দ্যা জেনেটিক কোড

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৭/১০/২০০৭ - ৩:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoছবি: ডিএনএ-র একটি অংশের এনিমেশন চিত্র

এইযুগে "জিন" বা "জেনেটিকস" বা "ডিএনএ" এই শব্দ-গুলো শুনেননি এমন মানুষ হ্য়ত খুজে পাওয়া একটু দুস্কর হবে। বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রী হলেত অবশ্যই শুনে বা পড়ে থাকবেন আর না হলেও কোন না কোন ভাবে কারও না কারও কাছে সেটা শুনে বা পড়ে থাকবেন।

আসলে এই শব্দগুলো কি? মানে এর দ্বারা কি বুঝায় যা নিয়ে সারা দুনিয়ায় তোলপাড় চলছে, হাজার হাজার কোটি ডলারের গবেষণা হচ্ছে পৃথিবীর এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। কেনই বা মানুষ, গরু, ইদুর, মাছ, ডরসোফিলা (এক প্রজাতির ক্ষুদ্র মাছি), ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের পুরো জেনম সিকুয়েন্স করা হচ্ছে।

এই লেখার শিরোনামের ব্যাপারে আলোচনা শুরুর আগে একটু ভূমিকার দরকার আছে। আজকে সেই ভূমিকাতেই থাকছি। ভবিষ্যতে সিরিজ চলতে পারে। চলুন দেখা যাক কি দাড়ায় এই সর্ম্পকে একটু জানলে।

নীচের এই অংশটুকু এবং ছবি ইংরেজী উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া। সেজন্য উইকিকে ধন্যবাদ।
----------------------
জেনেটিকস হচ্ছে সেই বিষয় সর্ম্পকে জানা বা বুঝা যার দ্বারা আমরা জানতে পারি কি করে জীব (সেটা এককোষী ব্যাকটেরিয়া হোক আর মানুষ) তার পূর্ব-পুরুষের বৈশিষ্ট্যগুলো তার নিজের মধ্যে গ্রহণ করে। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিলে হয়ত বুঝা যাবে বিষয়টা। ধরুন আপনার বাবা-মা দুজনেরই চোখের রঙ কালো। তাহলে ৯০% ভাবে ধরে নেয়া যায় যে আপনার চোখের রঙও কালো। ঠিকই একই ভাবে, আপনার চোখের রঙ দেখেও ধারণা করা যায় যে, আপনার বাব-মা অথবা আপনার পূর্ব-পুরুষের চোখের রঙ ছিল কালো। তাই বলে সব সময়ই যে তাই হবে এটা কিন্তু বলা যাবে না। তবে এরকম হবার সম্ভবনাই বেশি। এর ব্যতিক্রমও হয় এবং হতে পারে। যেমন আপনার আশে-পাশেই হয়ত কাউকে দেখবেন যার চোখের রঙ বাদামী কিন্তু তার বাব অথবা তার মার চোখের রঙ কালো। কেন এটা হতে পারে সেটা নিয়া পরে একসময় আলোচনা করা যাবে।

এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় "জেনেটিক ইনফরমেশন" যা একটা জেনারেশন থেকে আর একটা জেনারেশনে সঞ্চালিত হয় একটি "মলিকিউল" বা রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা যাকে বলা হয় "ডিঅকক্সি-রাইবো-নিউক্লিক-এসিড" সংক্ষেপে "ডিএনএ"।

এই ডিএনএ-র মধ্যেই থাকে সকল তথ্য কিভাবে এবং কি করে একটা জীব গঠিত বা পরিচালিত হবে। এই দুনিয়ার যত প্রাণী আছে অর্থাৎ: জীব-জন্তু, গাছ-পালা, মাছ, শ্যাওলা, ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই বা না পাই সকলেরই ডিএনএ আছে তাদের প্রতিটা কোষে।

তাহলে সহজ ভাষায় আমরা "জিন" কে বলতে পারি আমাদের পূর্ব-পুরুষের বৈশিষ্ট্য বহনকারী একটা খাম, যেই খামে থাকে একটা চিঠি অর্থাৎ "ডিএনএ" যেখানে আমার এবং আমার পূর্ব-পুরুষের সকল তথ্যই লেখা আছে পুন্খানপুন্খ ভাবে। আর এই খাম আর চিঠি অর্থাৎ জিন আর ডিএনএ র ব্যাপারটাকেই একসাথে বলা যায় ক্রোমোজম।

এই জিনগুলোই আমাদের বাবা-মার কাছ থেকে আমরা পাই এবং এই জিনের মাধ্যমেই আমরা আমাদের পিতা-মাতার শারীরিক এবং মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলো আমাদের মধ্যে গ্রহণ করি একই সাথে আমাদের পুর্ব-পুরুষদেরও।

(চলবে)


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এত কঠিন একটা বিষয়, জথেষ্ট দক্ষতার সাথে তুলে ধরার চেষ্টাটি ভাল লাগল। এর সাথে আমার সামান্য পরিচয় আছে। আমি অতিথি লেখক, আসাকরি আমার মতামত ছাপা হবে। পুতুল নামে পরিচিত হওয়ার ইচ্ছা। অনেক কিছুই এখনো ভালভাবে বুঝিনা, এখানকার নিয়ম কানুন, তাই রেটিং দিতে পারলাম না। পরে দেব সচল হলে। লেখাটি চলুক।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ অতিথি লেখক (পুতুল) এবং ক্ষমা-প্রার্থণা করছি দেরীতে উত্তর দেবার জন্য। আসলে আমিও এখানে অতিথি লেখক এবং অনেক নিয়ম কানুনই জানি না। এই লেখাটা পোস্ট করার পরে প্রকাশিত না হওয়ায়, আমি ভেবেছিলাম মডারেশন পাস করতে পারি নি লেখাটা। কিন্তু আজকে জানতে পারলাম অন্য এক লেখা থেকে কারণটা। যাইহোক আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

--বাপ্পী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।