অণুকাব্য | বৃষ্টি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৮/০৬/২০১১ - ৮:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.

শুকিয়ে যাওয়া ডোবার ধারে
একটি শামুক
রোদে পুড়ে হয়ে উঠে
বৃষ্টি-কামুক

কায়োমনে চাইছিল খুব
বৃষ্টি নামুক!

২.

উল্টানো এক সাগরের মতো
আকাশের বুকে ভেসে
ক্লান্ত মেঘেরা পথ ভুলে বুঝি
একদিন অবশেষে
নেমে আসে সাথে নিয়ে আসে তারা
সোঁদা গন্ধের দিন
টুপটাপ নামে, রিমঝিম নামে
নামে তারা রিনঝিন!

জহিরুল ইসলাম নাদিম


মন্তব্য

আয়নামতি1 এর ছবি

ভালো লাগলো হাসি

জহিরুল ইসলাম নাদিম 1 এর ছবি

ধন্যবাদ আয়নামতি আপনাকে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

অনেক দিন পর। এতো দিন কোথায় ছিলেন? সব ঠিক তো?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

জহিরুল ইসলাম নাদিম 1 এর ছবি

ধন্যবাদ খবর নেয়ার জন্য। নাহ্ ঠিকই ছিলাম। নানা ব্যস্ততায় লেখার সময় পাই নি। তাছাড়া সচলায়তন অতিথি লেখকদের প্রতি যথার্থ আচরণ না করায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। মন্তব্য করাটা একটা বিরাট ঝকমারি হয়ে গেছে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ভালো ছিলেন, ব্যস্ত ছিলেন জেনে খুশি হলাম।

"সচলায়তন অতিথি লেখকদের প্রতি যথার্থ আচরণ করে না" - আপনার এই অনুযোগটা সম্ভবতঃ অভিমানপ্রসূত। আপনি কবি, তাই আপনার অনুভূতি প্রবল - সেজন্যই এমন ভাবা হয়তো। গত তিন/চার বছরে সচলায়তনকে চালাতে কম ঝক্কি তো যায়নি, তাই মডারেটররা শুরুতে একটু ঝামেলামত রেখেছেন। এটা আপনার-আমার-সবার উপকারের কথা ভেবেই। শুরুর কাঁটাটা একটু সহ্য করুন, শেষের গোলাপ মধুর লাগবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

অভিমান জমছে............ মন খারাপ

শুরুর কাঁটাটা একটু সহ্য করুন, শেষের গোলাপ মধুর লাগবে।

কিছুটা প্রশান্ত হলাম পাণ্ডবদা। দেঁতো হাসি

জহিরুল ইসলাম নাদিম 1 এর ছবি

ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আপনাকে। তা অভিমান কিছু হতেই পারে। প্রায় দেড় বছর ধরে লিখছি সচলে। প্রকাশিত লেখা কিন্তু কম নয়। কিন্তু অতিথি লেখক থেকে অতিথি-তে উত্তরিত হলাম না। সমসাময়িক অনেকেই হয়েছেন ইতোমধ্যে। তারপর হঠাৎ আমাদের সরাসরি মন্তব্য করা বন্ধ করা হলো। তো নিজের নামে আর মন্তব্য করতে পারি না। বলে এই নামে আগেই কেউ নিবন্ধিত। আরে সেই লোক তো আমিই! বোকা প্রোগাম আর সেটা বোঝে না। ফলে নামের সংগে দুই নম্বর যোগ করে লিখতে হয়। সবচেয়ে খারাপ ক্যাপচা ব্যাটা। যাই লিখি বলে ম্যাচ করেনি। এসব কষ্টের না! বিশেষ করে আমরা যারা ঠিক আগন্তুক নই। আরেকটা কষ্টের ব্যাপার আছে। ই-বুকে লেখার ক্ষেত্রে আমাদের প্রবেশ আগেই নিরুৎসাহিত করা হয়। আমার মনে হয় সচলদের বাইরে অনেকেই আছেন যাদের লেখার ই-বুককে ঋদ্ধ করবে। তাই সদস্য অ-সদস্য না বিচার করে লেখার মানকে মাপকাঠি বিবেচনা করা উচিৎ। আর গতি অনেক কমে গেছে সচলায়তনের। আগে একটা লেখা সাবমিট করতে কয়েক সেকেন্ড লাগত এখন বেশ ক মিনিট ধরে ব্রাউজার ঘুরতে থাকে। অথচ আমার ইন্টারনেটের গতি এখন এক মেগা! আগে ১২৮ ছিল। আমি জানিনা এসব আপনাকে বলে কী লাভ। আমি কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক মেইল পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাই নি। তাই এখানেই লিখলাম। সচলায়তনের প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই আমার। তবে সম্পাদকীয় নীতি সবার ক্ষেত্রে একই ভাবে প্রযুক্ত হওয়া দরকার বলে বোধ করি।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

প্রায় দেড় বছর ধরে লিখছি সচলে। প্রকাশিত লেখা কিন্তু কম নয়। কিন্তু অতিথি লেখক থেকে অতিথি-তে উত্তরিত হলাম না। সমসাময়িক অনেকেই হয়েছেন ইতোমধ্যে।

কিছুটা আশাহত করে ফেলল!! মন খারাপ

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বাহ, চমৎকার!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

জহিরুল ইসলাম নাদিম 1 এর ছবি

ধন্যবাদ রোমেল!

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

শুকিয়ে যাওয়া ডোবার ধারে
একটি শামুক
রোদে পুড়ে হয়ে উঠে
বৃষ্টি-কামুক

কায়োমনে চাইছিল খুব
বৃষ্টি নামুক!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।