হামাস, পুতিন ও নিজের ফাঁদে যুক্তরাষ্ট্র

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: শুক্র, ১০/০২/২০০৬ - ৫:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের হাতিয়ার। বিভিন্ন দেশে সরকার পরিবর্তনের জন্য তারা ব্যবহার করেছে সিআইএ ও সন্ত্রাসীদের। লিবিয়া, ইরান ও ইরাকের ক্ষেত্রে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। সুতরাং সরাসরি যুদ্ধ করে ধ্বংস করে দিয়েছে ইরাকের সরকার ব্যবস্থা। এখন তাদের মন্ত্র হচ্ছে গণতন্ত্র। তারা এখন বিশ্বের সবদেশে গণতন্ত্র দেখতে চায়-এই তাদের আবদার। নতুবা নাকি সেই দেশকে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু প্রিয় মোশাররফের উর্দি তারা দেখতে পায় না। সে প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন।

কিন্তু নতুন সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে হামাসের নির্বাচন বিজয়। হামাস ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ সংগঠন অগ্রহণযোগ্য। তারা একে চিহ্নিত করে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে। কিন্তু যে গণতন্ত্রের ধুয়া ধরেছিল যুক্তরাষ্ট্র হামাস যে সে পরীক্ষায় পাশ করেছে। আসলে এক্ষেত্রেও সিআইএ সঠিক আগাম তথ্য দিতে ভুল করেছে। নতুবা যুক্তরাষ্ট্র বিকল্প কোনো পন্থা গ্রহণ করতো। সে যাক হামাস এখন ক্ষমতায়। সুতরাং গণতন্ত্রের অজুহাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আর পার পাচ্ছে না।

এবং যেমন আশা করা গিয়েছিলো পুতিন তেমন একটি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে হামাস নির্বাচিত দল এবং তাদের সাথেই ইসরাইল সরকারের আলোচনায় বসা উচিত। পুতিন তার দেশে হামাসের নেতাদের আমন্ত্রণ ও জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে আবার ভাবতে হবে। যদিও ইসরাইল বলেছে, তাদেরকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত হামাসের সাথে কোনো কথা নেই। কিন্তু পুতিনের বক্তব্য আরো গভীর কিছু বিষয়ের ইঙ্গিত করে। যুক্তরাষ্ট্রের একক নেতৃত্ব মনে হয় প্রাক্তন কমিউনিস্ট বিশ্ব মেনে নিতে পারছে না। তারা তাদের খোলস থেকে বের হয়ে আসছে। এ বিষয়ে আলোচনা আলাদা শিরোনামের দাবী করে। সুতরাং তা তোলা থাক।

হামাসের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজেদের গণতন্ত্রনামক বড়ি নিয়ে যে সমস্যায় আছে তা নিজেরা গিলে ফেলতে কী ধরনের তরল পদার্থ ব্যবহার করে তাই এখন চেয়ে দেখবার বিষয়।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।