যোদ্ধা রাজার দেশ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৩/০৭/২০১৪ - ৭:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পশ্চিম আফ্রিকার ‘ওয়াগাদুগু’ সাম্রাজ্যের রাজাদের উপাধি ছিল ‘ঘানা’। তাই একে ‘মধ্যযুগীয় ঘানা’ সাম্রাজ্য-ও বলা হত। আর এই সাম্রাজ্যের নামানুসারে ‘ঘানা’ দেশটির নামকরণ করা হয়। ১৯৫৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পূর্বে ঘানার আর এক নাম ছিল ‘গোল্ড কোস্ট’। কারন ১৫ শতকে পর্তুগীজরা যখন উপনিবেশ স্থাপনের উদ্দেশ্যে দেশটিতে আসে তখন আঙ্কোব্রা আর ভোল্টা নদীর মাঝখানে প্রচুর স্বর্ণের সন্ধান পায়, যে কারনে একে ‘গোল্ড কোস্ট’ আখ্যা দেয় তারা। পরবর্তী সময়ে এই জায়গাটা নাকি স্বর্ণ ব্যবসা আর দাস বেচা-কেনার প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠে।

ঘানাতে বেশ জনপ্রিয় একটা মিথ আছে। এক সময় মানুষের সাথে ঈশ্বরের প্রতিদিন সরাসরি যোগাযোগ হত। কিন্তু একদিন কি হল, এক বুড়ি তার নোড়া দিয়ে এত্ত জোরে কাসাভা পিষে ময়দা তৈরি করছিল যেন আর থামতেই চাচ্ছিল না। এতে ঈশ্বর প্রচন্ড রেগে গেলেন। তিনি ঠিক করলেন নাহ মানুষের সাথে আর কথা নয়! রাগের চোটে ঈশ্বর পৃথিবী ছেড়ে আকাশের ওই পাড়ে চলে গেলেন, আর ফিরলেন না! মিথ যেন বাস্তব হয়ে দেখা দিল আমার জীবনে! মেডিফার্মা আফ্রিকা-তে অংশগ্রহন করতে আমাকে ঘানা যেতে হবে কিন্তু ভিসা নিবো কোত্থেকে? কারন ঘানার কোন আ্যমবেসি নাই বাংলাদেশে। মনে হচ্ছিল ঈশ্বর আমাকে ছেড়ে ওই দূরের আকাশে লুকিয়ে আছেন যাতে আমার ভিসা না হয়! এদিকে টিকেট বুকিং দেয়া হয়েছে। ট্র্যাভেল এজেন্ট বলে দিল ২৪ ঘন্টার মধ্যে টিকেট কনফার্ম না করলে বুকিং ক্যান্সেল! আমি কি করি! আমাকে যে নির্দিষ্ট সময়ে যেতেই হবে! ভিসার জন্য যত রকম ট্রাই করা যায় করছি, আয়োজকদের সাথে প্রতিদিন কথা হচ্ছে কিন্তু কোন আশার আলো নাই। এদিকে সময় গড়াচ্ছে তার নিজের গতিতে।রাত দশটার মধ্যে সব কমপ্লিট করতে হবে। রাত ৮টা বাজে, আমার হাতে আর মাত্র দুই ঘন্টা আছে। এরপর আটোম্যাটিকেলি বুকিং ক্যান্সেল হয়ে যাবে। আয়োজকদের সাথে মেইল চালাচালি চলছে একটু পর পর। রাত ৯টা ১৪ মিনিট, মোবাইলে মেইল এর সাবজেক্ট দেখে বুঝলাম ভিসা বিষয়ক কোন ব্যাপার। খুশি হওয়ার কথা তাই না? কিন্তু হতে পারলাম না কারন আমার ইন্টারনেট প্রি-পেইড কার্ডের মেয়াদ শেষ, কিভাবে চেক করব মেইল এর অ্যাটাচমেন্ট! এত্ত বড় ফাইল সাইজ যে মোবাইলে ওপেন হচ্ছিল না! ছুটলাম কার্ড কিনতে। অতঃপর ‘ঐতিহাসিক ভিসা’-র ব্যপারে কনফার্ম হলাম। রাত ১০টা বাজার ১০ মিনিট আগে ট্র্যাভেল এজেন্টকে টিকেট কিনতে বলে দিলাম। ব্যাগ গুছাতে বসলাম রাত ১১টায়, কারন পরের দিন আমার ফ্লাইট!

এবার শাহজালাল এয়ারপোর্টের অভিজ্ঞতা একটু শেয়ার না করে পারছি না। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ক্রস করার জন্য সব কাগজপত্র যখন ইমিগ্রেশন অফিসারের হাতে দিলাম, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে মনে হল আমি এক বিশাল অপরাধ করতে যাচ্ছি! এয়ারপোর্ট ভর্তি লোকদের সামনে জেরা করতে করতে নিয়ে গেল আরেকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কাছে। অনেক প্রশ্ন-উত্তর পর্ব চলার পর তাদের কে কিঞ্চিত সন্তুষ্ট মনে হল, ইলেক্ট্রনিক ভিসার কপি রেখে দিল একটা। অবশেষে এভারেস্ট জয় করলাম, সরি বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ক্রস করলাম!
‘ঘানা’ শব্দের অর্থ ‘যোদ্ধা রাজা’। নামকরণ শুনে মনে হয় ওয়াগাদুগু সাম্রাজ্যের মধ্যযুগীয় রাজারা যুদ্ধ করতে অনেক ভালবাসতো! গিনি উপসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগর বরাবর অবস্থিত পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানা আফ্রিকার প্রথম ইউরোপীয় উপনিবেশমুক্ত দেশ। এই সাফল্য পরবর্তীতে অন্যান্য আফ্রিকান দেশগুলোকে স্বাধীনতা আন্দোলনে অনুপ্রাণিত করে, এমনকি এর প্রভাব আমরা দেখতে পাই আমেরিকার Pan-Africanism এবং Black Pride আন্দোলনেও।

ঘানার রাজধানী আক্রা পৌঁছতে পৌঁছতে দুপুর হয়ে গেল। কথা ছিল হোটেল থেকে গাড়ি আসবে নিতে। ওমা, এয়ারপোর্টের বাইরে এসে দেখি কেউ নেই নেয়ার জন্য! স্থানীয় সিম কিনে ফোন দিলাম হোটেলে, ওরা জানাল গাড়ি আসতে দেরী হবে যেহেতু ওইদিন ছিল শনিবার মানে সাপ্তাহিক ছুটির প্রথম দিন। বেশ কিছুক্ষণ পর গাড়ি এল। আক্রার রাস্তার দুই পাশ দেখে মনে হচ্ছিল আমাদের সাভারের রাস্তা, কেমন জানি ঘিঞ্জি টাইপ! হোটেলে পৌঁছলাম প্রায় বিকেল নাগাদ। হোটেলের লোকেশনটা বেশ ভাল। ব্রিটিশ আ্যমবেসির খুবই কাছে, যার ফলে বেশ সিকিউরড। দুপুরের লাঞ্চ সারলাম বিকেলে। হাহ, আবার সেই খাবারের অভিজ্ঞতা! যখনই দেশের বাইরে কোথাও খেতে বসি, নিজেকে আমার শ্রেষ্ঠ বাঙালি মনে হয়! কারণ সবচেয়ে মিস করি নিজ দেশের খাবার। এবারও তাই হল। রাইস অর্ডার দিলাম, সাথে চিকেন আর সালাদ। মেন্যু দেখে এই আইটেমটাই চেনা চেনা লাগছিল! এক লোকমা মুখে দিতেই আমার বারোটা বেজে গেল! কু-খাদ্য কাকে বলে! এতো ক্ষিধা সত্ত্বেও অল্প একটু মুখে দিয়ে আর খেতে পারলাম না। আহারে আমার বাংলাদেশী খাবার, আমি তোমায় ভালবাসি!!! পরেরদিন খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে গেল, ভাবলাম যাই একটু মর্নিং ওয়াক করে আসি । একা একা হাঁটতে বের হলাম। দেশে কিন্তু ভুলেও মর্নিং ওয়াক-এ যাই না। বিদেশ বলে কথা, তাই একটু হাঁটা-হাঁটির চেষ্টা! এরপরের কয়েকদিন কেটে গেল যেই উদ্দেশ্যে যাওয়া সেটা ফুলফিল করতে করতে।

এর মাঝে একদিন হঠাত দুপুরের পর শহরটা দেখার ইচ্ছা হল। যেই ভাবা সেই কাজ! হেঁটে হেঁটে কতদূর চলে গেছি মনে নেই। মাঝে একটা চার্চে ঢুকলাম (জীবনে প্রথম স্বশরীরে চার্চ দেখা আমার), ওদের প্রাথর্না সঙ্গীত শুনলাম। এত্ত সমদর করলো যে কিছুক্ষণ থাকতেই হল। কিন্তু যখন বের হলাম তখন তো আক্কেল গুড়ুম! গা ছমছমে সন্ধ্যা! আফ্রিকা জায়গাটাই জানি কেমন! টুপ করে আমাদের দেশে যেমন বৃষ্টি পরে, ঠিক তেমিন টুপ করে আফ্রিকাতে সন্ধ্যা নামে! পথ হারিয়ে ফেললাম। যেই রাস্তাতেই ঢুকি মনে হয় এটাই হোটেলে যাওয়ার রাস্তা, কিন্তু কিছুটা যেয়ে মনে হয় নাহ এটা নয়! বাংলাদেশের একটা পিচ্চি মেয়ে আফ্রিকার প্রায় অন্ধকার রাস্তায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছে! সাথে শুধু একটা মোবাইল, আর কিছু নাই! হঠাত মনে হল, এখন যদি গুন্ডা টাইপের কেউ এসে আমার সামনে দাঁড়ায়! ভাবতেই একটা ভয়নকর শিহরণ বয়ে গেল! যার কেউ নাই তার আল্লাহ আছে! তাই মনে মনে দোয়া পড়ছিলাম! বেশ খানিকটা পথ পেরুবার পর একজন বয়স্ক লোকের দেখা পেলাম। ওনাকে হোটেলের নাম বলতেই ভদ্রলোক বললেন হোটেল তো খুব কাছেই, চল পৌঁছে দেই। অবশেষে জায়গামত পৌঁছে গেলাম। ধন্যবাদ দেয়ার ভাষাই হারিয়ে ফেললাম যেন! এই কয়দিনেই বুঝে গেলাম ঘানার লোকজন কত্ত ভালো আর অমায়িক!

খাবার নিয়ে একটু বলি। ধাণ যেমন আমাদের খাদ্যের প্রধান উৎস, ঠিক তেমনি কাসাভা, প্লান্টিন আর মিস্টি আলু হল ঘানাইয়ানদের প্রধান খাদ্যউৎস। রাস্তায় বের হলেই আপনি দেখবেন মহিলা ও ছোট ছোট বাচ্চারা মিস্টি আলু ভাজা, কলা ভাজা ফেরি করে বেড়াচ্ছে আর ইংরেজি বলছে গর গর করে। তাই বিদেশিদের না কিনে উপায় আছে! বাবার বোনকে আমরা বলি ফুফু, আর ঘানাইয়ানরা ‘ফুফু’ বলে কাসাভা পিষে ময়দা দিয়ে তৈরি এক ধরনের খাবারকে (এই সেই কাসাভার ময়দা যার কারনে ঈশ্বর পৃথিবী ছেড়ে আকশের ওই পাড়ে চলে গেছেন!) ফুফু রান্নার প্রণালীটা হল, প্রথমে কাসাভার ময়দা আর প্লান্টিন সিদ্ধ করে চটকে নিতে হবে। তারপর ছোট বলের মত বানিয়ে প্লেইট-এ সাজাবেন। তো তৈরি হয়ে গেল ‘ফুফু’! খাওয়ার সময় ফুফুর মাঝখানটা আঙ্গুল টিপে একটু গর্তের মত করে তাতে স্যুপ আর সস দিয়ে খেতে পারেন কিংবা সাথে নিতে পারেন মাছ ভাজাও। খেতে কেমন? প্লিজ আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না, নিজেই চেষ্টা করুন! আরো আছে ‘জোলোফ ভাত’। একটা হাড়িতে তেল দিয়ে আফ্রিকান চাল, পেঁয়াজ কুঁচি, টমেট ভর্তা, মশলা আর লবণ দিয়ে ভেজে নিতে হবে প্রথমে। তারপর পানি দিয়ে নাড়তে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত পুরো জিনিসটা কমলা রঙ না হয়। ব্যস হয়ে গেল ‘জোলোফ ভাত’। ঘানাইয়ানরা এই ভাত খায় মাংস, মুরগি অথবা মাছ দিয়ে। খেতে কেমন? প্লিজ আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না, নিজেই চেষ্টা করুন! তবে ওদের আম আর আনারস খেয়ে আমি অভিভূত। খুবই সুস্বাদু।

আক্রা গেছেন অথচ লাবাডি বিচে যান নাই! এটা কেমন করে হয়! বিচে ঢুকতে হলে বিদেশিদের এন্ট্রি ফি দিতে হয়, ঘানাইয়ানদের জন্য ফ্রি। এখন ঠিক মনে পড়ছে না কত টাকা এন্ট্রি ফি দিয়েছিলাম। তবে সবচে মজা লেগেছে একটা ব্যাপার। বিচে ঢুকতেই ওরা আমার জামা-কাপড় দেখে বুঝে গেল আমি হয়ত ইন্ডিয়ান (কারন প্রচুর ইন্ডিয়ানদের বসবাস এই আক্রাতে)। যেখানেই যাই ‘নামাস্তে মামিজি’ শুনতে শুনতে আমার হাসি আর থামে না। এই ‘মামিজি-টা কি জিনিস বুঝতে পারলাম না। লাবাডি বিচ হচ্ছে আটলান্টিক মহাসাগরের একটা অংশ। বিচ দেখে মনে হল আমাদের কক্সবাজার এর চেয়ে অনেক সুন্দর। কারন লাবাডি বিচের আশ-পাশটা বেশ নোংরা আর ময়লা। পরে জানলাম কিছুদিন আগেও এটা অনেক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ছিল, কিন্তু সম্প্রতি অতিরিক্ত টুরিস্ট সমাগম আর স্থানীয়দের অবহেলার কারনে দিন দিন বিচ তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। তবে আমার কিন্তু ভালই লেগেছে। কেন জানি সমুদ্র আমাকে সব সময়ই খুব টানে, কেমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয় যেটা কখনই প্রকাশ করতে পারি না! সেদিন অনেক সুন্দর একটা সূর্যাস্ত দেখলাম আটলান্টিক মহাসাগরের বুকে!

শেষ হইয়াও হইল না শেষ একটা কথা – আমরা বাংলাদেশিরা যদিও ‘ঘানা’ বলি আসলে কিন্তু এর নাম ‘গানা’।

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এই তুই লেখার নিচে নাম লিখিস না কেন? আগের একটা লেখায়ও তুই নাম লিখিস নাই। নাম না লিখলে মানুষ বুঝবে কিভাবে যে লেখিকা কে? যাই হোক অবশেষে আবার এখানে লেখা পোষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ দোস্ত। হাসি

ফাহিমা দিলশাদ

সামশাদ এর ছবি

বরাবরের মত এবারও ভুলে গেছি! আশা করি পরবর্তী লেখাগুলোতে আর ভুলে যাবো না। ধন্যবাদ।
- সামশাদ

এক লহমা এর ছবি

লেখা, ছবি ভাল লেগেছে। পরের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

উড়ন্ত প্রজাপতি এর ছবি

ভালো লাগল। লাবাডি বিচের নামকরনের মাহাত্তটা জানতে ইচ্ছে করছে!

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ভালো লাগলো।
ছোট্ট পরামর্শ, লেখার শেষে ছবি না দিয়ে, ছবি গুলোর সাথে একটু একটু বর্ণনা লাগিয়ে দিলে পড়তে আরও ভালো লাগে।

শুভেচ্ছা হাসি

সুমাদ্রী এর ছবি

বাংলাদেশ থেকে কোথাও বাইরে যেতে চাইলেই আমাদের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের মাথায় আকাশ যেন ভেঙ্গে পড়ে। আমি বছর তিনেক পশ্চিম আফ্রিকায় থেকেছি। ঘানায় গেছি দু'বার। ঘানাইয়ানদের আমার বাংলাদেশিদের চেয়ে ভাল মনে হয়েছে অনেক দিক থেকেই। ওদের খাবারটা আপনার আমার খাবারের থেকে আলাদা হবে এটা স্বাভাবিক, আপনার পছন্দ না হতে পারে, তবে ওদের ফুফু, জোলোফ, আলেকো খাবারগুলো ওখানে খুব জনপ্রিয়। আক্রার ওসু, ইন্ডিপেন্ডেন্স স্কয়ার, জেমসটাউন এই জায়গাগুলো বেশ। আরও লেখা আসুক। ছবিও।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সামশাদ এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর কমেন্টের জন্য। এগুলোই আমার পরবর্তী লেখার অনুপ্রেরণা! ভালো থাকবেন সকলে। - সামশাদ

কল্যাণ এর ছবি

ছবি গুলোর সাথে ক্যাপশন বা ছোটখাট বর্ননা থাকলে অর্থবহ হত। ধাণ>ধান। প্লান্টিনটা কি জিনিস?

আমাদের ইমিগ্রেশনে কোন একটা সমস্যা আছে। দেশ এবং মানুষ বিশেষে ওনারা ততপর হয়ে ওঠেন। এই বিব্রতকর অবস্থার ভেতর দিয়ে আমাকে সবসময় যেতে হয়। এটা সম্ভবত নির্ভর করে আদম-পাচার রুটের ওপর।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি বলছেন যে, ঘানাইয়ানরা ফট্‌ ফট্‌ করে ইংরেজী বলে।
পর্তুগীজ উপনিবেশ ছিলো বলে ওদের ভাষা পর্তুগীজ হওয়াই স্বাভাবিক নয় কি?
আর, দেশটির নাম ঘানা কেন হলো, তা জেনে ভালো লাগলো।

প্রথমে কাসাভার ময়দা আর প্লান্টিন সিদ্ধ করে চটকে নিতে হবে। তারপর ছোট বলের মত বানিয়ে প্লেইট-এ সাজাবেন। তো তৈরি হয়ে গেল ‘ফুফু’! খাওয়ার সময় ফুফুর মাঝখানটা আঙ্গুল টিপে একটু গর্তের মত করে তাতে স্যুপ আর সস দিয়ে খেতে পারেন কিংবা সাথে নিতে পারেন মাছ ভাজাও। খেতে কেমন? প্লিজ আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না, নিজেই চেষ্টা করুন! আরো আছে ‘জোলোফ ভাত’। একটা হাড়িতে তেল দিয়ে আফ্রিকান চাল, পেঁয়াজ কুঁচি, টমেট ভর্তা, মশলা আর লবণ দিয়ে ভেজে নিতে হবে প্রথমে। তারপর পানি দিয়ে নাড়তে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত পুরো জিনিসটা কমলা রঙ না হয়। ব্যস হয়ে গেল ‘জোলোফ ভাত’। ঘানাইয়ানরা এই ভাত খায় মাংস, মুরগি অথবা মাছ দিয়ে। খেতে কেমন? প্লিজ আমাকে জিজ্ঞেস করবেন না, নিজেই চেষ্টা করুন!

যদি অন্ততঃ বলে দিতেন যে সেটা ওরকম স্বাদের, তবে আন্দাজ করা যেত।

-সুপারষ্টার অনন্ত জলিল যে তাঁর কোন এক ছবির ডায়ালগ এ 'ঘানা' না বলে 'গানা' বলেছিলেন, তা তবে ভুল ছিলোনা!
-ভালো লেগেছে আপনার লেখা। তবে যে কাজে গিয়েছিলেন, তার সম্পর্কে দু'চার লাইন লিখলে আপনার কাজ সম্পর্কে একটা ধারণা পেতাম।

ভালো থাকবেন সামশাদ
আপনার জন্য শুভকামনা।

---------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

অফ্‌টপিকঃ আপনার নাম চোখে পড়তেই বৈজয়ন্তীমালার লীপ এ সেই চিরসবুজ গানটা মনে এলো - সাঁইয়া দিলমে আনা রে... দেঁতো হাসি এ জন্যে আমি দায়ী নই।

সামশাদ এর ছবি

@কল্যাণ: প্লান্টিন হল কলার মত দেখতে এবং খেতেও। হ্যাঁ, আদম পাচার একটা ইস্যু আমি জানি, কিন্তু বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনকেও বুঝতে হবে কোনটা আদম পাচার আর কোনটা নয়! ধন্যবাদ আপনার সাজেশনের জন্য।

@কামরুজ্জামান পলাশ: আমার কাছে ভাই সবই কুখাদ্য, নিজ দেশের খাবার ছাড়া! এই ব্যাপারে আনফিট বলতে পারেন আমাকে! আপনার অফটপিকটা পড়ে হাসলাম বেশ হাসি

[সামশাদ]

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।