অবচেতন মন

শাব্দিক এর ছবি
লিখেছেন শাব্দিক [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১৫/১১/২০১১ - ১২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপনি যখন ব্লগ লেখেন, ঠিক কি ভেবে লেখা শুরু করেন তা আমি জানি না, কিন্তু আমি সামান্য যে কয়বার লিখেছি কখনো নিজের পছন্দ মত লিখতে পারিনি। মাস কয়েক আগের কথা, প্রথমবার এক বন্ধুকে সচলায়তন পড়তে দেখে আগ্রহী হই। কিছুদিন নীড় পাতা ঘাটতে ঘাটতে ব্লগারদের দারুন সব লেখা দেখে মুগ্ধ হতে থাকি এবং আবিষ্কার করি আমার পক্ষে এমন ব্লগ লেখা অসম্ভব। তারপর হঠাৎ এক নির্ঘুম রাতে ল্যাপটপ নিয়ে কিছু হিজিবিজি লিখি, তেমন পছন্দ না হলেও ভাবি পোস্ট করে দেখাই যাক না কি হয়। খারাপ হলে মডারেশন তো আর পার হবে না। পরদিন নীড়পাতায় আমার পোস্ট দেখে তো পুরাই উচ্ছ্বাসিত।

এরপর যখনই ভাবি কিছু একটা নিয়ে লিখব সেটা আর লেখা হয়ে উঠে না। সম্পূর্ণ ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে ভিন্ন কোন লেখা তৈরী হচ্ছে। মনটা আমার বড্ড অবাধ্য, নিজের খেয়াল খুশি মত চলে। কোনদিন ও আমার কথা শুনেনি, শুনবে বলেও মনে হয় না।

এই মনটা কে বলা হয় সাবকনশাস মাইন্ড বা অবচেতন মন। অবচেতন মন হল এমন সব কিছুর ভান্ডার যা ঠিক এই মুহূর্তে আপনার সচেতন মন ধারণ করছে না। অবচেতন মন একই সঙ্গে আপনার সমস্ত স্মৃতি, বিশ্বাস, আকাঙ্ক্ষা, জীবনের সব পূর্ব অভিজ্ঞতা, আপনার দক্ষতা বা সক্ষমতা এবং যে সমস্ত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আপনি প্রতিনিয়ত বিচরণ করছেন এ সব কিছুর গুদামঘর।

Mind

হঠাৎ আপনি ধরুন নতুন কোন পরিস্থিতিতে পড়লেন যা আগে কখনো ঘটেনি। ধরে নিন শাহবাগের মোড়ে আপনার রিকশাটা উল্টে পড়ে গেল। সাথে সাথে ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ জন উৎসাহী দর্শনার্থী ভিড় জমিয়ে ফেলল আপনার চারপাশে এবং এরা কেউ আপনার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আপনাকে উঠাতে চেষ্টা করবে না। নারী হয়ে থাকলে আপনার অভিজ্ঞতাটা এই পরিস্থিতিতে ঠিক এমনই হবে।

তখন আপনি কি করবেন? তা নির্ভর করবে স্বয়ংক্রিয় ভাবে আলোড়িত ওই মুহূর্তে আপনার অবচেতন মনের আবেগ অনুভূতির উপর। হতে পারে আপনি, যে যানবাহনের চালক আপনার রিকশাকে ধাক্কা দিল তাকে ধরে কষে চড় বসিয়ে দিলেন অথবা নিজের অবস্থা সামলাতে না পেরে ভ্যা করে দিলেন কেঁদে। শরীরে আকস্মিক আঘাত প্রাপ্ত হলে যেমন নির্দিষ্ট কোষ প্রতিরক্ষা করে থাকে, তেমনি মানসিক আঘাত প্রতিরক্ষা করে অবচেতন মনের যে অংশ থেকে তাকে বলা হয় “ইগো ডিফেন্স ম্যাকানিজম”।

আপনার আশেপাশে উৎসুক জনতার প্রতিক্রিয়াও কিন্তু নির্ভর করবে যার যার অবচেতন মনের কার্যক্রমের উপর। কেউ একজন হয়ত হাউকাউ শুরু করল যার আবেগ তাড়িত রাগ গিয়ে পড়ল রিকশাওয়ালার উপর। তার রাগটা এতক্ষণ ছিল আনইন্সটল্ড সফটওয়্যার, যেটা ঘটনার প্রয়োজনে ইন্সটল হয়ে রান করা শুরু করল।

অন্যান্য অনেকেই অবচেতন ভাবে অনুভব করল তাদেরও ঠিক একই ভাবে রাগান্বিত ব্যক্তির সাথে সামিল হওয়া উচিত। আপনার অবচেতন মন কিন্তু নিজের বা অন্যের ইচ্ছা মত প্রোগ্রাম করা যেতে পারে। কারণ সচেতন মনের সাথে অবচেতন মনের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল এই ভদ্রলোক মোটেও যুক্তিবাদী নয়। যে কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করার ব্যাপারে সে যুক্তি দিয়ে শেখার চেয়ে পুনরাবৃত্তিটাকে বেশি অনুধাবন করতে পারে এবং ভবিষ্যতে সেই অভিজ্ঞতাটাকে কাজে লাগাতে চায়। এই ব্যাপারটাকে সহজ বাংলায় (!?) আমরা বলি ব্রেইন ওয়াশ। এটা ছিল অন্যের দ্বারা আপনার অবচেতন মনের নিয়ন্ত্রণ।

এরমধ্যে কিছু কিছু পথিক হয়ত গেঞ্জামটা দেখে উলটা দিকে হাঁটা দিল, তার কোন অতীত অভিজ্ঞতা বা ধারণা দ্বারা তাড়িত হয়ে।

অন্যদিকে আপনার ভিতরে থাকা সচেতন মন নামের ভদ্রলোক কিন্তু অনেক বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন। ততক্ষনে সে যুক্তি দিয়ে হিসাবনিকাশ শুরু করে দিয়েছে আপনার কি করণীয়। আপনার গন্তব্যস্থল কি অপরিবর্তনীয় হওয়া উচিত নাকি পরিবর্তন করে বাসায় বা হাসপাতাল হওয়া উচিত, তা নিয়ে মস্তিষ্ক সঞ্চালন শুরু করে দিয়েছে এবং সে অনুযায়ি দেখা যাচ্ছে আপনার কর্ম তৎপরতা।

ধীরে ধীরে আপনার দ্রুত হয়ে যাওয়া হৃদ কম্পন এবং শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়ে আসলো। কারণ অবচেতন মন কিন্তু এতক্ষণ এই বিষয় দুটিও নিয়ন্ত্রণ করছিল। অবচেতন মন দ্বারা আপনার শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রিত, এর আর একটা উদাহরণ দেই। উপরের লাইনটি পড়বার আগে আপনার অবচেতন মন আপনার শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করছিল। এখন আমি চাচ্ছি কয়েক সেকেন্ডের জন্য আপনি আপনার শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করুন। অবশ্যই পারবেন, কারণ এই মুহূর্ত গুলো আপনি আপনার সচেতন মনকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দিচ্ছেন। ঠিক যে মুহূর্তে আপনার মনোযোগ সরে যাচ্ছে আবার অবচেতন মন নিজের মর্জি মত শাসন করেছে শ্বসনতন্ত্র।

গাড়ী ড্রাইভিং যখন প্রথম শিখতে গিয়েছিলেন আপনি তখন ছিলেন ভীষণ ভাবে সচেতন। সমস্ত মনোযোগ সন্নিবেশ করেছিলেন গিয়ার এবং ক্লাচে। ধীরে ধীরে ব্যাপারটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়। তখন অভ্যাসটা চালনা করে আপনার অবচেতন মন। ড্রাইভিং এর দক্ষতাটা আপনার অবচেতন অংশের দক্ষতা ভান্ডারের ফাইল বা ফোল্ডারে সঞ্চিত হয় নতুন কোন সফটওয়্যারের মত। এরপর আপনি করেন কি, নিজেকে যথেষ্ট অভিজ্ঞ চালক মনে করে মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাতে থাকেন এবং শাহবাগের মোড়ে আপনার গাড়ীর সামনের রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে বসেন।

অবচেতন মন নামের এই ভদ্রলোক মাঝে মাঝে সচেতন লোক নামের লোকটির সাথে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করে। বার্তা পাঠানোর জন্য এস এম এস বা ইমেইল পদ্ধতি ব্যবহার নিশ্চই সম্ভব নয়। সে যে পদ্ধতি ব্যবহার করে তাকে আমরা বলে থাকি “স্বপ্ন”। বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা, সমস্যার সমাধান সে যখন বের করে ফেলে, সচেতন মনকে জানান দেবার তাগিদ অনুভব করে অবচেতন মন। তখন স্বপ্নটাকে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে।

যদিও স্বপ্ন কে এই মতবাদ অনুসারে বলা হয়ে থাকে “আনলারনিং প্রসেস”, অর্থাৎ স্বপ্ন মনে না রাখার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। আপনি ঠিক যেমন করে অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো রিসাইকেল বিন এ পাঠিয়ে দেন। মাঝে মাঝে রিসাইকেল বিন খুললে পাওয়া যায় ভুল করে ডিলিট করা প্রয়োজনীয় ফাইল। মনে হয়, হায় আল্লাহ! এইটা কেন ডিলিট করলাম। তেমনি স্বপ্ন থেকেও এমন অনেক প্রয়োজনীয় তথ্য আবিষ্কার সম্ভব।

একটি জরুরি আবিষ্কার যেমন হয়েছিল এক ঐতিহাসিক স্বপ্ন থেকে। ১৮৪৫ খ্রিষ্টাব্দে Elias Howe সেলাই মেশিন আবিষ্কার করেন, তার আগে সুইয়ের মাথাটা যেহেতু মেশিনে আটকানো সূতাটা কিভাবে সুইয়ে পুরবেন তা বুঝতে পারছিলেন না। দিন রাত এই ভাবনা ভেবেই চলেছেন, এমন সময় একদিন স্বপ্ন দেখলেন একদল বন্যপ্রাণী তাকে বেধে রেখেছে, ভাজি করবে বলে। জ্বলন্ত আগুনের চারপাশে এরা নাচানাচি করছে। তাদের সবার হাতে বল্লম, যার নিম্নাংশে ছিদ্র করা। ইউরেকা! ঘুম ভেঙ্গেই তিনি বুঝতে পারলেন সূতা ঢুকানোর ছিদ্রটা কোথায় দিতে হবে।

তেমনি ভাবে ডি এন এ’র গঠন আবিস্কারের সময় জেমস ওয়াটসন স্বপ্নে দেখেন প্যাঁচানো সিড়ি। বেনজিন এর গাঠনিক সংকেত আবিস্কারের সময় আগস্ট কেকুলে দেখেছিলেন কতগুলো সাপ একটি অন্যটির লেজ কামড়ে ধরেছে।

ভাবলে অবাক লাগে ফ্রাঙ্কেস্টাইন, দা টারমিনেটর, টোয়ালাইট এর দারুন সব চরিত্রের সৃষ্টি হয়েছে এদের নির্মাতাদের স্বপ্নে পাওয়া আইডিয়া থেকে। এনারাও তাহলে কম কামেল লোক নন কি বলেন?

শেষ করছি কিছু বাক্য দিয়ে যা আপনার অবচেতন মন নিয়ে খেলবে। আগে না পড়ে থাকলে আপনিও আমার মত মজা পেতে পারেন।
10 facts

(চলতে পারে)

শাব্দিক

তথ্য সুত্রঃ
http://en.wikipedia.org/wiki/Subconscious
http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_dreams
http://www.spiritualresearchfoundation.org/articles/id/spiritualresearch/happiness/benefitsofspiritualpractice/personalitydevelopment_basicnature_e
http://www.2knowmyself.com/Subconscious_mind


মন্তব্য

নিটোল এর ছবি

বাহ! সুন্দর লিখেছেন তো! শেষটায় মজা পেলাম। হাসি

_________________
[খোমাখাতা]

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ নিটোল।

উচ্ছলা এর ছবি

ভাইসাব, চালিয়ে যান। মজা পেয়েছি হাসি

শাব্দিক এর ছবি

ভাবীসাব! আপনি বললে অবশ্যই চলবে। ভুল করে কোন মিশটেক করলাম না তো!!!

রু (অতিথি) এর ছবি

মজা পেলাম। ৩-এ ধরা খেয়েছি, ৮-এ খাইনি কিন্তু।

শাব্দিক এর ছবি

আপনি সচেতন ভাবে লক্ষ্য করছিলেন। হাসি

দেবানন্দ ভূমিপুত্র এর ছবি

সুন্দর গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। নিজের মতো করে। বেশ ভালো লাগলো।

শাব্দিক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

স্বাধীন এর ছবি

ভালো লেগেছে লেখাটা। লিখতে থাকুন হাত/পা খুলে...

একটি পরামর্শঃ ছবিটা যে দিয়েছেন তা নিশ্চয়ই অন্য কোথাও হতে নিয়েছেন। হয়তো নীচে তার সূত্রও দিয়েছেন। কিন্তু ছবিটা ঠিক কোন সূত্র হতে পাওয়া সেটা পরিষ্কার করে উল্লেখ নেই। ভবিষ্যতে এই বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত। সে ক্ষেত্রে ছবিটার একটি ক্যাপশন দিন এবং ক্যাপশনের সাথে সূত্রটা জুড়ে দিন।

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ।
পরামর্শএর জন্যও।

সাফি এর ছবি

আপনের দেখি গুণের শেষ নাই, ফটুকবাজি থেকে মনোবিজ্ঞানে আইসা পড়লেন। লেখা ভাল লাগ্ছে, স্ব্প্নের কাহিনী জানতাম না। এখন থেকে মন দিয়া স্বপ্ন দেখতে হবে। দেঁতো হাসি

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

শাব্দিক-এর সব দিকের গুন চোখ টিপি

শাব্দিক  এর ছবি

লজ্জায় বেগুণি (ইমো হবে)
ঘুমানোর আগে চশমা ঠিকঠাক করে নিয়েন।

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

চলুক

শাব্দিক  এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হুম ভালোই তো চলুক হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

শাব্দিক  এর ছবি

কবি বলছেন চলতে, তো চলবে।

ইস্কান্দর বরকন্দাজ এর ছবি

হাততালি

শাব্দিক  এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

ভালো লাগল পড়ে

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

শাব্দিক  এর ছবি

ধন্যবাদ রিশাদ ময়ূখ।

আশালতা এর ছবি

ও বাবা, এ তো আসলেই সব দিকের গুনের মানুষ। কতরকম পোস্ট দেয় ! বাহ্‌ ! হাততালি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

শাব্দিক এর ছবি

সচলের সব বিশেষজ্ঞ দের ভীড়ে আমি নিতান্তই গোবেচারা অজ্ঞ। তাই কোন দিকে সুবিধা করা যায় তার এক্সপেরিমেন্ট চলছে। হাসি

সালেহ রাজন  এর ছবি

অসাধারণ......
অনেক নামকরা বিজ্ঞাপন নির্মাতা ও অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছেন অবচেতন মন থেকে। আবার অনেক
বিজ্ঞাপন নির্মাতা মানুষের এই অবচেতন মন নিয়ে খেলা করে ।

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ।
বিজ্ঞাপনদাতা দের অবচেতন মন নিয়ে খেলা করাকে বলা হয় সাব্লিমিনাল অ্যাডভারটাইজিং।
http://en.wikipedia.org/wiki/Subliminal_stimuli

তানিম এহসান এর ছবি

আমার খুবই আগ্রহের বিষয়, এই বিষয়ে আরো লেখা পাবার অপেক্ষায় থাকলাম। শাব্দিক কে শুভেচ্ছা হাসি

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম ভাই। চেষ্টা করব আরো লেখা দিতে।

সপ্তর্ষি এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ।

nawshin এর ছবি

লেখাটা দারুন। এটা কি আমাদের কলেজ সাইন্স ক্লাব ম্যাগাজিনের জন্য নিতে পারি?

শাব্দিক এর ছবি

ধন্যবাদ nawshin। লেখকের নাম উল্লেখ করে নিতে পারেন।

sadatkamal এর ছবি

আমি যা করি আর আমি যা বলি- সেগুলোই কি আমি আমার স্বপ্নে দেখি।---একথা কি ঠিক ?
--------- ভালো লাগলো লেখাটা। চমৎকার ।

শাব্দিক এর ছবি

আমাদের অবচেতন মনের ভাবনায় যদি যা করি বা বলি থাকে তা হলে তাই স্বপ্নে দেখি।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।