পিপিলিকার দংশন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/০৬/২০১৩ - ১২:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেদিনের বিকেলটা ছিল বেগুনিগন্ধা।
তুমি বলেছিলেঃ পাগল!
বেগুনি রঙের গন্ধ কি করে হয়?
আমি তোমার সোনালী শরীরে মৌমাছির দাগ এঁকে বলেছিলামঃ
এবার গন্ধ নিয়ে দেখতো পিপিলিকা!
তুমি ভয় পেয়েছিলে সবাই জেনে যাবে ভেবে!
প্রতিশোধও নিয়েছিলে।

ধানমণ্ডি লেকের পাড়ে
শাকিলদের সেই বাড়িটা এখনো আছে।
গ্যারাজের সেই রুমটা আর নেই।
ছ’ তলা এপার্টমেন্ট দাঁড়িয়ে আছে
আমাদের সেই স্মৃতি-ঘরে।

সেদিন বাতাস ছিল...
বিকেলের মরা রোদে তুমি যখন চলে গেলে,
আমি হেঁটেছিলাম অনেকটা পথ।
ঢাকার ধূলায় সেদিন...শীতের মায়া ছিল, আর
পুরো আকাশটা ঢুকে গে’ছিলো বুকের ভিতর।

রাতের স্বপ্নে তুমি উড়ে এসেছিলে
সেই আকাশে – আবারো।
তোমার প্রতিশোধের দাগে হাত রেখে বলেছিলেঃ
মনে রাখবে কি আমায়?
তোমার চোখের কোনায় জলের দাগের
মানে বুঝিনি তখনো!
শুধু অজানা ভয়ে মৌমাছি হয়ে দংশন করে গেলাম!

আমি যখন মৌমাছির স্বপ্নে বিভোর
তুমি তখন পাখি হয়ে উড়ে গেলে
কোন অচিন দেশে!

এরপর,
কত খুঁজেছি তোমায়!
“বুকের মধ্যে ঢুকে যাওয়া সেই আকাশের কান্না,
তোমার বেগুনিগন্ধা শরীর আর প্রতিশোধের দংশন”
নিয়ে ...বিশটা বছর আমার মরুভুমি হয়ে গেল!

...

তারপর এই হটাৎ দেখা
ভালবাসার সেই মায়াবী বিকেল থেকে
বিশটা বছর পরে,
আমাদের সেই ভালবাসার ঘর থেকে
হাজারো মাইল দূরে,

তুমি ঠিক তেমনি আছো পিপিলিকা!

অচিন এই দেশ গত দশটা বছরে
নিজের হয়ে গেলো!
আর
যে ছিল নিজের,
সে শুধু স্মৃতিতে
পিপিলিকার দংশন হয়ে রইলো...
বিশটা বছর, আজও, এবং
প্রতিদিন।

আজিজ আহমেদ
Chandler, Arizona
(aziz_cricket@yahoo.com)


মন্তব্য

অন্যকেউ এর ছবি

ভালো লাগে নাই। আরোপিত। প্রচণ্ড আরোপিত।

যাই হোক, লিখতে থাকুন। শুভকামনা রইলো।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।

তিথীডোর এর ছবি

ইয়ে, প্রেমের কবিতা নাকি ভালবাসার গল্প, মানে ট্যাগটা কী হবে আসলে? ইয়ে, মানে... চিন্তিত

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে এটা কবিতায় বলা একটা ভালোবাসার গল্প।

অতিথি লেখক এর ছবি

শব্দটা পিপিলিকা না পিপীলিকা??

এই হল সচল মডারেশন!!

- দেবা ভাই

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সচলের মডারেটররা লেখায় হাত দেয় বলে শুনিনি। বানান ঠিক করার দায়িত্ব লেখকের; মডারেটরদের নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বুঝলাম!! তাই বলে ভুল বানানে ভরা পোস্ট নেওয়াটাও কি আমার গুরু দায়িত্বের মাঝে পরে?? বানানের অজুহাতে আমার পোস্ট ঘ্যাচাং হইয় তার থেকে বড় সাক্ষী আমি ছাড়া আর কে?? প্রকাশিত পোস্ট প্র্থম পাতা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন বানানের স্টাইলে পছন্দ না হওয়ায়!!

আপনি মডারেটর তো খুব সৎ ব্যক্তি! তাই বুকে হাত দিয়ে একটা সত্যি কথা বলুন তো ১৫ ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখবার পর এই পোস্ট ঘ্যাচাং এর সত্যি কাহিনী?? সত্যিই করেই বলেন সচলে প্রকাশিত প্রতিটা লেখা/কবিতা এর চাইতেই বেশি মান-সম্পন্ন??

এই কমেণ্টখানা আবার খেয়ে ফেলবেন না। সৎসাহস নিয়ে উত্তর দিবেন।

- দেবা ভাই

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি কবিতা বোঝার মত এত জ্ঞানী নই। আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কয়েকটা প্রশ্ন করি শুধু।

১। "তাই বলে ভুল বানানে ভরা পোস্ট নেওয়াটাও কি আমার গুরু দায়িত্বের মাঝে পরে" এই বাক্যটি কি হয়েছে? আমি বুঝতে পারছিনা। একটু বুঝিয়ে লিখবেন?
২। "পরে" আর "পড়ে"-র মধ্যে পার্থক্য আছে কি? থাকলে একটু বুঝিয়ে বলবেন?
৩। পরপর দুইবার প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেয়ার রীতিটি কি আপনার?
৪। ১৫ ঘন্টা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তা আপনি বুঝলেন কিভাবে? আপনাকে কি সচলায়তন থেকে মেইলে জানানো হয়েছে যে লেখা ঘ্যাচাং হয়েছে?
৫। আপনার কবিতার সাথে সচলায়তনের লেখার তুলনা চলেনা। কেন চলেনা সেটা মডারেটররা জানেন, তাদের জিজ্ঞেস করুন। আরো ভাল হয় নিজের লেখা অন্য কাউকে পড়তে দিন। তারপর তার মতামত নিন। নিশ্চয়ই কোন সমস্যা আছে।

আমি আপনার কবিতাখানি পড়লাম। আপনার কবিতায় আধুনিক ভাব আছে কিন্তু পুরনো স্টাইলে লেখা। এরকম করে কারা কবিতা লেখে জানেন? যারা কবিতা পড়ে না তারা। আরো বেশী করে কবিতা পড়ুন।

এবার আপনার কবিতার ভূমিকা থেকে কিছু প্রশ্ন করছি। দয়া করে উত্তর দিন।

১। "প্রিন্সিপ্যাল অব একাউন্টিং"-- এটা কী লিখেছেন আপনি?
২। ক্লাশ মানে কী?
৩। আমার ক্ষেত্রে এটা হল কিছু লেখবার চেষ্টা করলাম। এই বাক্যটি কি হয়েছে? আপনিই বলুন?

আপনার কবিতার শানে নুযুল পড়েই এই কবিতা পড়ার আগ্রহ উবে যাবে। আপনার কাজ নাই তাই কবিতা লিখলেন-- সেই কবিতা কে পড়বে?

আর দয়া করে ক্ষোভ/আক্রোশ অন্যের উপর ঝাড়বেন না। অভিযোগ থাকলে সচলায়তনের কন্টাক্ট ঠিকানায় মেইল করে যোগাযোগ করুন। কেউ আপনার প্রতিবাদ না ছাপলে নিজের ব্লগেই ‌ছেপে দিন।

মোহিতলাল মজুমদারের পুঁথির প্রতাপ প্রবন্ধটি পড়েছেন? না পড়া থাকলে পড়ে নিয়েন।

অতিথি লেখক এর ছবি

১) তাই বলে ভুল বানানে ভরা পোস্ট নেওয়াটাও কি আমার গুরু দায়িত্বের মাঝে পরে >> তাই বলে ভুল বানানে ভরা পোস্ট নেওয়াটাও কি আপনার গুরু দায়িত্বের মাঝে পড়ে!! পরে আর পড়ের পার্থক্যটা নাইবা বললাম!!
২) প্রিন্সিপ্যাল অব একাউন্টিং >> প্রিন্সিপলস অব একাউন্টিং
৩) ক্লাশ >> ক্লাসকে কেলাশ বলা গেলে ক্লাশ কেনো লেখা যাবে না??
৪) আমার ক্ষেত্রে এটা হল কিছু লেখবার চেষ্টা করলাম >> সবাই নিশ্চই একই স্টাইলে বাক্য গঠন করবে না। সাহিত্য বদলায়, বদলায় বাক্যের গঠনও। আপনি কি সত্যিই অর্থটা বোঝেন নি??
৫) পরপর দুইবার প্রশ্নবোধক চিহ্ন দেয়ার রীতিটি কি আপনার? >> হ্যাঁ
৬) ১৫ ঘন্টা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে তা আপনি বুঝলেন কিভাবে? আপনাকে কি সচলায়তন থেকে মেইলে জানানো হয়েছে যে লেখা ঘ্যাচাং হয়েছে?>> কোন লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশ না পেলেও ঝুলে থাকলে যে সেটা অতিথি একাউন্ট থেকে দেখা যায় তা নিশ্চই একজন মডারেটরের অজানা থাকবার কথা না??
৭) আপনার কবিতার সাথে সচলায়তনের লেখার তুলনা চলেনা। কেন চলেনা সেটা মডারেটররা জানেন, তাদের জিজ্ঞেস করুন। >> আমি আমার প্রথম কমেন্টটা যে মডারেটরদের উদ্দেশ্যেই করেছিলাম তা তো স্পষ্টই বোঝা যায়। যেহেতু আপনি ঐ কমেন্টের উত্তর দিয়েছেন তাই আপনাকে মডারেটর ভেবেছি।
৮) আমি আপনার কবিতাখানি পড়লাম। আপনার কবিতায় আধুনিক ভাব আছে কিন্তু পুরনো স্টাইলে লেখা। এরকম করে কারা কবিতা লেখে জানেন? যারা কবিতা পড়ে না তারা। আরো বেশী করে কবিতা পড়ুন। >> খুব সহজেই ধরে নিলেন যে আমি নতুনদের কবিতা পড়ি না!! সবাইকে যে নতুনের স্রোতে গা ভাসাতে হবে এমন কোন কথা নেই। আমি এই কবিতাটা অক্ষরবৃত্ত ছন্দে হিসেব কষেই লিখেছি। আপনি চাইলে নিজেই একটূ হিসেব কষতে পারেন।
৯) আর দয়া করে ক্ষোভ/আক্রোশ অন্যের উপর ঝাড়বেন না। অভিযোগ থাকলে সচলায়তনের কন্টাক্ট ঠিকানায় মেইল করে যোগাযোগ করুন। >> উনাদের দারস্থ হয়ে কখনই কোন উত্তর পাই নি। আমার ধারণা, মেইল পড়ে দেখবার মতন সময় উনাদের নেই।
১০) মোহিতলাল মজুমদারের পুঁথির প্রতাপ প্রবন্ধটি পড়েছেন?>> আছে এবং পড়েছি। তাই বলে লেখকের সব কথা মেনে নিতে হবে এমন কোন কথা নেই।

- দেবা ভাই

Aziz Ahmed এর ছবি

বাংলায় স্পেল চেকার থাকলে ভাল হতো।

শারমিন রহমান এর ছবি

কবিতাটা ভাল লেগেছে। প্রেমিকা কে হারানোর বেদনাটা এবং প্রেমিকের হাহাকার টা তুলে আনতে সক্ষম হয়েছেন কবি।

joltorongo এর ছবি

ভালো লাগলো তো পড়তে।

তওফিক কবির এর ছবি

বাহ্! এটাতো প্রবাসী আমাদের গল্প! দৃশ্যগুলি চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন, আর কবির কষ্টের অনুভূতিটাও বুঝতে পেরেছি আমি। কবিতার ফরম্যাট ভাঙ্গার ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হলাম।

দীপাবলি এর ছবি

আমি সচলায়তন এর নিয়মিত পাঠিকা কিন্ত মন্তব্য করিনি কখনো। আপনার অন্য কবিতাগুলিও পড়লাম অন্য ফোরাম- এ। রোমান্টিক কবি হিসাবে আপনার কবিতা জনপ্রিয়তা পাবে আশাকরি। এই কবিতাটিও আমার ভাল লেগেছে। কবিতার মধ্যে গল্পটা হৃদয় ছুয়েছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।