নকশা পাল্টে দিতে পারে জীবন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৪/২০১৪ - ২:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্বের লক্ষ লক্ষ নারী প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা ব্যয় করেন শুধুমাত্র খাবার পানি সংগ্রহের জন্য, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা সংগ্রহ করতে হয় দূরের উৎস থেকে। নিউইয়র্কের সামাজিক উদ্যোক্তা সিন্থিয়া কোয়নিগ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অসংখ্য মানুষকে সাহায্য করার নতুন একটি উপায় খুঁজে বের করলেন, যার নাম ওয়াটার হুইল। ১৯ লিটার বা ৫ গ্যালনের জার বহন করার পরিবর্তে ৫০ লিটারের কন্টেইনার একটি চাকার সাথে যুক্ত করে টেনে নিয়ে যাওয়ার পদ্ধতি হলো ওয়াটার হুইল। হিসেব করলে দেখা যায়, এ-পদ্ধতি ব্যবহারে সপ্তাহে নারীদের ৩৫ ঘণ্টা করে বেঁচে যাচ্ছে, উপরি পাওনা হিসেবে আছে প্রতিদিন মাথায় ৪০ পাউন্ড বয়ে নেয়ার শারীরিক ধকল থেকে মুক্তি।

প্রতিদিন সারা পৃথিবীতে মাত্র (!!!) ২০ কোটি কর্মঘণ্টা ব্যয় হয় দূরদূরান্ত থেকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের কাজে, আর স্বাভাবিকভাবেই কাজটির দায়িত্ব পরে বাড়ির মেয়েদের ঘাড়েই। ওয়াটারহুইল ব্যবহারের ফলে কয়েকটি মূল্যবান ঘণ্টা বাঁচানো সম্ভব, যা পরবর্তীতে ব্যয় করা যাবে উৎপাদনমুখী যেকোনো কাজে। এই সময়টুকু বাঁচানোর আরেকটা অর্থ হতে পারে অনগ্রসর জনপদের মেয়েশিশুদের কিছুটা বাড়তি সময় স্কুলে থাকার নিশ্চয়তা। অর্থাৎ, ওয়াটারহুইল ব্যবহারে একই সাথে বেঁচে যাচ্ছে সময়, সৃষ্টি হচ্ছে অর্থ উপার্জনের অন্যান্য উপায়, আর কমছে দারিদ্র্য।

ওয়াটারহুইল পদ্ধতি উদ্ভাবন এবং উন্নয়নের জন্য কোয়নিগ ১ লক্ষ মার্কিন ডলার সমমূল্যের “গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জেস কানাডা” পুরস্কার পেয়ে “WELLO” নামে একটি সামাজিক উদ্যোগ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ভারতে ওয়াটারহুইল প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। কোয়নিগের পরবর্তী পরিকল্পনা ওয়াটারহুইলকে আর কিছু কাজের উপযোগী করে তোলা। যেমন- পরিস্রবণ পদ্ধতি যোগ করা, এমনকি মোবাইল ফোন চার্জ দেয়ার একটি নতুন পদ্ধতি তৈরী করা (চাকার ঘূর্ণন থেকে প্রাপ্ত শক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি চার্জ দেয়া)।

বিশ্বব্যাপী কয়েক কোটি নারীর জীবন বদলে দিতে সক্ষম এই উদ্ভাবনটির ব্যাপারে আর জানতে পারেন এখান থেকেঃ http://bit.ly/1gBdpGt এবং http://bit.ly/1dMt7Mh

সিন্থিয়া কোয়নিগ এবং ওয়েলোর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতেঃ http://wellowater.org/


মন্তব্য

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

ট্যাঙ্ক তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চোখে পড়া দরকার। অবশ্য বাংলাদেশে কোন কোন জায়গায় খাবার পানির প্রকট সমস্যা আছে, বা অনেক অনেক দূর থেকে বয়ে নিয়ে আসতে এই ব্যাপারে আমার নিজের খুব বেশি আইডিয়া নাই। সেই তথ্যগুলা থাকলে হয়ত কোম্পানীগুলো আগ্রহী হবে।

আর লেখকের নাম পাওয়া গেল না!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

নাতনী! চোখ টিপি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

চমৎকার আইডিয়া। গাজী ট্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এই ডিজাইনের ট্যাংক বানাবার কথা ভাবতে পারে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই ব্যাপারে উদ্যোগ নিলে আবার এই জিনিস কিনে পানি এনে ভাতের টাকা না থাকার অবস্থা না হয় মন খারাপ

হৃদিতা

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার।

গোঁসাইবাবু

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি

দীনহিন এর ছবি

সিন্থিয়া কোয়নিগ-কে ধন্যবাদ, অনেক কার্যকরী উদ্ভাবন, সন্দেহ নেই!
সমস্যা হচ্ছে, দিন দিন পানিই দুর্লভ হয়ে উঠছে, পানি পরিবহন প্রযুক্তির বৈপ্লবিক উন্নতি করার পর দেখা যেতে পারে, পানিটাই আর পাওয়া যাচ্ছে না!
যাই হোক, পাওয়া গেল আরও একটি নামধামহীন লেখা। অনেক ক্ষেত্রে ভুলক্রমে হতে পারে, কিন্তু মডু ভাইয়েরা তো নামটি যোগাড় করে দিতে পারেন!
নাকি লেখকের নামবিহীন এই লেখাগুলি দৈনিক পত্রিকায় দেখতে পাওয়া 'নিজস্ব প্রতিবেদক' ট্যাগাঙ্কিত লেখাগুলির মতই?

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

অতিথি লেখক এর ছবি

ভুলক্রমেই, ঘুম চোখে অসাবধানতায় নামধামহীন হয়ে গেছি!

হৃদিতা

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

-আনন্দময়ী মজুমদার

অতিথি লেখক এর ছবি

সুন্দর একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে

হাসি

-আনন্দময়ী মজুমদার

অতিথি লেখক এর ছবি

হৃদিতা, এত ভালো একটি লেখা পেলাম -- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনাকে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।