্থতা-দুর্বলতা-শঠতা এ সরকার সহজেই মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ ইত্যাদির ঘাড়ে চাপিয়ে বারবার জনগনের আই ওয়াশ করছে, এক্ষেত্রে তারা মোটামোটি সফল।
তবে এদেশের মানুষের মধ্যে যে একেবারে সাম্প্রদায়িকতা নেই তা কিন্তু নয়। শত বছরের সাম্প্রদায়িক অভিজ্ঞতার ইতিহাসের পর তা প্রত্যাশা করাও বোকামি। অনেক মানুষের মধ্যে প্রকট সাম্প্রদায়িকতার মনোভাব প্রত্যক্ষ করা যায়। সংগঠিত ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামাত-ই-ইসলামী ইতিমধ্যে একটি সংঘবদ্ধ সাম্প্রদায়িক শ্রেণী তৈরি করে ফেলেছে এবং তার প্রতিনিয়ত বিস্তারে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধান স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্য দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে এই সাম্প্রদায়িক শক্তি তাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।
আমরা মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা এই দুই প্রত্বয়কে গুলিয়ে ফেলি, মৌলবাদ ধর্মসমুহের গোঁড়া-অনমনীয়-অসহনশীল অংশের তত্ব ও কার্যক্রম। মৌলবাদ কখনোই বৃস্তিত পরিসরে প্রভাব ফেলতে পারে না যদি না তার রাজনিতিকরন ঘটে। তখন তা হয়ে যায় ধর্মিয় সাম্প্রদায়িকতার বহিঃপ্রকাশ। ৪৭ সালের অব্যবহিত পরেই এদেশের মানুষ বুঝেছিল ধর্মরাজ্য মানুষের অন্ন-বস্র-বাসস্থানের যোগান করে দিয়ে যায় না। কোন রকম জটিল হিসাব বাদ দিয়েই তারা পেটের ক্ষিধার সাথের ধর্ম ব্যবহার করে ব্যাবসার পার্থক্য করতে পারল। তারা শিখে নিল ধর্ম মানুষের জন্য, মানুষের মঙ্গলের নিমত্তে কিন্ত কখনোই মানুষ ধর্মের জন্যে নয়।
এ অসাম্প্রদায়িকতার পথে আনুষ্ঠানিক যাত্রা ছিল ৫২ এর ২১ শে ফেব্রুয়ারির মধ্য দিয়ে। আমাদের মুক্ত প্রগতিশীল সাংস্কৃতি চর্চার সূত্রপাত ঘটে সেই রক্তাক্ত রাজপথ হতে। এ ঐতিহাসিক ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের পেছনকার কারন-কার্যকরন-ইতিহাস-তাৎপর্য আমরা কখনো খুঁজে দেখিনি বা আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয় নি। তাই আজ একুশের চেতনা আমরা হারাতে বসেছি। আমরা যদি এ চেতনাকে জাতিগত ভাবে ধারন করতে না পারি তবে অদূর ভবিষ্যতে সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ আমাদের সত্যিকারেই গ্রাস করবে।

সোয়াদ আহমেদ।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১


মন্তব্য

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

১৯৪৭ এর ১৪ আগস্ট যে ঘটনাটি ঘটল তা পৃথিবীর ইতিহাসে ছিল প্রথম ও অদ্বিতীয়।

শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের/ভাগের উদাহরণ আরও আছে।

দুই অংশের একমাত্র ঐক্যের জায়গা হল ‘ইসলামী জাতীয়তাবাদ’ নামক এক তত্ব।

শব্দটা আসলে "মুসলিম জাতীয়তাবাদ"।

বাংলার পুর্বাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই ছিল নিম্নবর্গের মুসলমান।

"নিম্নবর্গের মুসলমান" শব্দদ্বয় বোধগম্য হলো না।

তারা শিখে নিল ধর্ম মানুষের জন্য, মানুষের মঙ্গলের নিমত্তে কিন্ত কখনোই মানুষ ধর্মের জন্যে নয়।

এটা যদি আসলেই আমরা শিখতে পারতাম, তাহলে আজ হেনাকে মনে হয় মারা যেতে হতো না।

বানানে প্রচুর সমস্যা আছে।

পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে সহমত।

অতিথি লেখক এর ছবি

শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের/ভাগের উদাহরণ আরও আছে।

ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র ঘটনই কেবল এখানে ফোকাস করতে চাই নি ___ এই বিশাল ভৌগলিক ব্যাবধান এবং দুই জাতির নৃতাত্ত্বিক ব্যাবধান এত বেশী যে এই রাষ্ট্র কতদিন স্থায়ী হয় তা দেখার ছিল।

শব্দটা আসলে "মুসলিম জাতীয়তাবাদ"

ধন্যবাদ ।

"নিম্নবর্গের মুসলমান" শব্দদ্বয় বোধগম্য হলো না।

শ্রেণী প্রশ্নে, নিম্ন শ্রেণীর, যারা মুসলমান সম্প্রদায়ের তাদের প্রতি বলেছিলাম। ছফার "বাঙ্গালী মুসলমানের মন" প্রবন্ধে বিস্তারিত দেখা যায়।

বানানে প্রচুর সমস্যা আছে

প্রতিবারই চেষ্টা করি যাতে বানানে ভুল না থাকে, কিন্তু সমস্যাটা থেকেই যাচ্ছে।
ভাল থাকুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

পোস্টের মূল স্পিরিটের সাথে সহমত হলেও রেটরিকের অনেকটার সাথেই একমত হতে পারলাম না। নীচে আমার মতামত/দ্বিমত দিলাম। বলাই বাহুল্য, এগুলি নিতান্তই আমার মতামত - কোন বৈজ্ঞানিক সত্য না।

পাকিস্তান নামে যে অদ্ভুত দর্শন ও অবৈজ্ঞানিক রাষ্ট্রটির জন্ম হল তা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ঠিক রাষ্ট্র ছিল না, ছিল এক নতুন ধরনের রাষ্ট্র কাঠামো গড়ার এক নিছক এক্সপেরিমেন্ট।

পাকিস্তান একটা 'অদ্ভুত দর্শন', মন্দ এবং অতি বাজে রাষ্ট্র হলেও, রাষ্ট্রই ছিল। এর মধ্যে কোন বৈজ্ঞানিকতা-অবৈজ্ঞানিকতার ব্যাপার নেই। রাষ্ট্রবিজ্ঞানও কোন 'বিজ্ঞান' নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমার ধারনাঃ সব রাষ্ট্রই চুড়ান্ত বিচারে 'এক্সপেরিমেন্ট'।

এ বিপ্লব সহজ কথায় দ্বি-জাতি তত্বের পেটে লাথি মারল, এই তত্বের অবৈজ্ঞানিকতা প্রমান করল।

জাতি, রাষ্ট্র, বা জাতি-রাষ্ট্র বা এর নির্মান - এসব কোন বাঁধাধরা অপরিবর্তনীয় বা ভিন্নতাহীন বৈজ্ঞানিক নিয়ম-কানুন-সূত্র-তত্ত্ব মেনে চলে বলে মনে হয় না। আর এ-সংক্রান্ত কোন তত্ত্বের কোন বৈজ্ঞানিকতা-অবৈজ্ঞানিকতা বলেও কিছু নেই। এর সবই বৈজ্ঞানিক, সবই অবৈজ্ঞানিক। আসলে এরকম প্রসঙ্গে কোন 'বৈজ্ঞানিক' বা 'অবৈজ্ঞানিক' লেবেল বা তকমা আরোপ করাটাই বরং অবৈজ্ঞানিক। আমার কেন জানি মনে হয়, এধরনের আলোচনায় এই বৈজ্ঞানিকতা-অবৈজ্ঞানিকতার গদাটা মার্ক্সিস্ট-স্ট্যালিনিস্ট ধারার নিদারুনভাবে ফেল মারা একদা তাত্ত্বিক কপচানির ভস্মাবশেষজাত কোন অবশিষ্টাংশ।

আর হ্যাঁ, দ্বি-জাতি তত্ত্ব 'ভুল' বা 'ভ্রান্ত' প্রমানিত হয়েছে বটে, কিন্তু এর সাথে বিজ্ঞানের কোন প্রাধান্যবিস্তারী সম্পর্ক আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে দেখতে পাচ্ছি না। তাছাড়া, আমি বরং এভাবে বলবো : দ্বি-জাতিতত্ত্ব ভুল প্রমানিত হয়ে 'বহুজাতিতত্ত্ব'কেই বরং প্রমান করে গেছে।

সম্রাজ্যবাদী শোষণের চিরায়ত ও অবশ্যম্ভাবী পক্রিয়ার অংশ হিসেবেই পুঁজিবাদী শাসক ব্রিটিশ রাজ ভারত বর্ষের প্রধান দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়কে শোষণ ও শাসনের সুবিধার্থে মুখোমুখি দাঁড় করায়। যার শেষ অমোঘ পরিণতি ভারত ও পাকিস্তান নামের দুইটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম।

এই বক্তব্যের মধ্যে যথেষ্ট সত্যতা আছে বটে, কিন্তু তা একই সাথে যথেষ্ট সরলীকৃত বলে মনে হয়। এটা সত্যের বা মুদ্রার একটা পিঠ মাত্র। ৩য় বিশ্বের দেশ বা সাবেক পশ্চিমা কলোনিগুলির একটা সমস্যা হলো, তারা নিজেদের দোষ-ত্রুটি-ব্যর্থতা-দারিদ্র্য-পশ্চাৎপদতা ঢাকার জন্য এসবের দায়-দায়িত্ব সবসময় সম্পূর্ণ রূপে তথাকথিত 'সাম্রাজ্যবাদী', 'পুঁজিবাদী' পশ্চিমা দেশগুলির (মূলত ব্রিটিশ, ফ্রেঞ্চ বা মার্কিন) ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চায়। যেন তারা নিজেরা সব ধোয়া তুলসী পাতা। যেন ব্রিটিশ বা ফ্রেঞ্চরা আসার আগে তাদের দেশ স্বর্গরাজ্য ছিল, আর তারা না আসলে এখনো স্বর্গরাজ্য থাকতো। দিকে দিকে অপার নিশ্ছিদ্র সুখ-শান্তি বিরাজিত ছিল এবং থাকতো। এটা অনেকের মধ্যেই একটা সাধারনভাবে বিরাজিত মনোভাব। এটা যে অনেকাংশেই আসলে মীথ, সে ব্যাপারে আমরা অনেকেই সচেতন নই, বা সচেতন হলেও মানতে চাই না। এই মনোভাবটাই বরং আমার মনে হয় এই সব দেশের উন্নতির একটা অন্যতম বড় প্রতিবন্ধকতা।

যাইহোক, আমার ব্যক্তিগত ধারনা ব্রিটিশরা ডিভাইড এন্ড রুল না করলেও, এমনকি এদেশে না আসলেও, সাম্প্রদায়িকতাজনিত যে পরিনতি ভারতবর্ষে হয়েছে সেরকম কিছু একটা হওয়া বা তার চেয়েও খারাপ কিছু হওয়া মোটেই অসম্ভব ছিল না। সাম্প্রদায়িকতার বীজ এই উপমহাদেশে ঠিকই ছিল, এবং ভালো ভাবেই ছিল এবং তা বৃটিশ-সৃষ্ট নয়।

এ শোষণ কোন সম্প্রদায় চেনে না, হিন্দু চেনে না, মুসলমান চেনে না।

চেনে বৈকি! চেনে বলেই শোষনের মাত্রাগত এমনকি গুনগত পার্থক্যও থাকে। তার চেয়েও বড় কথা, 'শোষণ' কাউকে চিনুক বা না চিনুক -- শোষিত কিন্তু ঠিকই শোষককে চিনে ফেলে। তখন কিন্তু আম-শোষিতকে বিমূর্ত বা জটিল তত্ত্বকথা শুনিয়ে বাস্তবের প্রত্যক্ষ শোষকের চেহারা আড়াল করা যায় না।

আসলে বাংলাদেশের সাথে অন্য যেকোন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সাথে তুলনা করা বোকামি।.....আমি বলব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে সহনশীল, ধর্ম নিরেপেক্ষ দেশ আর একটিও নেই।

আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, এটা একটা তৃপ্তিদায়ক সুখকর দেশপ্রেমিক অনুভূতি বটে - কিন্তু একই সাথে খানিকটা নিজের-পিঠ নিজে চাপড়ানো একধরনের জিঙ্গোইস্টিক (?) মীথও বটে।

কয়েকদিনের মধ্যে জঙ্গিবাদের উত্থান ও কয়েকদিনের মধ্যে পতন কখনো সম্ভব নয়।

উত্থান বা পতন কোনটাই কয়েকদিনের মধ্যে হয়নি। এর পেছনে দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ছিল বলেই মনে হয়। মূল প্রোজেক্টটা যাদের, তাদের লক্ষ্য অনেক সুদূরপ্রসারী। আমার ধারনা 'বাংলাভাই' নেহাৎই একটা টেস্টকেইস বা গিনিপিগ ছিল। তার তিরোধানে মূল প্রোজেক্ট তিরোহিত হয়েছে বলে মনে করার কোন কারন নেই। যেমন কিনা গবেষনাগারে একটা গিনিপিগ মরলেই পুরো গবেষনা মাঠে মারা যায় না।

তারা শিখে নিল ধর্ম মানুষের জন্য, মানুষের মঙ্গলের নিমত্তে কিন্ত কখনোই মানুষ ধর্মের জন্যে নয়।

সঙ্খ্যাগরিষ্ঠ সাধারন নিরক্ষর মানুষের মধ্যে এত অগ্রসর প্রতীতি এত সুস্পষ্টরূপে ও শক্তভাবে আছে কিনা আমি নিশ্চিত নই।

এ ঐতিহাসিক ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের পেছনকার কারন-কার্যকরন-ইতিহাস-তাৎপর্য আমরা কখনো খুঁজে দেখিনি বা আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয় নি।

দেখেছি, এবং করা হয়। প্রতিবছরই। বিভিন্ন বইপত্রের কথা বাদই দিলাম - প্রতিবছর এইসময় যে পত্রপত্রিকায় এই উপলক্ষে অজস্র লেখালেখি, ক্রোঢ়পত্র ইত্যাদি প্রকাশিত হয়, আশা করি সেসব লক্ষ্য করে থাকবেন। হাসি

মনমাঝি

অতিথি লেখক এর ছবি

একবার মন্তব্য দিয়েছি, কিন্তু আসল না বলে আবার দিলাম __

রাষ্ট্রবিজ্ঞানও কোন 'বিজ্ঞান' নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমার ধারনাঃ সব রাষ্ট্রই চুড়ান্ত বিচারে 'এক্সপেরিমেন্ট'।

→সব রাষ্ট্রই চূড়ান্ত বিচারে কেন এক্সপেরিমেন্ট হবে ??? ‘বাংলাদেশ’ নামের ভাষাভিত্তিক, বাঙ্গালীদের একমাত্র জাতীয় রাষ্ট্রটি কি এক্সপেরিমেন্ট ? নাকি জাতীয়তাবাদের অবশ্যম্ভাবী ফল ???


এধরনের আলোচনায় এই বৈজ্ঞানিকতা-অবৈজ্ঞানিকতার গদাটা মার্ক্সিস্ট-স্ট্যালিনিস্ট ধারার নিদারুনভাবে ফেল মারা একদা তাত্ত্বিক কপচানির ভস্মাবশেষজাত কোন অবশিষ্টাংশ।

→আপনি একেবারেই শিউর মার্ক্স-লেনিন সম্পুর্নভাবে ব্যর্থ। মার্ক্সের ১৭ বছরের ক্লান্তিহীন পড়াশুনা, এঙ্গেলসের দুনিয়া কাঁপানো পরিবার তত্ব, লেলিনের সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সব ব্যর্থ? এ বিষয়ে আমরা ভাবিষ্যতে বিস্তর আলোচনা করব, আশা রাখলাম ।


আর হ্যাঁ, দ্বি-জাতি তত্ত্ব 'ভুল' বা 'ভ্রান্ত' প্রমানিত হয়েছে বটে, কিন্তু এর সাথে বিজ্ঞানের কোন প্রাধান্যবিস্তারী সম্পর্ক আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে দেখতে পাচ্ছি না। তাছাড়া, আমি বরং এভাবে বলবো: দ্বি-জাতিতত্ত্ব ভুল প্রমানিত হয়ে 'বহুজাতিতত্ত্ব'কেই বরং প্রমান করে গেছে।

একটি দেশে একজাতি নয় বহুজাতি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। ভারতে এই সাম্প্রদায়িক তত্ব ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’ কিন্তু টিকে গেছে। ভারত বিষয়ে আমার একটি পোস্টের কিছু অংশ তুলে দিলাম ____
" বিশাল ভুখন্ডের দেশটিকে শাসন করছে প্রধানত কেন্দ্রিয় হিন্দিভাষী শাসক শ্রেণী, যারা ঐতিহাসিক নিয়মে শাষনের সাথে দুর্বল দরিদ্র রাজ্যগুলোকে শোষণও করছে। এই শাষন শোষণের নিমিত্তেই ভারতের প্রশাসনযন্ত্র ও সামরিক কাঠামো ক্রিয়াশীল। আসলে ভারত অখন্ড কোন দেশ নয়, এটি অনেকগুলো দেশকে পাশাপাশি সাজিয়ে কৃত্তিম জাতীয়বাদ দিয়ে আটকিয়ে রাখা এক বিশাল ভুখন্ড। এ জাতীয়বাদের নাম ‘ভারতীয় জাতীয়তাবাদ’ পরোক্ষভাবে ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’। এ অখন্ড ভারত দেশটিকে তৈরি করেছিল মোঘল প্রশাসনযন্ত্র । শক্তিশালী মোঘলরা সমগ্র ভারতকে তাদের সম্রাজ্যভুক্ত করে। মোঘলরা যে প্রশাসনযন্ত্রের মাধ্যমে ৬০০ বছর রাজত্ব করে, বৃটিশরা তার উপরেই চড়াও হয়ে ২০০ বছর শাসন ও শোষন করে। হাজার বছর ধরে শোষিত ভারতের আমজনতার কোনদিন শোষণের অবসান হয় নি। তারা বারবার ধর্ম বদলিয়েছে, দল বদলিয়েছে, মত বদলিয়েছে কিছু শোষণের অবসান ঘটেনি। এটি শোষনের চিরায়ত নিয়ম, রাজনৈতিক পরিবর্তন হয় কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না।" (১৪ অক্টোবর, ২০১০)

→ এর মানে এই নয় যে ভারতে দ্বি-জাতি তত্ব সফল। বা বহু নিত্বাত্তিক জাতি সফল ভাবে সহবস্থান করছে । আসলে জিন্নার দ্বি জাতি তত্ব ভেঙে পুর্ব পাকিস্তানে যে ভাষা ভিত্তিক জাতীয় রাষ্ট্রের জন্ম হচ্ছিল, তা ভারতের জন্য ছিল অশনি সংকেত। ঠিক তখনি আমরা দেখি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভাষা নিয়ে আন্দোলন দানা বেধে উঠেছে। এই যে ‘সেভেন সিস্টার্স’ তাদের মুক্তি সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অনুপ্রেরনায় বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম। ভারত ইউনিয়নের জোড়াগুলোতে ফাটল ধরেছে, ধরতেই থাকবে। এ বহুজাতিক রাষ্ট্রটির কাঠামো, আকারের পরিবর্তন হবেই ___ সেই সংগ্রাম চালাচ্ছে, শোষিত কাশ্মীরি জনগন, অসামি-গর্খাল্যান্ড বাসী, মনিপুরি-নাগাল্যান্ড বাসী। কোন সাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদই স্থিতিশীল হবে না ।


৩য় বিশ্বের দেশ বা সাবেক পশ্চিমা কলোনিগুলির একটা সমস্যা হলো, তারা নিজেদের দোষ-ত্রুটি-ব্যর্থতা-দারিদ্র্য-পশ্চাৎপদতা ঢাকার জন্য এসবের দায়-দায়িত্ব সবসময় সম্পূর্ণ রূপে তথাকথিত 'সাম্রাজ্যবাদী', 'পুঁজিবাদী' পশ্চিমা দেশগুলির (মূলত ব্রিটিশ, ফ্রেঞ্চ বা মার্কিন) ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চায়। যেন তারা নিজেরা সব ধোয়া তুলসী পাতা। যেন ব্রিটিশ বা ফ্রেঞ্চরা আসার আগে তাদের দেশ স্বর্গরাজ্য ছিল, আর তারা না আসলে এখনো স্বর্গরাজ্য থাকতো। দিকে দিকে অপার নিশ্ছিদ্র সুখ-শান্তি বিরাজিত ছিল এবং থাকতো। এটা অনেকের মধ্যেই একটা সাধারনভাবে বিরাজিত মনোভাব। এটা যে অনেকাংশেই আসলে মীথ, সে ব্যাপারে আমরা অনেকেই সচেতন নই, বা সচেতন হলেও মানতে চাই না। এই মনোভাবটাই বরং আমার মনে হয় এই সব দেশের উন্নতির একটা অন্যতম বড় প্রতিবন্ধকতা।

শুধু এই সব বিষয় নয় সকল বিষয়েই আপনার আমার পর্যবেক্ষন আলাদা দেখা যাচ্ছে। আসলে আমি-আপনি দুটি আলাদা দিক থেকে ব্যাক্ষা দিচ্ছি। এই আলোচনায় ঐক্যমত আসবে মনে হচ্ছে না।
আমি ভারতীয় উপমদেশে কলোনি- পুঁজি- বিকাশ ইত্যাদিকে ফোকাস করে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম, পরে দেখতে পারেন_

http://www.nagorikblog.com/node/3526

হাসিব এর ছবি

লেখায় বিশ্লেষণ থেকে রায় বেশী। আপাতত এইটা আমার অবজারভেশন।

অতিথি লেখক এর ছবি

সামনের লেখা সমুহে এই ত্রুটি বিবেচনায় রাখব ।
ভাল থাকুন।

হাসিব এর ছবি

এইটা ত্রুটির বদলে বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিবেচনা করলে ভালো।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।