কোম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৬/২০১৪ - ৬:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঘ মাসের মাঝামাঝি। বেজায় শীত পড়েছে। জয়নাল ঘড়ির দিকে তাকাল। সকাল ১০ টা বাজে, কিন্তু মনে হচ্ছে শেষ রাত এখনও পোহায়নি। ঘড়িটা জয়নালের শ্বশুর বিয়েতে উপহার হিসেবে দিয়েছিল। ক্যাসিও ডিজিটাল ঘড়ি। জয়নালের লেখা পড়া ক্লাস সিক্স পর্যন্ত। ঘড়িতে সময় দেখতে তাঁর অসুবিধা হয় না। শ্বশুরের দেয়া ঘড়ি আর ৬ আনার একটা সোনার আংটি জয়নালের সর্ব সময়ের সঙ্গী। পানিতে ভিজলেও কিছু হয়না বলে ঘড়ি আর আংটি পড়েই খাওয়া গোসল সারে সে। হাসিনার সাথে বিয়ের পর তাঁর ভাগ্য খুলে গেছে। তাত বুনে দিন চালায় জয়নাল। হাসিনার সাথে বিয়ের পর পর তাঁর বিক্রি বেড়ে গেছে। মহাজনরা দামও দিচ্ছে ভাল। ঘড়ি আর আংটি সে ভাগ্যের প্রতীক হিসাবে পড়ে।

আকশে সূর্যের নাম গন্ধ পর্যন্ত নেই। চারদিকে অন্ধকার আর ঘন কুয়াশায় ঢাকা। গাছের পাতায় বৃষ্টির মত টুপুর টাপুর করে ওষ পড়ছে। জয়নাল নিজের মনে বিড়বিড় করে বলল, "বাবাইশ! এইডা কেমুন জার!" এতো হাড় কাঁপানি শীত নয়, একেবারে রক্ত বরফ করা শীত।

দুপুরে বাড়িতে রান্নার কিছু নেই বলে নদীতে জাল ফেলতে বের হয়েছে জয়নাল। বাড়ি থেকে নদী বেশি দূরে নয়। হাটা পথে চার/পাঁচ মিনিট। কিছুক্ষণের ভেতর সে নদীর পারে পৌঁছে গেল। নদী এখানে বাঁক খেয়ে আবাদ পুরের দিকে চলে গেছে। লোকে বলে নদীর এই জায়গাটা খারাপ। নদী যেখানে বাঁক খেয়েছে সেখানে অনেক গভীর। প্রায়ই এখানে অনেক কিছু ভেসে ওঠে। কিছু দিন আগেও নাকি এখানে একটা সিন্দুক ভেসে উঠেছিল। পুরানো আমলের সিন্দুক। ভেতরে সোনা দানা থাকতে পারে এই লোভে পাশের গ্রামের জলিল মন্ডলের ছোট ছেলে ইলিয়াছ নাকি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু সে আর ঊঠে আসতে পারেনি। সিন্দুক সহ ইলিয়াছ ডুবে গিয়েছিল। ডুবে যাবার আগে ইলিয়াছ গলা ছেড়ে "আমারে বাঁচান ...আমারে বাঁচান" বলে চিৎকার করছিল। কিন্তু কারও এগিয়ে যাবার সাহস হয়নি। লোকে বলে ইলিয়াছকে কোমে টেনে নিয়ে গেছে। সেই ইলিয়াছ আর ভেসে উঠেনি। জন কথিত আছে নদীর কোমে বাস করে নদীর দেও। মানুষের মাংস না হলে তাঁর ক্ষিদে মেটে না। তাই সুযোগ পেলেই যখন তখন মানুষ টেনে নেয়।

ভয় থাকলেও নদীর এই বাঁকটায় অনেক মাছ পাওয় যায়। এখানে নদী অনেক গভীর। শীতকালে নদীতে পানি কমে যায় বলে দুনিয়ার সব মাছ এসে জড়ো হয় এই কোমে। নদীর গভীরে যাবার কোন ইচ্ছা জয়নালের নেই। নদীর পার থেকেই সে জাল ছুঁড়বে। কয়েকবার জাল মেরে গোটা দুয়েক পুটি মাছ ছাড়া তেমন কিছু উঠল না। বিরক্ত হয়ে কোমড় পানি পর্যন্ত নেমে গেল জয়নাল। ঠান্ডায় তাঁর শরীর জমে যায় অবস্থা। দাঁতে দাঁত চেপে সে জাল ছুঁড়তে থাকে। কিন্তু দুই একটা পুটি-ট্যাংরা ছড়া আর কিছু ওঠে না। জয়নালের মেজাজ খিচে যায়। জাল নিয়ে ক্রমশ সে নদীর গভীরের দিকে এগুতে থাকে। এমন সময় হ্যাচকা টানে জয়নালকে পানির ভেতর টেনে নিল কিছু একটা। জয়নাল হাত পা ছুড়ে কিছুক্ষণ দাপাদাপি করে পানিতে তলিয়ে গেল।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যায়, জয়নালের আসার নাম নেই। "লোকটার হইলটা কি?" ভাবে হাসিনা। "আইতাছি" বলে সাত সকালে জাল নিয়ে বের হয়েছে। এখনও ফেরার নাম নেই। সে এখনও নতুন বঊ। মাত্র মাস তিনেক আগে হাসিনাকে বিয়ে করে ঘরে তুলেছে জয়নাল। এক বৃদ্ধা মা ছাড়া জয়নালের আর কেও নাই। তিন জনের ছোট খাট সংসার। হাসিনা ভালই চালিয়ে নিচ্ছিল।

হাসিনার শ্বাশুড়ি কুলসুম বেগমের বয়স আশির উপরে। এই বয়সে মাথা ঠিক থাকে না। বুড়ি সারাদিন নিজের মনে আবোল তাবোল বকে। মাঝে মধ্যে খিক খিক করে হেসে কার সাথে যেন পিরিতের আলাপ করে। সম্ভবত বিশ বছর আগে যক্ষায় মরে যাওয়া স্বামীর সাথে। "বুইড়া ধামরা হইছেন আপনের ভিতরে কি লইজ্জা সরম নাই? লুঙ্গির গিঁঠ ঠিক করেন, হি হি হি।"

এত বেলা হয়ে যায় তবু স্বামীর ফেরার নাম নেই। হাসিনার দুশ্চিন্তা হয়। পাশের বাড়ির শহর আলীর ছোট ছেলে মনিরকে অনুনয় করে হাসিনা,
বাজানডা আমার ভাল, ইট্টু গাংগের পারে গিয়া দেইখা আহ তোমার কাক্কা কি করে? তারে পাইলে কইও আমি ডাকছি।

মিনিট দশেক পরে এসে মনির জানাল জয়নালের দেখা সে পায়নি। নদীর পার ধরে হাটখোলা বাজার পর্যন্ত সে দেখে এসেছে। কোথাও নেই। হাসিনার দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়। সন্ধ্যা হয়ে যাবার পরও যখন জয়নালের দেখা মেলে না, তখন হাসিনা নিজেই নদীর পাড়ে চলে যায়। ক্রোশ খানেক হেটেও জয়নালের কোন চিহ্নই সে পেল না। নদীর বাঁকে কোমটার কাছে এসে অদ্ভুত একটা দৃশ্য দেখতে পেল। ভুরভুর করে বড় বড় বুদবুদ উঠছে কোমের মাঝখান থেকে। সেই সাথে চলছে পানির তীব্র ঘূর্ণন। জায়গাটা খারাপ বলে মাথায় ঘোমাটা টেনে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসে হাসিনা। বাড়ি ফিরে শুনতে পেল কুলসুম বেগমের মরা কান্না, ও আমার জয়নালরে...বাজান আমার কই গেলি...

বেলায়েত চেয়ারম্যানের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন বউ-বাচ্চা নিয়ে প্রতি দুই তিন বছর পর পর গ্রামে আসেন ছুটি কাটাতে। আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ভাই আসা উপলক্ষ্যে বেলায়েত চেয়ারম্যানের বাড়িতে হৈ হুল্লোড় পরে যায়। নৌকা নিয়ে চেয়ারম্যানের লোকেরা নদীতে জাল ফেলে। পুকুরের পানি বদ্ধ বলে মাছে আঁশটে গন্ধ বেশি থাকে। সে মাছ আনোয়ার হোসেন খেতে পারেন না। তাই নদীতে জাল ফেলা হয়। নৌকায় বসে থাকেন বেলায়েত চেয়ারম্যান আর তাঁর ভাই। মাছ ধরার তদারকি করেন দুজন।

নদীর পার ঘেঁষে দিগন্ত বিস্তৃত ধান ক্ষেত। বাতাসে ধানের সমুদ্রে ঢেউ উঠে । বিপরীতমুখী বাতাসের তীব্র আঘাতে ক্ষনে ক্ষনে বদলায় ঢেউ এর দিক । মন আনচান করে দেয়া দৃশ্য । মুগ্ধ চোখে সে দৃশ্য দেখেন আনোয়ার হোসেন। জাল ফেলতে ফেলতে নৌকা চলে আসে কোমের দিকে। পারতপক্ষে কোমের ভেতর কেও মাছ ধরতে চায় না। গ্রামের মানুষ সংস্কারের থেকে কুসংস্কারে ঘোর বিশ্বাসী। কোমের মাঝে নৌকা নিয়ে গেলে সে নৌকা টেনে নিয়ে যায় নদীর দেও। ভয়ে তাই জায়গাটা এড়িয়ে চলে সবাই।

কোমের কাছে আসতেই নৌকা ঘোরাতে বললেন বেলায়েত চেয়ারম্যান। ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন জানতে চান ঘটনা কি? বেলায়েত হোসেন নদীর দেওয়ের কথা বলতেই অবিশ্বাসের চোখে তাকান আনোয়ার হোসেন। এই একবিংশ শতাব্দীতে তাঁর বড় ভাইয়ের মতন একজন শিক্ষিত মানুষ কি করে এ ধরনের জিনিশকে প্রশ্রয় দেন? আনোয়ার হোসেন তাঁর বড় ভাইকে জিজ্ঞেশ করলেন,
আপনি এগুলি বিশ্বাস করেন?
উদাস গলায় বেলায়েত চেয়ারম্যান উত্তর দেন,
এই জিনিশ আমিও আগে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু এখন করি। তুমিতো গ্রামে থাক না, তাই জান না। গত পাঁচ বছরে এখানে ৪ জন মানুষ, দুইটা গরু আর কয়েকটা ছাগল টেনে নিয়ে গেছে নদীর দেও। কোম একবার কিছু টেনে নিয়ে গেলে তাঁর হদীস মেলে না।
আনোয়ার হোসেন বললেন,
এর হয়তো অন্য কোন ব্যখ্যা আছে।
বেলায়েত চেয়ারম্যান বললেন,
তা থাকতে পারে। তবে মানুষ টেনে নিয়ে গেছে এটা সত্যি। কোম ভর্তি মাছ। প্রায় লাফিয়ে ঊঠতে দেখা যায়। কিন্তু লোকজন ভয়ে কোমের কাছে যায় না।
আনোয়ার হোসেন ঘোর লাগা চোখে বড় ভাইকে বললেন,
ভাইজান, চলেন আজকে কোমে জাল ফেলি।
কি বল? না, না, এসব নিয়ে ঘাটা ঘাটি করা ঠিক না। বড় ভাই প্রতিবাদ করেন।

আনোয়ার হোসেন তারপরও দমে যাবার পাত্র নন। ছোট ভাইয়ের পীড়াপীড়িতে হার মেনে কোমে জাল ফেলতে বললেন বেলায়েত চেয়ারম্যান। আধা ঘন্টা জাল ফেলেও ট্যাংরা-পুটি ছাড়া কিছু উঠল না। আনোয়ার হোসেন হতাশ হলেন। আশা করছিলেন অন্তত বড়সড় কিছু ধরা পরবে। বেলায়েত হোসেন নৌকা ঘুরিয়ে নেবার আগে কি মনে করে আরেকবার জাল ফেলতে বললেন। জাল ফেলতেই হেচকা টানে নৌকা এক দিকে কাত করে ফেলল কিছু একটা। বসা অবস্থা থেকে দুই ভাই হুমড়ি খেয়ে নৌকার পাটাতনের উপর পড়ে গেলেন। চারদিকে হইচই পড়ে গেল। জাল সহকারে নৌকা ছুটতে লাগল। বোঝ গেল খুবই শক্তিধর কোন মাছ কিম্বা প্রানী জালে আটকেছে। এরপর একদল মানুষ আর অজানা এক প্রানীর সাথে টানাটানির যুদ্ধ চলল একটানা ছয় ঘন্টা। বাতাসের বেগে ছড়িয়ে পড়ল সে খবর। নদীর পার ঘেষে দাঁড়িয়ে গেল হাজার হাজার মানুষ। সন্ধ্যার দিকে ক্লান্ত হয়ে হার মানল পানির নীচে লুকিয়ে থাকা অজানা সেই প্রানী। নৌকা উল্টে যেতে পারে এই ভয়ে জাল টেনে আনা হল নদীর পারে। সবাই হতবাক হয়ে দেখল অর্ধেক মাছ আর অর্ধেক মানুষের শরীর নিয়ে মরে আছে জয়নাল।

সোহেল লেহস


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লিখেছেন ভাই। বর্ণনা সুন্দর দিয়েছেন।
তবে, জয়নালকে অর্ধেক গিলে খাওয়া প্রাণীটা কে 'কোমের দেও' বানালেন কেন বুঝি নাই। এরকম কি সম্ভব?

ভালো থাকবেন সোহেল।
আপনার জন্য শুভকামনা।

--------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ কামারুজ্জামান পলাশ! ধরুন কোমের ভেতর এমন এক প্রাণী বাস করে যে মানুষ টেনে নিয়ে তার মত করে ফেলে। জয়নাল যেহেতু কয়েকদিন হল ডুবেছে সে এখনও পুরোপুরি নদীর দেও হয়ে উঠতে পারেনি। অর্ধেক মাছ আর অর্ধেক মানুষ রয়ে গেছে। গল্পে ভাই সবই সম্ভব। দেঁতো হাসি

সোহেল লেহস

তিথীডোর এর ছবি

হাটা >হাঁটা, পুটি > পুঁটি, ট্যাংরা ছড়া > ছাড়া, গাংগের > গাঙ্গের, ব্যখ্যা > ব্যাখা, খিচে > খিঁচে, হেচকা > হ্যাঁচকা, ক্ষনে ক্ষনে > ক্ষণে ক্ষণে, ছোট খাট> ছোটখাটো, ঘড়ি আর আংটি পড়েই > পরেই, প্রানী > প্রাণী, হল > হলো, কেও > কেউ।
এত মনোযোগ দিয়ে বানান দেখার কারণ কিন্তু লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়েছি বলেই। হাসি

আপনার গল্পের হাত ভাল। চলুক
আরেকটু চেক করে পোস্ট করুন। এবং অবশ্যই নিয়মিত লিখুন।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

তিথীডোর, ভুল বানান গুলো ধরে দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! বানানে আমি অনেক কাঁচা। এছাড়া আমার মনযোগের ব্যাপ্তি অত্যন্ত অল্প। ভুল লেখলেও সেটা চোখে পড়ে না। লেখা শেষে যদিও বেশ কয়েকবার পড়ে দেখি, কিন্তু ভুল থেকেই যায়। উদাহরণ দেই- "কেও" এর সঠিক বানান "কেউ"। এটা খুব ভাল করেই জানি। লেখা শেষে "কেও" এর উপর দিয়ে বেশ কয়েকবার চোখও বুলালাম। তখন মনে হয়েছিল ঠিকইতো লিখেছি। এখন আপনি বলে দেয়ার বল বুঝতে পারলাম ভুল হয়েছে। মানুষের ব্রেইন কত অদ্ভুতই না হতে পারে!

আবারো ধন্যবাদ!

সোহেল লেহস

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ব্যাপারটা ঠিক কি হল? রূপকার্থে কিছু বোঝালেন? জয়নালকে কে টেনে নিল? যেটা আবার পরে জালে আটকা পড়ল সেটা আসলে কি?

অতিথি লেখক এর ছবি

মেঘলা মানুষ, এ প্রশ্ন হতে পারে ভেবেই গল্পটা এভাবে শেষ করেছি। উপরে কামরুজ্জামান পলাশের মন্তব্যে যে জবাব দিয়েছি সেটা দেখতে পারেন। আসলে জয়নালকে কিসে টেনে নিয়েছে আবার সেই জয়নাল কিভাবে অর্ধেক মাছ আর অর্ধেক মানুষ হয়ে ধরা পড়ল সেটা রহস্য হিসাবেই রেখে দিতে চেয়েছিলাম। এখানে কোন রুপক নেই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ! হাসি

সোহেল লেহস

মর্ম এর ছবি

১। 'কোম' মানে কি 'মোহনা'?

২। আপনার লেখা ভাল লাগছে পড়তে। '৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড' এর মত টানটান লেখা এটা না, কিন্তু গল্পের শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে সমস্যা হয়নি কিছু। নিয়মিত লিখুন, সচল থাকুন। চলুক

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অতিথি লেখক এর ছবি

১। 'কোম' মানে 'মোহনা' নয়। কোমের সঠিক মানে আমিও জানি না। নদী যেখানে এসে হঠাৎ মোড় নিয়ে অন্যদিকে চলে যায় সে জায়গাটা কে টাংগাইলে আমার গ্রামের বাড়িতে কোম বলতে শুনেছি। নদীর পানি এসে এখানে আচমকা বাঁধা পায় বলে তীব্র ঘূর্ণনের সৃষ্টি হয়। কোমে পানির গভীরতা নদীর অন্যান্য জায়গা থেকে বেশি থাকে। কোমে অনেক কিছু ডুবে যায় আবার অনেক কিছু ভেসে উঠে এগুলো আমার খালাতো ভাই/মামাদের কাছে শোনা।

২। আমার লেখা ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। সব লেখাতো ভাই আর এক রকম হয় না। '৪ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড' এক ধরণের ছিল, আবার এটা একটু অন্য রকম। সামনে আশা করি এর থেকেও আরও চমকপ্রদ গল্প নিয়ে হাজির হতে পারব। এরকম ভাবে আপনাদের উৎসাহ পেলে ভবিষ্যতে লেখার মান অবশ্যই আরও ভাল হবে। ধন্যবাদ!

সোহেল লেহস

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ বর্ণনা; গল্পটা এভাবে turnout করবে, বুঝতে পারিনি। সত্যি ভাল লেগেছে। কোথাও কোন কমতি দেখতে পাচ্ছিনা। ডায়লগ, character description, ডিটেইলিং ইত্যাদি খুবই যথার্থ হয়েছে। নিশাচর জীব।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ নিশাচর জীব! আপনার প্রশংসা শুনে লজ্জা পাচ্ছি। গল্পে কিছু সমস্যা আছে যেগুলো আমার চোখে পড়ছে। যাহোক আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম। হাসি

সোহেল লেহস

স্পর্শ এর ছবি

চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

লগ অফ হয়ে পড়ছিলাম। শীতের বিকেলটা উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল। শেষের চমকটা ভাল লাগল। টাঙ্গাইলে যমুনার পাড়ে আমি সাড়ে চার বছর চাকরি করেছি। এখন আমি যমুনার ওপার। কোম শব্দটা শুনিনি যদিও যমুনার আগ্রাসন দেখেছি। শেষের চমকটা ভাল লাগলো। ভাববার অবকাশ থাকলেই না ছোটগল্পের মজা।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।