স্তম্ভিত শোকের মিছিল এবং প্রশাসনের উদাসীনতায় আমাদের করণীয়

মাসুদ সজীব এর ছবি
লিখেছেন মাসুদ সজীব (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৪/২০১৪ - ২:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এভাবে প্রতি বছর অসংখ্য কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বের হয়, কিন্তু সেই ভ্রমণ শেষ করে তাদের আর ফেরা হয় না ঘরে. হয় জলে ডুবে, না সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়ে যায় অসংখ্য তাজা প্রাণ মহাকালের গর্ভে. প্রতি বছর ঘটছে এমন মর্মান্তিক ঘটনাগুলো, ফলে আমরা একরকম অভ্যস্থ হয়ে গেছি এই শোকের সাথে. আসলে ঠিক শোকও জাগায় না মনে, কারণ বাংলাদেশ দিনে দিনে অস্বভাবিক মৃত্যুর তীর্থস্থান হয়ে গেছে. প্রতিদিন পত্রিকা খুললে, টেলিভিশনে চোখ রাখলেই খবরগুলো শুনতে হয়, দেখতে হয়. দুর্ঘটনাগুলো ঘটলে কয়েকদিন প্রিন্ট মিড়িয়া আর সোস্যাল মিড়িয়ায় লেখালেখি তারপর আরো একটি বড় দুর্ঘটনা এসে সদ্য অতীত হওয়া ঘটনাকে আড়াল করে দেওয়া, এভাবেই ঠিক এভাবেই চলছে প্রিয় বাঙলাদেশ। এর পাশাপাশি পোশাক কারখানায় আগুন কিংবা ধ্বসে অসংখ্য শ্রমিক মৃত্যু আষাঢ়-শ্রাবণের মতোই ঘুরে ফিরে আসে জাতীয় জীবনে। কিন্তু বর্ষা যেমন চিরস্থাীয় হয়না তেমনি আমাদের শোকগুলোও বেশিদিন টিকে না। সত্যি কথা হলো কাছে-দূরে সব মৃত্যু আমাদের হৃদয়ে সমপরিমান শোক জাগ্রত করে না. কাছের মানুষের মৃত্যুতে মানুষ সবচেয়ে বেশি শোকাগ্রস্থ হয়, রক্তের সম্পর্কবিহীন মানুষের জন্যে আমাদের শোক তাই ক্ষনস্থায়ী হয়. তাই কিছু মহুর্ত, কিছু দিন পর সেই শোক কেটে যায়. শোক কেটে যাওয়া কোন অপরাধ নয়, বরং সেটাই সহজাত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া. কিন্তু তারপরও কিছু শোক থেকে যায়, যা হয়তো কখনো ভুলে যাওয়া হয় না, মীরসরাই এ সেই ৪০ টি শিশুর প্রাণ এখনো অন্তরালে কাঁধায়। রানা প্লাজায় নিহত অসংখ্য স্বপ্নময় মানুষের মৃত্যু, তানজীন ফ্যাশানে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া সেলাই শিল্পী, বান্দরবানে ঘুরতে যাওয়া চট্রগ্রাম কলেজের যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী, কক্সবাজারে উদীয়মান সঙ্গীত শিল্পী আবিদ, আর সর্বশেষ সেন্টমার্টিনে জলে ছয় জন ছাত্রের অকালে ঝরে যাওয়া, বেদনার অতলে নিয়ে নিস্তব্দতায় ডুবিয়ে যায়।

মৃত্যু খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া, তবু মৃত্যুতে মানুষ শোকাগ্রস্থ হয়। কিছু মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না, মানতে চায় না হৃদয়। তরুন-তাজা প্রাণগুলো যখন অকালেই ঝরে যায় তখন নিজেকে অসহায় ছাড়াও বেঁচে থাকার দায়ে অপরাধীও মনে হয়। তবে যার কিংবা যাদের(প্রশাসন) অপরাধ বেশি তারা থাকে নিশ্চুপ আর নির্বিকার। যেন কিছুই করার নেই, ও হ্যাঁ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটা তদন্ত কমিটি হয়। তাদের সেই তদন্ত কখনো শেষ হয় না, হলেও রিপোর্ট কখনো সাধারণ মানুষ জানতে পারে না। ফলে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়না, যেমন চলছে চলুক না করেই দিন কেটে যায়। নিরাপদ সড়ক দাবি বহুদিন আগের, এর পাশাপাশি এখন দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে নিরাপদ কর্মস্থল আর নিরাপদ সমুদ্র সৈকত চাই। কিন্তু আমাদের চাওয়া গুলোও আসলে শক্তিশালী না, আমরা যতটা জাগ্রত হওয়ার প্রয়োজন ততটা জাগ্রত হতে পারিনি। যারা মারা যাচ্ছে তারা আমাদের খুব কাছের কেউ না বলে আমরা গভীরভাবে শোকা অনুভব করি না , কিংবা জীবনের ঘরে শুধু নিজেকে নিয়ে আর নিজের পরিচিত মুখগুলোকে নিয়ে ব্যস্ত আছি বলে তাদের জন্যে আমাদের হৃদয় হু হু করে কেঁধে ওঠেনা। কিন্তু এভাবে কতদিন? আজকে যে ঘটনা পত্রিকায় পড়ছি, টেলিভিশনে দেখছি, কালকে কি তা আমার সাথে, আমার পরিবারের সাথে ঘটবে না তার কোন নিশ্চয়তা আছে? আমি কিংবা আমার ভাই-বোন ও তো কাল এমন শিরোনাম হতে পারে। একটি মৃত্যুতো শুধু একজনের শোক নয়, একটি স্বপ্নের মৃত্যু নয়। মৃত্যু হয় তাকে ঘিরে থাকা সমগ্র পরিবারের স্বপ্নগুলো, আর প্রিয় মানুষটিকে হারানোর ব্যাথায় শোকাগ্রস্থ হয় বন্ধুবান্ধব সহ পরিচিত সীমানার মানুষগুলো। তারপর সেটি হয়ে উঠে সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় শোক।সমাজ আর রাষ্ট্র বেশ বড়, তাই শোক কে বেশি দিন মনে রাখতে পারে না, আমাদের দেশেতো সেটা রাখে না বললেই চলে। তাই ব্যাক্তিগত ভাবে শোকের দ্বীপে যাওয়ার আগে আমাদের সচেতন হওয়ার সময় কি হয়নি? প্রশাসনের উদাসীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সময় কি এখনো আসেনি?

এমন দুর্ঘটনার পর শোকের পাশাপাশি অনেকেই ভ্রমনকারীদের ভুলের হালখাতা খুলে বসেন, বলেন সাগরে নামবে অথচ জোয়ার-ভাটা কখন হয় তা জানবে না, এটা কেমন কথা? কোন এলাকা বিপদজনক, কতটুকু জলে নামা জীবনের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ এগুলো কি জেনে নিবে না? আমি সেইসব প্রশ্নগুলো শুনে বিস্মিত আর ভীষন ক্ষুদ্ধ হই। শহুরে জীবনে বড় হওয়া একজন তরুণ-তরুণী কি করে জানবে কখন জোয়ার-ভাটা হয়? কোন এলাকাটি বেশি বিপদজনক? জোয়ার-ভাটার সময় আর সংকেত প্রদান করা কার দায়িত্ব? সাগরে বিপদজনক এলাকায় কারা লাল পতাকা উড়াবে? ছাত্র-শিক্ষক? ভ্রমনকারী রা? নাকি তারা গুগুল সার্চ করে এগুলো জেনে নিয়ে তারপর জলে নামবে? কেন সর্বক্ষন উদ্ধারকারী একটা দল থাকবে না সৈকত এলাকায়? কেন জোয়ার-ভাটার সময় জলে নামা নিষিদ্ধ কিংবা নিদিষ্ট সীমানা পর্যন্ত নজরদারিতে রাখা হবে না? বিপদজনক এলাকা কেন চিন্থিত করা থাকবে না? এগুলো করা হয় না বলেই সৈকতে দুর্ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে আর এখানেই প্রশাসনের ব্যর্থতা। সচেতনতা আর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই প্রতিবছর এমন দুর্ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। পৃথিবীর আর কোন সমুদ্র সৈকতে প্রতিবছর এত মানুষ মারা যায় এমন কোন উদাহারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ প্রশাসন দায়িত্বশীল আর আন্তরিক থাকলেই এতগুলো দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব। উপদেশ নয়, আমাদের কে দাবি জানিয়ে আমাদের নিরাপত্তার জন্যেই সেগুলো আদায় করে নিতে হবে. দাবিগুলো এমন হতে পারে….

(১) সমুদ্র সৈকতের বিপদজনক জায়গাগুলো চিন্থিত করা এবং সতর্কতা জারি করা।
(২) জোয়ার-ভাটার সময় সমুদ্রে নামা নিষিদ্ধ কিংবা নিরাপদ এলাকা নির্ধারণ করে সীমানা দেওয়া।
(৩) স্বাভাবিক অবস্থায় লাল পতাকা দ্বারা বিপদজনক সীমানা চিন্থিত করে দেওয়া।
(৪) সাঁতার না জানা মানুষদের লাইফ জ্যাকেট ব্যবহারে উৎসাহিত করা।
(৫) পর্যবেক্ষক ও সার্বক্ষনিক উদ্ধারকর্মী বৃদ্ধি করা।
(৬) পাশাপাশি উদ্ধারের জন্যে আধুনিক সরঞ্জামের মুজদ রাখা।
(৭) উদ্ধারের পর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে সৈকত এলাকায় ভ্রামমাণ চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন করা।উপকূলীয় হাসপাতালগুলোতে সার্বক্ষনিক ডাক্তার থাকা।
(৮) উন্নত চিকিৎসার জন্যে দ্রুত বড় শহরে নিয়ে আসার কাজে হেলিকাপ্টারের যোগান রাখা।
(৯) সেন্টমার্টিনগামী টলার/জাহাজ গুলোতে প্রতিটি যাত্রীর জন্যে জীবন রক্ষাকারী লাইফ জ্যাকেট রাখা।

আমি নিজে বেশ কয়েকবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গিয়েছি, সাধারণত কোমর পানির বেশি গভীরতায় নামি না। সমুদ্রের ঢেউগুলো সাধারণত দুই ফুট-আড়াই ফুট উঁচু হয়ে আসে। ফলে কোমর পানিতে নামলেও ঢেউ আপনার মাথার উপর দিয়ে যেতে পারে। সৈকতে গোসল করার কিছু সাধারণ নিয়ম আছে, তার মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঢেউ যখন আপনাকে ঠিক ছুঁতে আসবে তখন ঢেউ এর সাথে লাফ দিয়ে তার সম ‍উচ্চতায় কিংবা তার উপরে উঠতে হবে অথবা ডুব দিতে হবে। এতে ঢেউ আপনাকে ধাক্কায় আপনার অবস্থান থেকে খুব বেশি দূরে নিয়ে যেতে পারবে না। অন্যদিকে যখন ঢেউ নেমে যায় তখন পায়ের নিচের বালু খুব দ্রুত সরে যেতে থাকে, তাই দুই হাত সামনে টেনে নিয়ে গেলেও যেন ঠাঁই পান তাই নিরাপদ সীমানার বাইরে যাবেন না। যদি সময়টি ভাটা হয়, তাহলে ভাটার সেই সমুদ্রমুখী আকর্ষন আপনাকে এত জোরে টেনে নিয়ে যাবে যে অাপনি কিছু বুঝে উঠার আগেই চলে যাবেন সমুদ্র গর্ভে। তাই সমুদ্রে নামার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সেটি যেন অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে বুক পানি না হয়ে যায়। সমুদ্রের সকল ঢেউ সমান উচ্চতা আর ক্ষিপ্রতা নিয়ে ছুটে আসে না। বিপদ আসতে কয়েক সেকেন্ডই যথেষ্ট। এছাড়া আরেকটি দিক খেয়াল রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ, জোয়ারের সময় যে জায়গাতে পানি ওঠে, সেখান থেকে ভাটার সময় পানি নামার ফলে একটু সুরু খালের মত আকৃতির সৃষ্টি হয়। সমুদ্র সৈকতের সাথে ওই অস্থায়ী খালটির মিলন স্থলে বালুর সরে যাওয়ার গতি অস্বাভাবিক দ্রুত এবং একটু পর পরেই বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সেই মিলন স্থানটি সমুদ্রের বেশ দূর পর্যন্ত ‍বিস্তৃত। সৈকতের একেবারে নিকেটে সমুদ্রমুখী টান/আকর্ষন টুকু বুঝা যায় না, কিন্তু সেই পথ ধরে কোমর পানিতে গেলেও আপনাকে টেনে নিয়ে যাবে গভীর সমুদ্রে যাবে, যেখান থেকে আর ফেরৎ আসা সম্ভব হবে না আপনার পক্ষে। আমি নিজেে একবার কক্সবাজারে এমন একটি জায়গায় না জেনে নেমে মৃত্যুর কয়েক সেকেন্ড দূরত্ব থেকে ফিরে এসেছি। যখন আমায় টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো স্রোত, তখন আমার সমস্ত শক্তি শত চেষ্টায়ও আমাকে ফেরাতে পারছিলো না। সেই প্রথম মৃত্যুর এত কাছে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল এই বুঝি সব শেষ! কিন্তু ভাগ্য ভালো বলে হঠাৎ একটি উুঁচু স্থানে গিয়ে ধাক্কা খেলাম, যেখানে সমুদ্রমুখী গভীর আকর্ষন আর নেই, সেই জায়গায় নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে পারলাম। অর্থাৎ সেই সুরু খালের অংশটুকু সেখানে শেষ হয়ে গেছে। সেই বেঁচে যাওয়ার অনুভূতি অনন্য, নতুন জীবন পাওয়ার মতোই বর্ণনাতীত। তাই সমুদ্র সৈকতে নামার আগে একটু সাবধান হতে হবে। নিজের জীবনটাকে নিজেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সমুদ্র সৈকতে নিরাপত্তার জন্যে প্রশাসনকে নিদিষ্ট নীতিমালা ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে আরো জোরালো দাবি এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা সেমিনার, পত্রপত্রিকায় লেখালেখি সহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে সবার নিজের অভিজ্ঞতা আর দাবিগুলো তুলে ধরুন, চারপাশের মানুষকে সচেতন করুন। আর কোন তাজা প্রাণের অকালে ঝরে যাওয়ার জন্যে যেন আমাদের স্তম্ভিত হতে না হয়, পরিবারগুলো কে যেন দীর্ঘশ্বাস আর চাপা কষ্ট নিয়ে আজীবন বেঁচে থাকতে না হয়। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি যেন আমরা সবাই পাই।

মাসুদ সজীব


মন্তব্য

শাফায়েত এর ছবি

আপনার লেখার সাথে পুরো একমত হয়েও বলবো আমাদের মত সাধারণ মানুষদেরও যথেষ্ট দোষ আছে। মাধবকুন্ডে যদি যেয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন একটা অংশ দড়ি দিয়ে আলাদা করে নোটিসবোর্ডে বড় করে সতর্ক করা আছে, ওখানে যে প্রায়ই মানুষ মারা যাও সেটাও লেখা আছে। সেটা দেখেও ওখানে কিছুক্ষণ পরপর কেও না কেও চলে যায়, নিরাপত্তারক্ষী বাঁশি বাজিয়ে বাজিয়ে মানুষ সরায়। এখন ‌কিছুক্ষণের জন্য গার্ড চোখের আড়ালে গেলে যদি ওখানে গিয়ে কেও মারা যায় তাহলে দোষ কি শুধু প্রশাসনের? প্রশাসনের পক্ষে সাফাই গাইছি না, তাদের যথেষ্ট দূর্বলতা আছে, সাথে আমাদেরও আছে যথেষ্ট অসেচতনতা, ফলাফল প্রতি বছর এরকম ঘটনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদেরও অসাবধনতা আর অসেচতনতা আছে এটা ঠিক। তাই নিজের জীবনকে সবার আগে ভালোবাসতে হবে, জীবন একটাই, একটু ভুলের জন্যে সেটি হারিয়ে ফেললে দ্বিতীয় কোন চান্স নেই। তবে সচেতনতা সৃষ্টিতে যেমন প্রশাসনের ভূমিকার পাশাপাশি, দুর্ঘটনারোধে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া অতীব জরুরি।

মাসুদ সজীব

শাফায়েত এর ছবি

ঢাকার ওভারব্রীজগুলোর কথাই চিন্তা করেন। রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে জোরে জোরে বাস-গাড়ি যাচ্ছে, কয়জনের লাইসেন্স-ব্রেক ঠিক আছে কোন গ্যারান্টি নাই, অথচ এর মধ্যেই অন্তত ৮০% মানুষই ওভারব্রীজের নীচ দিয়ে দৌড়ে পার হচ্ছে, দরকার হলে নিচের কাটাঁতার ফুটো করে পার হচ্ছে, আবার ১-২জন মানুষ মারা পরলে ওভারব্রীজের দাবীতে আন্দোলনও হয়! প্রশাসনতো আসলে সাধারণ মানুষেরই অংশ, তাদেরও কোন ইচ্ছা নেই ওভারব্রীজে উঠতে বাধ্য করার। শুধু কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনে না, সচেতনতার চর্চা শুরু করা দরকার ঘর থেকেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক সহমত।

মাসুদ সজীব

মেঘলা মানুষ এর ছবি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের অনুমতি নিয়ে বের হতে হবে- এমন নীতি তৈরি হচ্ছে দেখলাম।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের পক্ষে কেবল জিজ্ঞেস করাই সম্ভব:
"তোমরা বলছ, যেখানে যাচ্ছ সেখানে লাইফগার্ড আছে? তোমরা কোমর পানির নিচে নামবে? সবাই একসাথে থাকবে? যারা সাঁতার জানে না তারা হাঁটু পানির বেশি যাবে? ইত্যাদি, ইত্যাদি" এগুলো বাস্তবে আছে কিনা সেটা তিনি কি করে যাচাই করবেন?

এটা আমার কাছে আই-ওয়াশ মনে হল। ছাত্ররা চাইলেই নিজেরা দল বেঁধে চলে যায়, সেটাকে আটকানোর উপায় নেই। আর, এসব দল বেঁধে ট্যুরের বেশিরভাগই হয় নিজেদের উদ্যোগে, শিক্ষাসফরের নামে না। এরপর কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান অনুমতি দেবেন না -এটা স্বাভাবিক। আর, এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ১০-১২ জনের দল নিয়ে কেউ ঘুরতে গেলে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের অনুমতি নেয়াটার বিধান রাখারও কোন যুক্তি (এবং উপায়) নেই।

আসল পয়েন্ট: মানুষকে সচেতন করা, বিপদের জায়গা চিহ্নিত করা, লাইফগার্ড নিয়োগ, আপনার ১ থেকে ৯পর্যন্ত কাজ -এসব বাদ দিয়ে এই হাস্যকর (এবং অকাযর্কর) পদক্ষেপটা না নিলেই ভালো হত।

শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

এইসব আবাল মার্কা নীতি এরা কোথায় পায় কে জানে? চিন্তিত
এইসব দেখে বিরক্তি আরো বাড়ে রেগে টং

মাসুদ সজীব

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।