"পৈচাশিক": একটি কোয়াজাই-সায়েন্টিফিক আলাপগর্ভ ইংরেজিশব্দভারাক্রান্ত গল্প

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: সোম, ০২/০৫/২০১১ - ৭:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কড়া আলো পিচাশ করিমের পছন্দ নয়। নিরেট অন্ধকারও ভালোবাসেন না তিনি। এই দুটোই হচ্ছে দৃষ্টিগ্রাহ্য পৃথিবীর দুই চরম অবস্থা। তিনি ভালোবাসেন রহস্য, যা থাকে আবছায়ায়। আলো আছে, কিংবা আলো নেই, এমন সরল বাইনারির জগতে যারা বাস করতে চায়, তাদের জন্যে প্রতিনিয়ত করুণার ভারে পিষ্ট হন পিচাশ। মূর্খ, ভালগার একটা সোসাইটি।

কিন্তু হাজার সংগ্রামের পর কিছু আবছায়া তৈরি করতে পেরেছে এই সমাজ। এমনই একটি সাফল্যের নীরব নিদর্শন এই বিচ্ছিরি শহরের নাভিমূলে মিডিয়ালোকবঞ্চিত মিডিয়াঁধার দ্বীপ, বণিতা, বার অ্যান্ড রেস্তোরাঁ। রসিকেরা মিষ্টি করে ডাকে, বার বণিতা।

পিচাশ করিম আর দশজন গুণী মানুষের মতোই ভালোবাসেন সাহসিনী, সংস্কারমুক্ত তরুণীদের সঙ্গ। বার বণিতায় তাদের দেখা প্রায়ই মেলে, তবে বার বণিতার বাইরে যে মেলে না, এমনটা নয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি একটু অভিযানপ্রবণ হয়ে ওঠেন, তখন ইচ্ছে করে মৃগয়ায় নামতে। যেসব তরুণী যেচে তাঁর কাছে আসে, বিরক্ত মাছির মতো উজিয়ে এসে নিজেই জড়ায় জালে, এবং বিরক্তিকর মুখ করে মাকড়সার অপেক্ষা করে, তাদের মনোটোনি কাটিয়ে দেয় বার বণিতার জঙ্গুলে হরিণীরা। তারা সবাই হয়তো তরুণী নয়, কিন্তু হরিণী, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। চতুর শম্বরের মতো তারা শ্বাপদের অপেক্ষায় থাকে, তারপর চলতে থাকে শিকার। পিচাশ করিম নিজেকে আরেকটু ভালো করে খুঁজে পান এই মৃগয়ায়, তাই তিনি ডায়রির বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাগুলোকে বার বণিতার জন্যেই দাগিয়ে রাখেন।

কিন্তু আজ বারে ঢুকে তাঁর মনটা বিষিয়ে যায়। এ কী? লোডশেডিং কেন? বারের আবছা ঘষা কাঁচের শেডে ছাওয়া বাতিগুলোর জন্যে সামান্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা গেলো না? মোমের আলোয় মৃগয়া চলে? তাও যদি বুদ্ধি করে কিছু রঙিন কাঁচের বা কাগজের শেডের ব্যবস্থা করতো বেয়াক্কেলগুলো। কতগুলো ছোটো ভদকার গ্লাসে মোমবাতি জ্বালিয়ে এ কোণে ও কোণে ছড়িয়ে রেখেছে। হয়তো শূকরও একদিন ডানা ঝাপটে উড়বে, কিন্তু এই আনকুথ ফিলিস্টাইনগুলো একটা রোমান্টিক ব্যাকড্রপের মর্ম বুঝবে না।

একটা মিষ্টি আবছায়া ছড়িয়ে না গিয়ে জায়গায় জায়গায় দলা পাকিয়ে আছে আলো আর অন্ধকার। সেই সরল বাইনারি। সাদা নয়তো কালো। ডাইকোটমি। অশিক্ষিতের শেষ আশ্রয়। হোয়াট অ্যাবাউট শেডস অব গ্রে? হোয়াট অ্যাবাউট দেম?

খুব বিরক্ত লাগে তাঁর। পিচাশ করিম সাধারণত দরজার দিকে মুখ করে কোণের একটা ছোটো টেবিলে বসে হুইস্কির অর্ডার দিয়ে থাকেন, কিন্তু আজ আর এই আলোগোলা অন্ধকারে তার বসতে ইচ্ছে করলো না। কাউন্টারে গিয়ে কড়া গলায় অর্ডার দিলেন তিনি, একটা জিম বিম, ডাবল, অন দ্য রকস।

কাউন্টারের ওপর প্রদীপের নিচের অন্ধকার, বারম্যানের মুখে কৃত্রিম হাসি, সেই দেড়শো বছর আগে ইংরেজের নিজের হাতে এঁকে দেয়া। হাসির নিচের মেরুদণ্ডটাও ইংরেজের নকশা করা। ব্লাডি ফুল, ইউ আর সেলিং দ্য আলটিমেট এলিক্সির হিয়ার, হ্যাভ সাম গাটস টু ফ্রাউন, ওয়াইপ দ্যাট ব্লাডি সার্ভাইল স্মার্ক অফ ইওর মাগ! পিচাশ করিম নিজের ভেতরে ভেতরে বিস্ফোরিত হন রাগে। ইমপ্লোশন, ইমপ্লোশন, দ্য ঔনলি সাইন অব স্যানিটি আ কালচার্ড পারসন কুড নার্চার হিয়ার।

বারম্যান ড্রিঙ্কটা এগিয়ে দেয়ার পর তার চোখে পড়ে মেয়েটাকে।

প্রায় অন্ধকারে মিশে আছে সে, শুধু একটু আবছা আলোয় দেখা যাচ্ছে কাঁধের ওপর লুটিয়ে পড়া এলোচুল। আহ, শেডস, শেডস অব গ্রে! ভালো করে মেয়েটাকে পরখ করার চেষ্টা করেন তিনি। আবছায়া কেবল। আবছায়ার সম্মোহনী ইঙ্গিতে এগিয়ে গিয়ে বারের একটা টুলে চড়ে বসেন তিনি।

"হাই!" খসখসে গম্ভীর স্বরে বলেন তিনি, তারপর চুমুক দেন পানীয়তে। "আমি পিচাশ।"

তরুণী একটু হাসে কেবল, অন্ধকারে তার সাদা দাঁতের সারি ক্ষণিকের জন্যে ফুটে ওঠে।

"তুমি যদি কারো জন্যে অপেক্ষা না করো, তাহলে আমরা কিছুক্ষণ কথা বলতে পারি। ইন ফ্যাক্ট, কিছুক্ষণ নয়, অনেকক্ষণই কথা বলতে পারি।" ধীরে ধীরে বলেন তিনি, প্রত্যেকটা শব্দ মেপে।

মেয়েটা হাসে আবারও।

"তুমি হয়তো ভাবছো, আই উইল অ্যাস্ক ইউ টু স্পেন্ড দিস বিউটিফুল ইভনিং উইথ মি। না না, বলতে হবে না, তোমার হাসি দেখে বুঝতে পারছি আমি। ইটস ন্যাচরাল, ইজন্ট ইট, নিশ্চয়ই সব সমর্থ পুরুষই তোমাকে এমন করে বলবে। ওয়েল, পারহ্যাপস নট অল ওফ দেম, ওনলি দ্য ওয়ানস উইথ সাম গাটস। বাট ডোন্ট টেইক ইট ফর গ্র্যান্টেড। এত সরলভাবে এটাকে নেরেইট করা সম্ভব নয়।"

মেয়েটা মুখ নত করে, কাঁধের ওপর নেচে ওঠে অন্ধকার চুলের স্তুপ।

"আই আন্ডারস্ট্যান্ড, বাট দ্য হোল ওয়ার্ল্ড শুড ডুয়েল অন টলারেন্স, তাই না? এখানে জোরাজুরির কিছু নেই, ইউ জাস্ট হ্যাভ টু বিয়ার উইথ দ্য বার্ডেন অফ ইয়োর বিউটি। কিন্তু একই সাথে, টলারেন্সের ভারটা কিন্তু পুরুষদেরও নিতে হবে। পুরুষের টলারেন্স যদি ভালো ইন্টারকোর্স, সোশ্যাল ইন্টারকোর্স আই মিন, ভালো ইন্টারকোর্সের মাপকাঠি হতো, আজ আমাদের সোসাইটির ইতিহাস অন্য রকমের হতো। আই নো।" বড় একটা চুমুক দেন তিনি জিম বিমে।

মেয়েটা আবার হাসে। ওহ, কী অপূর্ব এই নীরবতা!

পিচাশ করিম উপভোগ করেন এই মুহূর্তগুলো। "আমাদের মেইন স্ট্রিম পপ সেক্সিজমের নেরেইটিভে এই ব্যাপারটা আছে, যে পুরুষ গায়ে পড়ে প্রস্তাব দেবে কেন? ইটস ট্যান্টামাউন্ট টু সেকশুয়াল হ্যারাসমেন্ট! বোলোক্স! পপিকক! হোয়াই নট? ইটস ঔনলি আ সাজেসশন! দ্য হোল সিভিলাইজেশন স্ট্যান্ডস অন দ্য রক অব সাজেসশনস ফ্রম ওয়ান হিউম্যান বিয়িং টু অ্যানাদার, অ্যান্ড ইফ শি ডিক্লাইনস, টু অ্যানাদার ওয়ান, অ্যান্ড সো অন! এটাকে অস্বীকার করে, এটাকে কাবার্ডে ভরে, এটাকে কার্পেটের নিচে চাপা দিয়ে আর কতদিন? ন্যাকা বাঙালি!"

মেয়েটার দাঁত ঝিকমিক করে আবারও।

পিচাশ করিম এক চুমুকে গ্লাস খালি করে কাউন্টারে আছড়ে রাখেন। "আরেকটা! ডাবল, বরফ!"

বারম্যান দ্রুত হাতে আরেকজনের গেলাসে মদ ঢালতে থাকে।

"এভরিওয়ান হ্যাজ দ্য রাইট টু লাভ, অ্যান্ড মেইক লাভ লাইক ব্যাজারস ইন আ বুশ, লাইক দেয়ারস নো টুমরো!" পিচাশ করিম দৃপ্ত কণ্ঠে বলতে থাকেন। "জার্মান সোলজাররা হলোকাস্ট ভিক্টিমদের সাথে প্রেম করেছে, ইংরেজ প্ল্যান্টার চা বাগানের কামিনের সাথে শুয়েছে, হোয়াই শুডন্ট আই বি ডুয়িং দ্য সেইম ওল্ড থিং? ইফ সামথিং ওয়ার্কস, আই স্টিক টু ইট। ইটস দ্য ঔনলি মানবিক নেরেইটিভ, বেইব। বিলিভ মি, দ্য ঔনলি ওয়ান।"

মেয়েটা চুপ করে শোনে তাঁর কথা।

"বাট ডোন্ট গেট মি রং। কলোনিয়াল লাভ মেকিং আমার উদ্দেশ্য নয়। প্যাট্রিয়ার্কাল লাভ মেকিংও নয়। এরা সব পচা। এদের মধ্যে কোনো গুণগত পার্থক্য নেই। বাট লেটস মেইক সাম ডিফরেন্স। লেটস গেট আউট অব দিস হোল বুলশিট, অ্যান্ড স্টার্ট এক্সপ্লোরিং। চলো দেখি, নতুন কোনো রোল আমরা খুঁজে পাই কি না। দেখি কোনো রোল দানা বাঁধতে পারে কি না।"

মেয়েটা হাতের গেলাসে ছোট্টো চুমুক দেয়, পিচাশ করিমের ডাবল জিম বিম চলে আসে গেলাসে বরফ ডুবিয়ে।

"না, সোভিয়েত আমলের ভালগার সোশ্যালিস্ট রিয়্যালিস্ট এক্সপেরিমেন্ট আমি করতে চাই না। বাট লেটস হ্যাভ আ ডিফরেন্ট লুক অ্যাট দ্য টেক্সট অব ফরনিকেশন।" গেলাসে ঢক ঢক করে চুমুক মারেন পিচাশ। "এই টেক্সটের একজন পাঠক হিসেবে এর কোন অ্যাসপেক্টগুলোকে গুরুত্ব দেয়া উচিত, আর কোন অ্যাসপেক্টগুলোকে গুরুত্ব দেয়া উচিত না, সেটাই আমার কাছে মূল্য বহন করে। বাকি সবকিছু বল্ডারড্যাশ। এই যে লোকজন বার থেকে মেয়ে তুলে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে, কিংবা গেস্ট হাউসে, তারপর একসঙ্গে শুচ্ছে, এর মধ্যে টেক্সটটা কোথায়? এটা কোথায়, এর ভিত্তি কোথায়? এর টেকনিক্যাল ট্রিটমেন্টগুলো কোথায়, এসথেটিক ট্রিটমেন্টগুলি, টেক্সচুয়াল ট্রিটমেন্টটা কোথায়? কোথায়? কোথায়? কোথায়?"

মেয়েটা একটু ঝুঁকে আসে সামনে।

"হ্যাঁ, আমি বুঝতে পারছি, তুমি বোভোয়ার সেকেন্ড সেক্সের প্রসঙ্গ টেনে আনবে।" পিশাচ হাতের গেলাসটা নামিয়ে রাখেন কাউন্টারে। "কিন্তু আমি মনে করি না, ইটস গোয়িং টু বি আ সেক্সিস্ট রিলেশনশিপ। ইট উইল বি অ্যান ইন্টেলোবায়োলজিক্যাল জেনিটোসেরেব্রাল রিলেশনশিপ টোটালি ডিকাপল্ড ফ্রম সেক্স, ইভেন জেন্ডার, ইফ ইউ ওয়ান্ট টু টেইক ইট দ্যাট ফার। সেক্স হচ্ছে, যখন সেক্সকে নির্মাণ করা হয় সোশ্যালি, পলিটিক্যালি, সেক্স তখনই প্রাসঙ্গিকতা পায়। যেমন ধরো, একাত্তর সালে পশ্চিম পাকিস্তানিরা যখন আমাদের মেয়েদের চুদেছে, তারা কিন্তু এটাকে সেক্সের ফ্রেমওয়ার্কে ব্যাখ্যা করে করেনি। আমি জাস্ট সেক্সিজম কথাটাকে এরকম বোরাটের বৌয়ের মতো ঢিলাঢালা লুজভাবে ব্যবহার করতে চাচ্ছি না। ইজ দ্যাট ওকে? ইজ দ্যাট ক্লিয়ার? ইন ফ্যাক্ট, আমি সেক্স কথাটাই ব্যবহার করতে চাচ্ছি না, কারণ সেক্স কথাটা একটা ইয়েলো সাবমেরিন, একটা লুসি ইন দ্য স্কাই উইথ ডায়মন্ডস, একটা কোয়াজাই-সায়েন্টিফিক মিস্টেকেন ক্যাটাগরি, যেটাকে সবুজ বাঘ বলেছেন, একটা ভ্রান্ত ধারমা। এগুলো সিরিয়াস টার্ম, এদের প্রত্যেকের পেছনে একটা বৈজ্ঞানিক ইতিহাস আছে, সো বি কেয়ারফুল, বি ভেরি কেয়ারফুল, অ্যান্ড গিম্মি হোপ বিফোর দ্য মর্নিং কামস।"

মেয়েটা চুপ করে থাকে।

পিচাশ করিম গেলাস তুলে চোঁ চোঁ করে শেষ করে ফ্যালেন তার আধেয়, তারপর কাউন্টারে সজোরে ঠক করে রাখেন।

আর তখনই চারদিক আবারও অশ্লীল আলোয় ভরিয়ে ফিরে আসে শহরের বিদ্যুৎ। আবছায়াটা ফুরিয়ে যায় চোখের পলকে, সেইসাথে হারায় রহস্য, হারায় গোপনীয়তা, হারায় মৃগয়ায়র ক্রীড়ামোদ।

বিদ্যুতের আলোয় পিচাশ করিম দেখতে পান, সামনে বসে একটি পরিচিত মুখ। কাঁধ ভর্তি এলোচুল, পরনে টিশার্ট আর থ্রি কোয়ার্টার্স। কিন্তু কোথায় যেন একটা গড়বড় আছে।

পরিচিত চেহারাটা হাসে। মিটিমিটি।

পিচাশ করিম অস্ফূটে বলে ওঠেন, "দোরা কাউয়া!"

প্রিন্স-কাট দাঁড়িগোঁফের ভেতর দিয়ে কবি ঢ়ৈষূ ঢালী হাসে।

পিচাশ নিজেকে অপ্রস্তুত হতে দেন না। হাত বাড়িয়ে ঢ়ৈষূর ঊরুতে হালকা চাপড় দিয়ে তিনি বলেন, "নেভার মাইন্ড, ডিসকার্সিভ আলোচনা করলাম একটু। উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার জন্য দুঃখিত, ওল্ড চ্যাপ।"

ঢালী কবি মধুর হেসে মধুরতর কটাক্ষ হেনে বলে, "না, না, না ... আপনি রেগুলার এরকম উত্তেজিত হবেন! এইটাতো খারাপ কিছু না!"

[প্লটকৃতজ্ঞতা: সাফি]


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
ওরে মইরা যামু গা!!! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কাইলকা (মানে আইজকা) এক্ষান আস্তা সেমিনার। এইসব পড়মু কখন! আপ্নেরা দেশ ও জাতির সঙ্গে আমারেও ধ্বংস করলেন!!!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রু (অতিথি) এর ছবি

ওরে বাবা, এটা আবার কোন ডিসকোর্স!! কারেন্ট আসার পর জোরে হেসে দিয়েছি, গল্প হিসাবে যদিও খুব একটা ভালো লাগেনি।

কৌস্তুভ এর ছবি

করিমের ডিসকোর্স বৃথা যাওয়াতে পৈশাচিক আনন্দ পেলাম!

দিফিও-1 এর ছবি

শেষটা এট্টু এট্টু বোঝা যাইতেছিল হাসি

হিমু এর ছবি

আমি আপনি বুঝলে কী হবে, পিচাশুদা কিছুই বুঝতে পারে নাই !

তারাপ কোয়াস এর ছবি

ফাকমিদুলের উচিত পিচাশ করিমকে বাপ বলে বুকে জড়িয়ে ধরা! গ্যাংস্ অফ মেহরযৌন এ ওমর ফারুক অনুপস্থিত!! এত্ত সুন্দর কোয়াজাই-সায়েন্টিফিক' আলোচনায় গ্রাণ্ড ন্যারেটিভ, ডিসকোর্স সসের সাথে রিকনসিলিয়েশন এর মত গুরুত্বপূর্ণ চাটনী বাদ পড়লে চলে?


love the life you live. live the life you love.

হিমু এর ছবি

হে হে হে, আপনারা যে কী না, খালি উল্টাপাল্টা আব্দার ... আচ্ছা বলছেন যখন, লিখবো নাহয় ... কিন্তু এগুলো কিন্তু একদম ঠিক্না!

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হা হা হা... গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ওরা সুখের লাগি চাহে ফ্রেম, সুখ মেলে না, ফ্রেম মিলে না

রোকসানা রশীদ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
দেশের শিক্ষকশ্রেনী তো ক্ষেপে উঠসে দেখি!!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হে হে হে, রহস্যময় আলোতে কাঁধভর্তি এলোচুলের নাইকার আগমনই আমার ময়লা মনে দোরা কাউয়া কা কা ডাক দিয়ে যাচ্ছিলো...!

দ্দীণূ কান্দে, হাফু কান্দে, কান্দে ভ্যাব্দা ঢ়ইষূ
সেই কান্দোনে যোগ দিলো CO2 পিচাশু।

হাসিব এর ছবি

হেহ, হেহ হেহ . এরা অচিরাত ব্লগ নিষিদ্ধ করার আন্দোলনের ডাক দেবে।

হিমু এর ছবি

গুল্টেবিল রিপাবলিক আসিতেছে!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হো হো হো

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অমিত এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

 পিচাশ করিম এর ছবি

আমাকে নিয়ে লেখাটা পড়লাম,ইটস ফুল অব ডগশিট, " ওইভাবে দানা বাঁধে নি.."
উৎপাদন সম্পর্কে আপনাদের অবস্থানটি কোথায়? আমাকে দেখে শিখুন কিভাবে উৎপাদন করতে হয় , আমি একাত্তরে বেঁচে ছিলাম,উৎপাদন সম্পর্কিত জ্ঞান তখনি অর্জন করেছি,আমি অশিক্ষিত,জাতীয়তাবাদীদের মত সবকিছু সাদাকালোতে ভাগ না করে তখন থেকেই ধূসর অংশ নিয়ে কাজ করছি..।
আপনারা খুব সচেতনভাবে যে অপচেষ্টাটা করছেন–আপনাদের মুখের টার্মগুলো আমার মুখে চাপিয়ে দিতে, আমি এটার বিরোধিতা করছি। আপনাদের তো ভাবার দরকার নেই যে আপনারাই এখানে একমাত্র বুদ্ধিমান লোক, পড়াশোনা জানা লোক–তা তো নয়,আমারও ম্যালা জ্ঞান। আমি জাস্ট রেইসিজম কথাটাকে অত আলগাভাবে ব্যবহার করতে চাচ্ছি না বলে আমাকে নিয়ে যা তা বলছেন। আমি আপনাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে এই শব্দগুলোকে আলগাভাবে ব্যবহার করবেন না,স্পেশালি প্রিয় পাকি ভাইদের নিয়ে। এগুলো সিরিয়াস টার্ম, এর পেছনে একটা বৈজ্ঞানিক ইতিহাস আছে…
আর জিম বিম, ডাবল, অন দ্য রকস- মোটেই আমার প্রিয় পানীয় নয়,শিকারে গেলে আমার প্রিয় পানীয় হলো ভোদকা মার্টিনি শেইকেন নট স্টিয়ারর্ড ,ইয়ান ফ্লেমিং এর নায়কের মতো,ইয়ান ফ্লেমিং কে জানেন তো,একটু পড়াশোনা শুরু করেন,জানবেন ..

হিমু এর ছবি

এত সরলভাবে নেরেইট করলে তো চলবে না। কোয়াজাই-সায়েন্টিফিক কিছু ব্যাপার থাকতে হবে। পিচাশু হিসেবে আপনি শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ।

goribmanush এর ছবি

পিচাশ করিম , রিভার্স এলার্ট!

সাফি এর ছবি

একটা 'উটকো মন্তব্য' করে গেলুম

স্পর্শ এর ছবি

প্রথমে ভাবলাম পিশাচকে পিচাশ লিখলেন কেন। একটু পরে নানান ডিস্কোর্স শুরু হইতেই সব ক্লিয়ার হইলো। গড়াগড়ি দিয়া হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অবাঞ্ছিত এর ছবি

হাহাপগে

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

অপছন্দনীয় এর ছবি

ইন্টেলোবায়োলজিক্যাল জেনিটোসেরেব্রাল রিলেশনশিপ

গড়াগড়ি দিয়া হাসি মন্তব্য করার কিচ্ছু নেই গড়াগড়ি দিয়া হাসি

রু (অতিথি)  এর ছবি

অজ্ঞতার কারনে খুব সম্ভবত আসল ঘটনা বুঝতে পারি নাই। এই লোক সম্পর্কে কীভাবে জানা যায়?

হিমু এর ছবি

জানার কোনো শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই

রু (অতিথি)  এর ছবি

আপনি যতটুকু জানেন অতটুকুই নাহয় জানাতেন। কোন জবরদস্তি নাই অবশ্য।

দময়ন্তী এর ছবি

এই প্রথম 'ঢ়' দিয়ে কোন নাম শুরু হতে দেখলাম অ্যাঁ

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বঢ়ই বিস্ময়কঢ় এই ঢ়ৈষূ হাসি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।