বিদায় দাওগো বন্ধু তোমরা!!!

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: বুধ, ২২/০২/২০০৬ - ১:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বিদায় দাওগো বন্ধু তোমরা
এইবার দাও বিদায়
কাজের ছেলে কাজের ডাকে
ফিরে যেতে চায়.... (গীতিকারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী)

বাংলায় ব্লগ লেখার সুযোগ পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম বাঁধ ভাঙার আওয়াজে। আমার ব্লগগুলো লিখতে আমার অনেক সময় লেগেছে। ছবি জোগাড় করতেও সময় গেছে অনেক। 108টি লেখা তৈরিতে 15 মিনিটও লাগে তবে কত সময় আমি ব্লগে দিয়েছি ভেবে দেখুন। তাছাড়া আরো অনেক মন্তব্যে সময় গেছে। ব্রিটেনে বসে এভাবে সময় অপচয় মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

এটা ঠিক এখানে এসে নিবিড় আনন্দ পেয়েছি। একধরনের দূরবর্তী বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছে অনেকের সাথে। অনেকের লেখা পড়েছি ও নতুন চিন্তা-ভাবনার সাথে পরিচিত হয়েছি। আর বাংলা লেখার গতিটা বাড়িয়ে নিয়েছি। নতুন নতুন বিষয় চিন্তা করে দ্রুত লেখাটা তৈরি করার একধরনের অনুশীলনও হয়েছে। মূলত: এই কারণে ই আমার এই বিপুল পোস্ট করা।

কিন্তু টেবিলে কাজ পড়ে আছে। প্রচুর কাজ। নিজের গবেষণার কাজ। একটানা করতে করতে একধরনের একঘেঁেয়মিতে পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু সবকিছুরই তো একটা চূড়ান্ত সময়সীমা আছে। তাছাড়া দুটো বড় বড় অনুবাদের কাজ হাতে। কোম্পানিগুলো তাগাদা দিচ্ছে। ওরা যদি জানতো আমি ব্লগিং নিয়ে ব্যস্ত।

এই বিপুল কাজ রেখে কোনো পাগলই নিশ্চয়ই ব্লগিং করবে না। কিন্তু ঐ যে বলেছি বাংলা ও লেখালিখি'র প্রতি দুর্নিবার এক আকর্ষণ আমাকে নেশাগ্রস্ত করে তুলেছিল। তবে সবাই যে আমার এই সময় দেয়াকে ভালো চোখে দেখেছেন তা নয়। অনেকে বিরক্ত হয়েছেন বিপুল লেখা পোস্ট করায়। তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তাছাড়া খুব বেশি পাঠক লেখাগুলো পড়েছেন তা আমার মনে হয়নি। হিসাব করে মনে হলো হয়তো সব মিলিয়ে 100 পাঠক ও লেখক আছেন এখানে। সুতরাং খুব বেশি লোকের বিরাগভাজন হয়তো হইনি। তবুও যদি বিরক্তির কারণ হয়ে থাকি, সব দায় মাথা পেতে নিচ্ছি।

শীর্ষে থাকতে নাকি ইমরান খানও যথাযথভাবে অবসর নিতে পারেননি যা পেরেছেন খালেদ মাহমুদ। আমার জন্যও সুযোগটা এসেছে। সম্মানের সাথে বিদায়।

সবাই ভালো থাকুন। না লিখলেও মাঝে মাঝে হয়তো পড়ে দেখবো আপনারা কি লিখছেন। ভালো ভালো চিন্তা জাগানিয়া মহৎ লেখা লিখুন। সবাইকে শুভেচ্ছা।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।