ফরহাদ মজহার ও তার সমর্থকগোষ্ঠি প্রসঙ্গে

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: রবি, ০৩/১১/২০১৩ - ১২:৪৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্লগের প্রথম দিকে একটা মজার জিনিস চালু ছিলো। সন্দেহজনক কাউকে ম্যাৎকার পাড়তে দেখলে ৫টা রাজাকারের নাম জিজ্ঞেস করা হতো। কেপিটেস্ট নামের এই অব্যর্থ টোটকায় আপামর ছাগুসমাজের পজিটিভ ধরা পড়াটা প্রায় অবধারিত ছিলো। আরো কিছু পরে আরো একটা জিনিস চালু হয়। ফরহাদ মজহার (aka বরবাদ মগবাজার) ও তার অনুসারিদের আনাগোনা বাড়ে নেটজগতে। ব্লগে লাথির ওপর থাকতে থাকতে এরা এখন নিজের ডেরা বানিয়ে সেখানে কাঠাল পাতার চাষ করে। ফরহাদ মজহারের এই কাঠাল পাতা খাওয়া লোকেরা কম না। মাদ্রাসা পাশ ছাগু চেনা সহজ হলেও এরা প্রগতিশীলতা ও নিরপেক্ষতার ভেক করে প্রগতিশীল শক্তিগুলোর সাথে মিশে থাকে। এই কারণে ১০টা ফারাবির থেকে একটা মজহার ভক্ত বিপদ্জনক।

এই ফরহাদ মজহার সম্প্রতি এক টকশোতে সাংবাদিকদের একহাত নিয়েছেন,

ওখানে মজহার বলেছেন,

বাংলাদেশে এখনকার যে গণমাধ্যমগুলো তারা নিরপক্ষতো নয়ই, একই সঙ্গে তারা গণবিরোধী , গণতন্ত্রের বিরোধী এবং বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যদি কাউকে দায়ী করতে হয় .. আমি তাদেরকেই আগে দায়ী করি। আপনি আজকে যে বিরোধী মতকে আপনি দমন করছেন এবং ক্রমাগত আপনি গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে কোন বিরোধী চিন্তাকে আপনি হাজির হতে দিচ্ছেন না। আপনি অল্প কিছু ব্যক্তিতে, আপনি টকশোতেও দেখবেন আমার তো কম বেশি অনেকেই বন্ধুবান্ধব, অল্পকিছু ব্যক্তিতে যারা ক্রমাগত ঐযে পুতুলের মতো আপনি দেখাচ্ছেন সারাদেশের জনগণের কাছে। সমাজে যে আরো বহু শ্রেনী ও শক্তি আছে, এখানে যে বিরোধী দল বলে একটা দল আছে, তাদের যে পক্ষে কথা বলার তাদের বক্তব্য হাজির করবার আপনি কোন পরিস্থিতি রাখছেন না। তো এটাতো স্বভাবতই এটা শেষ হবে বোমাবাজিতেই। কারণ আপনি যখন কাউকে কথা বলতে বন্ধ করে দেন, স্বভাবতই এটা শেষ হবে সন্ত্রাসে। কারণ আপনি তো আমার কথাই বন্ধ করে দেন, কারণ আপনি তো প্রথমে সন্ত্রাস শুরু করেছেন। তাহলে বাংলাদেশে সন্ত্রাস শুরু করেছে গণমাধ্যম। এটা পরিস্কার বুঝতে হবে প্রথমে। ফিরোজ ভাইয়ের কথা থেকে ধরে নিয়ে আমার প্রত্যেকের উপলদ্ধি করতে হবে, আশা করি গণমাধ্যমের লোকেরাও শুনছে। আমি বাংলাদেশের অনেকগুলো গণমাধ্যমকে পরিস্কার টেলিফোনে বলেছি আপনারা সন্ত্রাসী, আপনারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী, আপনাদের টেলিভিশনে আমি যাবোনা। অনেকগুলো গণমাধ্যমতো দুর্বৃত্ত ও দুর্নীতিবাজদের গণমাধ্যম। এটা আমাদের বুঝতে হবে। তো আমি তো মনে করি এই পটকা ফুটানোতো খুবই কমই হয়েছে। মূলত এটা আরো বেশি হওয়া উচিৎ ছিলো। কারণ যেকোন দেশে এইরকম পরিস্থিতিতে অনেক বেশি রেজিস্টেন্স জনগণের কাছ থেকে ঘটে এবং এটার পক্ষে আপনি দেখবেন যে জনমত ..।

মজহার তার অসংলগ্ন বক্তব্যে প্রথম মিডিয়াকে দায়ী করলেন তারা সবার কথা বলছে না। এজন্য তাদেরকে তিনি সন্ত্রাসী বললেন। এবং এই সন্ত্রাসীদের পটকা মারাটা কমই হয়েছে। আর কোন দেশগুলো মিডিয়াতে কথা না পারায় মানুষজন বোমাবাজি করছে সেটা আরেকটা প্রশ্ন। আজব ব্যাপার হলো এইরকম ভুদাইস্কেলে বক্তব্য দেয়া লোককে অনেকে জ্ঞানি ব্যক্তি ভাবেন!

টকশোয়ে এই বক্তব্য দেবার একটু পরে উনি একটু ব্যাকফুটে যান। ব্যাকফুটে গিয়ে তিনি বলেন,

আমি এর আগে যে বোমার কথা বলেছি এই অর্থে কথাটা বলেছি যে আমি স্বভাবতই কখনই চাইব না কেউ পটকা, নিন্দা বা ঢিলও যেন গণমাধ্যমের ওপর ছুঁড়ুক। এটা কথার কথা, rhetoric। আলোচনা করারা জন্য, যাতে আমরা বুদ্ধিজীবীরা গণমাধ্যমের কর্মীরা বুঝতে পারি যে এই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া একমাত্র দায়ী নয়। আমরা, আমাদের ভুমিকার কারণে আজকে এই পরিস্থিতি আমরা তৈরী করেছি আমি অত্যন্ত আন্তরিক ভাবে গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের ও ব্যাক্তি স্বাধীনতার পক্ষে। গণ মাধ্যমের ওপর কোন প্রকার নিয়ন্ত্রণ কারও থাকা উচিত না, যদি না যিনি মত প্রকাশ করছেন, যার বিরুদ্ধে করছেন ওতে যেন কারও অপমান বা অমর্যাদা না হয়।

ব্যাকফুটে গিয়ে নিজের আগের বলা কথাগুলোর ব্যাখ্যা দেবার বিষয়টা অনেকটা গলাখাকারি দিয়ে বাতকর্মের গন্ধ ঢাকার চেষ্টা।


"rhetoric"

তো গন্ধ শেষ পর্যন্ত ঢাকা পড়েনি। রেটোরিকাল চাপানউতর অগ্রাহ্য করে এর প্রতিবাদ বিভিন্ন মহল থেকে এসেছে। তাদের কাউন্টারে মজহারের অনুগত বাহিনীও নেমে পড়েছে। এই অনুগত বাহিনীর কার্যক্রম ও কথাবার্তাগুলো ইন্টারেস্টিং ও খেয়াল করে দেখার মতো। গত ১লা নভেম্বর শত নাগরিক কমিটি নামে একটি সংস্থা একটি বিবৃতি প্রদান করে। হেডিং দেখে ভাবছিলাম আগের দিনে যেমন ১০০ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ৫০ আইনজীবি ইত্যাদি পত্রিকাতে বিবৃতি দিতেন সেরকম কিছু একটা। তো নিউজে দেখলাম এই শতনাগরিক একটি সংস্থা। এর সভাপতি ঢাবির প্রাক্তন উপাচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমদ ও সদস্য সচিব কবি আব্দুল হাই শিকদার। আরেকটু গুগল করে এই কমিটির ২০১৩ সালের ১১ই এপ্রিলের একটা প্রেসরিলিজ পাওয়া যায়। ওখানে এই কমিটির আরোও কয়েক গুনধরের নাম পাই। সেখানে উনারা মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারের নিন্দা করছিলেন। বিবৃতিতে সই দেয়ারা হলেন,

প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, ডা. এম এ মাজেদ, প্রফেসর মনিরুজ্জামান মিঞা, বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কবি আল মাহমুদ, মোহাম্মদ আসাফউদদৌলাহ, ডা. জাফরউলাহ চৌধুরী, ড. আনোয়ারউলাহ চৌধুরী, ড. এসএমএ ফায়েজ, ড. মাহবুব উলাহ, খোন্দকার মুশতাহিদুর রহমান, এ্যাডভোকেট খোন্দকার মাহবুব হোসেন, ড. ইউসুফ হায়দার, ড. সদরুল আমিন, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম , রিয়াজউদ্দিন আহমদ, ড. আজহার আলী (রা.বি.), ড. আমিনুল ইসলাম, ড. আবদুর রহমান সিদ্দিকী (রা.বি), ড. ইনাম উল হক, ড. হাসান মোহাম্মদ (চ.বি), ড. সিদ্দীক আহমদ চৌধুরী, ড. মনির আহমদ চৌধুরী, ড. রেজাউল করিম (খু.বি), ডা. জাফর উলাহ ও কবি আবদুল হাই শিকদার।

নামগুলো দেখে বোঝা যায় এটা আসলে বিএনপি জামাতের বুদ্ধিজীবি উইং। এই বুদ্ধিজীবি উইং ও অন্যান্যরা আরো একটা সভার আয়োজন করেছে আজকে। সেখানেও একই সেট অফ বুদ্ধিজীবিয বক্তব্য রেখেছেন। বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সাথে আরো বেশ কয়েকজন বক্তব্য দেন। এরা হলেন,

অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ রউফ, কবি আল মাহমুদ, আবুল আসাদ, আকবর আলি খান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আইনউদ্দিন আহমেদ, কবি আবু করীম, অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, পিয়াস করীম, আসিফ নজরুল, ব্যারিস্টার তুহিন মালিক, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সাংসদ সৈয়দ আসিফা আশরাফি পাপিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।


আমার দেশ পত্রিকার সৌজন্যে হাজেরানে মজলিশদের ছবি

চমকপ্রদ তালিকা নিঃসন্দেহে। একাধিক প্রাক্তন উপাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাতি অধ্যাপক, ৭১এ পাকিস্তানিদের পত্রিকা সংগ্রামের সম্পাদক, কবি, আইনজীবি, চলচ্চিত্র পরিচালক থেকে শুরু করে রাজপথের লড়াকু এম্পি সৈয়দ পাপিয়া সবাই হাজির এই ফরহাদ মজহারের পিঠের চামড়া বাঁচাতে। এদের সাথে আরোও হাজির প্রাক্তন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলী খান। পাঠকের হয়তো মনে থাকবে কয়েকদিন আগে মানবাধিকারবারি আদিলুর শুভ্রের চামড়া বাঁচাতে এরকম একজন প্রাক্তন উপদেষ্টা দৃশ্যপটে হাজির হয়েছিলেন

কয়েকদিন আগে বিএনপি নির্বাচন প্রশ্নে প্রস্তাব রেখেছিলো প্রাক্তন উপদেষ্টা থেকে উপদেষ্টা বাছাই করতে। এরা কেন এই প্রস্তাব করেছিলো এটা এখন আস্তে আস্তে পরিস্কার হচ্ছে।

ফরহাদ মজহাজের রাজনৈতিক পোলারাইজেশন কোথায় সেইসব তার কথাবার্তা আর তার সমর্থক গোষ্ঠিদের ডেমোগ্রাফি দেখলে বোঝা যায়। বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে থাকা এসব সিউডো প্রগতিশীলদের লাথি দেবার এখনই সময়।

পুনশ্চঃ লাথি দেওয়া কথাটা রেটোরিক মাত্র!

সূত্রঃ

১. ফরহাদ মজহারের বক্তব্য বিকৃতির দাবি শত নাগরিকের
ইমেজ লিংক

২. আমার বক্তব্য কেটে জোড়াতালি দিয়ে বিকৃত করা হয়েছেঃ ফরহাদ মজহার
ইমেজ লিংক

৩. ফরহাদ মজহারের পাশে বিএনপি
ইমেজ লিংক

৪। গোলটেবিল বৈঠকে ফরহাদ মজহারের পাশে বিশিষ্টজনরা : প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগই সঙ্কট মোকাবিলায় একমাত্র সমাধান : আমার দেশসহ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিন
ইমেজ লিংক


মন্তব্য

আব্দুর রহমান এর ছবি

কথা প্যাঁচাইতে প্যাঁচাইতে ফরহাদ সাব যে কই থেকে কই যায়। আগে এগুলা পড়লে মাথা ঘুরাইত, মনে হইত আমি বলদ আর হেতে বুদ্ধিমান।

তো আমি তো মনে করি এই পটকা ফুটানোতো খুবই কমই হয়েছে। মূলত এটা আরো বেশি হওয়া উচিৎ ছিলো।

আমি এর আগে যে বোমার কথা বলেছি এই অর্থে কথাটা বলেছি যে আমি স্বভাবতই কখনই চাইব না কেউ পটকা, নিন্দা বা ঢিলও যেন গণমাধ্যমের ওপর ছুঁড়ুক।

অ্যাঁ

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

হাসিব এর ছবি

মজহার সন্ত্রাসবাদের নতুন সংজ্ঞা দিয়ে ফেলছেন টকমারাতে গিয়ে। এখন কাশি দিয়ে সেইটার গন্ধ ঢাকার চেষ্টায় আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সবগুলো নামি প্রত্যাশিত শুধু আকবর আলী খানকে দেখে পুরাই চোদনা হয়ে গেলাম। উনি কেন সেখানে? এই একজনকে অসৎ আর মুখোশধারীদের মিছিলে কিছুটা ভিন্ন ধারার মনে হয়েছিলো। এখন দেখি সেটাও অবশিষ্ট নেই।

যে যাই বলুক শহীদ জিয়ার আদর্শে বাঙালির বুদ্ধিভিত্তিক তথাকথিত প্রগতিশীল সমাজ আজো পরিচালিত, তার আদর্শেই অনুপ্রাণিত। তিনি যে সুবাধিবাদীদের তার পাশে রেখে নতুন ধারার রাজনীতির প্রবর্থন করেছিলেন সেই পথেই খালেদা জিয়া আর তার ভক্ত চুশিল ছাগু বুদ্ধিজীবিরা নতুন ধারার রাজনীতির নিদর্শন দেখালো। এই না হলে নতুনত্ব? ক্ষমাই মহৎ গুন, ম্যাড়ামের সেই মহৎ গুনো অনুপ্রাণিত হয়ে দুই একদিন পর হয়তো শুনবো লুঙ্গি মাযাহার বলবেন আমিও সবগুলো মিড়িয়াকে ক্ষমা করে দিয়েছি।

মাসুদ সজীব

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই কথা ব্লগে লেখলে ৫৭ ধারার বিবেচনা কী হইতো?

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হাসিব এর ছবি

৫৭ ধারা আসলে ময়মুরুব্বিদের মানসম্মান লুঙ্গি ইত্যাদির হেফাজতে বানানো। কেউ কোথাও বোমা মারতে বললে সেইটা ৫৭ ধারায় পড়ে না। উদাহরণ, বাঁশের কেল্লায় ঘোষণা দিয়ে রেইললাইন ওপড়ানো সত্ত্বেও কারো কিছু না হওয়া।

সাইদ এর ছবি

এই যে ফেসবুকে এত দেশদ্রোহী পেজ যারা ক্রমাগত উস্কানি দিয়েই যাচ্ছেন । আর আমাদের অনেকেরই সময় যায় এসব মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা খণ্ডন করতে। বুঝতে পারি না সরকারের ভিতর কি কেউ নাই এগুলির দিকে দৃষ্টিপার করার??

সাইদ এর ছবি

দৃষ্টিপার > দৃষ্টিপাত

হাসান এর ছবি

হুম। উনি না লালনফকির, বেগুন আর লুঙ্গি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন কিছুদিন আগে?
কাকতালীয়ভাবে ওনার প্রবন্ধসমগ্র পড়ছিলাম একটু আগে। এইধরণের ফাটকাবাজি নতুন কিছু না। আমার চোখের সামনেই একটা প্রবন্ধ আছে যেখানে তালেবানদের হাতে বুদ্ধমুর্তি ধ্বংস হওয়াকে জায়েয করেছেন "পশ্চিমা বিশ্ব আফগানি শিশুদের টেকাটুকা দেয় না" বলে।
ইনি বুড়ো ভাম। এর চাইতে এর শিষ্যরা বেশী বিরক্তিকর, এবং বিপদজনক।

হাসিব এর ছবি

মজহারের বক্তব্যের প্রতিবাদে দেখলাম বামপন্থীরা একদমই মুখে খিল এটে বসে আছে। খুব খুব ইন্টারেস্টিং বিষয় এইগুলান।

Emran  এর ছবি

আমার চোখের সামনেই একটা প্রবন্ধ আছে যেখানে তালেবানদের হাতে বুদ্ধমুর্তি ধ্বংস হওয়াকে [ফরহাদ মজহার] জায়েয করেছেন "পশ্চিমা বিশ্ব আফগানি শিশুদের টেকাটুকা দেয় না" বলে।

এইটা হল "সরকার বিদ্যুত/পানি/গ্যাস/হলমার্ক/পদ্মা সেতু/শেয়ার বাজার সমস্যার সমাধান করতে পারে না; যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে লাফালাফি করতেছে"-মার্কা কথা।

২০০৫ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় জেএমবি-র বোমা হামলার পরে মজহার সাহেব আলু-তে বোমা হামলা নিয়ে একটা "উত্তর-উপনিবেশবাদি" কলাম লিখেছিলেন, এই মুহূর্তে নাম মনে পরছে না। তাঁর প্রবন্ধসমগ্রতে এটা থাকতে পারে। সেই লেখার মতো বর্ণবাদী এবং সাম্প্রদায়িকতাবাদী লেখা কম পরেছি। তাঁর পরেও আশ্চর্য হই যখন দেখি এদের ভক্তসংখ্যা কমে না।

হাসান এর ছবি

ওই সময় ওনার অনেক লেখা দেখেছি আমি। স্মৃতি হাতড়ে যেটা বের করতে পারছি সেটা হলো - "কোরানকে আমরা রেহেলে তুলে আলমারির ওপর রেখেছি বলে আজ কোরান বোমা হাতে মাঠে নেমেছে"।
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের একটা লেখায় পড়েছিলাম যে মজহার সাহেব নিজেও আমেরিকা প্রবাসী ছিলেন একসময়। আমেরিকা যাবার কারণ দেখিয়েছিলেন এই বলে যে- "আমি ভিখিরির মতো বেঁচে থাকতে পারবো না"। সম্ভবত উনি এই শ্রেনীর লোক যারা কিছু করতে না পেরে দেশে ফেরত যায় আর সাম্রাজ্যবাদ ও ইসলামোফোবিয়াকে দুষে।
ইনার এবাদতনামার কিছু কবিতা আমার খুব প্রিয়। কবিতায় থাকলে ভালো করতেন।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

শালা টকমারানি!!

____________________________

হাসিব এর ছবি
এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই ঞঁলিবারেলদের রাজিব হায়দারের বাক স্বাধীনতা বা বেঁচে থাকার অধীকার নিয়ে কিছু বলতে শোনা যায় না। জামাতী ভাই বেরাদরদের বেলায় পারলে গিয়ে ুয়া পর্যন্ত চেটে আসে। এদের োদে লাথি মেরে সাকার পরিচর্যার জন্য রাখা উচিত।

পুনশ্চঃ মন্তব্যটি রেটোরিক মাত্র!

হাসিব এর ছবি

এরা ঠিক ঞলিবারেল না। এরা একসময় উত্তরাধুনিক ছিলো। এখন তারা ধার্মিক ছাগু।

অতিথি লেখক এর ছবি

সুশীল সমাজকে নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক না, তেনারা মাইন্ড করতে পারেন

ইসরাত

নীড় সন্ধানী এর ছবি

লুঙ্গি খুলে যাওয়া বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে ফরহাদ মজহার অনেকদিন যাবত শীর্ষস্থানে আছে বলে তার এই বক্তব্য অবাক করেনি। অবাক করেছে তারা যারা আওয়ামী লীগের উপর গোস্বা করে লুঙ্গি খুলে মজহারের পাশে দাঁড়িয়ে গেছে। লাথির ন্যায্য ভাগ এদেরও কি প্রাপ্য না?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হাসিব এর ছবি

সেইজন্য তালিকাটা তুলে রাখলাম। এদের কেউ কেউ আবার শাহবাগে ফটোসেশনে দাঁড়িয়ে যান সুযোগ পেলে। এই কিসিমগুলোকে চিনে রাখা দরকার।

এক লহমা এর ছবি

ল্যাঞ্জা দাগায় রাখলেন হো হো হো

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

পুতুল এর ছবি

অবাক করেছে তারা যারা আওয়ামী লীগের উপর গোস্বা করে লুঙ্গি খুলে মজহারের পাশে দাঁড়িয়ে গেছে। লাথির ন্যায্য ভাগ এদেরও কি প্রাপ্য না?

এই বিশাল সমর্থক গোষ্ঠীই মগা-র চাইতে বেশী ভয়ঙ্কর।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অতিথি লেখক এর ছবি

কাশি দিয়ে গন্ধ ঢাকার চেষ্টা না,আমার মনে হয় "বোমা মারা উচিৎ" বলার পর যে বিরতিতে গিয়েছিল তখন অফলাইনে 'ঠাপ' খেয়ে পরে আউফাউ বুঝ দেয়ার চেষ্টা করেছে। হালায় একটা উচ্চ পর্যায়ের 'টকমারানি'!!

-----------------
সুবোধ অবোধ

কুটুম মজহার এর ছবি

Sushanta Das Gupta এর স্ট্যাটাস থেকে:
মোবাইল এর মাধ্যমে 19 ঘণ্টা আগে
ফরহাদ মজহারের প্রথম স্ত্রী নোয়াখালী শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান সাইদুল হকের মেয়ে। সাইদুল হক পেশায় এডভোটেট ছিলো। মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত 'শান্তি কমিটি ১৯৭১' বইয়ের ৩২১ পষ্ঠায় তার সম্পর্কে বলা আছে...

২০০৫ সালে তার পাকি শ্যালকেরা (শিবির) নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সেরাপাকি এজেন্ট হিসাবে তারে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে।

মন মাঝি এর ছবি

বাংলাদেশের 'টকমারানি'-দের একটা টপ-টেন লিস্টি করা উচিৎ!

আমি শুরু করলাম -

১। বরবাদ মগবাজার (ইনি টকমারানির পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত একমাত্র বুদ্ধিজীবী 'পটকামারানি'-ও বটে!)
২। ...............

****************************************

হাসিব এর ছবি

২। আসিফ নজরুল
৩। আকবর আলী খান
৪। মান্না
৫। ।।।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

৫. পিয়াস করিম

স্যাম এর ছবি

৬। আমেনা মহসিন ?!

মন মাঝি এর ছবি

হ।
তবে আসিফ নজ্রুলদের মত এখনও দক্ষ 'টকমারানি' হয়ে উঠতে পারেননি মনে হয়। টককঁকানি বলা যেতে পারে। প্রায়ই লেজেগোবরে করে ফেলেন। আমার শুনতে দারুন মজা লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় কমেডি শো দেখতেসি! দেঁতো হাসি

****************************************

স্যাম এর ছবি

হো হো হো

ধুসর গোধূলি এর ছবি
তারেক অণু এর ছবি
হাসিব এর ছবি

দিলেন তো পোস্টটারে একদম! এখন উত্তরাধুনিকেরা এই সচলটিকনটার ব্যাকগ্রাউন্ড ইরাক-আফগানিস্তানে ইঙ্গ-মার্কিন হামলার প্রেক্ষাপটে ফরহাদ মজহারের ওপর মেশিনগান হাতে গুলির ইশারা হিসেবে ব্যাখ্যা করে ১০পাতা ব্যাপি প্রবন্ধ ছাগুরাম সুলভ ফেদে বসবে!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

৭. টাকমিদুল

স্যাম এর ছবি

১০ এর মধ্যে ইনি পরবেনা মনে হয়

সাইদ এর ছবি

গুয়েবাড়াকে কি লিস্টিতে রাখা যায়??

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ও কি টকমাড়ানো শুরু করছে? আমি তো ভাবলাম ওরে আর কেউ ডাকেটাকে না।

সাইদ এর ছবি

@সুমন চৌধুরী
আপনি ঠিক ধরেছেন, টকমাড়ানিতে আজকার আর ডাক পায় না। কিন্তু চান্দের আলোতে ঠিকই অশ্বডিম্ব প্রসব করেই যাচ্ছেন এই রিকনসিলিয়েশনমারানি।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই জ্ঞানপাপী নব রাজাকারদের আমরা আজও বর্জন করতে পারিনি এটা বাঙ্গালী জাতির জন্য লজ্জা জনক।

“রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ
মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ”

জয়বাংলা।

তুহিন সরকার।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

নানা ধরনের খেপ মারা, ফ্রি ল্যান্স কাজের কথা শুনলেই আমার বেশ লাগে। এমনি একটা কৌতূহল কাজ করে, কীরকম সময় দিতে হয়, কেমন পেমেন্ট ইত্যাদি।
লুঙ্গির ক্ষেত্রেও জানতে ইচ্ছে করে, সে কেমন পেমেন্ট নেয়, দালালির চুক্তিতে কোনো কাগজপত্র সই করেছে কিনা, কী ধরনের কাজের ক্ষেত্রে কেমন পেমেন্ট নেয়, কোথায় বসে কেমন মিটিং করে ইত্যাদি।
আর লুঙ্গির পক্ষে যে লেখক-অধ্যাপকরা বক্তব্য দিয়েছেন সেগুলোকে দেখে চরম হাসি পেল।
আকবর আলি খান যে তলে তলে এমন, তা কে জানত?
আবদুল হাই শিকদার যে বেঁচে আছে, সেটা জানতাম না!
পাপিয়া পাণ্ডেও হাজির! হা হা হা!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

হাসিব এর ছবি

আকবর সাহেবরে আমি দিগন্ত টিভির টকশোতেও দেখছি যদ্দুর মনে পড়ে। আমি লিংকটা খুঁজে পাচ্ছি না এই মুহুর্তে।
আর মজহারের সমর্থনে ঐ মিটিংটা একটা বেদম শাকাহারি জমায়েত। টকমারানি থেকে সিনেমা পরিচালক কোন কিসিমই বাদ পড়ে নাই। সাথে কোবিরা ফাউ।

অতিথি লেখক এর ছবি

৯। সৈয়দ গোলাম মকসুদ

তবে সব টকমারানির গুরু বোধহয় একজন, যার একখান বিশেষ পদক আছে। তিনি ইউনূছ, টকমারানি আর চুশিলদের গুরু, আদর্শ। আদর্শ ছাগুরাম সুলভ

মাসুদ সজীব

মন মাঝি এর ছবি

১০। নুরুল কবির (হাম্বাদিক)
১১। মাহ্‌ফুজুল্লাহ (হাম্বাদিক)

****************************************

ধুসর গোধূলি এর ছবি

লিস্টি তো দেখি শীর্ষ দশ ছাড়াইয়া অতিরিক্ত খেলোয়াড়ের দিকে হাঁটা দিছে।

হাসিব এর ছবি

গুনা দিলে গোটা পচিশেকের বেশি টকমারানি পাওয়া যাবে না। আর নুরুল্কবির লোকটা ইন্টারেস্টিং আছে। আম্গো জামাতি প্রফেসার পিয়াস করিমের দোস্ত লাগে উনি।

স্যাম এর ছবি

হাসিব ভাই - জিল্লুর কোন ক্যাটাগরিতে পড়বে?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক
খাড়ান, মাজু ভাই'র লাইগ্যা যুতসই একখান 'রেটোরিক' খুইজা লই... তারপর কমেন্টামুনে

ইয়ে, টকমারানীদের তালিকায় ঢাবি'র সাবেক প্রো-ভিসি আফম ইউসুফ হায়দার নাই দেখি...
ওনারে ১৩ নাম্বার দাগাইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।