আমার কোন নাম ছিলো না।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৬/২০১১ - ৯:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঠিক করেছি সচল হবো। খুব ভেবে চিন্তে নেয়া সিদ্ধান্ত যে তা না। কারেন্ট চলে গিয়েছিলো। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড় হচ্ছিলো। খুব ঝগড়া শেষে, মেয়েটা যেমন শেষমেশ কাদতে শুরু করে, তেমন বৃষ্টি। ঝড়ের সময় জানালা খুলে দিয়েছিলাম। আগের চার ভাগে’র কপাট কপাট ওয়ালা কাচে’র জানালা, এখনকার থাই গ্লাস এর জানালা না যে ঝা করে খুলে ফেলা যায় একপাশ। তারই একটা খুলে ছিলাম। জানালা’র গুলো ঠেকিয়ে রাখার জন্য হুক এর মতো ছিলো একসময়। এখন আর নেই। পর্দা গুজে দিলাম কপাটে’র কোণাটাতে যাতে বাতাসের ঝড়ো ঝাপটাতে আগের বার যেমন একটা কাচ ভেঙে গেছিলো সেরকম না হয়। কিন্তু ঝড় কি আর পর্দা মানে! ‘ঠাস’!! গুলি’র মতো শব্দ হল, দেখি জানালা’র কপাটটা বাড়ি খেয়ে নিচে’র একটা কা”চ” ভেঙে গেল। এই নিয়ে দুইটা। জানালাটা খোলা এমন কোন দরকার ছিলো না। ধুলোই আসছিলো বেশি।

মহা বিরক্তি নিয়ে অন্ধকারে জঙ্ঘাদেশ চুলকাতে চুলকাতে হঠাত করেই মনে হলো সচলত্ব [‘সচলত্ব’ ! কেমন জানি ‘অমরত্ব’ ‘অমরত্ব’ লিখছি বলে মনে হচ্ছে]পেতে হবে। এক বছরের বেশি হয়ে গেছে আই ডি খুলেছি। আশরাফুলে’র সেন্চুরি করার মতো করে একটা একটা করে লেখাও দিয়েছি। সেগুলো কিছুদিন নীড়পাতার স্কোরবোর্ডে কিছুদিন থেকে শেষে হারিয়েও গেছে। “লেখস যে ** এর **টা....সচলত্ব দিয়ে কি বা*’ ফালাবি নাকি”, এইরকম কথা যে মাথায় আসে নাই তা না..। তার উপর আমার আবার কয়দিন পর পর ‘কোষ্ঠকাঠিন্য’ এর মতোই লেখা বন্ধ হয়ে যায় [বলতে চাচ্ছিলাম যে ‘রাইটার ব্লক’ হয়, কিন্তু সেটা হবার জন্য ‘রাইটার’ হওয়াটা মনে হয় বেসিক রিকোয়েরমেন্ট, তাই আর লেখার সাহস পেলাম না।]
এইসব বারো তেরো ভাবছিলাম আর ‘অ মনু কি বাত্তি জ্বালাইলি’র মতো করে কারেন্ট চলে আসলো। তাড়াতাড়ি’র জানালা দিয়ে পাশে’র বারান্দা তাকালাম। কেউ দেখে ফেললো না তো!
নাহ!
ঝড় থেমে গেছে। সব জানালা খুলে দিয়ে উঠে এসে এইসব লিখতে বসলাম। এই পর্যন্ত লিখে চিন্তা করছি যে সচলে’র বামুন গোত্রদের মন গলানো’র জন্য নিজের যাপিত জীবনে’র আর কি ঘ্যানা প্যাচাল পেরে ঐটাকে গল্প বলে চালানো যায়।
ভাবতে ভাবতে চেয়ার থেকে উঠেই দেখি, আয় হায়! আমার গিটারটা যে জানালা’র পাশে খাটে উপুর করে শুইয়ে রেখে এসেছি মনেই নাই। বৃষ্টি’র ছাটে পুরা ভিজে যাচ্ছে। প্রায় পুরোটাই এক সহজ সরল মেধাবী বুয়েটিয়ান বন্ধু’র স্কলার শিপে’র টাকা থেকে ধার করে কেনা আমার ইয়ামাহা। যার কিছু টাকা এখনো দেয়া হয় নাই। পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। যে টিউশনি’র উপর ভর করে গিটার টা কিনেছিলাম সেটাই মোটামুটি অকারণে লাথ্থি মেরে চলে এসেছি।

ঘষে ঘষে মুছলাম। কাচ ভাঙলো, গিটার ভিজলো, সচল হতে চাওয়ায় এত ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে কে জানতো।

পুনশ্চ: লেখাটা লিখেছিলাম অনেক আগে। পোস্ট করা হয় নাই। আজকে গিটারটা বিক্রি করে দেবার জন্য অ্যাড দিলাম। আজকাল অনেক পোস্টই পাই আইপড এর জন্য কিডনি বিক্রি হেন বিক্রি তেন বিক্রি। কেউ কি নিজের হার্ট বিক্রি করছে? আমি করছি। এই গিটার দিয়েছে আমায় কতো...হাসি আর অশ্রু ভরা গান...আর আজ আমি জন লেনন এর সোচ্চার ভালোবাসা আর বব ডিলান এর অভিমান জানা আমার গিটারটা বিক্রি করে দেবার জন্য ক্লিক বিডি নামক এক জায়গায় পোস্ট দিলাম। আআ...এতো কাব্য করে না লিখলেও চলতো।

আমার সম্ভবত সুইসাইড করবার কথা। এতো মানুষের ভালোবাসা-কষ্ট নিয়েও জীবনটাকে এতোটাই এলোমেলো করে ফেলেছি যে ফিরবার পথ খুজে পাচ্ছি না। প্রতিবার ভেবেছি এইবার সব ঠিক করে ফেলবো আর প্রতিবারই আরো ভুল পথে চলে আসতে আসতে একেবারে শেষ দেয়ালটায় এসে ঠেকেছি। এই যে এখন লিখছি এর চেয়ে বেশি প্রতারণা আর কি হতে পারে!

পুনশ্চ ২: সুইসাইড করছি না। আশা করছি, এত গুলো ভুল নিয়ে বেচে থাকাটা এর চেয়ে বেশি কষ্টকর হবে।

- কাঠপেন্সিল


মন্তব্য

আয়নামতি1 এর ছবি

ভুলগুলো নাড়া দিয়ে জানান দিচ্ছে আপনি ভীষণরকমের মানুষ! আর মানুষ বলেই বুক ফুলিয়ে অসময়ের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে প্রমাণ করে দিতে হবে হেরে যাবার জন্য জন্ম হয়নি। শুভকামনা। কাঠপেন্সিল কে খুব দ্রুত হাচল-সচল হিসেবে দেখতে চাই।

কাঠপেন্সিল১ এর ছবি

ভুল গুলোই এতটাই বেশি যে ভুল গুলার নাম অপরাধ হয়ে গেছে। .... অসংখ্য ধন্যবাদ আয়নামতি.... অসংখ্য ধন্যবাদ..হাসি

সচলায়তনের পুরনো পাঠক এর ছবি

লক্ষ্য করে দেখুন সচলরা কেউই কিন্তু হতাশাগ্রস্ত কোন যুবকের প্রতিনিধি নয়। কিন্তু আপনার লেখায় আপনার নিজের জীবনের হতাশার ছাপ রয়েছে। লোকে সচলদের ব্রাহ্মণ বলুক আর যাই বলুক তাদের বেশির ভাগই কিন্তু উচ্চশিক্ষিত, এবং দায়িত্ববোধ সম্পন্ন। যার নিজের জীবনের দায়িত্ব অবহেলা করে করে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে ফেলে, সুইসাইডের কথা ভাবে তারা অচল। পালিয়ে না বেড়িয়ে নিজের জীবনটাকে আগে সচল করুন। পাশা পাশি সচলদের লেখার পেছনের মানুষটা কেমন বোঝার চেষ্টা করুন নিজে কে সেভাবে গড়ে তুলুন লেখা চালিয়ে যান। সচল আপনি নিশ্চয়ই একদিন হবেন।

- সচলায়তনের পুরনো পাঠক

কাঠপেন্সিল১ এর ছবি

হাহ হাহ হা.... [দু:খিত হাসিটা আপনা থেকে বের হয়ে এলো। তাই আর ঢাকলাম না] ধন্যবাদ আপনার শুভাকাঙ্খার জন্য।

এখানকার সচলদের উচ্চশিক্ষা এবং দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে আমার কিন্তু কখনোই কোন সন্দেহ ছিলো না... বরং নিয়মাবলী'র কড়াকড়ি আর ভবিষ্যৎ অস্থিরতা রোধে নীতিমালার পরিমার্জন এবং কিছু কথা লেখাটায় বুঝতে পারছিলাম...সচলদের বামুন বলাতে 'কিছু অতিথি স্বল্প সংখ্যক ব্লগ লিখেই উস্কানিমূলক দিতে শুরু করেছেন' তাদের মধ্যে পড়ে গেলাম ভেবে খানিকটা মন খারাপই হয়েছিলো। আমি যথেষ্টই সচেতন সচলদের কর্মপরায়ণতা সর্ম্পকে। বামুন বলাটা নিছকই যে, যারা নীতিনির্ধারক থাকেন তাদের প্রতি একটা সহজাত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়াশীল সম্পর্কের প্রহসনিক বহি:প্রকাশ [যেমন, সচলায়তন নিজেই বলে থাকে, ‘এক কথায় নাম্বার ওয়ান গনশত্রু’!] তা বুঝতে খুব বেশি কষ্ট হবার কথা না। এখানে আমার হতাশার অংশটুকু একান্তই আমার নিজের। লক্ষকরুন, আমি কিন্তু হতাশাগ্রস্ত'তার দোহাই দিয়ে সচল হবার ইচ্ছাপ্রকাশ করিনি। আমার লেখনির চেষ্টা দিয়েই করেছি। এখানে অন্যান্য সচলদের যার যার ব্যাক্তিগত জীবনের 'দায়িত্ববোধ' এবং 'উচ্চশিক্ষাকে' মিলিয়ে ফেলাবার কোন কারণ দেখি না।

এইখানে সচল হবার আগে জীবনকে সচল করবার দায়িত্ব নিতে বলাটা আমার জন্য সবচেয়ে প্রযোজ্য কথা ছিলো আপনাকে ধন্যবাদ এবং ধন্যবাদ আমার পোস্টে আপনার সময় এবং অনুপ্রেরনার জন্য। হাসি

পুনশ্চ: আপনি যেহেতু সচলায়তনের পুরনো পাঠক, আপনার এতোদিনে সচল হয়ে যাবার কথা। এক্ষেত্রে, আপনার 'সচল' নিকটিই কিন্তু ব্যবহার করতে পারতেন হাসি

-কাঠপেন্সিল

মৌনকুহর. এর ছবি

তার উপর আমার আবার কয়দিন পর পর কোষ্ঠকাঠিন্যের মতই লেখা বন্ধ হয়ে যায়

একই অবস্থা হয় আমারও। মডু-মামারা পাছে ভুলে যান-- এই ভয়ে জোর করে লেখা নামাতে যাই। কিন্তু লেখা শেষে পড়ে দেখি, ওইটা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীর করুণ আর্তনাদের চেয়ে বেশি কিছু হয় নি। তারপরেও ঘণ্টাখানেকের ফসল বলে ফেলে দিতে মন চায় না, পোস্ট করি-- কোন ভাবে যদি মামাদের হাত পিছলে বের হয় আর কি! কিন্তু তা-ও হয় না, লেখা ঘ্যাচাং হয়ে যায়। আর ঘ্যাচাং মার্কা লেখা পোস্টের জন্য আমার অপেক্ষা আরও বাড়ে......

লেখায় চলুক

কাঠপেন্সিল১ এর ছবি

হাহ হাহ হা... অপেক্ষার দ্রুত অবসান...এবং এই ব্যাপারে আমাদের এইসব রোগীর জন্য একটি হসপিটাল নিদেন পক্ষে একটা আশার বাণী জাগানো 'ক্যাপসুল' দাবি করছি। B-)

মৌনকুহর. এর ছবি

মন খারাপ

আশালতা এর ছবি

একবার একটা মুভিতে দেখেছিলাম যে, মেয়ে মা কে জিজ্ঞেস করছে যে সে আবার জীবন শুরু করার অপশন পেলে কি করবে ? মা যে উত্তর টা দিয়েছিলেন তা কান পেতে শোনার মত । বলেছিলেন যে, ওরকম অপশন পেলে উনি কিছুতেই নেবেন না। কারণ ওই ভুল গুলো করেই উনি বুঝেছেন যে জীবনে কি করা উচিত হয়নি । ফলে প্রতিবারই উনি নিজের জীবনকে বেটার করার সুযোগ পেয়েছেন । আবার জীবন শুরু করলে তো ওই জীবনবোধটা আসবে না ।
আমি নিজেও কখনই জীবন নতুন করে শুরু করতে চাইনি । প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যেও মনে হয়েছে আমার জীবনে সেটার দরকার ছিল । নাহলে তো আজকের এই পরিণত 'আমি' তৈরি হতনা ।

কাঠ পেন্সিলের লেখা ভালো হয়েছে । নতুন লেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।

কাঠপেন্সিল১ এর ছবি

আরে কি আশ্চর্যম..... অত:পর সেই 'মিশিমাখা শিখিপাখা'র কমেন্ট শেষ পর্যন্ত পেলাম!

ভুল ভুল বার বার করলে সেটা আর ভুল থাকে না অপরাধ হয়ে যায়... নিজে হেরে যাওয়া এক ব্যাপার....আর নিজের হারে সাথে অন্যের ভালবাসার প্রত্যাশা গুলোকে হারিয়ে দেয়ার অনুতাপটা সম্পূর্ন ভিন্ন। আপনার মন্তব্যকে আমি 'পরিণত' হয়ে উঠবার জন্য সত্যিকার অনুপ্রেরণা হিসেবেই নিলাম। কে জানে, আমি হয়তো কথা-সর্বস্বই।

---------------------------------------------------
একজন দুর্বল মানুষ।

আশালতা এর ছবি

আরি ! আপনি মশাই ধন্যি মানুষ ! খড়ের গাদায় সুঁই খুঁজে পেলেন কিভাবে ?
শুরুটা করেছিলাম সামুতে, কিন্তু ভালো লাগছিল না । মনে হচ্ছিল হাটের মাঝে ঘুরছি । সচলের খোঁজ পাবার পর ভীষণ ভাল লাগলো; খুব স্বস্তিকর মনে হল । তাই এখানেই শেকড় গেড়ে বসে পড়লাম ।
ব্লগিং টা আমি শুরু করেছিলাম মাত্র কিছুদিন আগে, একদমই খেলা খেলা হেলাচ্ছলে । আমার লেখার খাতা পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল অন্যদের জন্য । অন্যেরা তা পড়ে আমায় মাথায় তুলে নাচবে বা বড় লিখিয়ে হয়ে যাব এরকম কোন ভাবনা ছিলনা, এখন পর্যন্ত নেইও। বরং ভেতরের দায়মুক্ত হতেই বোধ হয় আমার বেশিরভাগ লেখা আসে । আজকাল অবশ্য বাঘা লিখিয়েরা আমার লেখার তারিফ করছেন এই খুশিতেই একদম ব্যক্তিগত লেখার বাইরেও কিছু লেখা লিখে ফেলছি । আমায় বোধকরি স্তুতির নেশা পেয়ে বসেছে কিছুটা । অথবা ব্যপার টার নতুনত্তে আটকা পড়েছি কিছুদিনের জন্যে । ঘোর কেটে গেলেই উধাও হব ।
একই ভুল কি মানুষ বার বার করে ? মনে হয়না । সেটা যে 'ভুল' এই বোধ টা যতদিন তৈরি না হচ্ছে ততদিন করবে এটা ঠিক, কিন্তু একবার বুঝে গেলে আর করেনা । আশা বা বিস্ময় বোধের জন্যেও এই বুঝে ওঠাটা দেরী হয় । এই রিয়েলাইজেশন বা 'অনুধাবন' জিনিষটাই খুব দরকার জীবনে ।
আর হারজিত তো থাকবেই । আমার জীবন মাঝে মধ্যেই আমার সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে । বিরক্ত হয়ে তাই ঠিক করেছি এই খেলায় জিততে না পারি, হারবোনা কিছুতেই ।

দানবাকার মন্তব্যের জন্যে দুঃখিত ।

কাঠপেন্সিল১ এর ছবি

হাহ হাহ হা.... পুরোটা পড়ার পর শেষে.... 'দান'বাকার এর মানে তো আর আমি বুঝি না....'দান'বকার আবার কি...চিন্তায় পরে গেলাম.... শেষে গুগল করে হঠাত ধরতে পারলাম...আসলে এইটা হইতেছে দানব আকার...কি লজ্জা :">

মজার ব্যাপার হচ্ছে...আমি কিন্তু আপনাকে খুজে বের করছি না....দৈব ভাবে আপনিই আমাকে খুজে বের করছেন এই খড়ের গাদা থেকে...
প্রথমে সামহ্যোয়ারে আমার পেইজে...'সাম্প্রতিক যারা আপনার ব্লগ দেখেছেন' বাক্সে আপনার অনন্য নাম খুজে পেয়ে আপনার পেইজটা দেখতে গেলাম এবং মুগ্ধ হয়ে এলাম। ওখানেও কিন্তু আপনিই আমাকে 'হাট' এর মাঝে খুজে পেয়েছেন.... আর এখানে এসে আপনার লেখা গুলোই আবার দেখে বুঝতে পারলাম আপনিই সেই....এবং এখানেও কি দুরন্ত ঘটনা আপনার কমেন্ট পেয়ে গেলাম.... নিজেকে কেমন যেন বিশেষ বিশেষ বোধ হচ্ছে.... B-)

আপনার দানবাকার মন্তব্য'র জন্য একটা মহাদানবাকার ধন্যবাদ। দেঁতো হাসি

--------------------------------------------------------------------
আমি যদি ডুইবা মরি...কলঙ্ক তোমার হবে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।