নিবার্চন কমিশনার নিয়োগ ও হাসানের অভিনন্দন

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: বুধ, ১৮/০১/২০০৬ - ১০:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


লন্ডন, স্ট্র্যাটফোর্ড থেকে হাসান নতুন দু'জন নির্বাচন কমিশনারকে শুষ্ক অভিনন্দন জানিয়ে প্রশ্ন করেছেন এই নিয়োগের কি কোনো দরকার ছিল। তার এই প্রশ্নের জবাব বুঝতে তার যাতে সুবিধা হয় সেজন্য প্রথমআলোর এই ছবিটা তুলে দিলাম।
আদালতের রায় নিয়ে নতুন ও পুরনো কমিশনাররা কি রকম আকাশ-পাতাল মন্তব্য করছেন তা এই গ্রাফিকস -এ তুলে ধরা হয়েছে। হাসানের প্রশ্নের অন্তত: একটা জবাব এখানে পাওয়া যায়।
নতুন ভোটার তালিকা বন্ধের জন্য হাইকোর্টের রায়কে বিতর্কিত করে তোলার একটা উপায় হিসেবে এই নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। রায়টি সরকারের পক্ষে যায় না সুতরাং তাদের অপছন্দের। এখন সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটেই তারা পারেন নির্বাচন কমিশনে এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে। প্রধান কমিশনার একা হয়ে গিয়েছিলেন। নতুন দু'জনকে পাশে পাওয়ায় তাদের পাল্লায় এখন তিনজন। সুতরাং তারা শ্যামের বাঁশি শুনে সেদিকে বাঁকা হতে পারবেন।
এও বুঝা যায় বিরোধী দুজন কমিশনার তাদের পদ ত্যাগ করছেন না। কেনইবা করবেন। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করাটা তো তাদের কাছে কেউ প্রত্যাশা করে না। বরং সাহসের সাথে সত্যকে সমর্থন দিয়ে যেতে হবে তাদেরকে।
আরেকটি বিষয় হলো দলীয়করণ এবং দলের সমর্থকদেরকে পুরষ্কৃত করা। এ দফায় পুরষ্কৃত হলে স ম জাকারিয়া। পত্রিকায় নিশ্চয়ই দেখেছেন তার যোগ্যতাহীন পুত্রকে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বানানো হয়েছে।
সুতরাং হাসানের অভিনন্দন যত বিদ্রুপাত্মক শোনাক তাতে আসল লোকজনের কোনো মূত্রব্যয় হবে না। তারা কাজ করে যাবে তাদের মতো। এসব ব্যাজস্তুতিতে তাদের মোটা চামড়ায় আঁচড়টি লাগবে না। চামড়া মোটা হলে অস্ত্রটি আরো সূঁচালো হতে হয়।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।