মুসলিম ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে সংলাপ

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: শনি, ১১/০২/২০০৬ - ২:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


মুসলিম ও পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে সংলাপের প্রয়োজন, এ কথা অনেকেই বলেছেন এর আগে। তবে এবার আহবান জানালেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ বাদাউয়ি। বাদাউয়ির এ আহবান তার ব্যক্তিগত ইমেজের কারণেই ভিন্নতর মাত্রা যোগ করেছে। বাদাউয়ি এর আগে জঙ্গি মুসলমানদের সনত্রাস পরিহার করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মনোনিবেশ করার আহবান জানিয়েছেন।

একথা অনস্বীকার্য যে মুসলিম বিশ্বের সাথে পশ্চিমা বিশ্বের একটি দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এর শুরু 9/11 এর সন্ত্রাস থেকেই। লাদেনকে শত্রু চিহ্নিত না করে পশ্চিমা বিশ্ব ইসলামকেই শত্রু চিহ্নিত করে ফেললো। কারণ লাদেন ও গং আফগানিস্তানে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করেছিলো। ফলে পশ্চিমারা হঠাৎ আবিষ্কার করলো তাদের নতুন শত্রুকে -এবং সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গি ইত্যাকার ধারণা থেকে ধীরে ধীরে ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বই তাদের শত্রুতে পরিণত হচ্ছে।

কিন্তু এটাও সত্যি যে ক্যাপিটালিজমের অগ্রগতির জন্য শত্রুর প্রয়োজন হয়। কমিউনিজমের পতনের পর তারা হন্যে হয়ে নতুন শত্রু খুঁজেছে। শত্রু না থাকলে তো বোমা হয় না, অস্ত্র বানানো যায় না। শত্রু না হলে আবিষ্কার হয় না, অগ্রগতি হয় না। পৃথিবীর বেশিরভাগ আবিষ্কার হয়েছে দ্্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। সুতরাং পুঁজির অগ্রযাত্রায় যুদ্ধের প্রয়োজন। যুদ্ধের জন্য শত্রু প্রয়োজন। আরো একটি নতুন শত্রু না পাওয়া পর্যন্ত ইসলামী জঙ্গিবাদের মত চমৎকার একটি শত্রুর ধারণাকে যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমাবিশ্ব হাতছাড়া করবে বলে মনে হয় না। সংলাপের কথা উঠতেই পারে। কিন্তু কার সাথে কার সংলাপ হবে? কীভাবে সে সংলাপের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা হবে -ইত্যাকার বিষয়গুলো নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। তবে ভুল বুঝাবুঝি তো দূর করতেই হবে। আর সেজন্য উভয় পক্ষকেই সুযোগ দিতে হবে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরার। এটুকু আশা করাই যায়। মানুষতো মূলত: আশামুখী, শান্তিকামী।
পৃথিবীতে শুভবুদ্ধির জয় হবে, এ কামনা তো সব শান্তিকামী মানুষের।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।