ইলিয়াছ আখন্দ, মন্তব্য মোছা ও আমার বক্তব্য

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: শুক্র, ১০/০২/২০০৬ - ৮:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ইলিয়াছ আখন্দ একখানা ব্লগ লিখেছেন। তার ব্লগের শিরোনাম, 'দৈনিক পত্রিকায় লেখাটা দেখতে পারলে প্রবাসীরা আনন্দ পেত'। সেই লেখায় তিনি জানান যে, তিনি দীর্ঘ 2 বছর যাবত গ্রীসে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তার মতো আরো 15 হাজার অবৈধ বাঙালি সেখানে আছেন। যারা 8 লাখ টাকা খরচ করে সেখানে এসেছেন। সম্প্রতি গ্রীস সরকার তাদেরকে বৈধ করার প্রক্রিয়া শুরু করলে তারা লাইন ধরেন বাংলাদেশ কনসু্যলেটের সামনে পাসপোর্টের সামনে। তার ভাষায় তারা প্রায় 40 ইউরো বেশি দিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। ইত্যাদি ইত্যাদি।
তার ব্লগে আমি এই মন্তব্য করেছিলাম যে, আপনি যদি অবৈধভাবে অন্য একটি দেশে গিয়ে টাকা রোজগারের পথ অবলম্বন করতে পারেন, তবে আপনার আরেক দেশিভাই দু-নম্বরি করা থেকে নিজেরে থামায় কি করে। আপনি তো এই পাসপোর্ট পেয়ে 40,000 ইউরো কামানোর সুযোগ করে ফেলবেন। ও নাহয় 40 ইউরো নিল। দুর্নীতি তো আর একপক্ষে হয় না।
আমার মন্তব্যের জবাবে ইলিয়াছ আখন্দ নতুন একটি ব্লগ খুললেন। যার শিরোনাম ছিলে হিরক ভাইকে...(ভুল বানান যদিও)। সেখানে আমি আবার মন্তব্য করি যে, আপনি কেন বুঝতে পারছেন না, যে আপনি নিজের দোষ দেখতে পাচ্ছেন না। অন্যের দোষ নিয়ে আকাশ-পাতাল করতে চাইছেন।
পরে দেখতে পেলাম ইলিয়াছ সাহেব আমার মন্তব্য ও নতুন ব্লগ সবই মুছে দিয়েছেন। সম্ভবত: তিনি লজ্জা পেয়েছেন। কিন্তু এই লজ্জা ঢাকা দেয়ার কিছু নেই। তিনি সত্যকে সহজে স্বীকার করলেই পারেন। তাতে কোনো অসুবিধা নেই। তিনি বলতেই পারতেন আমরা ভাগ্য অন্বেষণে অবৈধ পথের আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তুবৈধ হতে গিয়ে দেখি সেখানেও নানা দুর্নীতি। যদি জানতাম অবৈধতার কলংক সহজে মোছা যায় না তাহলে কখনও এ পথে পা বাড়াতাম না। সারা পৃথিবীতে যারা এরকম অবৈধ পথের বা দুর্নীতির পথ ধরেছেন তারা আসুন শুদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করি।
তাহলে আমার বলার কিছুই থাকতো না। আমি আবেগে আপ্লুত হতাম। কিন্তু চোরের মার বড় গলা তো সহ্য করা যায় না।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।