অভিযোজন কাহিনী – সুইজারল্যান্ড ৭

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৩/০৭/২০১২ - ১১:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার বন্ধুভাগ্য নিয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত। যাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে দাবী করি, তারা যে শুধু খুব চমৎকার মানুষ তাই নয়, অসম্ভব নিঃস্বার্থ এবং উদারমনা, আমার সুখ দুঃখের সঙ্গী । আমার শত বিপদেও তারা বিন্দুমাত্র দূরে সরে যায় নি, প্রবল সুখেও তাদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি নি।

এই বন্ধুভাগ্যের নেগেটিভ দিক হচ্ছে আলসেমীর চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে যাওয়া, আমি জানতাম যত বড় বিপদেই পড়ি না কেন, কেউ না কেউ উদ্ধার করবে, হয়েছেও ঠিক তাই। উদাহরণ দিই, লেভেল ১ টার্ম ২ এর ইলেক্ট্রিক্যাল সার্কিটস II কোর্সটা চার ক্রেডিটের, দুপুর ২টায় লেকচার ছিল বলে খালি ঘুম পেত। সারা টার্ম ঘুমিয়ে কাটিয়ে পরীক্ষার আগে সিদ্ধান্ত নিলাম, ফেল করার কোন মানে হয় না, পরীক্ষাই দেব না। এই খুশির খবর শেয়ার করতে গেলাম বন্ধু আতিকের রুমে, সে আমাকে এই মারে তো সেই মারে। গালাগালি করা সে জানে না, কাজেই গালি খেলাম না। শুধু বলল, তোকে তিনটা চ্যাপ্টার পড়িয়ে দিচ্ছি, পাস করবি নিশ্চিত, পড়তে বস এখন। কিছুক্ষন গাইগুঁই করে বসলাম বই নিয়ে, আর আতিক শেষ বেলার রিভিশন বাদ দিয়ে পড়াতে লাগলো পাঁচ ঘন্টা ধরে। যথাসময়ে গ্রেডশীট হাতে নিয়ে দেখি, পাস করেছি! এরকম অনেক উদাহরণ আছে, বলতে গেলে তিন চারটা পোস্ট হয়ে যাবে।

বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজী করে দিন কাটানো অভ্যাস, সুইজারল্যান্ডে এসে প্রথম প্রথম তাই খুবই বিমর্ষ হয়ে দিন কাটাতাম। শুধু আড্ডা বাদ তাই নয়, বিপদে পড়লে উদ্ধার করারও কেউ নেই। নতুন জায়গায় খাপ খাইয়ে ওঠা সহজ নয়, বিশেষ করে স্থানীয় কেউ যদি নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে এগিয়ে না আসে। বিধাতা আরও একবার মৃদু হেসে কলকাঠি নাড়লেন, পরিচয় হলো মিলন ভাইয়ের সাথে। নানা উত্থান পতন আর বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে জীবন তার, হাসিখুশী, আমোদপ্রিয় একজন মানুষ। গত পর্বে বাসা খুঁজে পাওয়া সংক্রান্ত যে সমস্যার কথা বলছিলাম, সেটার সমাধানও নিয়ে এলেন তিনি।

লুজান থেকে পনেরো কিলোমিটার দূরে পিদ্যু (Puidoux) নামের ছোট একটি শহরে তার এক বন্ধু থাকেন, যিনি মে মাসের শেষে বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্য একটি শহরে চলে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। আমরা প্রস্তাব করলাম তিনি বাসা ছেড়ে না দিয়ে আমাকে থাকতে দিন, আমি মাসে মাসে ভাড়া দিয়ে দেব। আমার বিপদের কথা শুনে রাজী হলেন ভদ্রলোক। কিন্তু সমস্যা রয়েই গেল। এপ্রিল-মে মাস কোথায় থাকব?

আমার সমস্যা নিয়ে আমার কলিগেরা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছিল, এদের মধ্যে থেকে এক উর্ধতন কর্মকর্তা প্রায় জোর করেই একটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য করিয়ে দিয়েছিলেন। এটির নাম ASLOCA, যারা সমগ্র সুইজারল্যান্ডের ভাড়াটিয়াদের বিপদে আপদে সম্ভাব্য সহায়তা দিয়ে থাকে। অফিসে আমার দুই কলিগ, মনিকা এবং মারিয়েল, যারা কিনা সম্পর্কে মা মেয়ে, খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। মারিয়েল অফিসের পুল কারে চড়িয়ে আমাকে নিয়ে গেল আসলোকা’য়, যদি প্রয়োজন পড়ে দোভাষী হিসেবে কাজ করবে। মিঃ জাকার্ড, যাকে আমার কেস দেয়া হয়েছিল, সব চিঠিপত্র, রেন্টাল কন্ট্রাক্ট, আমার রিপ্লাই ইত্যাদি পড়ে বললেন, তোমার ঘটনাটা খুবই অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। এত তুচ্ছ কারণে আমি এত কমপ্লেইন দেখি নি, এবং শুধু কমপ্লেইনের ভিত্তিতে কাউকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশও দিতে দেখি নি। তুমি শিওর কারো সাথে বিবাদে জড়াও নি? আমি বললাম, আমি ফ্রেঞ্চ জানলে অবশ্যই ঝগড়া করতাম, কিন্তু জানি না যখন, কি আর করা বলো, চাইলেও বিবাদে যাওয়া সম্ভব হয় নি। তিনি বললেন, হুম। তাহলে এক কাজ কর, এখানে একটা সরকারী সংস্থা আছে, সেখানে কন্ট্রাক্ট টার্মিনেশনের বিরুদ্ধে একটা আপীল কর। আমি আপত্তি জানিয়ে বললাম, আপীল করার আমার ইচ্ছে নেই, ওই বাসায় আমি থাকতে চাই না। তিনি বললেন, সেটা আমি জানি। কিন্তু এর উদ্দেশ্য দুটো। এক, কন্ট্রাক্ট টার্মিনেশন মেনে নিলে তুমি তোমার বিরুদ্ধে ওদের করা অভিযোগ স্বীকার করে নিলে, আপীল করে তুমি সেই দায় কাটিয়ে উঠতে পারো। এই কেসের ভিত্তি খুবই দুর্বল, তুমি জিতে যাবে সহজেই। কিন্তু তারপর তুমিই নোটিশ দেবে যে এই বাসায় তুমি থাকতে চাও না। দুই, তুমি আপীল করা মাত্র হিয়ারিং এর ডেট পড়বে না। যদি তুমি হিয়ারিং না চাও, তোমার বন্ধুর বাসায় চলে যেতে চাও, আপীল উইথড্র কোরো, কিন্তু আপীল চলা অবস্থায় তোমাকে কেউ বাসা থেকে বের করে দিতে পারবে না।

মামলা মোকদ্দমার নাম শুনেই আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, দ্বিতীয় যুক্তিতে একটু দুর্বল হয়ে পড়লাম। হ্যাঁ, সত্যিই তো! দুই মাস এই বাসায় থাকতে পারলে মন্দ হয় না, কোন ইন্টারমিডিয়েট সলিউশন খুঁজতে হবে না, সরাসরি পিদ্যু’র বাসায় মুভ করতে পারব। আপীল করে দিলাম। কিছুই না, একটা ফর্ম পূরণ করতে হয় আর যাবতীয় চিঠি চালাচালি, কন্ট্রাক্ট আর টার্মিনেশন নোটিশের কপি দিতে হয়।

এবার পরবর্তী পদক্ষেপ যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিক করা। নতুন বাসার একেবারে লাগোয়া ট্রেন স্টেশন, সেখান থেকে লুজানে আসতে ১১ মিনিট লাগে, তারপর সেই তিন নম্বর বাসে করে অফিস, সবমিলিয়ে বড়জোর পঁয়তাল্লিশ মিনিট। কিন্তু নতুন বাসার ভাড়া কম, যে টাকা বেঁচে যাবে সেটা দিয়ে আমি অনায়াসে একটা পুরনো গাড়ি কিনে ফেলতে পারি, সেটা মেইনটেইন করতে পারি, মাত্র পনের মিনিটে অফিসে পৌঁছে যাব! তো কেন নয়?

সমস্যা গাড়ির মালিকদের সাথে যোগাযোগ করা (ভাষা) এবং অটোমেটিক গাড়ি খুঁজে নেয়া (ম্যানুয়াল চালাতে পারি না)। সমাধান আবারও মিলন ভাই। উনি ইন্টারনেট থেকে নম্বর যোগাড় করে ফোন দিলেন কয়েকজনকে। অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক হলো, প্রথম জনের কাছে গেলাম। সে জানালো, আমরা দেরি করে ফেলেছি, এই মাত্র সে অ্যাডে দেয়া গাড়িটা বিক্রি করে দিয়েছে। লোকটি একটা গ্যারেজের মালিক, তাই মিলন ভাই জিজ্ঞেস করলেন আর গাড়ি আছে কিনা। সে বলল, আছে, তবে সামান্য খুঁত সহ। ইগনিশন কী ঘুরালেই শুধু হয় না, গ্যাস পেডালে চাপ দিতে হয়, নইলে গাড়ি স্টার্ট নেয় না। গাড়ি সম্বন্ধে আমার জানাশোনা ততটুকুই যতটুকু আমি জার্মান জানি। স্পার্কেন ডয়েচ, ডাঙ্কে, বিত্তে এই পর্যন্তই। অল্প বিদ্যায় মনে হলো, এটা কোন সমস্যাই নয়, গ্যাস পেডালে চাপ দিতে তো আর হাতির বল লাগে না! টেস্ট করেও দেখলাম, কাজ করে সহজেই। নিয়ে নিলাম গাড়ি খুশিমনে। গাড়ির নম্বরপ্লেট রেজিস্ট্রেশন, মালিকানা বদল, খুঁটিনাটি কাজ সব করে দেবে গ্যারেজের মালিক, সাথে তিন মাসের গ্যারান্টি। লোকটির নাম বাতিস্তা, জাতীয়তা পর্তুগীজ। মিলন ভাইয়েরও পর্তুগীজ পাসপোর্ট, অল্পক্ষনেই আলাপ জমিয়ে ফেলেছেন, তাতেই এই সুবিধা।

প্রথম বিপত্তি মিলন ভাইয়ের ভাগ্যে জুটল। ইটালি যাবেন একটা কাজে, আমার গাড়িটা নিলেন, তার পিকআপ বেশি বড় বলে। গাড়িটাকে সকালে দুই ঘন্টা অনুরোধ, তোয়াজ, ধমকধামক কিছুতেই যখন স্টার্ট করা গেল না, বাতিস্তার কাছে পাঠিয়ে দেয়া হলো ক্যারিয়ার ট্রাকে চড়িয়ে। দুই দিন পর বাতিস্তা গাড়ি ফেরত পাঠালো। দ্বিতীয় বিপত্তিও জুটল মিলন ভাইয়ের কপালে। তার গেস্ট এসেছে বাংলাদেশ থেকে, গাড়ি নিলেন ঘোরার জন্য। প্রথম দিন কোন অসুবিধা ছাড়াই চললেন মাননীয় যন্ত্রমহাশয়, কিন্তু পরদিন সকালে বিগড়ালেন। এবার ঘন্টাখানেক চেষ্টা করার পর একটা গাড়ি ভাড়া নেয়া হলো, আর ওনাকে পাঠানো হলো বাতিস্তার হাসপাতালে।

এবার গাড়ি ফেরত এলো তিন দিন পরে। বাতিস্তা শপথ করে বলল, গাড়ি আর বিগড়াবে না। ভালো কথা। গাড়ি নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ঘুরলাম। গাড়ি পার্ক করলাম বাসার কাছে মিউনিসিপালিটির পার্কিংয়ে। পরদিন সারা সকাল বৃষ্টি, বিকালে আকাশ পরিস্কার হলে গাড়িতে চেপে বসলাম আবার ঘুরতে বেরোব বলে। বিধি বাম। গাড়ি স্টার্ট নেয়াতে পারলাম না। হতাশ হয়ে বাসায় বসে রইলাম রবিবার রাত পর্যন্ত। রাতে মিলন ভাই দেখতে এলেন অবস্থা। দুইবার ইগনিশন দিতেই গাড়ি স্টার্ট, ম্যাজিক নাকি? আসলে ট্রিকটা হচ্ছে এরকম, ইগনিশন দিতে হবে, গাড়ি দুই তিন সেকেন্ড পর গোঁ গোঁ করে উঠলে খুব হালকা করে গ্যাস পেডাল চাপ দিতে হবে, একবার, দু’বার, তিনবার। কাজ না হলে আবার, এরপর আবার। স্টার্ট হবেই। ঠিক যেন মীনা কার্টুনের ট্রাক্টর! আমার বোকামি নিয়ে খুব একচোট হাসাহাসি হলো, আমি প্রবলবেগে গ্যাস পেডালে চাপ দিয়েই যাচ্ছিলাম, আর তাতে মোটেই কাজ হচ্ছিল না।

ইমরান ভাই, যার বাসায় আমি উঠতে যাচ্ছি, ফোন করে জানালেন, এপ্রিল মাসের মাঝমাঝি তিনি ঢাকায় যাচ্ছেন, ফিরবেন মে মাসের আঠাশ তারিখে। আমি যদি চাই তার বাসায় আগেই উঠে যেতে পারি। স্বস্তিদায়ক সংবাদ, কারন এই বাসা ছেড়ে দিলে আমি কোর্ট থেকে আপীল তুলে নিতে পারি, শুনানি তে যেতে হয় না। ইতিমধ্যে অন্যান্য বাংলাদেশীদের সাথে কথা বলে দেখেছি, এখন পর্যন্ত মামলা করে কেউ জিততে পারে নি। এজেন্সীগুলো মামলা সামলে অভ্যস্ত, টাকা পয়সারও টানাটানি নেই, ফলে সবচেয়ে উঁচুমানের অ্যাডভোকেট ওদের পক্ষে লড়ে। আসলোকায় আমার কন্ট্যাক্ট অভিজ্ঞ মানুষ বটে কিন্তু প্রকৃত উকিল নন। প্রথম হিয়ারিংয়ে ফলাফল আমার পক্ষে না এলে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থবার পর্যন্ত হিয়ারিং চালানো যায়, কিন্তু ততক্ষনে আমার পকেট থেকে চার হাজার ইউরোর বেশি বের হয়ে যাবে। শুধু শুধু ঝামেলা বাড়িয়ে লাভ কি?

প্রথমে গেলাম কোর্টে। আপীল তুলে নিলাম। তারপর যাচ্ছিলাম এজেন্সীতে, আমার লেখা চিঠি হাতে হাতে পৌঁছে দিতে। ডাকে দিয়েছিলাম, খামের বাম পাশে ফ্রম আর ডানপাশে টু লিখে। দুই দিন পর দেখি চিঠি আমার মেইলবক্সে পড়ে আছে। পরে জানলাম দোষ নাকি আমারই। খামের গায়ে ঠিকানাগুলো সাইফনের নিয়ম মেনে চলে, আমার টু এর ঠিকানা সামান্য উপরে উঠে গিয়েছিল ফ্রম এর চেয়ে, পোস্ট অফিস আমাকেই চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছে, আমার পোড়া কপাল!

নতুন বাসায় ওঠার খবরে বেশি এক্সাইটেড হয়ে গিয়ে থাকব, সরু ঢালু একটা রাস্তায় একটা গাড়ি কিছুটা আড়াআড়ি হয়ে পার্ক করা রয়েছে দেখতে পাই নি। উল্টোদিক থেকে বেশ জোরে একটা গাড়ি আসছিল, ওটার দিকে চোখ রেখে সামান্য ডানে সরেছি, ঘট ঘট ঘটাং করে আওয়াজ হলো। আমার প্রথম কলিশন!!! একটু এগিয়ে গিয়ে গাড়ি থামালাম। পেছনে তাকিয়ে দেখলাম লোক জড় হয়ে নেই। হার্টবিট দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে, তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে কাঠ, মাথা পরিস্কার কাজ করছে না। একটু এগিয়ে একটা পার্কিংয়ে গাড়ি থামালাম। দেখলাম আমার গাড়ির ডানপাশ কিছুটা চ্যাপ্টা হয়ে গিয়েছে, বডিতে লাগানো একটা ইনডিকেটরও খুলে গেছে। হেঁটে গিয়ে দেখে এলাম অন্য গাড়িটার অবস্থাও, ট্যাপ খায় নি, তবে চকচকে কালো রঙয়ের ওপর ঘষটে যাবার কয়েকটা দাগ স্পষ্ট। এরকম অবস্থায় পুলিশকে রিপোর্ট করা নিয়ম, কিন্তু বাংলাদেশের অভিজ্ঞতার সুবাদে পুলিশকে বড়ই ভয় পাই। একবার ভাবলাম কেউ যখন দেখে নি পালিয়ে যাই। তারপর মনে হলো, আমার গাড়িতে যদি কেউ লাগিয়ে দিত আর আমি এসে দেখতাম, কেমন লাগত? মাথা ঠান্ডা করলাম, সাহস সঞ্চয় করলাম, তারপর গেলাম একটা পুলিশ স্টেশনে। খুলে বললাম ঘটনা। তারা আমাকে পাঠালো স্পেশালাইজড ডিপার্টমেন্টে, যেখানে শুধুই এই জাতীয় কেস সামলানো হয়। পুলিশ ইন্সপেক্টর বারবার উল্লেখ করছিলো যে আমি নিজে এসে খুব ভালো করেছি, আমাকে যদি খুঁজে বের করতে হতো তাহলে নাকি খোঁজাখুঁজি বাবদ একটা বড় অঙ্কের চার্জ দিতে হতো। ভাগ্যিস!

(চলবে)

ইয়াসির


মন্তব্য

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

বাহ! এইতো সব সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে জট খুলতে শুরু করেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

ইয়াসির এর ছবি

সত্যিই তাই! জট খোলা শুরু করেছিল হাসি

আলী হায়দার এর ছবি

আপনার মীনা কার্টুনের উপমাটি পড়ে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরেছে।

ইয়াসির এর ছবি

নিজের কান্ড মনে পড়লে আমারও হাসি পায়!

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আপনার তো একদিকে ঝামেলা কমে আবার একদিকে বাড়ে !! চিন্তিত

পরের পর্বের অপেক্ষায়।

ইয়াসির এর ছবি

এই করেই চলে যাচ্ছে দিন। আমিও অপেক্ষায়, সুদিনের হাসি

সুমাদ্রী এর ছবি

ভালই মুসিবতে আছেন দেখছি।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ইয়াসির এর ছবি

পরের পর্বে দেখতে পাবেন মুসিবত উপভোগও করেছি চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

মজা পেলাম পড়ে। অপেক্ষা করছি পরের পর্বের জন্য। ইয়াসির ভাই, দেরী করবেন না কিন্তু! - অয়ন

ইয়াসির এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে অয়ন

বন্দনা এর ছবি

আপনি মেলা ভদ্রলোকতো, নিজেই গিয়ে পুলিশের কাছে ধরা দিছেন খাইছে । যাকগা আপনার নতুন অতিথি কবে আসবে, আমাদের কিন্তু জানাতে ভুইলেন না।

ইয়াসির এর ছবি

টেনশন বেশিক্ষন নিতে পারি না, তাই ভারমুক্ত থাকতে ধরা দিয়েই দিলাম ইয়ে, মানে...

নতুন অতিথির খবর পাবেন পরবর্তী পর্বে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

গাড়ির কান্ডকারখানায় মজা পাইলাম। দেঁতো হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ইয়াসির এর ছবি

হুম, অন্যের দুর্দশায় মজা পাওয়া যায় বৈকি শয়তানী হাসি

পথিক পরাণ এর ছবি

চলুক

চিঠি কান্ডে মজা লাগলো-- নিজের চিঠি নিজের কাছে ফেরত আসা... ...

ইয়াসির এর ছবি

ঠেকে শেখা বলে একটা ব্যাপার আছে না.......................

অতিথি লেখক এর ছবি

মেতন পারলে ফ্রঁসে বিয়া? খাইছে

ইয়াসির এর ছবি

আম প্যু, মঁসিয়ে

অতিথি লেখক এর ছবি

গাঁরদে কন্তিন্যু, এক্রি বিয়া হাততালি

রিয়েল ডেমোন।

ইয়াসির এর ছবি

মেরসি হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।