আশাবাদের আসা যাওয়া আর তার বিশুষ্ক প্রলাপ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৮/০৩/২০১২ - ৬:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আশাবাদ বিষয়টি যখনি মাথায় আসে তখনি মনে ভেসে ওঠে অমর চলচ্চিত্র ‘দি শশাঙ্ক রিডেম্পশন’ এর কথা। এর প্রথম দিকটাতে একবার বলা হয় -”Hope is a dangerous thing. Hope can drive a man insane.” আর শেষদিকে বলা হয়- “hope is a good thing maybe the best of things. And no good thing ever dies. I will be hoping.” খুব বড় আশা করে বেড়ানো লোক আমি নই। মনে পড়ে কলেজে পড়াকালীন সময়ে এক শিক্ষক একদিন আমাকে বলে বসলেন যে আর সময় নেই এখনি ঠিক করতে হবে যে কি হতে চাই। আমি সর্বোচ্চ বলতে পেরেছিলাম লেখাপড়া তো চালিয়ে যেতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়, ডাক্তারি, প্রকৌশল এসব বিষয়ে তখন আমার ভাবনার গভীরতা ছিল যে ডাক্তারি পড়তে গেলে অধ্যয়ন করতে হবে বেশি তাই ওটার চিন্তা বাদ দেওয়াই ভালো। পরে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় তখন আবিষ্কার করি এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে আবার আমার মধ্যেই আসলে এক ধরনের আশাবাদমাখা ছবি কবে থেকেই যেনো অবচেতনে প্রতিষ্ঠা হয়ে ছিলো। আমি বেঁড়ে উঠেছি নিপাট এক মফস্বলে। কলেজের সময়ে আমাকে একজন ইংরেজি প্রাইভেট পড়াতেন যিনি আবার পড়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে রোমন্থন করতেন হুমায়ুন আজাদকে কীভাবে দেখেছেন সেই স্মৃতি । সেলিম আল দ্বীনের আত্মকথায় জেনেছিলাম আহমদ শরীফ সম্পর্কে। হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে পড়েছিলাম তার শিক্ষা-শিক্ষকতা জীবনের নানা খুঁটিনাটি যেমন তিনি দাবা খেলতেন প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে। আর তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আসতেন তার এক ছাত্র অমর্ত্য সেন নামে। আমাদের এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কোনো তরুণ-তরুণীকে কাছথেকে চিনতামও না আমি। আমাদের গ্রামের বাড়িতে অনেক আগে থেকে টেলিভিশন ছিল। বিটিভির ভালো কোন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বেশ সমাগম হতো। নাটক শেষে লোকে বলাবলি করতেন এই বিপাশা-শমী এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।

আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কিলোমিটার মনোরম প্রবেশপথ পেরিয়ে বড়োসড়ো এক গোলচত্বর, তার মাঝে এক ফুলবাগান । দিন যতো গিয়েছে ঐ গোলচত্বর থেকে যেদিকেই তাকিয়েছি হোঁচট খেয়েছি। মনে হয়েছে বারবার সবকিছুতে এমন আন্তরিকতার অভাব কেনো। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বইয়ে পড়েছিলাম “আমাদের এখানে শিক্ষক ছাত্রছাত্রীদের সম্মান করবেন কি, ছাত্রছাত্রীদের নূন্যতম অস্তিত্বকেই যেন আক্রমণ করে বসেন। ‘তুই কে? তুই কেন? কী চাস তুই? চুপ কর। থাম! যা সর!” আমি আগে যে এমন ব্যবহারের সম্মুখীন হইনি সেটা না। কিন্তু ব্যবহারের এই ঢং যে একেবারে প্রাতিষ্ঠানিক রূপে দাড়িয়ে থাকতে পারে এটা চিন্তার বাইরে ছিল। কারো কাছে বলতে গেলে উত্তর পেয়েছি ‘আগে তো আর বাবা কোন ভার্সিটিতে পড়নি এজন্য বুঝতে পারছনা। শিক্ষাদীক্ষা জটিল ব্যাপার।’ কী এক লুকায়িত অস্বভাব যেন এক অজানা ধাঁধায় ঘোরাচ্ছে নাকি গোলক বেষ্টনীতে আবদ্ধ করে ফেলছে এটা ভেবে দ্বিধান্বিত হয়েছি। এই সময়টি খুব খারাপ গিয়েছে কারন দিনে দিনে বেড়ে ওঠা সেই আশাবাদ ক্ষতবিক্ষত হতে হতে মুমূর্ষু হয়ে গিয়েছে। ফিরে গিয়েছি বইয়ের কাছেই। জেনেছি আজকাল এই আমার প্রজন্মের পাশে কেউ নেই। খুব বেশি আগেকার কথা নয় যখন এই রকম বয়সের ছেলেদের বাড়িতে জায়গীর রেখে তার লেখাপড়ার খরচ যোগাতো বাংলার অভাবী গৃহকর্তারা। জেনেছি পৃথিবীতে এই জন্মগ্রহণ এই জীবনযাপনের ব্রত কেমন হওয়া উচিত তার সঙ্গে তুলনীয় নাকি একটি পিঁপড়াকে যদি আচমকা গারো পাহাড়ের মতো বিশালাকার একটা রসে টইটম্বুর মিষ্টির ওপরে ছেড়ে দেওয়া হয় তবে সে যেমন আনন্দে সমস্ত কিছু ভুলে কেবল রস আহরণে মত্ত থাকবে মানুষেরও সেরকম সব বিষাদ, না পাওয়া, ক্ষোভ অনেক দূরে রেখে ক্রমাগত আনন্দে থেকে নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে হাজার হাজার বছর বয়স্ক পৃথিবী বিনির্মাণকারী এক প্রজাতির সদস্য হিসেবে। বারবার নিজেকে প্রশ্ন করেছি এই প্রতিবেশে কিভাবে সম্ভব সেই সুদূরপরাহত সব ভুলে থাকবার মনোনিবেশ যেখানে মানুষ সহজে কিছুই ভুলে থাকতে পারেনা। চিরকর্মচাঞ্চল্যের সেই কাব্য ধারণ করবার চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেকেই নিজে জর্জরিত করে নিজেরই যেতে হয়েছে আশেপাশের অনেকটার উপরিভাগ থেকে তলানীতে। যাদের নিয়ে আমার আশাবাদের এত টানাপোড়েন সত্যিকারেই কী তারা যোগ্য সেসবের! মেধাবীর, ধীশক্তিমানের শক্তিশালী মুখোশধারী এরা কি বুদ্ধির জড়তাই অসার, স্বপ্নের নিদারুন হীনতাই যান্ত্রিক রকম অসহিষ্ণু, অপশক্তির প্রভুত্বে থেকে চিন্তার বৈকল্যে মহাআত্মতৃপ্ত নয়? এসব লোকজন কীভাবে কী মহত্ত্বের টানে এখানে এসেছে ভেবে এদের যে স্বত্তা বেড়ে ওঠে মনে তার কাছে আশাবাদ সহসাই কমে গিয়ে যেন একরকম মুক্তি পেয়ে যায়।

এমনই চলছিলো সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে । ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বাধ্য হয়ে গিয়েছিলাম আরেকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এক মাসের প্রশিক্ষণে। স্বভাবতই ফ্যাকাশে সবকিছু দেখলাম হোস্টেলে ওঠে। ক্লাস করতে যেয়ে দেখলাম ক্লাসরুমের পাশে শিল্প কারখানার বেশ উচ্চ শব্দ। আর চেয়ার টেবিলের অবস্থাও সেরকম গরিবী। তবে পরিপাটী পরিবেশ ছিলো। সরকারী প্রতিষ্ঠানে কিছু কিনতে গেলেই নানা ঝক্কি ঝামেলার শেষ নেই। এসব নিয়ে ওখান থেকে প্রথমেই দুঃখ প্রকাশ করা হলো। আমরা এখানে আসবার কিছুদিন আগেই নাকি এখানে একটা খুন হয়। এখানে এসে কিভাবে পথ চলতে হবে, কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে, প্রতিবেশীর সাথে কীরূপ ব্যবহার করা উচিত এসব নিয়ে নিয়মকানুনের বাহার সামনে তুলে ধরা হলো। তাদের বিশালাকার লাইব্রেরী পড়ে আছে সেখানে যাওয়া উচিত নিয়মিত এটাও বুঝালেন। তাদের অনেক জানা অজানা উৎস রয়েছে আমাদেরকে নিয়ে খোঁজখবর করবার জন্য এসব জানানো হলো। খানিকটা বিরক্তই হয়েছিলাম বলা চলে। তবে কড়াকড়ির মাঝেও ক্লাসের ফাঁকে রুটিনমাফিক কাজকর্মই নয় সঙ্গে বিরতি প্রদানটাও ভালো লাগলো। কারন বিষয়টি সার্বিক প্রক্রিয়াতে একটি Ergonomic ভাব আনবার জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয় আমার কাছে। পরেরদিন এখানে একজন প্রশিক্ষক এসে কেনো যেন জানিয়ে দিলেন তিনি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের সন্তান আর এজন্য তিনি গর্বিত। এই আমলের কোন উপাচার্যের সন্তান হলেও তিনি এই গর্ববোধ করতেন না। এসবে আশান্বিত হইনি তবে বুঝতে পেরেছি এদের আন্তরিকতা বা নৈতিকতার দেখা অন্তত পাওয়া যাবে। কিন্তু আশার সঞ্চার করলো অনেক কিছু। আমি ব্যবস্থাপনার যেসব আধুনিকতম মত, পথ, উপায়ের কথা শুনে থাকি তার অনেক কিছুই যেন এখানে তার সঠিক রুপ ধরে দাড়িয়ে আছে। বইয়ের পাতায় পড়া যে ঐ কোন দূরদেশের কোন কোম্পানি যেসব পুঁজি করে উন্নতির শিখরে উঠে গিয়েছে সেই JIT(Just in Time),TQM, Lean, Kaizen, Organizational Behavior সব যেন একাকার হয়ে আছে এখানে । প্রতিষ্ঠানটির নাম TICI(Training Institute for Chemical Industries, বিসিআইসি) । আমি এসেছিলাম এটার মেকানিক্যাল বিভাগে প্রশিক্ষণ নিতে। একদমই গুটিকয়েক মানুষের অক্লান্ত চেষ্টায় একের পর এক ব্যাচ প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। পরীক্ষার খুবই উন্নত প্রশ্নমান আর ধরন দেখলাম এখানে। আর আধুনিক যন্ত্রপাতি দেখাবার ব্যাপক ও সৃজনশীল আয়োজন দেখে টিআইসিআই'র সম্পর্কে তাদের দাপ্তরিক যে দাবীটি খুব গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয় সেটি হল - The depth and extent of industrial technology that can be practised with the wide variety of sophisticated equipment installed in TICI undoubtedly merits a marked distinction of TICI as the only of its kind in Bangladesh. এটি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর প্রশিক্ষণ দেয় না, এটি শুধু বিসিআইসি’র সকল প্রতিষ্ঠানে তাদের জটিল যান্ত্রিক সমস্যার সমাধান দেয় না, সেবা দেয় দেশে থাকা দেশি-বিদেশী-বহুজাতিক অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠানের । এই যে সেবা দেওয়া হয় সেটা নিরতিশয় স্বল্পমূল্যে। যেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাক্তিরা একই ধরনের সেবা পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে নিয়েছে এবং পরে এখান থেকে গ্রহণ করেছেন তারাই বোধ করি ভালো বুঝেছেন খরচের ফারাকটা কতটা আকাশ-পাতাল। যদি কোন গ্রীষ্মের দিনে একটি পাওয়ার প্লান্টের ছোট্ট একটা বিয়ারিং উচ্চমাত্রায় কম্পন দেখায় আর এজন্যে যদি টারবাইন বন্ধ করে আবার নতুন করে শুরু করতে হয় তবে আমাদের এই সামাজিক-অর্থনীতিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তাতে দেশে কী শুরু হবে! যেমনটি শুনেছি এমন জটিল সব অবস্থায় এগিয়ে যাবার মতো প্রতিষ্ঠান এই টিআইসিআই। প্রশিক্ষণ আর সেবা একসঙ্গেই চলতে থাকে। একটির জন্য আরেকটি মুহূর্তের জন্যে বিঘ্নিত হয় এমন উদাহরণ মেলা ভার। ভাবতে অবাক লাগে মেকানিক্যাল বিভাগের চারজন প্রবীণ প্রশিক্ষক আর দুজন ইন্সট্রাক্টর কীভাবে দেশের তাবৎ মেকানিক্যাল সমস্যা নিজেদের করে নিয়ে দেশের জন্য এত কাজ করে যাচ্ছেন! মানুষগুলির ধার্মিকতা দেখে সাধারণত আর পাঁচজন ধার্মিক দেখে সর্বদা আমার মনে যে অযাচিত ধর্মান্ধতার দেখা পাবার ভয়টি দানা বাঁধে তার ব্যতিক্রম এখানেও হয়নি। কিন্তু একদিন দেখলাম বেশ কিছু যৌক্তিক কারন দেখিয়ে মেয়েদেরকে ওয়েল্ডিং এর মতো বিষয় পেশাদারিত্বের সঙ্গে নেওয়ার জন্যে বেশ বেশিই উৎসাহ দেওয়া হলো।

সবমিলিয়ে বিস্ময় শেষ হতে চায় না। একটু সচেতন হয়ে দেখি এই এলাকাটি আসলে বিশাল শিল্পাঞ্চল। কিন্তু টিআইসিআই’র পরিবেশ সহজেই আলাদা করা যায়। এত পরিচ্ছন্ন এত গোছানো সবকিছু তার মাঝে সবচেয়ে খাপছাড়া লাগে যেন নিজেকেই। নিজের এত অগোছালো স্বভাব আর আলস্যতা ঘেরা এতটা ব্যর্থতা মিলিয়ে কেমন এক ধরনের ভয়ের সঞ্চয় ঘটে। সে ভয় আরো ভাবতে শেখায় এতটা সীমাবদ্ধতার মাঝে যখন কোন প্রতিষ্ঠান এভাবে দাড়িয়ে থাকে তখন সেখানকার মানুষগুলির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আর প্রত্যাশা বেড়ে যায়। ওখান থেকে বলা হয়েছে প্রাসঙ্গিক যেকোনো সমস্যায় বা সম্ভাবনায় তা সে যতো গভীরই হোক না কেনো তাদের সাথে যোগাযোগ করতে যেনো দ্বিধাবোধ না করি। প্রতিষ্ঠানের উন্নতিকল্পে গুরুত্ব সহকারে সবার মূল্যায়ন স্বযত্নে সংগ্রহ করা দেখে ভাল লেগেছে। বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে এই ক্রমান্নতির প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতা দীর্ঘস্থায়ী হলে আর সরকারি বরাদ্দ বাড়িয়ে যন্ত্রাংশ ক্রয়ের ঝুটঝামেলাপূর্ণ সময়ক্ষেপণ কমিয়ে দিলে এই প্রতিষ্ঠানের বিশ্বমানে পৌঁছানোর শুভক্ষণ বেশি দূরে নয়। এখানের সুবিশাল পাঠাগারেই জানলাম টেকনিক্যাল শব্দমালার নাকি আলোকিত করবার ক্ষমতা কম। এজন্যই কী প্রকৃতির দিকে কতৃপক্ষ ঝুঁকেছেন কীনা জানা হয়নি বিষয়টি। অগণিত ফুলের নাম জেনেছি এখানে এসে নয়তো নাম জানা ফুল দেখতে কেমন সেটা জেনেছি। এর আগে লতাপাতা-গাছপালার নাম জানা নিয়ে আমার দৌড় ছিলো বিভূতিভূষণের কিছু উপন্যাস পর্যন্ত। এখানে প্রতিটি গাছের পাশে নাম লেখা থাকায় এসবের প্রতি অন্য এক ধরনের সৌন্দর্যবোধ সৃষ্টি হয়েছে মনের ভিতরে। কয়েক বছর সিলেটে থেকে শুধু সাতকড়ার নাম শুনেছি এখানে এসে গাছটিকেও জেনে ফেললাম। জাফরান, পান্থপাদপ, পলাশ, পবন ঝাঊ, আঙ্গুরের কিংবা করবীর ক্ষেত্রেও অনেকটা একই কথা বলতে হবে। মাধবীলতা দেখার সুযোগ পেয়ে অনুভূতি ছিলো তীব্র। যতবার চোখ পড়েছে ততবার সেই হৃদয়হরণকারী কালবেলা’র শত পদ্মের চেয়ে উজ্জ্বল চোখের মাধবীলতার কথা মনে পড়েছে। বইয়ের শুরুতে যেমনটা বলা আছে - "মাধবীলতা কোন রাজনীতি করেনি কখনো, শুধু তাকে ভালবেসে আলোকস্তম্ভের মত একা মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে। খরতপ্ত মধ্যাহ্নে যে এক গ্লাস শীতল জলের চেয়ে বেশি কিছু হতে চায় না।" টিআইসিআই কর্তাব্যক্তিদের দেশের প্রতি যে দরদ আর মূল্যবোধ আমি দেখেছি তাতে আশা করে যাব যে বিসিআইসি'র সত্যিকারের সবেধন নীলমণি এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সত্যিকারের উদয়ের পথে শত বিপত্তিতে পাশে থেকে আলো ছড়িয়ে যাবে।

সৌরভ কবীর

(লেখাটি আমার নিরতিশয় স্বল্পবুদ্ধির আর স্বল্পচিন্তার একান্ত ব্যক্তিগত মনে হওয়া থেকে লেখা, যা আমি নিজেও যে খুব নিরত্যয় কিছু মনে করি সেটি নয়। এ বিষয়ে আমার চেয়ে আরো শক্ত পর্যবেক্ষণলব্ধ কথামালা এসে আমাকে সংহত করবে এই অভিপ্রায়েই এই পোস্ট দেওয়া। )


মন্তব্য

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

ভাল লেগেছে হাসি

সৌরভ কবীর  এর ছবি

মন্তব্য ও হাসির জন্যে ধন্যবাদ।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

চলুক
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সৌরভ কবীর  এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

আব্দুর রহমান এর ছবি

হাততালি

বেঁচে থাকুক টি আই সি আই, সুস্থতা ও সততার সাথে। বাঁচিয়ে রাখুক আমাদের স্বপ্নগুলোকে।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

সৌরভ কবীর  এর ছবি

এমন প্রতিষ্ঠান আরো গড়ে উঠুক এই কামনা করি।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কুমার এর ছবি

বড় প্যারাগ্রাফগুলোকে ভেঙে ছোট ছোট কয়েকটা করলে পড়তে মনে হয় আরও সুবিধা হত। লেখা চলুক।

সৌরভ কবীর  এর ছবি

পরবর্তীতে লিখলে অবশ্যই বিষয়টি মাথায় রাখবার চেষ্টা করবো।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

মেধাবীর, ধীশক্তিমানের শক্তিশালী মুখোশধারী এরা কি বুদ্ধির জড়তাই অসার, স্বপ্নের নিদারুন হীনতাই যান্ত্রিক রকম অসহিষ্ণু, অপশক্তির প্রভুত্বে থেকে চিন্তার বৈকল্যে মহাআত্মতৃপ্ত নয়?

চলুক

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

সৌরভ কবীর  এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।