অভাজনের প্যারিস ভ্রমন

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি
লিখেছেন রকিবুল ইসলাম কমল [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৫/০৭/২০১১ - ৯:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব এক, পর্ব দুই।

ম্যাপ দেখে দিক ঠিক করে বিরতিহীন ক্লান্ত পায়ে এগিয়ে যাচ্ছি আইফেল টাওয়ারের দিকে। পৃথিবীর সবচাইতে বেশি পরিচিত স্থাপনা। কিছুদূর হাটবার পর দূর থেকেই চোখে পড়ল প্যারিসের আকাশে উদ্ধত এই ধাতব স্তম্ভ। এলোমেলো হেটে সঠিক রাস্তা রেখে আমরা পার্কের ভেতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। এক সময় পৌঁছলাম যখন সন্ধ্যা হবে হবে করছে। চাইলে লিফটে করে টাওয়ারের চুড়ায় যাওয়া যায়। তার জন্য বড়সড় একটি লাইন ধরতে হয় এবং কিছু ইউরো খরচা করতে হয়। অবশ্য অনলাইনে আগেই টিকেট কেটে আসলে লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

বাড়তি ইউরো খরচ করে উপরে উঠা যেত কিন্তু লাইনে দাঁড়াবার ধৈর্য না থাকাতে আমরা আইফেলের নিচে নানান ভঙ্গিমায় ছবি তুললাম। বসে অপেক্ষা করছি সন্ধ্যা হবার আর শুয়ে বসে বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে তাকিয়ে এই মহার্ঘ্য বস্তুর শৈল্পিক সৌন্দর্য বোঝার চেষ্টা করছি। মুস্কিল হচ্ছে কি এই ইন্টারনেটের যুগে ইউটিউবে সব কিছু আগেই দেখে ফেলাতে সামনে উপস্থিত হয়ে অবাক হবার মাত্রাটা কমে গেছে। টাওয়ারটি কে যেমন ভেবেছিলাম, ছবিতে যেমন দেখেছিলাম ঠিক তেমনি। তবুও যে কোন কিছুর সামনে দাঁড়ালেই ভিন্ন ভিন্ন রকম অনুভূতি হয়। যেটা ছবি দেখে ভিডিও দেখে হয় না। চোখের সামনে বিশাল এই টাওয়ারের এরকম ভারি লোহা লক্কড়ের মোটা মোটা থাম দেখে আমার মনে হল পদ্মা নদীর উপর সেই হার্ডিং ব্রিজের কথা! ব্রিজের ঐ সব পেটা লোহার খোলা জাফরি দিয়েই বানানো এই লম্বা জিনিশটা কে নদীর উপর আড়াআড়ি করে না ফেলে নদীর পারে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছে আরকি। সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায়, এত বড় জিনিসটা কে দার করানোর জন্যে ভিতটা ছড়ানো এবং বেশ মোটা করে দেয়া দরকার; তা’ই করে দেয়া হয়েছে; প্রায় কয়েক একর জায়গা জুড়ে। এত উঁচুতে টাওয়ারের চূড়ার দিকে তাকালে প্রথমেই যা মনে হবে, কেউ কি সেখান টেলিভিশনের এন্টেনা লাগিয়েছে? এন্টেনার মত কিছু একটাই অবশ্য দেখা যাচ্ছে। আচ্ছা, মানুষের বিশ্ব রেকর্ড করার যেই সখ তাহলে, এই উঁচু থেকে ঝাপ দিয়ে কেউ কি আজও গিনিজ বুকে নাম লেখায় নি? কৌতূহল মেটাতে খোজ খবর করে জানা গেলো। এক দর্জি তার নিজের হাতে বানানো প্যারাসুট নিয়ে ঝাপ দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেন নি।

বিশ্ব বিখ্যাত এবং সর্বজন সমাদৃত এই টাওয়ারটা নিয়ে বেশ বিরোধিতাও ছিল প্রথম প্রথম। তৈরির সময় ফ্রান্সের অনেক জ্ঞানী গুনি জন প্যারিসের আকাশে দৈত্যাকৃতির এই কারখানার চিমনির মত দেখতে লোহার জঞ্জাল মেনে নিতে চাননি। কোথায় যেন এই নিয়ে একটি মজার গল্প পড়েছিলাম। সে সময়ের কোন এক বিখ্যাত প্রতিবাদকারী লেখক টাওয়ারটি তৈরি হয়ে যাবার পর বেশিরভাগ সময় টাওয়ারের পাদদেশেই একটি পানশালায় বসে থাকতেন। অনেকেই ভেবেছিলেন টাওয়ারের সৌন্দর্য বুঝি তাকে শেষ পর্যন্ত বিমোহিত করেছে। তাই তিনি সর্বক্ষণ এটার আশেপাশেই থাকেন। কিন্তু হঠাৎ উনার নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া সবাই কে খুব ভাবাল। তিনি আসলে তার দৃষ্টিসীমা থেকে এই কদাকার লৌহ কাঠামো দূর করতে নিজেই ফ্রান্স ছেরে চিরদিনের জন্য চলে গেছেন অন্য কোন দেশে। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা তাকে পেয়ে জিজ্ঞেস করলো, তবে যে আপনি প্রতিদিন টাওয়ারটির পাদদেশেই বসে থাকতেন বেশিরভাগ সময়? উনার উত্তর ছিল, ‘ওটাই তো প্যারিসের একমাত্র যায়গা যেখান থেকে দুরের আকাশে তাকালে দৃষ্টিসীমায় ঐ জঞ্জালটা দেখতে হয় না’!

কঠিন সমালোচনার আরেকটি কারণ ছিল এই সুবিশাল যজ্ঞের কোন প্রায়োগিক ব্যাবহার না থাকায়। শর্ত অনুযায়ী তৈরির বিশ বছর পর এটি কে এমনিতেও ভেঙ্গে ফেলার কথা ছিল। কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে কোন প্রায়োগিক ব্যাবহার ছাড়াই এই মনুমেন্ট লক্ষ্য লক্ষ্য পর্যটক আকর্ষণ করছিল, দেশের জন্য বয়ে আনছিল অর্থ আর অহংকার। সেই সময়ের হেলিকপ্টার বিহীন যুগের বিজ্ঞানীরা এত সহজেই যন্ত্রপাতি নিয়ে সর্বোচ্য চুড়ায় দাঁড়াবার সুযোগ পেয়ে মহাজাগতিক কসমিক রে আবিষ্কার করে ফেললেন এই ‘চিমনির’ চুড়ায় বসে। এই ‘লম্বু লৌহ দানবে’র মাথায় বসিয়ে দিলেন একটি রেডিও এন্টেনা। এই অকাজের জঞ্জাল হয়ে গেলো কাজের জিনিস। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পর্যটক আকর্ষণকারী এই টাওয়ারকে বিশ বছর পরও ভেঙ্গে ফেলা হল না। তাই আমরা ১২০ বছর পরও আক্ষরিক অর্থেই সেই টাওয়ারটির গোঁড়ায় বসে আছি। ঘার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে টাওয়ারটা কে দেখছি। টাওয়ারের সামনের রাস্তাটা খুব ব্যস্ত। সেখানে তিন চাকার বেবিট্যাক্সি ভারা দেয়ার ব্যবস্থাও আছে দেখা গেলো। সেগুলো কে বেবিট্যাক্সি বা টেম্পো না বলে বলা হচ্ছে টুকটুক। উপমহাদেশীয় অনেক ছেলেরা হাতে আইফেলের রেপ্লিকা নিয়ে টুরিস্টদের পিছু নিয়েছে যদি একটা বিক্রি করা যায় এই আশায়। কেউ কিনছে, কেউ বিরক্ত হচ্ছে। পুলিশ দেখলেই ছেলে গুলো ছুটে পালাচ্ছে। অনেকটা ঢাকার রাস্তায় ফুল বিক্রির মত অবস্থা। কারো কারো হয়তো এটাই একমাত্র জীবিকা।

কত দীর্ঘ সময় কত শত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে এই টাওয়ারটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার যে যায়গায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছে সেখানে দাঁড়িয়ে আমিও ছবি তুললাম। কথিত আছে হিটলার ফ্রান্স দখল করলেও আইফেল টাওয়ার দখল করতে পারেননি। হিটলার টাওয়ারের চুড়ায় উঠতে পারেন নি। কারণ কর্তব্যরত কর্মীরা লিফটের রসি কেটে দিয়েছিলো। ইতিহাসের এই পর্যায়ে এসে আমারও ভাবনার রসি কেটে গেলো। পেটে ক্ষুধা টের পেলাম। আমরা ব্যাগ থেকে কিছু শুকনো খাবার বের করে খেয়ে নিলাম। অন্ধকার নামার অপেক্ষায়। রাতের আইফেল দেখাই আমাদের উদ্দেশ্য। এক সময় রাত নামলো। এই ধাতব খটমটে স্তম্ভটি কেমন এক মায়াবী রূপ নিলো। টাওয়ারের ঠিক পাদদেশে রাতের সেইন নদী থেকে ভেসে আসা শীতল হাওয়া লোহা লক্কড়ের ফাঁক দিয়ে শিষ কেটে বের হয়ে যাচ্ছে। ঐ শব্দ আর টাওয়ারের গায়ে জলে উঠা লুমিনিসেন্সের আলোয় বিরাট এই গগন চুম্বী লোহার কাঠামোটি কে দেখে হঠাৎ করে জীবন্ত মনে হয়। ঠিক তখনই আমার প্রথমবারের মত মনে হল কী বিশাল এক অপূর্ব সৃষ্টির সামনে দাঁড়িয়ে আছি।

মুগ্ধতা নিয়ে রাতের বেলা প্যারিসের আলো ঝলমলে পথে হোটেলে ফেরে যাচ্ছি। ভীর মেট্রোতে রড ধরে দাঁড়িয়ে খেয়াল হল রাতে খাওয়া হয়নি। আশঙ্কা করছিলাম সেইন্ট এম্ব্রোসে নামার পর কি কোন রেস্টুরেন্ট খোলা পাবো কিনা। যা ভেবেছিলাম, সব কিছু বন্ধ। রাস্তা দিয়ে হুস হুস করে কিছু গাড়ি ছুটে যাচ্ছে শুধু। দু’একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর খোলা পেলাম সেখান থেকে কলা, রুটি, মাখন, ডাল ভাজা আর ‘প্যারিসের বিখ্যাত ফার্মেন্টেটেড জুস’ কিনে ফিরে গেলাম হোটেলে।
খেতে খেতে আগামীকালের পরিকল্পনা করে ফেললাম। আগামীকাল যাবো লুভ’র মিউজিয়াম; বিকেলে সময়ে কুলালে প্যারিসের সবচেয়ে উঁচু স্থান, সেক্রিকো (Sacre-Coeur) যেখান থেকে এই নগরীর প্যানারমিক ভিউ দেখা যায়।

-ছাইপাঁশ


মন্তব্য

আয়নামতি1 এর ছবি

খুব সুন্দর বর্ণনা! চলুক এপর্বেও ছবি সমস্যার সমাধান হলো না মন খারাপ পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

ছাইপাঁশ এর ছবি

ধন্যবাদ আয়নামতি আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য।

প্রথম পর্বে ছবি প্রথমে সচলে আপলোড করে ইনসার্ট করলাম। হল না। তারপর ফ্লিকার থেকে ইউআরএল বসিয়ে দিয়ে করলাম। তবু হল না। পরের বার এইচটিএমএল কোড বসিয়ে দিব। দেখা যাক হয় কিনা।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ছবি যুক্ত করার বিস্তারিত টিউটোরিয়াল এখানে আছে: http://www.sachalayatan.com/faq#t716n772

ছাইপাঁশ এর ছবি

ধন্যবাদ লিঙ্কটির জন্য। ছবি সংযুক্তির বাটনে ক্লিক করলে ছবির ইউআরএল চাইতো। ফ্লিকার থেকে ইউআরএল নিয়ে সেটা বসিয়ে দিতাম। এবার এইচটিএমএল কোড সরাসরি বসিয়ে দিচ্ছি।

eiffel

ছাইপাঁশ এর ছবি

এই তো ছবি এসেছে! মাহবুব ভাই, আপনাকে আরেকবার ধন্যবাদ।

দেঁতো হাসি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

যে সমস্ত ওয়েবসাইটে এমবেড কোড সরবরাহ করে তাদের এমবেড কোড ব্যবহার করাই যুক্তিযুক্ত। এরা সরাসরি ছবির ইউআরএল প্রকাশ করতে চায় না বিভিন্ন (সিকিউরিটি, পরিবর্তনশীল সার্ভার অবস্থান) কারনে। অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলো থেকে ছবির ইউআরএল ব্যবহার করতে পারেন।

বন্দনা- এর ছবি

এইবছর এ পারী ঘুরে এলাম, আপনার বর্ণনা তাই একদম চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি এমন একটা অনুভুতি হচ্ছে।৩ টা পর্বই পড়লাম, অনেক ভালো লিখেছেন।পরের পর্বগুলোর অপেক্ষাই রইলাম।

ছাইপাঁশ এর ছবি

ধন্যবাদ। আগামি সপ্তাহে পরের পর্ব দিবো।

কৌস্তুভ এর ছবি

পড়ছি। আপনার প্যারিস ভ্রমণ আমার থেকে অনেকটাই আলাদা হয়েছিল। চলুক। আর একটু কষ্ট করে ছবি লাগান।

ছাইপাঁশ এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে। প্রতিটি পর্বেই আপনার মন্তব্য পাচ্ছি। ভালো লাগছে।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

পড়লাম, সুন্দর বর্ণনা করেছেন....................চলুক চলুক

ছাইপাঁশ এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

পিক কো!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ছাইপাঁশ এর ছবি

পিক দিতে পারতাছিলাম না। এখন পারি। হাসি

এই নেন আপনার জন্য আইফেলের পিক (peak)।

DSC07533

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এইতো পারেন, সাব্বাস বাবা আব্বাস। লাগাও তালিয়া। হাততালি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

guest_writer এর ছবি

আইফেলে উঠব না পণ করেই তার পাদদেশে গেছিলাম, হঠাৎ দেখি আমি তার চুড়োয়। আপনার আরো লেখা চায় প্যারিস নিয়ে--- অণু

ছাইপাঁশ এর ছবি

ধন্যবাদ। আরও দুই একটি পর্ব দেয়ার ইচ্ছা আছে। আলসেমির কারণেই লেখা হয় না।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার! মন ফুরফুরে করে দেবার মতো পোষ্ট!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ছাইপাঁশ এর ছবি

বলেন কি! মন ফুরফুরে করে দিতে পারলে তো খুবই ভালোকথা! হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

তবে একটা জিনিস কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না, যিনি একবার প্যারিস গিয়েছেন, আইফেল টাওয়ার দেখেছেন তিনি অভাজন হন কি করে?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ছাইপাঁশ এর ছবি

আমার কাছে মনে হয় প্যারিস যতটা বাস্তব তারচেয়ে বেশি কল্পনায়। বড়বড় কবি সাহিত্যিক প্যারিস নিয়ে নানা স্বপ্নিল বর্ণনায় তাদের ভ্রমণ কাহিনী লিখেছেন; যেমন লিখেছেন, অন্নদাশঙ্কর, সুনীল, নির্মলেন্দু। রবীন্দ্রনাথের উচ্ছ্বাসিত বর্ণনা আছে তার চিঠিতে প্যারিস নিয়ে।

এই ঐশ্বর্যের নগরীর সকল সৌন্দর্য উপলব্ধি করার মত যোগ্য জহুরী আমি নই। আমার এই অতি উচ্ছ্বাসহীন সাদা চোখে দেখা প্যারিসের ভ্রমণের বর্ণনা তাই অভাজনের প্যারিস ভ্রমণ নামেই থাকুক।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

যদ্দুর মনে পড়ে প্যারিসে 'পিগালি' বলে একটা জায়গা আছে! সেখানে গেলে সাদা চোখেও রঙিন আলো ভর করে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ছাইপাঁশ এর ছবি

harding bridge

এটা কিন্তু আইফেল টাওয়ার নয়। এটা হার্ডিং ব্রিজ, ঈশ্বরদী, পাবনা।

(ছবিটি বাংলা হেরিটেজ নামের একটি ব্লগ থেকে নেয়া।)

মৌনকুহর. এর ছবি

চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।