শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে গণমাধ্যমের একাংশের প্রতিক্রিয়া ও আচরণ বুঝতে গেলে আরেকটু পেছনে যেতে হবে আমাদের। একাধিক বিবেচনায় দেশ পেছন দিকে হাঁটছে, সে যাত্রায় ক্ষণিকের জন্যে সঙ্গী হলাম নাহয় আমরাও।
'তৃতীয় শক্তি'র ব্যাপারে গণমাধ্যমের একাংশের উচ্চাশাসঞ্জাত প্রশ্রয় শাহবাগ আন্দোলনের ব্যাপারে এর প্রতিক্রিয়া বা আচরণকে বহুলাংশে ব্যাখ্যা করতে পারে। কাদের মোল্লার রায়ের আগে মতিঝিলে পুলিশের মৌন সম্মতিতে আয়োজিত শোডাউনে জামায়াতের পাণ্ডাদের প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারার্থে গঠিত ট্রাইব্যুনালকে দেওয়া হুমকি আর কাদের মোল্লার অপরাধের সঙ্গে বেমানান সাজা ও সাজা পরবর্তী বিজয়চিহ্ন প্রদর্শন, এ দুটিই প্রকৃতপক্ষে শাহবাগে মানুষকে সমাগত হতে উৎসাহিত করেছে। কিন্তু প্রথম দিনের জড়ো হওয়া বিচ্ছিন্ন কিছু তরুণ-তরুণীর ভিড় যে শ্রেণী-পেশা-লিঙ্গ-বয়স নির্বিশেষে মানুষকে শাহবাগে ডেকে আনতে পারবে, তা সম্ভবত সবার হিসাবে ছিলো না। ঐ ভিড়টুকু হঠাৎ একটি মিশ্র বার্তা দিয়েছে মানুষ ও মিডিয়ার কাছে। আরাধ্য যে তৃতীয় শক্তি নিয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূসের নোবেলজয়ের পর দৈনিক প্রথম আলোর নেতৃত্বে আরো কিছু পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মাধ্যম নিরলস প্রচার চালিয়েছে, এ ধারণাটিকে "খাওয়াতে" চেয়েছে মানুষকে, সেই তৃতীয় শক্তির কল্পিত ছবিটিকে মাড়িয়ে দলে মুচড়ে একাকার করে এক ভিন্ন তৃতীয় শক্তি শাহবাগে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে। এ যেন মঞ্চে বাঘের ছাল গায়ে অভিনেতার বদলে সুন্দরবনের বাঘেরই উপস্থিতি। অনভিজ্ঞের কাছে, ভুক্তভোগীর কাছে, বহুলপ্রত্যাশীর কাছে, রূপমুগ্ধের কাছে, বা ধান্দাবাজের কাছে বাঘছালে ঢাকা মানুষ আর আসল বাঘের মধ্যে পার্থক্য না-ও থাকতে পারে, কিন্তু সে বাঘ যার মুখোমুখি হবে, সে জানে, পার্থক্য কোথায়।
তাই শাহবাগ নিয়ে মিডিয়ার উদ্বেগও যথেষ্ট স্পষ্টই ছিলো।
দৈনিক প্রথম আলোসহ কিছু ব্যক্তিমালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল প্রথম কিছুদিন চেষ্টা করেছে, শাহবাগের বাঘটির মুখে নিজেদের কথা বায়ুস্বননের। মাহবুব রশীদ বা ফারুক গুয়েবাড়ার মতো উটকো লোকজনকে তাই আমরা শাহবাগের প্রতিনিধি হিসেবে পত্রিকা ও টিভিতে প্রলাপ বকতে দেখেছি। কিন্তু এরা সময়ের সঙ্গে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যদি তলস্তয়ের সুখী পরিবারের মতো হয়, মিডিয়ার আঁকা 'তৃতীয় শক্তি' মূলত অসুখী পরিবারের একটি জোট, কিংবা সুখী পরিবারের ঘরছাড়া অসুখী ছেলেমেয়েদের সমাবেশ। ঝানু ব্যবসায়ী ইউনূস যখন রাজনীতিকে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কায়দায় চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে রাজনীতির ময়দান থেকে সটকে পড়লেন, তার সঙ্গে তাল দিয়ে হুক্কাৎকার তোলা প্রথম ও দ্বিতীয় সারির অসুখীরা সমস্যায় পড়েন। একদিকে দলের রুষ্ট লোক, অন্যদিকে বিমুখ হাঁটুবাহিনীর চাপে পড়ে তারা উপলব্ধি করেন, গাছে অনেকদূর চড়ার পর মইবাহীরা নীরবে মই গুটিয়ে বাড়ি চলে গেছে। রাজনীতির ফুটবলে ইনজুরি-আক্রান্ত এই বিপন্ন খেলুড়েদের পরবর্তীতে রাজনীতির পটপরিবর্তনের পর একটি সম্মানজনক লুঙ্গি প্রয়োজন ছিলো ঝড়-ঝঞ্ঝায় লাল হয়ে থাকা পাছা একটু আবৃত করার জন্যে। মইবাহী মিডিয়ামোগলের সভারত্ন মানসিংহেরা, যাদের সংক্ষেপে মই-মানসিংহ ডাকা যায়, অকাল মইচুরির কথা স্মরণ করে এ লুঙ্গি তাদের সরবরাহ করেন। লুঙ্গিটিতে প্রাকৃতিক হলুদের ওপর দহনের পোড়া কালিতে 'তৃতীয় শক্তি' লেখা আছে।
টিভিতে রাতের টক শো ও পত্রিকার উপসম্পাদকীয় পাতায় মিডিয়ার এই হালুমরূপী পোষ্য ম্যাওয়ের প্রাদুর্ভাব গত পাঁচ বা সাড়ে পাঁচ বছর ধরেই দৃশ্যমান। নিতম্বে হাই কমাণ্ডের সুখতলার সাথে বিস্ময়কর সাদৃশ্যপূর্ণ নকশার কালসিটে নিয়ে বিভিন্ন সভা সেমিনারে সুখী পরিবারের অসুখী ভাগ্নে-ভাতিজারা দুই দলকেই সশব্দ সমান চিহ্ন দিয়ে যুক্ত করে অনেক গরম গরম কথা বলেন। সেখানে লীগভাবাপন্ন মাহমুদুর রহমান মান্না, বিম্পিভাবাপন্ন মুহম্মদ জাহাঙ্গীর বা জামাতভাবাপন্ন আসিফ নজরুল নয়নমনোহর ঘনিষ্টতা নিয়ে পাশাপাশি বসেন, নানা কথা বলেন। রাস্তায় বড় গর্তের জন্যে স্বীয় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় আনমনা হয়ে থাকা চামচিকারা হাতিদের সমালোচনা করছে, এর বাইরে এই তৃতীয় শক্তির কোনো মুখ্য, সর্বজনগ্রাহ্য কার্যক্রম বা আবেদন মানুষের চোখে পড়েনি। এমন কোনো ডাক তারা গত পাঁচ বা সাড়ে পাঁচ বছরে দিতে পারেননি, যা মানুষকে তাদের পাশে উপস্থিত করতে পারবে। ময়দানের ময়দানব হয়ে নয়, বরং মিডিয়ার মিডিয়াম আঁচের বারবিকিউ খাসি হয়ে তারা জাহান্নামের আগুন থেকে নিরাপদ দূরত্বে ঘূর্ণায়মান অক্ষে ঘুরপাক খেয়ে পুষ্পের হাসি হেসে গিয়েছেন।
কিন্তু রাজনীতি শেষ পর্যন্ত ময়দানেরই ব্যাপার। অন্তত, এখন পর্যন্ত।
আর এখানেই শাহবাগ চড় মেরেছে তৃতীয় শক্তির পাইকারদের গালে। শাহবাগ জেগে উঠেছে বিকল্প মাধ্যমে সংক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষের নেতৃত্ববিহীন আবাহনে। এবং স্বল্প সময়ের মাঝে এক বিপুল কলেবর নিয়ে সগর্জনে সে তার চরিত্র স্পষ্ট করেছে, যা মিডিয়ার মই-মানসিংহদের আকাঙ্খিত রূপটি থেকে ভিন্ন।
শাহবাগের শক্তির দিকটি কেবল তার সংখ্যায় নয়, বরং উপাদানে। শাহবাগে সমাজের প্রায় প্রতিটি প্রস্থচ্ছেদের মানুষ এসে যোগ দিয়েছেন বলেই সেটি অশ্রুত বাঘের মতো আচমকা এসে গর্জন করে ছোট্টো বাংলাদেশ হিসেবে নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে পেরেছে। বাংলাদেশের ওপর সারির প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই সামর্থ্য আছে নিজেদের কর্মীদের বিপুল সংখ্যায় সমাবিষ্ট করার। কিন্তু শাহবাগ ভিন্ন তার স্বতস্ফূর্ততায়, তার সংযুক্তির প্রকৃতিতে, তার প্রাণভ্রমরটির দীর্ঘায়ুর কারণে।
আর তাই শাহবাগকে জাগরিত রাখার কাজটি নিজের কাঁধে তুলে নেয়া নারীরা শুরু থেকেই আক্রান্ত। কারণ বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক সমাবেশের চেয়ে শাহবাগ ভিন্ন নারীদের মুখ্য অংশগ্রহণের কারণেই। এই নেতৃত্ব কেবল মঞ্চে মাইক হাতে স্লোগানেই নয়, এই নেতৃত্ব টুকরো টুকরো করে হাতে নিয়েছেন তাঁরা। ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে যখন শাহবাগে হামলা হলো, ফুলের দোকান থেকে লাঠি নিয়ে তাই অসমসাহসিনী নারীরা শাড়ি কোমরে বেঁধে পাল্টা প্রতিরোধ গড়েছেন। এই নারীরা সংরক্ষিত মহিলা আসনের ঘাড়েগর্দানে সংসদ সদস্যা নন, নিরীহ গৃহিণী আর কোমলস্বভাবা ছাত্রী।
আক্রমণ তাই শুরু হয়েছে একদম শুরু থেকেই, নারীদের লক্ষ্য করে। জামায়াতের সমর্থক ব্লগ, ফেসবুক পেজ ও মিডিয়া শাহবাগে উপস্থিত নারীদের নিয়ে যথেচ্ছ গুজব ছড়িয়েছে। ফটোশপ নামের সফটওয়্যারটি তারা যে উৎসাহে ব্যবহার করেছে, শাহবাগের ছেলেমেয়েরা একই উৎসাহে গুগলের ইমেজ সার্চের মাধ্যমে তাদের সকল নোংরামি উন্মোচন করে দেখিয়েছে।
শাহবাগে নারীরা তাই এখন সরাসরি আক্রান্ত হচ্ছেন কুলীন দৈনিকের কুলীনতর সাহিত্যপাতায়। দৈনিক প্রথম আলো তার সাহিত্য পাতায় গতকাল প্রকাশ করেছে তৃতীয় শ্রেণীর সাহিত্যকর্মের জন্যে প্রথম শ্রেণীর পুরস্কারপ্রাপ্ত আমলা হাসনাত আবদুল হাই ও প্রথম আলোর নিজস্ব পুরস্কারপ্রাপ্ত অদিতি ফাল্গুনীর দুটি লেখা। পাশাপাশি প্রকাশিত এই দুটি লেখার কাঠামো ও বক্তব্যে বিস্ময়কর মিল রয়েছে, এবং দুটিতেই শাহবাগের সমাগতা তরুণীদের উপস্থাপন করা হয়েছে "মফস্বল" এর "ব্যবহৃতা" মানুষ হিসেবে, যারা রাজনীতির বোর্ডগেমে কিছুটা ঊনমানের গুটি। গল্প দুটিতে তাদের পরিণতি যথাক্রমে স্বেচ্ছায় সম্ভুক্ত ও ধর্ষিত হওয়া। এই সম্ভোগ ও ধর্ষণ করে আবার একটি রহস্যময় রাজনৈতিক পক্ষের লোক, যাদের সঙ্গে ঘুরেফিরে শাহবাগে আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোরই সাদৃশ্য চোখে পড়ে। মফস্বলের মেয়েদের ঢাকায় গিয়ে রাজনীতিকদের শয্যাশায়িনী বা শিকার হওয়ার এই গল্পগুলো পূর্বে বর্ণিত জামাতি পত্রিকা ও ফেসবুক পেজের কদর্য ছবিগুলোর লৈখিক রূপমাত্র। মফস্বলের যে বিপুল সংখ্যক মানুষ দৈনিক প্রথম আলোর পাঠক, তারা অনেকেই আমার দেশ বা বাঁশের কেল্লার সাবস্ক্রাইবার নন, পত্রিকার মার্কেটিং কৌশল, রাজনৈতিক রুচি বা প্রযুক্তিগত কারণে তারা শাহবাগ নিয়ে জামায়াতের কদর্য প্রোপাগাণ্ডার প্রকোপের বাইরে হয়তো অবস্থান করছিলেন, এবার এ গল্প, এবং এ গল্পের মাধ্যমে একটি বিকৃত সন্দেহ তাদের কাছে পৌঁছে গেলো দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাহিত্যপাতার বিভাগীয় সম্পাদক সাজ্জাদ শরীসৃপের কল্যাণে। এ গল্পের চরিত্র তাদের মফস্বলেরই কোনো তেজস্বিনী, যে রাজধানীতে গিয়ে "বরবাদ" হয়ে যাচ্ছে। এই পয়মাল হওয়া মফস্বলের রক্ষণশীল সমাজের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায়েই, অর্থাৎ নাভির নিচে নষ্ট হওয়া। এর অভিঘাত কতদূর, তা পরে বোঝা যাবে, এখন অনুমান করা বা করানো আমার অভিপ্রায় নয়।
এখানে স্মর্তব্য, মেহেরজান নামের একটি গুহ্যদ্বার থেকে টেনে বার করা স্ক্রিপ্টে ঘূর্ণায়িত অখাদ্য বটতলার সিনেমা নিয়ে প্রথম আলোতে অনেক রথী লেখক কীবোর্ড কলম ক্ষয় করেছিলেন। হাসান ফেরদৌস নামে এক পাছাভারি বিজ্ঞ কেষ্টুবিষ্টু নিজের গুহ্যদ্বার থেকে একাত্তরের ধর্ষিতা নারীদের মেহেরজানে উপস্থাপনকে "নারীর কামজ প্রয়োজন" এর দৃশ্যায়নের থিওরি বের করে কলাম চুদিয়েছিলেন, ফারুক গুয়েবাড়া তার মৌসুমী বিপ্লবদগ্ধ রেক্টাম থেকে বার করে ফেঁদেছিলেন "রিকনসিলিয়েশন" তত্ত্ব। কিন্তু যখন শাহবাগের নারীদের মফস্বলের পাঠকের চোখে লয়ের পথে যাত্রী হিসেবে আঁকার প্রয়োজন হয়, তখন "নারীর কামজ প্রয়োজন"-এর অস্তিত্ব বিস্মৃত হন সাহিত্যপাতার কেরানী ও দারোয়ানবৃন্দ। শাহবাগের নারীদের কল্পিত যৌনতার বর্ণনা তাই অতি অবশ্যই অনিচ্ছাসম্ভোগ বা ধর্ষণমুখী, যা মফস্বলের চোখে ঘৃণার্হ ও পরিত্যাজ্য। মেহেরজানে একাত্তরের নারীরা যেখানে পাকিস্তানী সেনার প্রেমপুষ্করিণীতে সীসার গোলকের মতো নিমজ্জিত হয়, হাসনাত আবদুল হাই বা অদিতি ফাল্গুনীর গল্পে শাহবাগের নারীরা সম্ভুক্তা বা ধর্ষিতা হয় তাদেরই সহযোদ্ধাদের হাতে। তাহরির স্কোয়্যারে অসভ্য মিশরীয়রা যেখানে সহস্রাধিক ধর্ষণের অন্ধকার উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করেছে, শাহবাগে তার অনুপস্থিতি মোচনের দায়িত্ব তুলে নেয় দৈনিক প্রথম আলোর সাহিত্যপাতা। যা খবরের পাতায় তারা আনতে পারেনি, তা তারা নোংরা গ্রাফিতির মতো আঁকে সাহিত্যপাতায়।
আরও বিচিত্র, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া সাঈদী রাজাকারের ফোনালাপে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার যে মফস্বলবাসিনী তরুণীটি "দাদু" সম্বোধন করে সাঈদীর সঙ্গে কথামৈথুন চালিয়ে যাচ্ছে, বা প্রবাসী জামায়াত কর্মীর যে মফস্বলবাসিনী স্ত্রী সাঈদীর সঙ্গে সূক্ষ্ম যৌন ইঙ্গিতবহ আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, সমাজের সে নারীদের নিয়ে গল্পকারদ্বয় বা সম্পাদক-পাতিসম্পাদকের তেমন কোনো আগ্রহ নেই। রাজনীতি ও মফস্বলের তরুণী-যুবতীদের রাজনীতিকদের হাতে ব্যবহৃত হওয়ার উদাহরণটি কেবল শাহবাগের নারীদের দিয়েই চরিতার্থ করার ব্যাপারে এই বাটপারচতুষ্টয়ের সকল আগ্রহ নিহিত। অবশ্য, সেরকম গল্পকেও আমরা স্বাগত জানাবো বলে মনে করি না।
পাঠকের সশব্দ প্রতিক্রিয়ার মুখে পিছু হটে মতিউর রহমান আজ হাসনাত আবদুল হাইয়ের বিষ্ঠার গন্ধমাখা লেখাটি প্রত্যাহার করেছে নিজেদের অনলাইন আর্কাইভ থেকে। অদিতি ফাল্গুনীর মলখণ্ডটি বহাল তবিয়তে আছে। দুটি গল্পই বিপুল সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছে, সে বিষটুকু যে প্রত্যাহার করা যায় না, তা মতিউর রহমান ভালো করেই জানে।
প্রথম আলোর সাহিত্য পাতার এই ছোটলোকামি অবশ্য নতুন নয়। রাজু আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রীকে আক্রমণ করে সাহিত্যপাতায় অপাঙক্তেয় একটি রচনার কারণে আলিম আজিজ নামে একজন কর্মীকে তারা অতীতে বহিষ্কারও করেছে। হয়তো এবারও তারা কোনো বলির পাঁঠা খুঁজে বার করবে। নিরাপদে রয়ে যাবে সাজ্জাদ শরীসৃপ নামে সাহিত্যপাতার মাসীটি, এ কথা অবশ্য অনায়াসানুমেয়।
শাহবাগ থেকে নারীদের হাতে মেরে দূর করা না করা গেলে, জাতে মেরে বের করার চেষ্টায় মরিয়া দৈনিক প্রথম আলো কী চায়, তা নিয়ে নানা অনুমান রয়েছে। শাহবাগ থেকে উচ্চারিত ইসলামী ব্যাঙ্ক বর্জনের দাবি মই-মানসিংহদের সরাসরি লাভবান করেছে, বিডিনিউজ২৪.কম বাদে সকল পত্রিকাই ইসলামী ব্যাঙ্কের বিজ্ঞাপনশিশ্নটিকে সাদরে লুঙ্গি তুলে নিজেদের পেছনে গুঁজে নিয়েছে। কিন্তু চলমান অনেক গুজবের একটি হচ্ছে, শাহবাগকে "সমর্থন" দেওয়ার কারণে প্রথম আলোর সার্কুলেশন নাকি হ্রাস পেয়েছে। আবার 'আমার দেশ' বন্ধের মুখে পড়ায় এর মার্কেট শেয়ারের একাংশ নাকি প্রথম আলো হস্তগত করতে চায়। মতিউর রহমান নাকি পানি কতোটুকু ঠাণ্ডা, তা মাপতেই হাসনাত আবদুল হাই আর অদিতি ফাল্গুনীর মতো খরচের খাতায় রাখা বটতলার সাহিত্যিকদের ওপর দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছে। পরিস্থিতি খারাপ দেখলে আলপিন সম্পাদক সুমন্ত আসলাম, আলপিন কার্টুনিস্ট আরিফ বা সাহিত্যপাতাকর্মী আলিম আজিজের মতো কেউ চাকরি খোয়াবে, বা হাই-ফাল্গুনীকে প্রথম আলোতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে, এ-ই তো।
শাহবাগে নারীদের অংশগ্রহণ কমে গেলে বা দূর হলে শাহবাগকে আর দশটি রাজনৈতিক দলের মামুলি সমাবেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কাজটি সহজ হয়। হঠাৎ শাহবাগের চরিত্র বদলে গেলে মনস্তাত্ত্বিক চাপের ব্যাপার তো রয়েছেই। অমিতবল শিমশোন যখন নিদ্রিত ছিলো, তার প্রেমাস্পদা দেলাইলাই কিন্তু শিমশোনের শক্তির উৎস লম্বা চুল কেটে নিয়েছিলো। শাহবাগের নারীরাও যেন শিমশোনের দীর্ঘকেশের মতোই এ আন্দোলনের গোপন বলকেন্দ্র। 'তৃতীয় শক্তি'র প্রস্তাবকরা জানে, শাহবাগকে শুধু দুর্বল করলে হবে না, তাকে করতে হবে অগ্রহণযোগ্য ও পঙ্গু, যাতে প্রকৃতপক্ষেই সাধারণ মানুষের আকাঙ্খার উপস্থাপনের জন্যে কেউ আর মাঠে না থাকে, বলখেলাটি ফিরে যায় সুখী পরিবারের সুখী সদস্যদের পায়ে।
পরিশেষ, ক্ষমা প্রার্থনার পালা। গতকাল হাইয়ের লেখাটি পড়ে টয়লেটে সশব্দে প্রস্রাব করতে করতে এক সম্পাদক ও এক সাহিত্যপাতার বিভাগীয় সম্পাদককে যথাক্রমে কুত্তার বাচ্চা ও খানকির ছেলে বলে বিড়বিড় করে গালি দিচ্ছিলাম। আজ দেখলাম মতিউর রহমান ক্ষমা চেয়ে হাইয়ের লেখা প্রত্যাহার করেছে। সেখানে সে লিখেছে, ২৯০১ শব্দবিশিষ্ট হাইয়ের রচনাটি নাকি তারা "অসাবধানতাবশত" প্রকাশ করেছে ও পাঠকের কাছে সে কারণে ক্ষমা চেয়েছে। আমার ক্ষোভ তাই প্রশমিত হয়েছে। আমিও অনবধানতাবশত গালি দেওয়ার কারণে আমার টয়লেটে প্রস্রাবের ফেনার কাছে ক্ষমা চেয়ে গালি দুটি প্রত্যাহার করে নিলাম।
মন্তব্য
----------------------------------------------------------------
বন পাহাড় আর সমুদ্র আমাকে হাতছানি দেয়
নিস্তব্ধ-গভীর রাতে এতোদূর থেকেও শুনি ইছামতীর মায়াডাক
খুঁজে ফিরি জিপসি বেদুইন আর সাঁওতালদের যাযাবর জীবন...
www.facebook.com/abdulgaffar.rony
পুরাই আইক্কাওয়ালা ব্যাম্বু..
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সাহিত্যপাতা এখন দেখে জাফর আহমেদ রাশেদ। একটু ভেরিফাই করতে পারেন।
দুর্দান্ত, ভাই। পুরা লেখাটাই ইঙ্গিতবাহী এবং দুর্দান্ত।
আমার সবচেয়ে মজা লেগেছে "অসাবধানতাবশত" শব্দটা।আচ্ছা, এরা আমাদের কি ভাবে? ওদের মতো আবাল? অবশ্য আলুর ফান পেজের মালগুলান ওই কিসিমেরই। মতিচুরের দুঃখ দেখে আবার কমেন্ট করে "স্বস্তি পেলাম" !!!!!!!!!!
খাইছে আমারে এরোম বেদীন লেহা কেমনে পয়দা করলেন!
মতি লইয়া শুরু কইরা একদম সুদী ব্যবসায়ী পর্যন্ত!
এ তো মদিনা সনদে সাপোর্ট করতো না
একটা প্রশ্নঃ শাহবাগ কি চতুর্থ শক্তি? না হলে আমাদের আপা কেন শেষমেশ এসে এসব বন্ধ করতে বলেন? ম্যডাম কেন প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করেন? নোবেলজয়ী স্যার কেন চুপ করে থাকেন এই ব্যাপারে?
যাই হোক, শাহবাগ অবশ্যই একটা চেতনার নাম। ইতিহাসে ৫২, ৬৯, ৭১, ৯০ এর পর ২০১৩।
অসংগঠিত মানুষের সমাবেশ যদি আকারে বড় হয়ে যায় তবে তা বিপদজনক হয়ে যায়। সেই সমাবেশ যদি মোটামুটি একটি বিশেষ লক্ষ্যে স্থির থাকে তবে তা দুর্দমনীয় হয়ে যায়। এই বিপদজনক ও দুর্দমনীয় জনসমাবেশকে এস্টাবলিশমেন্ট সব সময়ই ভয় পায়। তাই তাদের চেষ্টা থাকে যে করেই হোক জনসমাবেশটিকে ভন্ডুল করে দেয়া। শাহ্বাগ হচ্ছে এমনই একটি জনসমাবেশ। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর বৃহদাংশ আর কর্পোরেট দানবরা প্রথম থেকে চেষ্টা করেছে একে গ্রাস করতে।
৬ই ফেব্রুয়ারী যখন টিভি চ্যানেলগুলো সরাসরি সম্প্রচার শুরু করলো তখন সেখানে রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত আর কর্পোরেট চাঁইদেরকে দেখে অথবা পরে ট্রানস্ন্যাশনাল রাক্ষসদের বিলবোর্ডে রাতারাতি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি দেখে স্যাবোটাজের যে আশঙ্কা হয়েছিল সেটা পরবর্তীতে নানা আকারে প্রকারে ফলতে দেখেছি। তবে সাধারণ মানুষ যে পর্যায়ে অংশগ্রহন করেছে তাতে এক সময় এস্টাবলিশমেন্টগুলো কৌশলগত পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হয়। এতে কেউ কেউ উৎফুল্ল হয়ে উঠলেও ঘরপোড়া গরুরা 'হিটিং বিলো দ্য বেল্ট'-এর শঙ্কা করতে থাকে।
হেফাজতের উত্থানে ছুপা এস্টাবলিশমেন্টগুলোর নোংরা চেহারা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, বেল্টের নিচে আক্রমণও প্রবল মাত্রায় শুরু হয়ে যায়। একাত্তরের মতো বিপুল মাত্রায় নারীদের শাহ্বাগ আন্দোলনে অংশগ্রহনকে এরা কখনোই ভালো চোখে দেখেনি। নারীর ওপর আক্রমণের প্রথম নোংরা কৌশল হচ্ছে নোংরা গল্প ছড়ানো। দুই মাস ধরে ব্লগ-ফেসবুক-টুইটার-ইনকিলাব-আমার দেশ-নয়া দিগন্তে সেটা করেও যখন কিছু করা যায়নি তখন হেফাজতীরা সরাসরি নারীর মাথায় লাঠির বাড়িই মেরেছে।
হেফাজতের জিহাদী কার্যক্রম যখন কর্পোরেট স্বার্থে আঘাত হানতে গেল (মানবিকতা, সমাজ-প্রগতির কথা তাদের কাছে ধর্তব্য নয়) তখন এস্টাবলিশমেন্ট হেফাজতের ওপর থেকে তার ছাতাটা একটু সরিয়ে নিল। এই ছাতা সরানোর জন্য হেফাজতের যে রোষ সেটা ভুজপুরে দেখা গেছে। এস্টাবলিশমেন্ট বুঝলো আক্রমণটা এবার একটু অন্য সেক্টর থেকে চালাতে হবে। তাই ওল্ড ফেইথফুলের তলব পড়লো। নারীর অঙ্গ-প্রতঙ্গের বর্ণনা, তাকে দলন-পেষণের রগরগে গল্প ধর্ষকামী পুরুষ পাঠকের খুব পছন্দ। তারা রসিয়ে রসিয়ে এসব পড়বে আবার নারীকেই নোংরা গালি দেবে। ওল্ড ফেইথফুল জানে এভাবে নারীকে মানসিক ভাবে দুর্বল করে ফেলা যাবে, শঙ্কিত করে তোলা যাবে। প্রবল প্রতিবাদের মুখে এই কৌশল কখনো কখনো ফেইল করতে পারে। তবে তাতে অসুবিধা নেই। এই বেহায়াদের কানে ধরে ওঠ-বস করার অভ্যাস আছে। তাই এরা একটু আগাবে, আবার পেছাবে, আবার আক্রমণ করবে।
এই প্রসঙ্গে মাও দে জঙ-এর গেরিলা যুদ্ধের কৌশলের কথা স্মর্তব্য - শত্রু যখন আগায়, আমরা তখন পিছাই। শত্রু যখন আক্রমণ করে, আমরা তাদের হয়রান করি। শত্রু যখন ক্লান্ত হয়, আমরা তাদের আক্রমণ করি।
সুতরাং, এখন বিভিন্ন দিক থেকে বিভিন্ন কায়দায় হয়রান করা আর আক্রমণ করা চলবে। কখনো কখনো তারা একটু পিছু হটবে বটে, তবে সেটা আরো বড় আক্রমণের পূর্বঘোষণা মাত্র।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
লম্বা লাফ দেবার জন্য একটু পিছিয়ে আসা। (ফরাসি প্রবাদ)
অসাধারন বিশ্লেষন ।
বিশ্লেষণ অসাধারণ! লেখাটি ছড়িয়ে পড়ুক............
_____________________
Give Her Freedom!
যথারীতি হিমুসম্ভব লেখা। ক্ষুরধার বিশ্লেষণ, তেজস্বী ভাষা। মতির মতিগতির এরচে’ ভাল বিশ্লেষণ আর হয় না। মিথ্যুকুর রহমানের ‘আমার দেশ’-এর বাজার দখলের পাঁয়তারা হিশেবে জলপরখের জন্যই যে লেখাদু’টি নামান হয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সে কারণেই তড়িঘড়ি করে ক্ষমা প্রার্থনা, নইলে কাছা বেঁধে আত্মরক্ষার চেষ্টা করতেন। শাহবাগ আন্দোলন বাংলাদেশের প্রাণস্পন্দন ধারণ করে, তাই এর প্রতি বাংলাদেশের শত্রুদের এত ক্রোধ। লেখাদু’টি ছাপিয়ে প্রথম আলো শাহবাগের যে ক্ষতি করতে চেয়েছে, তার পরিধি মাপতে আমাদের আরও সময় লাগবে। তবে লাভের মধ্যে লাভ হল, আমরা হাসনাত আবদুল হাই নামের এক লোলি লেখকের ভেতরকার লোলপুরুষের পরিচয় পেলাম। নইলে এঁর ‘নভেরা’, ‘সোয়ালো’ বা ‘আরজ আলী মাতুব্বর’ ইত্যকার রচনা পড়ে কেউ কেউ হয়ত এঁকে সাহিত্যিক ভেবে বসতেন।
(জনান্তিকেঃ আচ্ছা, মানুষ বুড়ো হলে কি এভাবে নষ্ট হয়? অভাবে পড়লে নিজেকে অনেকে ভাঙা হাটে বেচেন বটে, আল মাহমুদ যেমন বেচেছেন, তাবলে এভাবে প্রকাশ্যে জনসমক্ষে লুঙ্গি তুলে নিজের ১% বাগিয়ে ধরতে হবে? পিতৃপ্রদত্ত হাই নামটির প্রতি অবিচার করে আপনি সাহিত্যজগতেই শুধু নয়, উত্তরবার্ধক্য পুরুষের বিকৃত যৌনরুচির ক্ষেত্রেও নতুন লো তৈরি করেছেন। আপনার বিকৃত লোলদৃষ্টি থেকে প্রতিবেশীর কোনও কিশোরী কি নিরাপদ? কিংবা আপনার নিজের নাতনীরা? হায় অর্থ, সকল অনর্থের মূল! মতি তো গল্প ফেরত নিয়ে গেলেন, এখন জামাতীরা পয়সা ফেরত চাইলে কোত্থেকে দেবেন?)
বিষ্ঠারা নিজেদের বিষ্ঠাত্বে ডরাইলে বা লজ্জিত হইলে বিষ্ঠাই হইত না। এরা ডরায় না, নিজেদের বিষ্ঠাগর্বের আত্নতৃপ্তিতে উলটো আরও বেহায়ার মত খ্যাক্ খ্যাক্ করে হাসে।
****************************************
গালি প্রত্যাহার অনুচিত হয়েছে
সাঈদীরে নিয়ে চটি লিখতে মন চায়।
লিখার োভভাশ াসে নাকি???
কসাই মওলানা
বিএনপির কাঁধে বন্দুক রেখে শিকার করে জামাত। পাব্লিকের রাগ যায় বিএনপির ওপর।
আলুরকেল্লায়ও সেইরকম ঘটনা ঘটছে। বুইড়া মতি সম্পাদক কিন্তু নানা কারণে এন্টি বরবাদ। আলুরকেল্লায় বজ্জাত সরীশৃপ গুয়েবাড়া গং বরবাদের মিশন বাস্তবায়নের দায়িত্বে। মতি দিনদিন অথর্ব অক্ষম হচ্ছে। বজ্জাত নিজে আলুরকেল্লার সম্পাদক হতে চান। তা নিয়ে ভিতরে ভিতরে ক্রিয়াকর্ম আছে। মতি মিয়ার কাঁধে বন্দুর রেখে শাহবাগের দিকে গুলি চালিয়েছে বরবাদের খাস গ্রুপ সাজ্জাদ শরীসৃপ ওয়াসিফ গং। হাই শিকদার এখানে কিছুনা, স্রেফ ওয়ান টাইম কন্ডোম। বরবাদের ক্ষমতা আসলে নেক্সটে ক্যু হবে। বরবাদের বাংলাস্তান কায়েম হলে শরীসৃপ ওয়াসিফ গং আলুরকেল্লার সমপাদক হবে।
আলুরকেল্লা ব্যবহার করছে বরবাদ মগবাজারের কর্মচারী বজ্জাত সরীশৃপ গুয়েবাড়া গং। আর পাব্লিকের লাথিঝাটা খাচ্ছে মতি। খুন করছে জামাত, জেল খাটছে বিএনপি।
মতি ভাই সেই অনেক আগে থেকেই একজন ধান্ধাবাজ।চড় দিয়ে মাফ চাইলে কি মাফ করা যায়??না না না !!!
পোকিয়াস_পোকা
সাহিত্য সব ধর্ষণে গিয়ে ঠেকছে কেন?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
facebook
------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।
সকল ধরণের বিতলামির একটা সীমা থাকা উচিত। আমাদের সাহিত্য সম্পাদকেরা সেটা অতিক্রম করে গেছেন অনেক আগেই। আচ্ছা, লেখাটার শব্দ চয়ন, বাক্য গঠন দেখে কারও কি মনে হয়েছে এটা কথিত সাহিত্যিকের?? আমার কিন্তু মনে হয়নি। বরং এই সাহিত্যিক মনে হয় আরও বড় কোন চাল চেলেছেন। হয়ত প্রথম আলোর সাহত্য সম্পাদক উনাকে ফোন করে বলেছেন, স্যার পয়লা বৈশাখ সংখার জন্য একটা লেখা দেন।।।।।।।।।। উনি অপরাগতা জানালেন, আর নাছোড়বান্দা সম্পাদক বললেন, লেখা আমি সংগ্রহ করছি আপনি একটু দেখে দিয়েন।।।। আপনার লেখা না গেলে কি আর ইলশা হজম হয়!
এই ধরণের জটিল প্রেম আমাদের পত্রিকা, পুস্তক প্রকাশন আর মিডিয়া পাড়ায় খুব-ই চলছে। বাজারি এইসব পত্রিকা আর সাহত্যিকদের নিকুচি করি।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
এই লেখাটির ভীষণ দরকার ছিল।
চমৎকার লেখা
কি অনন্য অসাধারণ একটা বিশ্লেষণ পড়লাম!
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
কাঙালের কথা বাসী হলেই ফলে, কাঙালীনির কথাও। মফঃস্বলের তরুনীদের যে কোন একটি মহলে এইভাবে ব্যবহার করা হয়, আমাদের গোলাপী ম্যাডাম বহু আগেই সে কথা ফাঁস করে দিয়েছিলেন ইডেন কলেজের উদাহরন দিয়ে। সুধীজনেরা তখন সে বিষযে তেমন রা করে নাই। এখন মামুদ, ফরাত, হাই, মতি, যদু, মদু, চুদু, বুদু সকলে বুঝিয়া উঠিতেছেন।
ছোট মাছ বড় মাছকে গ্রাস করলে তাকে মাৎসৎসায়ন বল যেমন জামােত ইসলাম বিএনপি কে গ্রাস করেছে, কীণতূ সঘোষিত বহুল প্রচারিত দানব চামচিকা আমার দেশের দারা কিভাবে গ্রাস হ্ল, যেখানে নাকি সকল গানিরা এক ছাতার তলে জড় হয়েছে। আসলে এককালের বাম আজ বদলে হয়েছে চতুর বাবসায়ি তাই নিজের মত সবাইকে বদলে দিতে চাইছেন। কিন্তু তার হয়ত যানা নেই বা ভুলে গেছেন এই প্রজন্ম কুকুরের লেজের মত যাকে ১০ বছঅর চোঙ্গের মধে্য রাখলে সেটা বাকাই থাকে, এদের বদলান অসাধ্য।
লা জওয়াব
দুর্দান্ত হইসে ,অন্য রকম বিশ্লেষণধর্মী পোষ্ট ।
দেখেন ত এটা আবার কি শুরু করসে?!
"আমেরিকার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান কংগ্রেশনাল গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত হয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রতিনিধি পরিষদ অথবা সিনেটের একটি সদস্যেরও আপত্তি থাকলে কোনো বিদেশিকে এই সম্মানে ভূষিত করা সম্ভব হয় না। সমগ্র বিশ্বের মধ্যে আমেরিকার নাগরিক নন মাদাম তেরেসা, নেলসন ম্যান্ডেলা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিরল এই সম্মানে ভূষিত হলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন।"
ইউনূসকে অভিবাদন। আশা করি এইবার রোহিঙ্গাদের দুঃখ দুর্দশা দূর হবে।
হিমু ভাই,
যে লেখাটিকে এবং যাকে বা যাদের উদ্দেশ্য করে আপনার প্রতিবাদ আমার সমর্থন তার পক্ষে। বিশেষ সময়ে, বিশেষ ঘটনা আর চরিত্রের ছায়ায় নির্মিত গল্পটি সাহিত্য না হয়ে উঠেছিল নোংরা ইঙ্গিতের চর্চিত ভঙ্গি। তাতে প্রতিবাদ স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।
আমি বিষয়টিকে একটু তীর্যকভাবে দেখার চেষ্টা করছি।
একটি পক্ষের (লুঙিগ বাহিনী) সতর্ক পর্যবেক্ষণ আছে শাহবাগের উপরে। হাসনাত সাহেবের লেখাটি প্রকাশের পরে আমাদের প্রতিক্রিয়ার জবাবে প্রথম আলো আর হাসনাত স্বয়ং ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু সেই পক্ষ যাদের হাতে কিছু মিডিয়া আছে। কিছু প্রশিক্ষিত বুদ্ধিবেশ্যা আছে, তাদের আমরা খড়গহস্ত হতে দেখি। তারা আমাদের প্রতিবাদকে তুলনা করে হেফাজতের অতি রক্ষণশীল ক্রোধের সাথে। আমাদের চেতনা হয়ে যায় নিতান্তই মধ্যবিত্তের খেলো চেতনা। যখন সেই সব চিহ্নিত জ্ঞানপাপীদের আস্ফালন করতে দেখি, দর্শন কপচাতে দেখি তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না যে, পুরো ব্যাপারটাই তাদের সাজানো নাটক। অনেকটা যুদ্ধের বাহানা করে অজেয় অভিমণ্যূকে চক্রবূহ্যে এনে ফেলা। একটু ভেবে দেখবেন।
পাখীর চোখ দিয়ে দেখলে, কি মনে হয়? আমরা একজন লেখকের/প্রত্রিকার মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে আক্রমণ করছি। আমাদের ক্রোধে, ভয়ে তারা লেজ গুটিয়ে নিয়েছে। আমরা জয়ের দম্ভ করছি। আর আসল খেলোয়াড় আড়ালে বসে তার লম্বা চুলে আঙ্গুল প্যাচাচ্ছেন। সাদা লুঙ্গি দিয়ে ত্যানা প্যাচাচ্ছেন জিহাদি জোসে।
নন্দীভৃঙ্গি
আশা করি লুঙ্গিবাহিনীর বুদ্ধিবেশ্যারা যখন খেতে বসবেন, তখন টেবিলের ওপর উঠে হাসনাত আবদুল হাই বিষ্ঠা ত্যাগ করলে তারা হাসিমুখে মেনে নেবেন।
শাহবাগের শক্তির দিকটি কেবল তার সংখ্যায় নয়, বরং উপাদানে। শাহবাগে সমাজের প্রায় প্রতিটি প্রস্থচ্ছেদের মানুষ এসে যোগ দিয়েছেন বলেই সেটি অশ্রুত বাঘের মতো আচমকা এসে গর্জন করে ছোট্টো বাংলাদেশ হিসেবে নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে পেরেছে। বাংলাদেশের ওপর সারির প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই সামর্থ্য আছে নিজেদের কর্মীদের বিপুল সংখ্যায় সমাবিষ্ট করার। কিন্তু শাহবাগ ভিন্ন তার স্বতস্ফূর্ততায়, তার সংযুক্তির প্রকৃতিতে, তার প্রাণভ্রমরটির দীর্ঘায়ুর কারণে।
আর তাই শাহবাগকে জাগরিত রাখার কাজটি নিজের কাঁধে তুলে নেয়া নারীরা শুরু থেকেই আক্রান্ত। কারণ বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক সমাবেশের চেয়ে শাহবাগ ভিন্ন নারীদের মুখ্য অংশগ্রহণের কারণেই। এই নেতৃত্ব কেবল মঞ্চে মাইক হাতে স্লোগানেই নয়, এই নেতৃত্ব টুকরো টুকরো করে হাতে নিয়েছেন তাঁরা। ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে যখন শাহবাগে হামলা হলো, ফুলের দোকান থেকে লাঠি নিয়ে তাই অসমসাহসিনী নারীরা শাড়ি কোমরে বেঁধে পাল্টা প্রতিরোধ গড়েছেন। এই নারীরা সংরক্ষিত মহিলা আসনের ঘাড়েগর্দানে সংসদ সদস্যা নন, নিরীহ গৃহিণী আর কোমলস্বভাবা ছাত্রী।
কয়কদিন আগে হাসনাত আব্দুল হাই -এর লেখা জাগরণ মঞ্চ এবং লাকি আক্তারকে নিয়ে লেখা একটি গল্প
ব্যাপক আলোচিত সমালোচিত হয়েছিল ব্লগ আর ফেসবুক পাড়ায় তখন লিখেছিলাম
প্রথম আলো এই মুহূর্তে বাদ দিতে চাই,
কিন্তু প্রথম আলোর বিকল্প তো নাই।
তাই ভাবলাম জাফর ইকবাল স্যার যদি আলোতে লেখা ছেড়ে দেন, তাহলে আমিও ছাড়ব পড়া
আজকে স্যার বললেন
"হাসনাত আব্দুল হাই বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন, আমিও বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছি।
কিন্তু হাসনাত আব্দুল হাই'র গল্পটি পড়ে আমি এতটাই মর্মাহত হয়েছি যে, আমি আমাকে দেয়া পুরস্কারটি ফেরত দিতে চাই।
কারন এমন একজন লোককে তারা এ পুরস্কার দিয়েছে! কাজেই এ পুরস্কার আমি রাখতে চাইনা।
ড জাফর ইকবাল স্যার আরও বললে্ন,
'হাসনাত আব্দুল হাই যে ভাষায় ক্ষমা চেয়েছেন, সেটিও খুবই আপত্তিকর।'
এমন বলিষ্ঠ প্রতিবাদ শুধু স্যারই করতে পারেন
আমি স্যারের অন্ধ ভক্ত দেখে অনেকে আপত্তি করেন, তাদের বলি
না বুঝে নকল করলে ভুল হতেই পারে, কিন্তু আপনার সামনে দেশের সেরা মানুষ থাকলে
অন্ধ অনুকরণ করলেও ক্ষতি হয় না।
আলুর সাহিত্য পাতা এখন দেখে কে?
গতকাল ছাপা হয়েছে জীবনানন্দকে নিয়ে পিয়াস মজিদের গল্প।
মফস্বলের লিটল ম্যাগ নিয়ে ঘাম ঝরানো ছেলেপিলেরা এর চাইতে অনেক ভালো গল্প লেখে !
লেখায়
শাহাবাগ জেগে আছে , শাহাবাগ জেগে থাকবে ।
আলুর মত দুই একটা চটি পত্রিকা আর ফারুক , মাহাবুবের মত কিছু লোক কিছু করতে পারবে না ।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন