সব ধর্মেই কি ঈশ্বর আছে?

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: রবি, ১৯/০২/২০০৬ - ৬:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


দীক্ষক দ্রাবিড়ের ঈশ্বরের খোঁজ ও আমি
--------------------------------

নতুন একজন ঈশ্বর আবশ্যক - এই একটি মাত্র লেখায় দীক্ষক একেবারে বিশ্বাসের শেকড় ধরে টান দিয়েছেন। তাকে বলেছিলাম, দীক্ষা দিন। কিন্তু একটি লেখা লিখেই তিনি নিশ্চুপ। তিনি হয়তো মানে বিশ্বাসী, সংখ্যায় নয়। কিন্তুএতো তর আমার সয় না। সুতরাং আমি নিজেই নামি অনুসন্ধানে।

প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মানুষ মেনে আসছে ঈশ্বর। তার একটি বড় কারণ হলো মানুষের মনে অনেক আকাঙ্খা। সে পেতে চায়। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে সে ছাগল মানত করে। সে চায় পুত্রসন্তানটি বসন্ত রোগমুক্ত হোক। ফসলের জন্য সে নতজানু হয় সে ঈশ্বরের কাছে। হাত তুলে প্রার্থনা করে।

প্রকৃতির বিপুলতা, ধ্বংসের ক্ষমতায় মানুষ বিপন্ন বোধ করে। সে বুঝে সে অসহায়। সে বিশাল, বিরাট শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে নিরাপত্তা খোঁজে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে, বিভিন্ন ভৌগলিক সীমানায় বিভিন্ন আকারে মানুষ তাই সাজিয়েছে তার ধর্ম। তবে এর মাঝে পাঁচটি ধর্ম নির্দিষ্ট ভৌগলিক সীমারেখাকে অতিক্রম করতে পেরেছে। এগুলো হলো: হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম। আরো কিছু ধর্ম আছে যারা সারা বিশ্বেছড়াচ্ছে ,কিন্তু তাদের অনুসারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয়।

প্রথমে ঈশ্বর অনুসন্ধান
এক বা বহুএকেক ধর্মে ঈশ্বরের সংখ্যা একেক রকম। ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মে ঈশ্বর এক। তিনি একক। তিনি সর্বশক্তিমান। এই তিনটি ধর্মের জন্মস্থান হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। এই তিন ধর্মের বহু আচার, উৎসব, ব্যাখ্যা ও উপকথায় আছে প্রভূত মিল। যেমন ইহুদিদের হিব্রু বাইবেল দখল করে আছে খ্রিস্টানদের বাইবেলের বিপুল অংশ। অন্যদিকে যীশুকে মুসলমানরা একজন প্রেরিত পুরুষ বিবেচনা করে।

অনেক ধর্ম আছে যারা শক্তির বহুমাত্রিকতায় বিশ্বাসী। বিশ্বাসী বহু ঈশ্বরে। একেক ঈশ্বর মানুষের একেক কাজকে নিয়ন্ত্রণ করেন। মানুষের জীবনের সাথে বেশি জড়িত ঈশ্বরদেরই বেশি কদর এখানে। যেসব ঈশ্বরেরা কৃষি, উর্বরতা ইত্যাদির সাথে জড়িত তাদেরই আরাধনা বেশি হয়।

হিন্দু ধর্মকে বহু ঈশ্বরের ধর্মই ধরা হয়। যদিও তাদের কোটি দেবতা নাকি একই পরম শক্তির ভিন্ন ভিন্ন রূপ।

কিছু ধর্ম আবার ঈশ্বরে বিশ্বাসী নয়। যেমন বৌদ্ধ বা জৈন ধর্ম। বৌদ্ধরা অনুসরণ করে বুদ্ধকে। তারা বুদ্ধকে দেবতা মনে করে না বরং দেখে একজন শিক্ষক (বা দীক্ষক) হিসেবে। জৈনদের আধ্যাত্মিক শিক্ষক হলেন তীর্থংকররা।

(যদিও দীক্ষক বিজ্ঞাপন দেন ঈশ্বরের সন্ধানে, একটি সংগঠিত ধর্মের জন্য ঈশ্বর অত্যাবশ্যক নন। তাকে এই প্রমাণ দিলাম। )


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।