ভুবন ভ্রমিয়া শেষে, আমি এসেছি নতুন দেশে (পর্ব-২)

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি
লিখেছেন রকিবুল ইসলাম কমল [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৮/০৩/২০১৪ - ২:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম বারের মত কোন একটি দেশে এলে দিন যাপনের সাথে সাথে নানান বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়। লম্বা সময় থাকলে সেই বিচিত্র ব্যাপার গুলো আর আলাদা করে তেমন বিশেষ কিছু মনে হয় না। দেশটির প্রতিটি ব্যাপার তখন উদয়স্তের সূর্যের মত স্বাভাবিক মনে হয়। বোস্টনে এসেছি প্রায় দু´মাস হয়ে গেল। ধীরে ধীরে এখানকার অনেক কিছুই চেনাজানা স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে; তবুও প্রতিনিয়ত নতুন কিছু আবিস্কারের নেশায় পর্যটকের মত ঘার বাঁকিয়ে এদিক সেদিক তাকাতে তাকাতে পথ চলি। শহরের বাইরের খোলসটা দেখা হয়ে গেলে, তারপর ঢুকবো এর রন্ধ্রে।

সুইডেনের লিনশপিং এর যে বাসাটায় থাকতাম তার পাশেই একটি সুপার শপ ছিল। সুপার শপটির নাম ছিল কূপ। নরওয়ের অসলোতেও দেখেছি কূপ নামের সুপার শপ। গৃহস্থালি সামগ্রী থেকে শুরু করে কাঁচা বাজার, কসমেটিক্স ইত্যাদি দৈনন্দিনের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র পাওয়া যেত সেখানে। অন্যান্য সুপার মার্কেটের থেকে জিনিস পত্রের দাম একটু বেশি ছিলো বলে আমারা বন্ধুরা সবাই এটার নাম দিয়েছিলাম মৃত্যুকূপ।

আমেরিকার কেমব্রিজে এসেও কূপ নামে একটি দোকান পেয়ে আগ্রহ নিয়ে ভেতরে ঢুকলাম। উদ্দেশ্য সবজি কাটার জন্য একটি ভালো ছুড়ি পাওয়া গেলে বাসার জন্য কিনে নিব। কিন্তু ভেতরে ঢুকে যা দেখলাম তার জন্যে মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। ভেতরে ঢুকে আবিস্কার করলাম এটি মোটেও সবজী কাটার ছুরির দোকান না। এটি একটি বিশাল বইয়ের দোকান। এরকম বইয়ের দোকান আমি এর আগে কখনো দেখিনি। বইয়ের দোকানটির ভেতরেই হালকা নাস্তা বিক্রি করছে এমন একটি ছোট দোকান আছে। বিভিন্ন জায়গায় টেবিল চেয়ার পাতা আছে, বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সংযোগ আছে। ইচ্ছে করলে যে কোন একটি বই তুলে নিয়ে টেবিলে বসে সারাদিন পড়া যায়। নোট নেয়া যায়। কোন কোন সেকশনে হালকা তালে গান ছেড়ে দেয়া আছে। বইয়ের সংগ্রহও বেশ সমৃদ্ধ। সব চেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানে বসে সম্পূর্ণ বইটি পড়ে গেলেও দোকানি আপনাকে কিছু বলা তো দূরে থাক বিরক্তি নিয়ে আর চোখে তাকাবেও না।

এই উদ্যোগটি ১৮৮২ সালে চালু হয়েছিলো হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রের সমবায়ের মাধ্যমে। এটি একটি কোন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান নয়। তবে লভ্যাংশের অনেকটা ছাত্রদের মূল্যছাড় দিতে ভর্তুকী দিয়ে থাকে। ছাত্র ছাত্রীদের জন্য দারুণ একটি ব্যাপার হচ্ছে, কুপের সদস্য ফি এটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে একটুও বাড়েনি। প্রায় দেড় শত বছর আগেও এর সদস্য ফি ছিলো এক ডলার, এখনও এক ডলার!

এই দোকানটি দেখার পর নিজে নিজেই ভাবছিলাম, একটি বইয়ের দোকান দেখেই যদি আমি এরকম গদগদ হয়ে যাই; তাহলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে গিয়েতো আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে যাবে। তাই অবাক হবার থ্রেসহোল্ড বাড়িয়ে আমি অধীর আগ্রহে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ডের জন্য অপেক্ষা করছি।

বইয়ের দোকানের প্রসঙ্গ থেকে এবার এ শহরের মানুষের বই পড়ার প্রসঙ্গে আসি। ইয়োরোপের বিভিন্ন দেশে দেখেছি চলার পথের যাত্রীদের বই পড়ার দৃশ্য। দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তবে বোস্টনের টি (এখানে সাবওয়ে বা পাতাল ট্রেনকে টি বলে) এর যাত্রিদের মত নিবিষ্ট পাঠক আর কোথাও দেখিনি। এরা অফিসটাইমের বাসে-ট্রেনে প্রচণ্ড ভীরের মাঝেও কোন রকমে দাড়িয়ে বই পড়া শুরু করে দেয়।

এ শহরে ছাত্র-শিক্ষক-গবেষকদের সংখ্যা অন্য অনেক শহরের চেয়ে তুলনামুলক ভাবে বেশি তাই হয়তো পাঠক সংখ্যাও বেশি।

নিচে তিনতলা সেই বইয়ের দোকান কুপ আর টি তে তোলা মনোযোগী পাঠকদের ছবি-

coop

টি


টি নিয়ে আরো কিছু কথা:

ট্রেন লাইনের চলাচলের দিক ভিন্নতা অনুযায়ী একেকটি টি কে একেক নামে ডাকা হয়। প্রতিটি নামই রঙ্গের নামে। যেমন: লাল লাইন, সবুজ লাইন এবং কমলা লাইন। সাবওয়ে এবং পাবলিক বাস থাকার কারণে বোস্টনে গাড়ি না কিনেও বসবাস করা খুব বেশি কষ্টকর নয়। আমার যাতায়াতের পথে লাল লাইনে বেশি ওঠা হয়। এই ট্রেনে উঠলে আমার বাংলাদেশের বাসের কথা মনে পড়ে দুটি কারণে। একটি হচ্ছে অফিস টাইমের চরম ভীর থাকে। (এমনও হয় যে ভীরের কারনে ট্রেনে উঠতে পারিনি পরের ট্রেনের জন্য অপেক্ষ্যা করতে হয়েছে)। আরেকটি হচ্ছে ট্রেন চালকের হুবহু বাংলাদেশের বাস কন্ডাকটরের মত করে যে স্টেশনের দিকে যায় সে স্টেশনের নাম বলে।

ঢাকার একটি বাস যাত্রাবাড়ির দিকে রওনা হলে বাসের যাত্রীদের ``এই যাত্রাবাড়ি, যাত্রাবাড়ি… যাত্রাবাড়ি..; ছাইড়া গেলো যাত্রাবাড়ি... যাত্রাবাড়ি..´´ বলে আগেই জানান দেয়া হয়। ঠিক একই ভঙ্গিতে এই ট্রেন যখন এশমন্ট এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় তখন চালক মাইকে কয়েক বার করে বলতেই থাকে, `দিস ট্রেন ইস গোইং টু এশমন্ট, এশমন্ট… এশমন্ট…´, উই আর নাও গয়োইং টু এশমন্ট...; এশমন্ট..

শীতের সময় এখানে বেশ ঠাণ্ডা পরে। তার উপর এবার পুরো আমেরিকাতেই শীতের প্রকোপ খুব বেশি। প্রায়ই সংবাদ পত্রের শিরোনাম হচ্ছে শহর অচল করে দেয়া শীতের খবর। আমি আসার পর এই দেড় মাসের মধ্যেই দু-বার তুষার ঝড় হল এখানে। একবার এখানকার মেয়র আধ-বেলা জরুরী অবস্থাও ঘোষনা করলো। অতিরিক্ত তুষারপাতের কারণে এক দিন ছুটিও পেলাম।

এরকম অবস্থায় ঘরের ভেতরের উষ্ণতা খুবই জরুরী ব্যাপার। আমরা যেখানে থাকি সেটি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় হাউজিং এর একটি এপার্টমেন্টে। পুরো বিল্ডিং এর হিটিং সেন্ট্রালি নিয়ন্ত্রিত। হিটারের সাথে কোন ধরনের রেগুলেটর নেই। তবে প্রতিটি এপার্টমেন্টে একটি করে সেন্সর আছে। সেন্সরে তাপ মাত্রা ঠিক করে দেয়া আছে ৭২ ডিগ্রি ফারেনহাইট। ঘরের তাপ মাত্রা এর চেয়ে কমে গেলে আপনা আপনি হিটার চালু হয়ে যায়। অনেকটা বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের নেগেটিভ ফিডব্যাক ম্যাকানিজমের মত। হিটিং সিস্টেম ঠিক মতই কাজ করছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে ৭২ ডিগ্রিতেও আমার শীত লাগে। ঘরের ভেতর সুয়েটার ফুল প্যান্ট মোজা পরে বসে থাকতে হচ্ছে। তাই এখানকার হিটিং সিস্টেমের উপর বিরক্ত।

কিন্তু কবি বলেছেন, অন্যের উপর বিরক্ত হয়ে কোন লাভ নেই, নিজেই সমাধান খুঁজো। চিন্তাভাবনা করে একটি সমাধান বের করলাম। ফ্রিজ থেকে ঠাণ্ডা একটি ড্রিংকের ক্যান নিয়ে এসে সেন্সরের উপর রেখে দিলাম। ব্যাস সেন্সর সিগন্যাল পাঠালো ঘরের ভেতর তাপমাত্রা কমে ৬৪ এর নিচে নেমে গেছে! তাতে হিটার গুলো আরো বেশি বেশি কাজ করা শুরু করলো এবং ঘর আগের চেয়ে বেশি উষ্ণ হল। আর আমরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগিলাম।

আবিস্কার

আমি আমেরিকায় আসার এক-দুই সপ্তাহ পরের ঘটনা। আমার স্ত্রী রীমার কিছু কাগজপত্র পাঠাতে হবে ফিলাডেলফিয়াতে। সেগুলো সেখান থেকে তারা পাঠাবে বাংলাদেশে। ফিলাডেলফিয়া থেকে বাংলাদেশে পাঠানোর ফি আমাকে কোন একটি কুরিয়ার কম্পানির মাধ্যমে আগেই পরিশোধ করে সেই রসিদটা খামের ভেতরে ভরে দিতে হবে যাতে তারা তাদের কাজ শেষ করে ভেতরে ভরে দেয়া রসিদ দেখিয়ে কাগজপত্র গুলো বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে পারে। আমি বোস্টনের গভার্নমেন্ট সেন্টারের কাছে একটি টিএনটি কুরিয়ার সার্ভিসের দোকানে গেলাম। বিশাল দোকান। এত বড় দোকান মাত্র দুই জন লোক সামলাচ্ছে। একজন একটু কম বয়স্ক। কিভাবে পোস্ট করবো, তাকে জিজ্ঞেস করতেই সে সামনে সাইবারক্যাফের মত সারি করে রাখা কম্পিউটার গুলোর একটিতে আমাকে বসিয়ে দিলো। অনলাইনে ঠিকঠাক মত ফরম পুরোন করে ঠিকানা লিখে টাকা পরিশোধ করে নিজের রসিদ নিজেকেই প্রিন্ট করে নিতে হল।

কৌতুকের মত ব্যাপারটা হল তখন, যখন আমি জানতে চাইলাম ফিলাডেলফিয়া থেকে বাংলাদেশে খামটি পাঠাতে কত ডলার লাগবে?

সে বলল, এখান থেকে ফিলাডেলফিয়াতে পাঠাতে যত লাগবে, ফিলাডেলফিয়া থেকে বাংলাদেশে পাঠাতেও ততই লাগবে।

আমি বললাম, তুমি কি নিশ্চিত হয়ে বলছো?

সে এবার শিক্ষকদের মত হাত নেড়ে নেড়ে আমাকে বুঝিয়ে দেয়ার মত করে বলল, আসলে কুরিয়ারের মাধ্যমে কাগজপত্র পাঠাবার খরচটা নির্ভর করে খামের ওজনের উপর। যেহেতু এখান থেকে তুমি যে কাগজ গুলো পাঠাচ্ছ, ফিলাডেলফিয়া থেকেও সেই কাগজ গুলোই যেহেতু তারা বাংলাদেশে পাঠাবে তাই খামের ওজনের কোন হেরফের হবে না। এজন্য দু´ জায়গাতেই সমান খরচ পরবে।

এবার আমি কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম। তোমরা ইন্টারন্যাশনাল এবং ডমেস্টিক ফ্রেইটের সমান দাম রাখো?

এই বার সে কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে জিজ্ঞেস করলো, কেন? বাংলাদেশ কি আমেরিকার বাইরে?

আমি বললাম, হ্যা। এটা দক্ষিন এশিয়ার একটি দেশ।

এবার ও পুরোপুরি অপ্রস্তুত হয়ে বলল, দুঃখিত আমি আসলে ভেবেছিলাম এটি আমেরিকার কোন একটি স্টেট্সের একটি শহর!


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

লিনশপিং-এ ২ সপ্তাহে ছিলাম, আমার মোহ এখনও কাটে নাই...

সাইদ

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

তাই! লিনশপিং ভ্রমণের জন্যে যদিও খুব বেশি জনপ্রিয় জায়গা না। তবে নির্দ্বিধায় খুব সুন্দর জায়গা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে ২ সপ্তাহ ছাত্র হিসেবে ছিলাম ২০০৫ এর অগাস্টে । পরে চলে আসি । কিন্তু ঐ ২ সপ্তাহ ছিল প্রথম প্রবাস
জীবন, তাই এখনো মনে আছে।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

ও আচ্ছা। আসলে লিনশপিং বলতে গেলে ছাত্রদেরই শহর। হাসি

মেঘলা মানুষ এর ছবি

মজা লাগলো আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে। বিশেষ করে আপনার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের সেন্সরটাকে বোকা বানানোর বুদ্ধিটা চমৎকার।
আপনি আসলেই 'সাইনটিস' দেঁতো হাসি

১। অ্যালোভেরা ড্রিংক খেতে কেমন?
২। বাংলাদেশের নাম না জানা বড় সমস্যা না, বড় বিষয় হল এ কেমন লোক যে নিজের দেশের স্টেটগুলোর নামও জানে না?
ভাগ‌্যিস, কোন কিছু ওয়াওমিং পাঠাতে চাননি। তাহলে, হয়ত মনে করত এটা চীনের কোন জায়গা।

শুভেচ্ছা হাসি

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

হা হা হা! ধন্যবাদ।

আ্যলোভেরা ড্রিংকটা আসলে খেয়ে দেখিনি। কমন ফ্রিজে পেয়ে ড্রিংকের মালিক কে না জিজ্ঞেস করেই নিয়ে এসেছিলাম! ইয়ে, মানে...

আয়নামতি এর ছবি

ভাইয়া তোমাকে আমি এইটুক্কুন পিচ্চি ভেবেছিলাম লইজ্জা লাগে এখন তো দেখছি ভাইটা বিয়েও করে ফেলেছে।
ছোটভাই নেই বলে আফসোসটা সচলে এসে উবে গেলেও ভাইয়ের বিয়াটা খাওয়া হলু না বলে দুক্ষিত লাগছে রে দেঁতো হাসি
যাক ভাইটা আমার আম্রিকা বাসী চাইলেই যেকোন সময়ে হামলা চালানো যাবে, নাকি বলো? ঠিকই এখানের কিছু মানুষ এত্ত বেকুব হয়, না জানে ভূগোল না জানে ইতিহাস। অ্যালোভেরা ড্রিংকটা খেতে খারাপ না। কোক পেপসির চেয়ে ভালু মনে হয আমার। তোমাদের দু'জনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা থাকলো।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

হা হা হা! অনলাইনে বয়স বোঝা দায়! বাসায় আসলে তো খুবই দারুণ হয়। তাহলে জীবনে প্রথম সচলে লেখে (ছোটো ভাই গুলো বাদে) এমন কাউকে চাক্ষুস দেখতে পাবো!

আর আমার চেয়ে ছোট সাইজের ভাই চাইলেও কোন অসুবিধা নেই। আপান, খালাত, মামাত মিলে বিভিন্ন সাইজের ভাই আছে আমার; চাইলে ধার দিতে পারি। তবে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এরা যে কী পরিমান পেরেশানির উপর রাখতে পারে, যার নাই তার পক্ষে বোঝা মুশকিল! দেঁতো হাসি

* বাসায় আসতে বলে বাসার ঠিকানাই জানাইনি। আমার ই-মেইলে যোগাযোগ করলে ঠিকানা পাঠিয়ে দিবো।
rakibulডটlubikar@gmailডটcom হাসি

আয়নামতি এর ছবি

কে যে কাকে পেরেশানিতে রাখে বলা কঠিন রে ভাইয়া। আমিও কম পেইনরানী না দেঁতো হাসি
পিচ্চিপাচ্চারা সেজন্য ভালু পায় আমাকে। ঠিকানা লাগবে নাকি? আমি তো ভেবে রেখেছিলাম ঐ কোণার গাছটার নীচে
দাঁড়িয়ে কমল কমল বলে হাঁক দিলেই পেয়ে যাবো ভাইয়ের দেখা হাসি বেশ হলো কান টানলে মাথা আসে। ইমেইল এড্রেসটা রাখছি। সময়ে টোকা দেয়া যাবে। তোমার সেন্সরকে বোকা বানানোর ব্যাপারটা ভাইয়াকে বলায় এখন ভয়েই আছেন আমি কখন সেটা কাজে লাগাই ভেবে। জ্ঞানের বিকাশ না ঘটালে চলে নাকি বলো দেখি! তাও আবার এমন মজারু জ্ঞান। ভালো থেকো ভাইয়া।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

আপনার মাথায় তো মেলাআআআ বুদ্ধি, সেন্সর রে বোকা বানাইতে পারেন! দেঁতো হাসি
মজা পাইছি পড়ে।

কুপে বসে এখন বই পড়তে ইচ্ছে করছে।
এখানকার লাইব্রেরি ও কুপের মতই, বইয়ের মাঝে কফি- টুকটাক খাবারের ছোট দোকান, মানুষ খুব মনোযোগ দিয়ে বই পড়ছে কফি খেতে খেতে দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়।
ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য আলাদা ঘর, বিভিন্ন ছোট ছোট রুমে কোথাও পিয়ান বাজাচ্ছে মানুষ, কোথাও বা কেউ গল্প পড়ে শুনাচ্ছে! অদ্ভুত ভালো লাগে। আমাদের যে কেন এমন লাইব্রেরি নাই পাড়ায় পাড়ায় ?

বাংলাদেশ কি আমেরিকার বাইরে?

ব্যাটা বলে কি ! খাইছে

তবে ফিনল্যান্ডের মানুষদের ভূগোলে জ্ঞান বেশ ভাল, কখনও আমাকে বলে দিতে হয়নি এটা কোথায় অবস্থিত বা এটা যে ইন্ডিয়ার কোন অংশ নয়।
অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের......

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

এখানেও যে বাংলাদেশকে মানুষ চেনে না তা না। আসলে আমার ঘটনাটি মনে হয় খুবই বিচ্ছিন্ন একটা ঘটনা।

ধন্যবাদ আপনাকে। এর পড়ের পর্বে আরেকটি বড় লাইব্রেরীর কথা লেখা ইচ্ছা আছে। আপনার নরওয়ে ভ্রমন আসছে না কেন?

অতিথি লেখক এর ছবি

শেষের বাস্তব কৌতুক টা সত্যি দারুন ছিলো হো হো হো
আপনারতো বেসম্ভব বুদ্ধি, ছোটবেলায় দেখা ম্যাগগাইবারের মতো তাৎক্ষনিক সমাধান করে ফেলেন সমস্যার চোখ টিপি
লেখা বরাররের মতোই ভালোলেগেছ আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ও শুভেচ্ছা।

মাসুদ সজীব

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

হা হা হা! এগুলোরে ম্যাকগাইভার বুদ্ধি বলে না। এগুলারে বলে পোংটা বুদ্ধি। খাইছে

ধন্যবাদ।

বন্দনা এর ছবি

এত বুদ্ধি নিয়ে ঘুমান কেম্নে আগে বলেন, সেন্সরকে এমন বোকা বানালেন!!আর শেষের অভিজ্ঞতা পড়ে মনে পরে গেল এর উপর একটা ভিডিও দেখেছিলাম ইউটিউবে, হাসতে হাসতে জান বের হয়ে গেল। অভিজ্ঞতার গল্প চলতে থাকুক।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

হা হা হা। এরকম ঘটনা ইউটিউবেও আছে নাকি! আমি তো ভাবছিলাম এটা খুবই বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা।

কৌস্তুভ এর ছবি

ইশ, আমি যে বস্টন থেকে চলে এলাম কদিন আগেই! অবিশ্যি বারবারই যাওয়া হয়।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

পরেরবার এলে জানাবেন। একসাথে আড্ডা দেয়া যাবে।

amn এর ছবি

বাঙালীর ডিফল্ট সেন্সর বলে কথা হো হো হো
এই দেশে দেখি সাবওয়ে ছাড়া, পথে-ঘাটে তেমন একটা মানুষজন দেখা যাই না। আহা! মাঝে মাঝে মনে হয় এইরকম একটা ট্রেন লাইন যদি নারায়ণগঞ্জ থেকে উত্তরা কিংবা গাজীপুর পর্যন্ত থাকতো; ঢাকার জ্যাম অর্ধেক কমে যেতো।

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

না, ঠিক তা না এখানেও রাস্তায় প্রচুর মানুষ দেখা যায়। (যদিও ঢাকার সাথে তুলনীয় না।)

এক লহমা এর ছবি

ভাল লাগল পড়তে।
ইয়োরোপের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ দেশে এসে বসতি করার সময় অনেকেই নিজের ছেড়ে আসা শহরের নামে নূতন বসতির নাম রেখেছে। তাই যে কোন একটা জায়গার নামকে এদেশেরই কোন রাজ্যের কোন একটা শহর হিসেবে ধরে নেওয়া অনেক সময়ই এখানে অস্বাভাবিক ভাবনার মধ্যে পড়ে না। হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

সেরকম একটা কিছু ভেবেই হয়ত বাংলাদেশকে আমেরিকার কোন একটি শহর ভেবেছিল ছেলেটি। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভাল লেগেছে। জানার আছে অনেক কিছু। আমি যখন জার্মানিতে ছিলাম তখনও হিটার তেমন গরম হত না। হিটার গরম করার নতুন আইডিয়ার জন্য ধন্যবাদ।

ফাহিমা দিলশাদ

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনিও কিন্তু লেখা দিতে পারেন সচলে। হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।